মাই ব্রিফ হিস্ট্রি (আত্মস্মৃতি) – স্টিফেন হকিং
ভাষান্তর – আবুল বাসার
প্রথম প্রকাশ : কার্তিক ১৪২৫, নভেম্বর ২০১৮
প্রকাশক : প্রথমা প্রকাশন
প্রচ্ছদ ও অলংকরণ : মাসুক হেলাল
My Brief History by Stephen Hawking
Translated by Abul Bashar
অনুবাদকের উৎসর্গ
নিশীথ সূর্য
হাসিমুখ, হাসিমুখে আনন্দধারা
অনুবাদকের কথা
স্টিফেন হকিং মাত্র ২১ বছর বয়সে পেয়েছিলেন মৃত্যুর পরোয়ানা। দুরারোগ্য মোটর নিউরনে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁর আয়ু মাত্র দুই বছর বেঁধে দিয়েছিলেন। এরপর মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি বাঁচার স্বপ্ন দেখলেন। একে একে অকেজো হতে লাগল হাত-পা। তারপর পুরো শরীর। বন্দী হলেন হুইলচেয়ারে। কিন্তু সব উপেক্ষা করে কেবল সচল মগজ আর হৃদয় সম্বল করে চালিয়ে গেলেন তাত্ত্বিক গবেষণা। একসময় মুখের অস্পষ্ট কথাও কেড়ে নিল ঘাতক নিউমোনিয়া। তবু হার মানেননি। সেই অবস্থাতেই চালিয়ে গেছেন পদার্থবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক গবেষণা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে টানা ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। নিয়তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লিখে ফেলেন আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম। বইটি সর্বকালের জনপ্রিয় বিজ্ঞান বইয়ের তালিকায় ঠাঁই করে নেয়। ইতিহাসে ঠাঁই পেলেন হকিংও। রাতারাতি তারকায় পরিণত হন তিনি। আইনস্টাইনের পর আর কোনো বিজ্ঞানীর কপালে এমন খ্যাতি জোটেনি।
কিন্তু কীভাবে এতোসব সম্ভব করলেন হকিং–কয়েক দশক ধরে এই ছিল সাধারণ মানুষের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। এই কৌতূহল মেটাতেই স্টিফেন হকিং ২০১৩ সালে লেখেন আত্মজীবনী মাই ব্রিফ হিস্ট্রি। বইটিতে তাঁর ছেলেবেলা থেকে শুরু করে বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার কাহিনি সংক্ষেপে তুলে ধরেন তিনি। এ বইয়ে তাঁর বিজ্ঞানীজীবন আর ব্যক্তিজীবন একাকার হয়ে গেছে।
অনেক দিন ধরে সারা বিশ্বের তরুণদের প্রেরণা আর সংগ্রামের প্রতীক স্টিফেন হকিং। ভবিষ্যতেও তাই থাকবেন। তাঁর সংগ্রামী জীবনের অনেকখানিই উঠে এসেছে এই বইটিতে। এ বছরের ১৪ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর পরই বইটির অনুবাদের কাজ শুরু করি
মোট ১৩টি অধ্যায়ে হকিং তাঁর জীবনকে ভাগ করেছেন এই বইয়ে। বইয়ের শেষে হকিংয়ের জীবনের সংক্ষিপ্তসার এবং পরিভাষা যুক্ত করেছি। এটি বিজ্ঞানের বই না হলেও হকিং বিজ্ঞানী বলে খুব স্বাভাবিকভাবেই এতে বিজ্ঞানের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় উঠে এসেছে। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও সে বিষয়গুলো পড়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আরশাদ মোমেন। তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
আবুল বাসার
ঢাকা, অক্টোবর ২০১৮
[email protected]
Leave a Reply