যে জীবন ফড়িঙের – চিন্ময় রায়
সপ্তর্ষি প্রকাশন
প্রথম প্রকাশ – জানুয়ারি ২০১৪
প্রচ্ছদ – দেবাশীষ দেব
প্রকাশক – স্বাতী রায়চৌধুরী
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
ও
বলরাম চৌধুরী-কে
বিশেষ সহায়তা
তপজা মিত্র
গুলশন আরা খাতুন
নিখিল রঞ্জন প্রামাণিক
অভীক চট্টোপাধ্যায়
প্রকাশকের তরফে
‘রস’-এর বিচারে ‘চোখের জল’, ‘মুখের হাসি’কে কোনওদিনই তার প্রাপ্য সম্মান দিতে দিল না। এর সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ বিশ্বসেরা অভিনেতা বলতে কত কত নাম উঠে আসে, কিন্তু সবার আগে যে নামটা উঠে আসা উচিত, সেই চার্লি চ্যাপলিনের কথা আমাদের মনেই পড়ে না। অথচ, ছড়ি হাতে টুপি-পরা সেই ভদ্রলোক কত না দৃশ্যে শুধু হাসি দিয়েই আমাদের গলার কাছটা ব্যথা করিয়ে দিয়েছেন! আমাদের দেশেও সমালোচককুলে তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ‘কমেডিয়ান’ বলে আলাদা একটি শ্রেণিকে চিহ্নিত করা হয়, তাঁরা যেন যথার্থ অভিনেতা পদবাচ্য নন। হেলায় পড়ে থাকেন তুলসী চক্রবর্তী থেকে চিন্ময় রায়-রা।
চিন্ময় রায় এখনও জীবিত। ক্রমশ ক্ষীয়মান যথার্থ এক বিশেষ অভিনয়ধারার শেষ প্রতিভূ বলা যেতে পারে। তাঁর জীবনকথা প্রকাশ করার আমাদের এই প্রয়াস আসলে এই সকল অভিনেতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।
এই বইয়ে শিল্পীর জীবনকথার সঙ্গে যুক্ত হল চলচ্চিত্র-নাটক ও বেতার নাটকে অভিনয়ের বিস্তৃত তালিকা।
এই গ্রন্থটি প্রকাশে সহায়তার জন্য আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে গুলশন ও পরবর্তীকালে বিশেষভাবে তপজা-র কাছে কৃতজ্ঞ। অনুজপ্রতিম এই দুই অনলস কর্মীর সাহায্য ছাড়া এ জীবনী প্রকাশ করা সম্ভব হত না।
সবশেষে বিশেষভাবে স্মরণ করি আলোকচিত্রশিল্পী অরুণ চট্টোপাধ্যায়-কে। দীর্ঘকাল ধরে যিনি ছিলেন এই প্রকাশনা ও চিন্ময় রায়ের মধ্যেকার সেতু। এই গ্রন্থপ্রকাশের ঠিক আগে তাঁর অকাল প্রয়াণ আমাদের ব্যক্তিগত ক্ষতির সঙ্গে প্রকাশনারও কিছু অঙ্গহানি ঘটিয়েছে।
আন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু ত্রুটি হয়তো থেকে গেল। সচেতন পাঠক দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পরবর্তী সংস্করণে আমরা শুধরে নেব।
জানুয়ারি ২০১৪
Leave a Reply