মতি নন্দী উপন্যাস সমগ্র ১ম খণ্ড
মতি নন্দী উপন্যাস সমগ্র ১ম খণ্ড
ভূমিকা
মতির লেখা এবং জীবনযাত্রার সঙ্গেও সমসাময়িক বাঙালি সাহিত্যিকদের বিশেষ মিল ছিল না। সে ছিল বড়ো বাঘের মতো। তার জীবনযাত্রাতে তো বটেই জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতেও কোনো ভিক্ষা বা করুণাভিক্ষার লেশ মাত্র ছিল না। সে ছিল পুরোপুরি খেলোয়াড়-স্পোর্টসম্যান। ঈর্ষা, দ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা কোনোদিনও দেখিনি ওর মধ্যে। ওর মৃত্যুর পরে অনেককেই দেখেছি ওর কাছের মানুষ হিসেবে দাবি করতে, কিন্তু বাস্তবে সেই অর্থে, ওর ভায়রাভাই শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় যেমন ছিল, তেমন অগণ্য স্তাবক ও পাঠকের দল নিয়ে তার দিন যাপন ছিল না। সে ছিল নির্জন এবং একাকী জীবনের পথিক।
শ্যামলের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র বিরূপতা নেই। ওর নামোল্লেখ করলাম নিছকই তুলনার জন্যে।
মতি লিখেছে অত্যন্তই কম, কিন্তু যতটুকু লিখেছে তা অতি উচ্চচমানের লেখা। প্রতিটি লেখাই স্বতন্ত্র এবং দিকদর্শক। প্রত্যেক লেখকেরই মতির লেখা পড়ে শেখার অনেক কিছু আছে। তরুণ লেখকদের তো বটেই, আমাদেরও। সাহিত্য যে নির্জন এককের গান হই-হুল্লোড়ের বিষয় নয়, তা মতি আমাদের প্রজন্মকে শিখিয়ে দিয়ে গেছে।
ওর বইয়ের ভূমিকা লিখতে অনুরুদ্ধ হয়ে আমি গর্বিত বোধ করছি।
বুদ্ধদেব গুহ
Leave a Reply