ভিড়পুরুষ ও নরমাংসখোরদের হালনাগাদ – একটিমাত্র বাক্যে লেখা নভেলা – মলয় রায়চৌধুরী
পাঠক বা পাঠিকা আপনি কখনও পুংযৌনাঙ্গের কাঠিকাবাব খেয়েছেন
লাবিয়াফ্রাই ইন অলিভ অয়েল
সে-ভূখণ্ডে পুরুষের অণ্ডকোষকে বলা হয় অলিভ
খাননি তো
উত্তরঐতিহাসিক এক ভূগোলের দুই পক্ষের লোকেরা মনে করে এই সমস্ত খেয়েই তারা মজায় আছে
সে-দু’এলাকা পৌরাণিকাধুনিক যুগের পর থেকে জলহীন হবার ফলে জাতিপ্রথা তাঁবাদি হয়ে গেছে কেননা সকলেরই পোঁদে টাটকা গু লেগে থাকে আর কেউই জানে না চিন্তাভাবনা কাকে বলে কয়েকশো প্রজন্ম থেকে চান করা কাকে বলে কেউ জানে না কোনো মানুষের গায়ের রঙ টের পেতে হলে থুতু দিয়ে ঘষলে টের পাওয়া যায় চান করার ব্যাপার নেই বলে গায়ের তাড়িকুলকুল দুর্গন্ধই পারস্পরিক আকর্ষণের সেতু হয়ে উঠেছে চুলের রঙ হয়ে গেছে সোনালি বাদামি লাল নীল বেগুনি কালচে সেই পারের পুরুষ্টু আর আধখ্যাংরা জনগণ ওই পারের মানুষের জ্যান্ত বাসি শুকোনো শুঁটকি নোনা মাংস ছাড়া আর কিছু খায় না তাদের রক্ত খায় হাড়ের বোতলে ভরে হিসি খেয়ে নেশায় বুঁদ হয়ে ভৌগলিক-ভাষায় গালমন্দ করে ওই পারের পুরুষ্টু আর আধখ্যাংরা জনগণ সেই পারের মানুষের জ্যান্ত বাসি শুকোনো শুঁটকি নোনা মাংস ছাড়া আর কিছু খায় না তাদের রক্ত খায় হাড়ের বোতলে ভরে হিসি খেয়ে নেশায় বুঁদ হয়ে ঝাউবনের ভাষায় গালমন্দ করে সেই পারের জনগণ অফুরন্ত বিকৃতিতে উচ্ছৃঙ্খলতায় স্বেচ্ছাচারিতায় দুর্বৃত্তিতে ভ্রষ্টতায় মর্ষকামে মন্দগ্রাহীতায় নিকৃষ্টতায় লুঠতরাজে নষ্টামিতে ধৃষ্টতায় অনৈতিকতায় অনিশ্চয়তায় অবৈধতায় আদিমতায় নিমিত্তবাদে ফিরে যেতে চায় যখন চাঁদের ওই দিক পৃথিবীর পানে পিঠ করে পূর্ণিমার রাতে গোল হয়ে ওঠে ওই পারের জনগণ বিকৃতিতে উচ্ছৃঙ্খলতায় স্বেচ্ছাচারিতায় দুর্বৃত্তিতে ভ্রষ্টতায় মর্ষকামে মন্দগ্রাহীতায় নিকৃষ্টতায় লুঠতরাজে নষ্টামিতে অনৈতিকতায় ধৃষ্টতায় অনিশ্চয়তায় অবৈধতায় আদিমতায় নিমিত্তবাদে ফিরে যেতে চায় যখন শুক্রগ্রহের আঙটি কি দিয়ে গড়া জানা ছিল না পাঠক বা পাঠিকা আপনি দেখছেন তো তার ডিজেলরাঙা ভুষোকেলটে হাওয়ার ঘষাকাচ সেপার আর কসমোনটের চোখে দেখা দুনিয়ায় নেই দুনিয়ায় কেন টেলিসকোপে পাওয়া কোনো গ্রহেই নেই শুধু গ্রহেই কেন পুরো ব্রহ্মাণ্ডে কোথ্থাও নেই একই ব্যবস্হা ওপারের হাওয়ার যদিও ওপার-সেপার মিলিয়ে একই হাওয়া দুটো পক্ষকে হাওয়ার বদগন্ধ দিয়ে আলাদা করে রেখেছে তা আজ বহুকাল বহু বছর হল বৈকি তাছাড়া আর কোনো সীমানা নেই কাঁটাতার বলুন নদী বলুন সেপাইসান্ত্রি বলুন সিমেন্টের পিল্পে বলুন কোনো কিছুই নেই ব্যাস এই জমাট বদগন্ধ হাওয়া যা কখনও পূতপবিত্র নদী ছিল যার পিঠে চেপে ঝড় আসে বৃষ্টিহীন-মেঘ আসে পচা পাতারা আসে গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত আসে আর ফিরে যায় নাক উঁচু করে শুঁকতে হবে না জাস্ট নাককে ছেড়ে দিন নিজের কাজ করবার জন্য কি গন্ধ পাচ্ছেন বলুন তো খটখটে নর্দমার শুকনো নালির মরা নালার পাথুরে পাঁকের টাটকা গুয়ের বাসি গুয়ের আঁস্তাকুড়ে ফেলে দেয়া মরা ভ্রুণের রজঃশরাবের শুকনো রক্তের কানি মাংসখোর নেমন্তন্নের হাড়ের থালায় হিসি-পানের হাড়ের ফাটা গেলাস পিটিয়ে মারা মেটেল মানুষ ফুটবল দলের চাককাটা ফিকে জার্সি জন্মদিনের নষ্ট আমিষ-কেক আইসক্রিমের পৌরাণিকাধুনিক কাঠি বোঁটা-টফির চিমচিম কয়েকরাতের কনডোম তাড়ির চুল্লু-টানা চামড়ার পাউচ ফসিল আলু পটল বাঁধাকপি ফুলকপি ফরাসবিন-জীবাশ্ম উবে-যাওয়া নদীতে ফেলেছিল সেই সময়ের মানুষজন নদী নিজের বিষাক্ত স্মৃতি থেকে মাঝেমধ্যে উগরে দিলে পাওয়া যায় পৌরাণিকাধুনিক যুগের খেলার নিদর্শন গোল্লাছুট হাডুডু কানামাছি জলকুমির ডাংগুলি বউছি দাড়িয়াবান্ধা বলিখেলা বাঘবন্দি জলকুমির চুকিতকিত কিন্তু এক কণা মাংস পাবেন না কেননা সেপারের লোকেরা ওপারের মানুষদের চামড়ার টবে বসিয়ে কিংবা দাঁড় করিয়ে বাঁশের বা হাড়ের ছুরি দিয়ে বেশ সাবধানে চামড়া ছাড়িয়ে কিংবা তালপাতার ডাঁইয়ে আগুন ধরিয়ে জ্যান্ত পুড়িয়ে স্মোকড মাংস খেতে ভালোবাসে চান করা কাকে বলে কেউ তা জানে না বলে চামড়ার ওপরের ময়লা মোম হয়ে জমে থাকে ঠিক তেমনিই ওপারের লোকেরা সেপারের লোকেদের দেখলেই বস্তাবন্দি করে বাঁশের মাচানে হুমহুনা ভাই হুমহুনা বেঁধে নিয়ে যায় বস্তাসুদ্দু চামড়ার টবে রেখে দুরমুশ করে কাঁচা খায় কিংবা পুড়িয়ে খায় সেপার বা ওপারের কোনো উৎসব হতে পারে না পাঠক বা পাঠিকা আপনারা তো আমার চেয়ে ভালো জানেন যে হিংস্রতা বাদ দিয়ে কোনো উৎসব সম্ভব নয় এমনকি প্রথম রাতের ইল্লিতে গিল্লি করার ব্যাপারও মানুষের মাংস খাওয়া ছাড়া বাছবাছাই করার কোনো দরকার যে হয় না তা নয় যতো মোটা মানুষ ততো স্বাদ তার চর্বিতে মানবতার গুণে সে নিজেই নিজেকে স্বাদু করে তোলে তার শিরার স্নেহপদার্থ বাড়িয়ে তবে সেপারের আর ওপারের পুরুষদের মধ্যে জোয়ানদের অনেকেই গুদাকৃষ্ট গুদোন্মাদ তেমনই ঝক্কিমন্ত যুবতীদের মধ্যে অনেকেই পুংলিংপাগলি লিঙ্গোদকপ্রাণ তারা শিকার বাছাই করে আড়াল থেকে পাঠক বা পাঠিকা আপনারাই বলুন সেপার-ওপার এরা কি দুটো ভুঁই না দুটো রাষ্ট্র না দুটো সম্প্রদায় না দুটো জাতি না দুটো দল না এক পক্ষ উদারপন্হী আরেক পক্ষ মৌলবাদী এক পক্ষ বিশ্বাসী আরেক পক্ষ অবিশ্বাসী এক পক্ষ গুণ্ডারাজ আরেক পক্ষ জঙ্গলরাজ এক পক্ষ শ্রমিকদরদী আরেক পক্ষ বেকারদরদী আমি তো কিছু বুঝতে পারছি না পৌরাণিকাধুনিক যুগে সেপার আর ওপারের মানুষের মধ্যে ভাইরেভাইরেভাই রকাড্ডায়যাই ছিল বটে এখনকার উত্তরঐতিহাসিক যুগের মতন মানুষখোর ছিল না যবে থেকে জলহীন এই এলাকায় জলের আকালের ক্ষেত্রসমীক্ষা করতে একদিন একজন আলটপকা এসে-পড়া কোথাকার-কোন-মেয়েকে সেপার ওপার কোনপার নেবে নির্ণয় করতে না পেরে তাকে পুড়িয়ে মেরে স্মোকড মেম খাওয়া হয়েছিল তারপর থেকে সেপার ওপার আলাদা দুটো পক্ষ হয়ে গেল সেই কোথাকার-কোন-মেয়েকে ধরে সেপার-ওপার উৎসব করে খেয়েছিল তারপর থেকে সেপার আর ওপার জমাট হাওয়ার দেয়ালের সেদিকে-ওদিকে আলাদা হয়ে গেল কোথাকার-কোন-মেয়েকে খাবার সময়েও আইন অনুযায়ী বখরা হয়েছিল একটা মাই টোঁটিসুদ্দু ওপার পেল একটা মাই টোঁটিসুদ্দু সেপার পেল একটা ঠ্যাঙ ওপার পেল একটা ঠ্যাঙ সেপার পেল একটা কান ওপার পেল একটা কান সেপার পেল ভাগ করতে অসুবিধে হয়নি কোথাকার-কোন-মেয়েকে উল্টো টাঙিয়ে এলোচুল ঝোলা মাঝখান থেকে হাড়ের চাপাতির কোপ মেরে-মেরে দুটুকরো করা হয়েছিল ফলে সোনালি কোঁকড়ারেশম চুলসুদ্দু হাফ-লাবিয়া অলিভতেলে ভেজে সেপারের লোকে খেলো হাফ-লাবিয়া অলিভতেলে ভেজে খেলো ওপারের লোকে প্রথম-প্রথম টোপ ফেলার জন্যে ওপার যেমন ল্যাংটো থলথলে অবিস্মরণীয় মেয়েদের তালগাছের তাড়ি নামাবার নাম করে কোমরে হাড়ের হাড়ুহাজ-করা গয়না পরিয়ে ঝমঝমাঝম ঝমঝমাঝম কোঁচরঘণ্টা বাজিয়ে পাঠাতো এখনও পাঠায় বপুবেঢপ তেলচেকনাই পেছনতোলা পুরুষ পাঠাতো এখনও পাঠায় তেমন সেপারও থলথলে চর্বিদার গাবদাউরুৎ ঢেউদার মেয়েদের আর হোঁৎকা লোকেদের টোপ ফেলতো ওপারের ঢাকঢোল বাজিপোড়ানো নাচগান থেকে টের পাওয়া যায় সেপারের কাউকে ধরতে পেরেছে তাকে তারিয়ে খাওয়া চলছে অলিভতেলে রাঁধা হয়েছে মানুষের মাংসের হাড়িকাবাব রেজালা ধানশাক কাঠিকাবাব ডালচা কোরমা বিরিয়ানি কড়াইগোশ্ত ভুনা কাচ্চিবিরিয়ানি ভুনাখিচুড়ি রোগনজোশ ফ্রায়েডহিউম্যান রেশমিকাবাব এসব পদ রান্নার রাঁধুনির দুই পক্ষের একই নিয়ম তা হল যে মেয়েদের রজঃশরাব চলছে শুধু তারাই রাঁধতে পারবে কেননা তারাই একমাত্র পবিত্র সুবিধার জন্যে এখন বলা হয় সেপারপক্ষ আর ওপারপক্ষ নামের দুটো ব্যাণ্ড পার্টি ব্যাণ্ডে ওপারীয় সঙ্গীত হলে সেপার বুঝে যায় তেমনিই ব্যাণ্ডে সেপারীয় সঙ্গীত হলে ওপার বুঝে যায় ভিয়েন বসেছে যবে থেকে উত্তরঐতিহাসিক যুগ এলো দুপক্ষই মানুষমাংসখোর হয়েছে তবে থেকে সেপারের মানুষদের পপ-কালচার হল মরা আত্মীয়দের দুঃখে পূর্ণিমার রাতে সবাই মিলে হাড়ের বাঁশি বাঁশ-চামড়ার হারমোনিয়াম তালখোলের তবলা বাঁশ-হাড়ের তানপুরা পাখোয়াজ হাড়ের গিটার সেতার চামড়ার ড্রাম সরোদ মাইয়ের চামড়ার একতারা বাঁশের সানাই চামড়ার খোল দিলরুবা এস্রাজ তালগুঁড়ির মৃদঙ্গ ঢাক ঢোলক নাগড়া খরতাল মঞ্জীরা বাজিয়ে সুর করে কাঁদা যাকে বলে কেঁদে শোকমাতন হওয়া আর জ্বর হলে কপালে জলপটি দেবার জন্য দুখু-কান্নার সেই নোনতা জল হাড়ের বোতলে ভরে রাখা ওপারের মানুষদের পপ-কালচার হল অমাবস্যার রাতে মরা আত্মীয়দের দুঃখে সবাই মিলে বঁশি হারমোনিয়াম তবলা তানপুরা পাখোয়াজ গিটার সেতার ড্রাম সরোদ একতারা সানাই খোল দিলরুবা এস্রাজ মৃদঙ্গ ঢাক ঢোলক নাগাড়া খরতাল মঞ্জীরা বাজিয়ে সুর করে কাঁদা যাকে বলে কেঁদে শোকমাতন হওয়া আর জ্বর হলে কপালে জলপটি দেবার জন্য দুখু-কান্নার সেই নোনতা জল হাড়ের বোতলে ভরে রাখা এক পক্ষের পপ কালচার নাচনকোদনে আরেক পক্ষ বিরক্ত হয় ভ্যাঙায় অপসংস্কৃতির বদনাম দিয়ে খেপায় সেপার আর ওপার দুই পারেরই নিজেদের চরচামচা আছে কামড়সমিতি আছে ঝাড়ঝাঁকুনি আছে জোকারচিত্ততা আছে মিথ্যেখোর সমবায় আছে তোলাবাজ সহমর্মীতা আছে তারা উঁকির অঙ্ক কষে ওই পারের ফি-বাড়ির ঘাঁতঘোতের খবর কালোকেলটে কুচকুচে চামড়ার সেরেস্তা খাতায় বাঁশপেনসিলে নথি করে রাখে সেই নথি অনুযায়ী কথাকাটাকাটি হয় সভাসন্মেলন হয় আলোচনা হয় সালিশি জমায়েতে ফয়সালা করা হয় কোন বাড়িতে শাঁষদার মাল আছে মাল মানে ইল্লিতে গিল্লি করার যুবতী নয় মাল মানে যে পুং বা স্ত্রীং-এর শরীরে মাংসের পরিমাণ বেশি তবে মধ্যবয়সী মহিলাদের মাই ঢাউস হয় মাইয়ের টোঁটি শক্ত আর মাপে বড়ো হয় বলে তাদের চাহিদা দুই পারেই বেশি ওগুলো কেটে নিয়ে নতুন নতুন রেসিপি বানানো হয় কারোর মাইতে যদি ধরা পড়ার পর দুধ পাওয়া যায় তো পক্ষের মাই-বিশেষজ্ঞ ফিট্টমফিট পাহারাদারেরা সেই দুধ টিপে বের করা রেখে দেয় সেপারের একনায়ক মোড়লচিফ বা ওপারের একনায়ক মোড়লচিফ ঝিনুকে করে খাবেন বলে যার মাইতে দুধ পাওয়া যায় তার কোলে শুয়েই ঝিনুকে করে দুধ খাবার রেওয়াজ ব্যাপারটা পৌরাণিকাধুনিক যুগ থেকে চলে আসছে তো সেই যখন সমুদ্র থেকে পাওয়া ঝিনুকে বাচ্চারা এখন-অবলুপ্ত বাঘের সিংহের বাইসনের শেয়ালের ভাল্লুকের চিতার জাগুয়ারের দুধ খেতো যবে থেকে দেশটা জলহীন হয়ে গেল সব জানোয়ার পাখিপাখালি উবে গেল শুধু মানুষের চরিত্রের সঙ্গে মেলে এরকম দুটো জীব মশা আর মাছি অফুরন্ত উড়ালে টিকে আছে তেমনই টিকে আছে মানুষের চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে দুটো গাছ বাঁশ আর তাল এখন উত্তরঐতিহাসিক যুগে ধরে-আনা মানুষকে মানবতাবাদী পিঁজরেপোলে বন্ধ করে রাখে তারপর খাবার সময়ে একজনকে বের করে জিইয়ে রেখে টুকরো-টুকরো কেটে কেটে খেতে চায় তখন তাকে সটানঢ্যাঙা তালগাছে বেঁধে রাখা হয় সবাই নিজের ইচ্ছেমতন ধরাপড়া শরীরের পোঁদের মাইয়ের গালের থুতনির উরুর পায়ের-গোছের গোড়ালির নাকের কানের আঙুলের চোখের অংশ কেটে কাঠের আগুনে পুড়িয়ে খায় অলিভতেলে ভেজে খায় বা বিশেষ পদ রেঁধে খায় কাটার সময়ে রক্ত বেরোলে তা চামড়ার টবে জমিয়ে রেখে পাকাতালের মালায় করে খায় নয়তো হাওয়ায় উড়ে-আসা নদী খুঁড়ে পাওয়া কাঁচকড়ার বোতলে ভরে রেখে দ্যায় পরে শুকনো মাংসের সঙ্গে খাবে বলে যন্ত্রণা উপভোগ করতে না পারলে কারোর ভালো ঘুম হয় না আর পাঠক বা পাঠিকা আপনারা তো ভালো করে জানেন যে ব্যক্তিগত বা নিজস্ব বলে কিছু টিকে নেই মাংস শুকোবার উৎসব হয় সেপার ওপার দুই পারেই রোদে তালপাতা পেতে তার ওপর মাংসের টুকরো রেখে শুকোনো হয় কিংবা বাঁশগাছের ডালে ঝুলিয়ে পাথুরে-নুন মাখিয়ে যাতে আকালে কাজে লাগে আকাল মানে যখন মানবতাবাদী পিঁজরেপোল ফাঁকা একে অন্য পক্ষের কোনো মানুষকে হপ্তাখানেক ধরতে পারেনি আকালের দরুণ সেপার ওপার দুই পারের মানুষ বড়ো একটা বেরোয় না তখন শুকনো মাংস পুড়িয়ে রক্তের আচার টাকনা দিয়ে জমানো হিসির মদ দিয়ে খাওয়া হয় পৌরাণিকাধুনিক যুগে জন্তু-জানোয়ার খাবার চল ছিল গোরু ছাগল মোষ ভেড়া কুমির হাতি উট বাঁদর হনুমান চার পায়ের সবই খাওয়া হতো কিন্তু দুই পারের একনায়ক মোড়লচিফ একই সঙ্গে একই রাতে স্বপ্নাদেশ পেলো যে চারপেয়েদের খাওয়া অনুচিত তাতে নৈতিকতার ব্যামোয় ভুগে মানুষ কেরমে-কেরমে হাপিস হয়ে যাবার সম্ভাবনা আর তাছাড়া মানুষ যখন-তখন উঠলো বাই তো চাপতে চাই কায়দায় চুরাশি-আসন করতে পারে বিইয়ে-বিইয়ে নিজেদের বাকতাড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে পারে জন্তুজানোয়ার তা পারে না কেননা তারা বাৎসায়ন পড়েনি রকে বসে সিটি বাজায়নি ভিড়ে পোঁদে গিল্লি ঠেকিয়ে দাঁড়ায়নি হাত গলিয়ে মাই টেপেনি তারা তাপে আসলে বছরে দিনকয়েকের জন্যে ইল্লিতে গিল্লি করে ফলে সংখ্যায় বাড়তে পারে না তা সত্ত্বেও জলের অভাবে তারা নিশ্চিহ্ণ হয়ে গেল এদিকে গাঁড়হাভাতে মানুষ তো পিলপিলিয়ে সড়সড়িয়ে বেড়ে চলেছে তাই মানুষের মাংস খাওয়া উন্নত সভ্যতার লক্ষণ কিন্তু নিজের পক্ষের কেউ মারা গেলে তার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ বলে নিজের পক্ষের মানুষদের পোড়ানো হয় না পৌরাণিকাধুনিক যুগে অন্ত্যেষ্টিকালে পোড়ানো হতো বটে কিন্তু পোড়া-মাংসের গন্ধ পেয়ে কেউ-কেউ নিজেকে সামলাতে পারতো না পুড়তে থাকা বাবা বা মা বা বোন বা ভাইয়ের মাংস লোভে পড়ে চিতা থেকে তুলে কচর-মচর হাপুস-হুপুস খেয়ে নিতো মারা গেলে মাটিতে পোঁতাও হয় না কেননা পৌরাণিকাধুনিক যুগে যখন পোঁতা হতো তখন দেখা যেতো যে সমব্যথী মানুষজন নিজের বাবা বা মা বা বোন বা ভাইয়ের গলে যাওয়া মাংস মাটি খুঁড়ে গোধূলিবেলার রঙিন আকাশের তলায় বসে বসে আয়েসে চাকুসচুকুসিয়ে খাচ্ছে গিল্লিআইসক্রিম চুষছে নিজের পক্ষের কেউ মারা গেলে এখন তার শরীর ক্রুশবাঁশে হাড়ের গজাল দিয়ে গেঁথে হাওয়ার দেয়াল থেকে বেশ দূরে যে বাঁশবনের ক্যাম্পাস আছে তার মাঝখানের ফাঁকা চত্ত্বরে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দেয়া হয় চারিদিকে বাঁশবন বলে ঝোড়ো হাওয়ায় ক্রুশবাঁশ উপড়িত হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে দুই পক্ষেই গাছ বলতে শুধু মুলি আর তল্লা জাতের বাঁশঝাড় আর তালগাছ কেননা নদী তো সেই কবেই পালিয়েছে মাটির তলার জল কোথায় যে লুকিয়ে পড়েছে কেউ জানে না একশো-দুশো প্রজন্ম থেকে দুই পক্ষের লোকেরা জানে না জল কাকে বলে তাই হিসি দেখিয়ে বাচ্চাদের পাঠশালায় বোঝানো হয় জল কেমন দেখতে ছিল নদী নেই বলে গতি করার জন্যে দুটো বাঁশকে ক্রস চিহ্ণের মতন বেঁধে তাতে হাতে পায়ে হাড়ের গজাল ঠুকে শবকে বাঁশবনের ক্যাম্পাসে টঙে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয় সে মড়াকান্তি মানুষ আপনা থেকেই রোদে শিশিরে অন্ধকারে শুকিয়ে দেখতে দেখতে মিচকিহাসি-করোটি আর হাতপাবাঁধা কংকাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তারপর তার মাথার বগলের কুঁচকির চুল খসে গিয়ে ওড়ে করোটি আর হাড়গুলো একএক করে ঝরে পড়ে তারা মিচকিহাসি বজায় রাখে যাতে প্রমাণ হয় যে জীবন কতো আনন্দময় ছিল মানবজন্ম সার্থক যে পক্ষের মড়া বা মড়ানি সেই পক্ষের বাচ্চারা ছুটির সময়ে মড়াকান্তিদের এই সংগ্রহশালা দেখতে যায় বড়োরা তাদের বুঝিয়ে দেয় কোন ক্রুশবাঁসে কোন একনায়ক মোড়লচিফ আধঝোলা কার আত্মীয় লটকানো বা কোন কঙ্কাল কার বাড়ির বা ঝড়ে ঘাসে ঝরে পড়া করোটি কোন মোড়লচিফের কোন ঝক্কিমন্ত রাত-ফোসলানো আধ-বউয়ের যখন ক্রুশবাঁশ থেকে হাড় পড়ে-পড়ে ঢিবি হয়ে যায় তখন সেই হাড়গুলো আর ধরে-আনা পুরুষদের হাড়গুলো পিষে-গলিয়ে খাঁটি নরোয়া ঘি তৈরি করা হয় ধরে-আনা মহিলাদের হাড় পিষে-গলিয়ে তৈরি হয় নারীয়া ঘি সেই খাঁটি নরোয়া-নারীয়া ঘিয়ে ভাজা মাংসের ফ্রাই খেতে সবাই ভালোবাসে ধরে-আনাদের পেটের টাটকা-তাজা নাড়িভুঁড়ির ছোটোঅন্ত্র দিয়ে টাটকাটাটকি চাউমিন হয় বড়ো অন্ত্র দিয়ে হয় পাস্তা বুড়োবুড়িরা গল্প করে পৌরাণিকাধুনিক যুগে শীতকালে যখন ফরফরিয়ে তুষার পড়ত তখন সেপার ওপার দুই পারেই মানুষকে ভবিষ্যতের জন্যে বরফের অনেক নিচে চাপা দিয়ে রাখা হতো যাতে ফাঁদ পেতে টোপ ফেলে ধরা না গেলে বরফে সংরক্ষণ করা মানুষ খাওয়া যায় বরফেতে জ্যান্তই পোঁতা হতো যাতে স্বাদ নষ্ট না হয় অনেক নিচে এই জন্যে পোঁতা হতো যে পোঁতার পরও দেখা যেতো মাটির তলা থেকে মানুষ পালিয়েছে তবে বেশি নিচে পোঁতা যেতো না কেননা মানুষের এমন আদরের শরীর যে মাটির তলায় গলে গিয়ে শুধু তার হাড়টুকুই পাওয়া যেতো অমন দুর্ঘটনা হয়েছে দু’পক্ষেই তখন হয় হাড় পুড়িয়ে জলে গুলে বাচ্চাদের স্বাস্হ্য ভালো করার জন্য খাওয়ানো হতো নয়তো হাড়ে লেগে থাকা সামান্য মাংস হিমক্রিমের মতন চেটে খেতো দুঃখের যে পৌরাণিকাধুনিক যুগের চব্বিশ ক্যারাটের সোনার দেশ হয়ে গেছে প্লাস্টিক-সোনার গাড্ডা এখন জ্যান্ত যুবক আর জ্যান্ত যুবতী ধরে আনার আরেক ফ্যাসাদ হলো যুবকেরা যুবতীকে খাবার আগে অনেকবার ইল্লিতে গিল্লি করে নিতে চায় যুবতীরাও ধরে-আনা যুবককে তালগাছের খরখরে গুঁড়িতে উলঙ্গ বেঁধে তাকে জড়িয়ে থাকে আর সে মরার আগেও মানবোচিত অভ্যাসবশত অত্যাচারের সন্মোহনে নব্বুই ডিগ্রি উত্তেজিত হয়ে উঠলে তার সঙ্গে এক বা দুই বা তিন সাধ আর সাধ্যমতো যুবতীরা ইল্লিতে গিল্লি করে দুই অঞ্চলের বহু তালগাছ তাদের ধাক্কুমধুক্কিতে হেলে পড়েছে এতে একটা সুবিধে হল যে বারবার ইল্লিতে গিল্লি করার ফলে যুবতী আপনা থেকেই টেঁসে যায় তার রক্ত অপচয় হয় না পুরুষরা সবাই মরে না তবে যুবতীরা তাকে কামড়ে আঁচড়ে চাবুকে পিটিয়ে অনেক সময়ে মেরে ফ্যালে চাবুক পেটাবার সময়ে লক্ষ্য রাখতে হয় যে চামড়া যাতে ব্যবহারযোগ্য থাকে যুবতীরা কখনওবা নিজেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যুবকের লিঙ্গ কেটে নিজের কাছে রেখে নেয় আর রোদে শুকিয়ে তার ভাঁড়ারের লইট্যা-শুঁটকিলিঙ্গের সংখ্যা অন্যদের থেকে বেশি হবার গর্বে ভোগে যুবকরাও তেমনিই ইল্লিতে গিল্লির পর যুবতী মারা গেলে তার মাইয়ের টোঁটি কেটে নিয়ে নিজের বাড়িতে মাইয়ের টোঁটির স্টক বাড়ায় রোদে শুকিয়ে শুঁটকিমাইয়ের টোঁটি দেয়ালে মটরমালার মতন টাঙিয়ে রাখে আর তার তলায় নামস্বাক্ষর করে রাখে যাতে পরিবারের লোকেরা বুঝতে পারে কোন প্রজন্মের পুরুষ এই বীরত্বের কাজ করেছিল একনায়ক মোড়লচিফ যদি শুঁটকি মাই খেতে চায় বা সেই মোড়লচিফের ফোসলান্তি আধ-বউ যদি লইট্যা-শুঁটকিলিঙ্গ খেতে চায় তাহলে পোড়ানো লিঙ্গ বা মাইকে কচি তালের ভেতরে পুরে মোড়ক উন্মোচন উৎসব হয় তাতে এলাকার সবাই হাততালি দেবার জন্য জড়ো হয় আর একনায়ক মোড়লচিফ গলায় তালপাতার মাদুরের চাদর নিয়ে তালগাছের গুঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেন উত্তরঐতিহাসিক যুগের মানবসভ্যতায় নিজস্ব পক্ষের অবদানের জন্য উপস্হিত সবাইকে ধন্যবাদ দেন ভবিষ্যতে আরও অমন উৎসবের ডাক পাড়েন মানবতাবাদী পিঁজরেপোলের সংখ্যা বাড়াবার আশ্বাস দেন উপস্হিত গুদাকৃষ্ট ও ল্যাওড়াপ্রিয় পুং আর স্ত্রীং লোকেরা মানুষ জিন্দাবাদ মানুষ জিন্দাবাদ মানুষ যুগ যুগ খাও মানুষ যুগ যুগ চাটো স্লোগান মারতে থাকে র্যালি র্যালা করে কচি তল্লাবাঁশের বা মানুষের শিরদাঁড়ার বেত দিয়ে বোনা গামলায় বসিয়ে নিয়ে যায় মোড়লচিফকে কোনো একনায়কবাজ মোড়লচিফ মারা গেলে তাকে দেখন-শ্রদ্ধার সঙ্গে নাকে তাড়ি ঢেলে সারা গায়ে গ্যাঁজানো তাড়ির অমরত্বের মলম মাখিয়ে একটা অন্ধকার ঘরে রেখে দেয়া হয় সেখানে সার বেঁধে বিখ্যাত একনায়ক মোড়লচিফরা চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে আর চিন্তায়-চিন্তায় শুকিয়ে যেতে থাকে তারপর একশো বছর কি দেড়শো বছরে ছোয়ারার মাপের হয়ে গেলে সেটা নতুন একনায়ক মোড়লচিফ সেই ছোয়ারা চিবিয়ে চিবিয়ে বা চুষে চুষে যার যেমন অভিরুচি খেয়ে নেয় একনায়ক হবার জন্যে যে মোড়লচিফের চিফত্বকালে সবচেয়ে বেশি মানুষ ধরে মানবতাবাদী পিঁজরেপোলে রাখা হয়েছে আর তারিয়ে তারিয়ে খাওয়া হয়েছে তাকেই অমন শিরোপা দেয়া হয় নতুন মোড়লচিফ হবার জন্যে ধরা-মানুষের চামড়া ছাড়ানোর প্রতিযোগীতা হয় যে সবচেয়ে ভালোভাবে চামড়া ছাড়াতে পারে সে-ই নতুন মোড়লচিফ হয় প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দীকে মানবতাবাদী পিঁজরেপোল থেকে হিঁচড়ে বের করে আনা একজন মানুষ বা মানুষীর একটা অঙ্গর চামড়া ছাড়াতে বলা হয় হাত বা পা বা উরু বা গাল বা বুক বা পিঠ এমন ভাবে ছাড়াতে হবে যে চামড়ায় এক রত্তি মাংস বা চর্বি লেগে থাকবে না যুবতীদের বুকের চামড়া এমনভাবে ছাড়াতে হবে যাতে শুকিয়ে বুকবাঁধুনি তৈরি করা যায় মোড়লচিফের অভিষেকে সেই পারের লোকেরা সেই পারে আর ওই পারের লোকেরা ওই পারে জমায়েত হয়ে জাগাঘুমে যুগ যুগ মাংস খাও খাওয়াও ধ্বনি দ্যায় চামড়া শুধু পোশাকের জন্যই নয় আরও বহু শিল্পের কাজে লাগে গ্রীষ্মকালে বাড়ির ছাদে রোদ্দুরের বর্শাফলক যাতে ঘরে না বেঁধে তাই ছাদের ওপরে মানুষের চর্বি দিয়ে সাঁটা হয় ধরে-আনা মানুষের গলার বেল্ট তৈরি করতে তাকে হামাগুড়ি দিতে বলার সময়ে তার হাঁটুর আর হাতের চামড়া যাতে নষ্ট না হয় তাই তার হাতের দস্তানা আর হাঁটুর নিক্যাপ তৈরি করতে হয় ছোটো মাপের থেকে এক্সট্রা লার্জ মাপের ভুলে নিজেরাই নিজেদের দলের কাউকে যাতে না খেয়ে ফ্যালে তাই দু’পক্ষই কপালে রঙ মেখে থাকে সেই পক্ষের কপালে তালপাতা পোড়ানো কালো আর ওই পাড়ের কপালে শুকিয়ে যাওয়া নদীর মাটি রক্ত দিয়ে মেখে রাঙানো রঙে এর ফলে একদিক থেকে যেমন ভুলবোঝাবুঝির ফলে নিজেদের পক্ষের লোকজন থেকে বাঁচা যায় তেমনই কপালের রঙ দেখে অপর পক্ষের লোকেরা সহজে চিহ্ণিত করে ফেলতে পারে অথচ দুই পক্ষই মনে করে যে এছাড়া অন্য উপায় নেই বাৎসায়নের উপদেশ ছাড়াই এতো গিজগিজে মানবসম্প্রদায় হয়ে গেছে যে কে কেমন করে বুঝবে কে কোন পক্ষের তবে অপর পক্ষের মানুষকে ধরতে যাবার সময়ে নিজেদের কপাল থেকে রঙ মুছে ফ্যালে যাতে অপর পক্ষের লোকেরা বুঝতে না পারে এমনকি ফাঁদে ফেলার জন্য অপর পক্ষের রঙ কপালে মাখিয়ে টোপ ফ্যালে তারা ভাবে বুঝি তাদের পক্ষের কিন্তু ফাঁদে পড়ে যখন বুঝতে পারে যে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনার হতে চলল তখন আর কোনো উপায় নেই সেই পক্ষ ওই পক্ষ দুই পক্ষে কেউ-কেউ জ্ঞানী-বিজ্ঞানী-দার্শনিক-শিল্পী হতে চায় তারা ধরে-আনা লোকেদের হিসি বোতলে সংগ্রহ করে রাখে আর ভাবনাচিন্তা করার সময়ে টেবিলঘরে বসে হাড়ের বা বাঁশের কাপে করে চুমুক দিয়ে খায় যাতে পর্যাপ্ত হিসি পাওয়া যায় মূর্খতাকে তারিয়ে চাগানোর জন্য লিঙ্গ শুকিয়ে চুরুট বানিয়ে টেবিলঘরে চিন্তাধোঁয়া ফোঁকে ধরে-আনা মানুষদের প্রচুর তাড়ি খাওয়ানো হয় গাছে বাঁধা জ্যান্ত পুরুষের লিঙ্গতে হাড়ের বা বাঁশের বা চামড়ার বোতল টাঙিয়ে রাখা হয় সেটা ভরে গেলে মোড়লচিফের আধ-বউ বা পৌনে-বউ নিয়ে যায় কেননা আইন অনুযায়ী পুরুষদের হিসির ওপর কেবল মহিলাদের অধিকার একইভাবে কিশোরী-তরুণী-যুবতী-প্রৌঢ়া ধরে আনলে তাকে গাছে বেঁধে বাঁশের সরু পাইপ গুঁজে রাখা হয় আর পাইপের তলায় চামড়ার বড়ো বয়াম রেখে দেয়া হয় প্রথম বয়াম একনায়ক মোড়লচিফের প্রাপ্য আইন অনুযায়ী পাইপ গোঁজার সময়ে নাড়ানাড়ি করা নিষিদ্ধ কেননা নাড়ানাড়ি করলে অরগ্যাজম হয়ে যেতে পারে আর আঠালো অরগ্যাজমের হিসির স্বাদ মোড়লচিফদের পান করা অবৈধ অনৈতিক সংস্কৃতিবিরোধী দলবিরোধী তা একনায়ক হবার পথে কাঁটা অনেকসময়ে দেখা গেছে যে অরগ্যাজমের অন্ত্যমিল ছন্দের দরুণ বাঁশের সরু পাইপ বাঁশির মতন পৌরাণিকাধুনিক যুগের জনপ্রিয় গান আমি তোমারিই আমি তোমারই আমি তোমারই সুরে বেজে ওঠে পুরুষদের ক্ষেত্রে অবশ্য কোনো-কোনো ঝক্কিমন্ত যুবতী দুধ দুইবার মতন করে সজাগ লিঙ্গের ধাতুরস চ্যামচ্যামিয়ে দুয়ে চামড়ার বাটি করে পৌরাণিকাধুনিক যুগের নেশা হাড়িয়ার মতন চেটে-পুটে খায় যাতে যৌবন ধরে রাখা যায় আর ত্বক চকচক করে একনায়ক মোড়লচিফ ইচ্ছে করলে ধরে-আনা যুবককে খেয়ে ফেলার আগে তর-সইছেনা-এমন কোনো লিঙ্গাকাঙ্খিনী যুবতীকে সোপর্দ করতে পারে কোনো মানে ওয়েটিং লিস্ট অনুযায়ী একনায়ক মোড়লচিফ উপহার দেন যে যুবতী উপহার পায় সে যুবককে গলায় হাড়ের হাড়ুহাজ-করা চামড়ার ফেট্টিতে বেঁধে হাত দুটো চামড়ার রশি বেঁধে দু পায়ে চামড়ার শেকল বেঁধে সঙ্গে নিয়ে ঘোরে ইচ্ছে হলে কোনো গাছে তাকে বেঁধে চুমুকখানেক তাড়ি চাটিয়ে চামড়ার চাবুক দিয়ে চাবকায় যাতে পিঠে বুকে দাগ না পড়ে তার বন্ধুরা নিজেদের ঠোঁটে পাথুরেনুন মেখে হিহি হিহি হোহো হাহা খিকখিক খ্যাকখ্যাক হাসতে হাসতে চাবুকের সদ্যরক্তিমের ওপর ঠোঁট বোলায় সঙ্গে অবশ্য ফিট্টমফিট পাহারাদার থাকে যাতে না যুবক পালিয়ে যায় কিংবা যুবতী না তার ধাক্কুমধুক্কির প্রেমে পড়ে হাতবাঁধা অবস্হায় হাতে দস্তানা হাঁটুতে নিক্যাপ পরিয়ে যুবককে পৌরাণিকাধুনিক যুগের জানোয়ারের মতন চার হাতেপায়ে হামাগুড়ি দিয়ে যুবতীর পেছন-পেছন যেতে হয় লিঙ্গে ঝোলানো হিসির বোতল নিয়ে ধরে-আনা যুবকের পোঁদে সুড়সুড়ি দেবার জন্য যুবতী বাঁশপাতা দিয়ে মাঝেমাঝে তার পেছনে বোলায় কোনো যুবক যদি কোনো ধরে আনা যুবতীকে খাবার আগে পছন্দ করে তাহলে একনায়ক মোড়লচিফের ওয়েটিং লিস্ট অনুযায়ী নব্বুই ডিগ্রি গুদোন্মাদ যুবককে সোপর্দ করে পাঠক বা পাঠিকা আপনারা তো জানেনই যে দুর্ভাগা যুবতীরা অপরূপ সুন্দরী হয় আর শরীরে যন্ত্রণা এক লপ্তেই দিতে নেই একটু-একটু করে বেশ কয়েকদিন ধরে তারিয়ে তারিয়ে দিতে হয় পৌরাণিকাধুনিক যুগে অমন যন্ত্রণা দেবার জন্য ইঁদুরদের খেতে না দিয়ে যুবকদের পোঁদে বা যুবতীদের যোনিতে পুরে দেয়া হতো উত্তরঐতিহাসিক যুগে সে যুবতীর গলায় হাতে পায়ে হাড়ের হাড়ুহাজ-করা চামড়ার বেল্ট বেঁধে হাতে দস্তানা হাঁটুতে নিক্যাপ পরিয়ে নিজের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় ইচ্ছে করলে বাঁধা অবস্হাতেই যতোবার চায় ইল্লিতে গিল্লি করে সে যুবক যদি গুদোন্মাদ না হয়ে পোঙোন্মাদ হয় তাহলে সে ভিন্নছিদ্রান্বেষণে গিল্লির খেলা খেলতে থাকে তার কারণ উত্তরঐতিহাসিক যুগে যুবকেরা সৌন্দর্যকে চায় যাতে তাকে কলুষিত করা যায় যাতে তার অস্তিত্বের সীমা লঙ্ঘন করা যায় যাতে তার দেহাভিমানকে অবজ্ঞা করা যায় যুবকেরাও জানে তাদের সীমা আছে সেই সীমায় তারা বাঁধা যদি তাদের মনে হয় যে সেই সীমা ভেঙে পড়তে চলেছে তাহলে তারা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে কোনো কোনো যুবক অমন সন্ত্রাসের নেশায় ভয় কাটিয়ে সীমা ভেঙে যুবতীর দেহে চাবুকের দাগ রাখতে চাইলে একনায়ক মোড়লচিফের নিষেধে তা করতে পারে না চামড়া নষ্ট হয়ে যাবার আশঙ্কায় মোড়লচিফের দর্শন অনুযায়ী যুবতীদের হৃদয়ে প্রবেশের পথ হল তাদের যোনি যুবকদের হৃদয়ে প্রবেশের পথ হল তাদের পোঙাপথ মোড়লচিফের মুখ ফসকে বলা কথাই আইন তাই মোড়লচিফ কোনো দুর্ধর্ষ জাঁদরেল মহিলা হলে তাকে সব সময় মাংসের নানা পদ খাওয়ানো হয় যেমন মাইয়ের চিংড়ি-কাটলেট উরুর ফিশ ফ্রাই পাছার মালাইকারি যাতে মুখ ফসকে কোনো আইন না বেরিয়ে পড়ে কেননা বচন হচ্ছে বাস্তব সত্তার চিত্র বা ছবি আর দার্শনিক সমস্যা ভাষাগত সমস্যার নামান্তর যদি ধরে-আনা যুবতীর মাই ঝোলা অবস্হায় দোল খেতে থাকে তাহলে লাকিবয় যুবক তাতে চামড়ার বুকবাঁধুনি বেঁধে রাখে যাতে দোল খেয়ে-খেয়ে তাকে দুধ খেতে উৎসাহিত না করে ফিট্টমফিট পাহারাদাররা হিসির বোতল সঙ্গে রাখে হিসি হতে দেখলেই বোতলে ভরে নেয় যুবকের তেষ্টা পেলে তাড়ির অভাবে হিসি খেয়ে নেশা করে বেশি শীত পড়লে ধরে-আনা যুবতীকে হামাগুড়ি দেওয়ানোয় পাবলিক আনন্দ পায় যুবতী হিহি কাঁপতে থাকে মাইয়ের জমাটবাঁধা টোঁটি থিরথির করে আর সবাই তার কাঁপুনি বাড়াবার জন্যে তার গায়ে কোনো যুবকের জমা করে রাখা ঠাণ্ডা হিসি ঢেলে দ্যায় ধরে-আনা যুবতীর বা কিশোরীর বা তরুণীর বা প্রৌঢ়ার নাম যাই হোক তাকে সবাই উত্তরঐতিহাসিক পোস্টস্ট্রাকচারাল নান্দনিকতার খাতিরে সুন্দরী বলে ডাকে যদিও তার নামের কোনো দরকার নেই তবুও তাকে সেই পার ওই পার যে পারেই ধরা পড়ুক পৌরাণিকাধুনিক যুগে তার স্বনাম ধরে ডাকা হোতো বটে কিন্তু উত্তরঐতিহাসিক যুগ থেকে তাদের সুন্দরী বলে ডাকাই রেওয়াজ যাতে মাংসের আত্মপরিচয় সুন্দর হয় একই ভাবে কিশোর তরুণ যুবক প্রৌঢ় ধরে আনলে তাকে ফরম্যালিস্ট ভাবাদর্শের খাতিরে সুন্দর বলে ডাকা হয় যদিও তার নামের কোনো দরকার নেই তবুও নিজেদের মধ্যে কথা বলার সময় হয়তো বলতে হলে সুন্দরকে কখন পুড়িয়ে খাবো আমার যে খিদে পেয়ে গেছে কখন থেকে না খেয়ে আছি শুঁটকি মানুষ রোজ-রোজ খেতে ভাল্লাগেনা এবার সুন্দরের চামড়া ছাড়িয়ে তাড়াতাড়ি পোড়াবার ব্যবস্হা করো দিকিনি কথার গয়না পরিয়ে তাদের সুন্দর-সুন্দরীত্ব বজায় রাখা হয় যুবতীদের সঙ্গে শীতে যেমন আপ্যায়ন করা হয় তেমনই খুব শীতে যুবকরা যখন হামাগুড়ি দেয় তখন তাদের ঠাণ্ডা বাড়িয়ে দেবার জন্য সকালের তাড়ি বা বাঁশে জমে থাকা শিশির তার গায়ে ঢালে মেয়েদের হিসি ঢালে না কেননা তা দুর্লভ আর খেলে পরে নেশার খোঁয়ারি তিনচার দিন বজায় থাকে যা পৌরাণিকাধুনিক যুগের বাংলামদ খেলে হতো বসন্তকালে ধরাপড়া যুবতীর চুল বেঁধে খোঁপায় তালফুল বা বাঁশফুলের মালা পরিয়ে কোমরে পুংহাড়ের মালা পরিয়ে হামাগুড়ি দেওয়ানো হয় কোনো কোনো গুদাসক্ত যুবক এসব না করে যুবতীকে তাড়ির টবে ভিজিয়ে রাখে আর পুড়িয়ে খাবার আগে ইল্লিতে গিল্লি করে পোড়ালে মাংস থেকে তাড়ির মাদক-সুন্দর গন্ধ বেরোয় যা হাওয়ার দেয়ালে ধাক্কা মেরে তল্লাবাঁশের ভুলভুলাইয়া পেরিয়ে অন্য পারের মানুষদের জানিয়ে দ্যায় যে কয়েকদিন তাড়িতে চুবিয়ে রেখে পোড়ানো হয়েছে সমস্যা হয় মুণ্ডু খাবার সময়ে যদি নতুন পথজামাইরা রক্তে কব্জি ডুবিয়ে মুড়ো খেতে না চায় তাহলে তাদের বলা হয় মুণ্ডু নিয়ে ফুটবল খেলতে যে যতো বেশি গোল দিতে পারে সে মুণ্ডুটা নিয়ে গিয়ে নিজের বাড়ির বিপ্লবী ঝাণ্ডার ওপরে লাগানো হাড়ের বর্শায় গিঁথে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে রাখে যাতে অপর পক্ষের নিবাসীরা দূর থেকে দেখতে পায় তাদের একজনের কেমনতর হাল হয়েছে দুই পক্ষেরই উদ্দেশ্য হল মানুষের পৌরাণিকাধুনিক যুগে ফিরে যাওয়া কিন্তু নানা বাধা বিপত্তির কারণে উত্তরঐতিহাসিক যুগ থেকে ফিরে যাওয়া অসম্ভব হয়ে গেছে তার মধ্যে প্রধান হল সময়কে কেমন করে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় নিজেরা না হয় পিছিয়ে গেল কিন্তু সময়কে নিজেদের সঙ্গে পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না তার কারণ দুই পক্ষের মাঝের হাওয়া যার কাঁধে চেপে সময় হাতছাড়া হয়ে চলেছে বদগন্ধ বেড়ে চলেছে হাওয়াকে থামিয়ে রাখার জন্যে দুপক্ষের সবায়ের বাড়িতে ঝাণ্ডা ওড়ানো হয়েছে কিন্তু দেখা গেছে যে হাওয়াকে থামাবার বদলে ঝাণ্ডাগুলো তাকে আরও তোল্লাই দিচ্ছে নয়তো কুয়াশাতেও ঝাণ্ডাগুলো অমন করে হাওয়ার সঙ্গে তাল দিয়ে ফরফর করছে কেন পৌরাণিকাধুনিক যুগে হাওয়ার দেয়ালের জায়গায় একটা নদী ছিল কিন্তু মানুষেরা জন্তুজানোয়ারের চামড়ার কারখানা রাসায়নিক কারখানা মানব-সম্প্রদায়ের অঢেল গু আর নানা কারখানার হাইড্রোক্লোরিক সোডিয়াম হাইড্রকসাইড সালফিউরিক নাইট্রিক অগজ্যালিক ফসফরিক ফ্লুয়োরাস সেলেরিক সিলিসিক কারবোনিক অ্যাসেটিক ব্রোমিক টাংস্টিক ফেরিসায়ানিক গ্লুটামিক ল্যাকটিক ফলিক বারবিটুরিক তুঁতেরঙা গাদ নদীতে ফেলে-ফেলে নদীর সারা গায়ে এমন ঘা করে দিয়েছিল যে নদী বেচারী প্রাণ বাঁচাতে এক কালবৈশাখির রাতে পাত্তাড়ি গুটিয়ে সমুদ্রে পালিয়েছে অথচ প্রকৃতির তাতে কোনো হেলডোল দেখা যায়নি ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থেকেছে সকালে যারা নদীর পাড়ে হাগতে গিয়েছিল তারা নদীটাকে দেখতে না পেয়ে ছোঁচাবার উদ্দেশে আশেপাশের শহর গ্রাম গঞ্জ সব জায়গায় খুঁজেছে কিন্তু কোথ্থাও পায়নি তাই দুই পক্ষের টাকলা বা পাকাচুল জ্ঞানী-বিজ্ঞানী-দার্শনিক-শিল্পীরা মানুষের চর্বির লন্ঠনের বা কুপির আলোয় টেবিলঘরে শনিবার সন্ধ্যায় বা বেস্পতিবার দুপুরে বসে-বসে অনেক হেগে-পেদেও কুলকিনারা পায়নি তারা সকলে সুরাহার জন্যে নিজেদের মধ্যে পাদের প্রতিযোগীতা করেছিল কিন্তু জ্ঞানী হলে যা হয় পাদতে গিয়ে হেগে ফেলেছে কিংবা বিজ্ঞানী হলে যা হয় পাদতে গিয়ে হিসি করে ফেলেছে কিংবা দার্শনিক হলে যা হয় পাদতে গিয়ে ঢেঁকুর তুলেছে কিংবা শিল্পী হলে যা হয় পাদতে গিয়ে কোঁৎ পেড়েও হাওয়া বা আওয়াজ কোনোটাই বের করতে পারেনি তারা বলেছে হাওয়ার দেয়াল আসলে পৌরাণিকাধুনিক যুগের পেছলা কালো মরা বেড়ালের সুখচিন্তা দিয়ে গড়া যাদের দেখা যায় না শুনে অনেকে চটে গেছে কেননা তারা কালো বেড়ালদের ভয় পাবার কাহিনি তাদের ঠাকুমা-দিদিমার কাছে শুনেছে কিন্তু প্রতিটি শিশুর ঠাকুমা-দিদিমা পরিবর্তনশীল যেহেতু উত্তরঐতিহাসিক যুগে বেজন্মা বলে কিছু হয় না কে কার বাচ্চা জানার উপায় নেই তাই রাতে হিসি পেলে একা কেমন করে অন্ধকারে মুততে যাবে এই ভয়ে আদ্দামড়া ছেলেরাও অনুমিত-বাবার ঘুম ভাঙিয়ে সঙ্গে নিয়ে যায় অনুমিত-বাবা বেচারা কি আর করবে সেও মুতে নেয় মুততে মুততে লিঙ্গ খসে ওখানেই পড়ে গেছে ভেবে ঘুমের ঘোরে আবার খুঁজতে যায় কিন্তু চৈত্রের ওসকানিতে লিঙ্গ চড়াং হলে টের পায় যে কোনো ক্ষতি হয়নি মুততে বসে মাথার ভেতরে কোনো একজন অনুমিত-বাবা শুনতে পেয়েছিল যে চাঁদের আলোয় হাওয়াকে বদগন্ধ মুক্ত করা যেতে পারে কিন্তু তাতে হাওয়া নিজেই হাওয়া হয়ে যেতে পারে তার মানে বুঝতে না পেরে মুততে বসা অনুমিত-বাবা কাউকে আর সেকথা বলেনি যদিও মুততে যাওয়া অনুমিত-বাবা সব যুবক যুবতীকে ফিসফিসিয়ে বলে দিয়েছে যে আনন্দ পেতে হলে যে-কোনো রকমে পেতেই হবে কারোর নিষেধ মানার দরকার নেই কেননা শরীরের চেয়ে বড়ো কিছু হয় না আর আনন্দ মানেই শরীরের আনন্দ শরীর যা চাইছে তা সে নিজের মগজকে বলতে থাকে মগজ ফিরতি শরীরকে বলে যে যাও যা চাইছ তাই করো কিন্তু এসব কথা মোড়লচিফকে না বলে জুইসঁ জুইসঁ জুইসঁ জুইসঁ বলতে বলতে দৌড়েছিল বলে দিনকতক তাকে টাটকা চামড়া ছাড়ানো যুবতীর মজ্জার হালুয়া খাওয়ানো হয়েছিল যাতে তার মাথা খারাপ না হয়ে যায় পাঠক বা পাঠিকা আপনি যদি জুইসঁ বলতে ঠিক কী বোঝায় এবং আনন্দ বলতে আপনি কী বোঝেন তা জানেন তাহলে দুই পক্ষের মোড়লচিফদের প্লিজ জানিয়ে আসবেন যাই হোক তারপর থেকে সে রাতে মুততে বেরোলে তার তাৎক্ষণিক-বউ মানুষের চর্বির লন্ঠন নিয়ে তার পেছন পেছন যায় তাই উপায় হিসেবে মোড়লচিফের বেতে-বোনা গামলার পুরোনো প্রৌঢ়ার চামড়ার চাদর পাল্টানো হয়েছে নতুন যুবকের পোঁদের চামড়ার টাটকা চাদর দিয়ে একনায়ক মোড়লচিফের বাবরি চুল বাড়ানো হয়েছে কেননা সে পোঁদ ছিল চুলে ভরা একনায়ক মোড়লচিফকে চামড়ার গামলায় বসিয়ে শুকিয়ে-যাওয়া কুয়োর চারিপাশে ঘোরানো হয়েছে তবুও সেপক্ষের লোকেরা সমস্যার সুরাহা করতে পারেনি ওপক্ষের লোকেরা মোড়লচিফকে ধরে-আনা চটকদার মেয়েদের চুলের কোঁকড়া পোশাক পরিয়েছে সেই চুলের বিছানায় আসল ঝক্কিমন্ত আধবউ আর নকল তাৎক্ষণিক-বউ দুজনের সঙ্গে শুইয়েছে হিসির পোখরাজি শরবত খাইয়েছে রক্তের টোকো আচার খাইয়েছে একনায়ক মোড়লচিফকে চামড়ার গামলায় বসিয়ে শুকনো কুয়োয় নামিয়েছে তবু কোনো উপায় খুঁজে বের করা যায়নি তবুও শুকনো কুয়োর অবসরপ্রাপ্ত এয়ারকাণ্ডিশনে সেই পারের মোড়লচিফ চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলেছিল যে হাওয়াতেই খুঁত আছে কারণ পৃথিবীতেই খুঁত আছে আর একথা বকবক করে বোঝানো যাবে না কেননা কথারা সবকিছু বলার জন্য যথেষ্ট নয় কথারা দিনকেদিন পচে যাচ্ছে কথা বলাবলিতেই খামতি রয়ে গেছে কথা ব্যাপারটা হলো টুলোপণ্ডিতের লাস্ট বেঞ্চার উপড়ে ফেলতে হবে সবরকমের জ্ঞানের ভাঁড়ার এতো জোরে জোরে চেঁচিয়েছিল সেই পারের মোড়লচিফ যে ওই পারের মোড়লচিফ তা শুনতে পেয়েছিল আর পেয়ে সেও চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলেছিল চুতিয়া শিশুর নঙ্কু কোথাকার বুঝতে পারা যায় না এমন হম্বিতম্বি করে হাওয়ার সুরাহা খুঁজছে শিশুর পাতলা পায়খানারও অধম বাঞ্চোৎ মোড়লচিফ হয়ে ব্যাটা ভাবছে হাওয়া কিনে নিয়েছে ওর দাদু তো মেয়ে মানুষের চামড়া ছাড়াবার পর হৃৎপিণ্ডের মেটেল-গোলাপি ধুকপুকুনি দেখে ঘামে কাহিল হয়ে যেতো কতো স্বাদু হয় ছাড়ানো মেয়েমানুষের জলজ্যান্ত হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকুনি কানের কাছে নিয়ে শুনলে সেই ধুকপুকুনির প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে আর ওর বাপ তো বাঁহাতে লিংমেহন করতো আর তার ফলে পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি বেঁকে গিয়েছিল বলে নিজেকে বেঁকাপন্হী বলে দাবি করতো জানি না নাকি আমি ওদের পক্ষের সবাই বাঁহাতে ম্যাস্টারবেট করে এমনকি মেয়েরাও ক্লিটোরিসের টুনটুনি বাঁহাতেই বাজায় নিজেদের বেঁকাপন্হী তকমা বজায় রাখার জন্যে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও সে টুনটুনির নিশিডাক শোনা যায় ঝিংকিচিকিং ঝিংকিচিকিং ঝিংকিচিকিং আমাদের সোজান্হীদের পক্ষে বাঁহাত ডানহাতের কোনো নির্দেশ নেই যে যেহাতে ইচ্ছে নিজেকে আনন্দের ওপারে টপকিয়ে নিয়ে যেতে পারে পাঠক বা পাঠিকা আপনারা যে হাতে করেন সেই হাতেই করবেন সরকার কোনো নির্দেশিকা এ-বিষয়ে এখনও জারি করেননি তবে শোনা গেছে যে আইনের খসড়া যাচাই করে দেখছেন লেজুড়পন্হী বুড়োহাবড়াগোষ্ঠী এই যে আমরা মানুষের মাংস খাই তা এই জন্যে তো যে আমরা আনন্দ টপকিয়ে পরমানন্দের আওতায় চলে যেতে পারি যাতে আত্মার উত্তরণ হয় যাতে নির্বাণপ্রাপ্তি হয় যাতে ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে একাত্ম হতে পারি যাতে যার মাংস খাচ্ছি সে আমার ভেতরে বেঁচে থাকে যাতে তাকে আমার ভেতরে বাঁচিয়ে আমি তাকে সারাজীবন ভালোবাসতে পারি যতোজনের মাংস তুমি সারাজীবনে খাবে তুমি ততোজনকে নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে পারবে মেয়েমানুষ পুরুষমানুষ দুরকমের মাংস খেয়ে তোমার মধ্যে তাদের অস্তিত্ব বজায় থাকবে কেননা মেয়েমানুষের মাংস হল রেড মিট তাতে আয়রন ক্রিয়েটিন দস্তা ফসফরাস ভিটামিন বি আর লিপোয়িক অ্যাসিড থাকে যা সবচেয়ে ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পুরুষের মাংস হল হোয়াইট মিট তার ক্যালরি ফ্যাট কোলেস্টেরল কম হলেও আছে অ্যামিনো অ্যাসিড থিয়ামিন রিবোফ্ল্যাভিন যা স্বাস্হ্যের পক্ষে খুবই উপকারী হলেও তুমি যদি শুধু পুরুষের মাংস খাও তাহলে তোমার ভেতরে দোষ দেখা দেবে তোমার ভেতর থেকে ভালোবাসা উবে যাবে তুমি কোনো মেয়েমানুষের গলায় হাড়ের হাড়ুহাজ-করা চামড়ার বেল্ট বেঁধে হাতে চামড়ার দস্তানা পরিয়ে হাঁটুতে চামড়ার নিক্যাপ পরিয়ে হামাগুড়ি দেওয়াতে পারবে না তাকে পেছন থেকে ইল্লিতে গিল্লি করতে পারবে না তুমি উচ্ছন্নে চলে যাবে তোমার অধঃপতন হবে তুমি যা চাইছ তা আয়ত্ব করতে পারবে না যাকে খাচ্ছ তাকে এই জন্যেই তো খাচ্ছ যে সে চাইছে তাকে খাওয়া হোক নয়তো সে ধরা পড়বে কেন তার অবচেতনে ধরা দেওয়ার ইচ্ছে কাজ করেছে বলেই তো সে ধরা দিয়েছে ইচ্ছে ব্যাপারটা যে খাচ্ছে তার নয় যাকে খাওয়া হচ্ছে তার যাকে খাওয়া হচ্ছে সে তার ধরা পড়ার মাধ্যমে নিজের ইচ্ছেকে নরমাংসখোরের দায়িত্বে সোপর্দ করে দিচ্ছে মহিলার চামড়া ছাড়াবার আগে যদি যুবকেরা তাকে ইল্লিতে গিল্লি করে তাহলে বুঝতে হবে ওই মহিলার দেহে ইল্লিত হবার ইচ্ছে কাজ করছিল যা সে যুবকদের গিল্লিবিকৃতিতে সোপর্দ করে দিয়েছিল পাঠক বা পাঠিকা আপনি কি মোড়লচিফের এই জীবনদর্শনকে মান্যতা দেন যদি না দেন তাহলে প্লিজ উত্তরঐতিহাসিক যুগের মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন একনায়ক মোড়লচিফ বলা বজায় রাখে যাকে খাওয়া হচ্ছে তার ভাষাকে খাওয়া হয় তার অহংকারকে খাওয়া হয় তার চেতনাকে খাওয়া হয় তার মুখ ফসকে বলা কথা খাওয়া হয় তার অপূর্ণ আকাঙ্খা খেয়ে নিজেদের মাধ্যমে তা পূরণ করা হয় যে মরে যাচ্ছে তার শেষ ট্রমাকে খাওয়া হয় তার স্বপ্নকে খাওয়া হয় তার সুখদুঃখকে খাওয়া হয় আর এটাই হল বাস্তব জগতের নান্দনিকতা তাকে যতো তাড়াতাড়ি স্বীকার করে নেয়া যায় ততোই আমাদের পক্ষের মঙ্গল কেননা বাস্তব ব্যাপারটা অশ্লীল এসব হুমকি দেয়া বক্তৃতা শুকনো কুয়োর অবসরপ্রাপ্ত এয়ারকাণ্ডিশনে বসে শুনছিল সেই পারের একনায়ক মোড়লচিফ তাই উত্তর দেবার জন্যে নিজের লোকেদের বলল শুকনো কুয়োর অবসরপ্রাপ্ত এয়ারকাণ্ডিশন থেকে টেনে তুলতে যাতে গাঁকগাঁকিয়ে জবর উত্তর দিতে পারে কিন্তু মোড়লচিফের সঙ্গে চামড়া ছাড়াবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে পালোয়ান যুবক দ্বিতীয় হয়েছিল সে বললে তোমাকে উত্তর দিতে হবে না কত্তা আমিই ওই ল্যাওড়াকান্তি গবেটের হুমকিবক্তিমের উত্তর দিচ্ছি হ্যাঁহ্যাঁপন্হী পাবলিক বললে হুম হুম তাই হোক তাই হোক মোড়লচিফ ও-ই দিক তোমার তো চুলেদাড়িতে পাক ধরেছে কোমরের ঠাপচাপ অবসর নিয়েছে ষাট ডিগ্রির চেয়ে বেশি বেঁকে গেছে সেই তুলনায় ও এখনও ভার্জিন ষাঁড়ের গোলাপি লিং ঝুলিয়ে ঘোরে আর গলাটাও ষাঁড়ের মতন হ্যাঁহ্যাঁপন্হীদের এরকম রায় শুনে মোড়লচিফ মুষড়ে পড়লেও রাজি হয়ে গেল কেননা শুকনো কুয়োর অবসরপ্রাপ্ত এয়ারকণ্ডিশনে অনেকক্ষণ ঝুলে থাকায় গলা বসে গেছে ফলে ষাঁড়যুবক আরম্ভ করলে হাঁকহাঁকিয়ে লিংনাচিয়ে যাতে ওই পারের একনায়ক মোড়লচিফ আর তার হিসিপোষ্য জনগণ শুনতে পায় ওরে গাণ্ডুগোবর্ধন অহং ব্যাপারটা তো কাল্পনিক জানিস না কি যে সচেতন জীবনে আমরা নিজের সম্পর্কে একটা হেতুপূর্ণ সমন্বয়ী সুসঙ্গত ব্যক্তিএককের ধারণা গড়ে তুলি আর তা না করলে কর্মকাণ্ড অসম্ভব হয়ে যাবে কিন্তু এসবকিছুই অহংয়ের কল্পনার স্তরে যে ব্যাপারটা একজন মানুষের অস্তিত্বের সমুদ্রে ভাসতে থাকা পৌরাণিকাধুনিক যুগের বরফস্তুপের যেটুকু দেখা যেতো তার চেয়ে বেশি কিছু নয় বুঝলি অহং হল ব্যক্তিএককের সেই ক্রিয়াকলাপ বা কাজের ফলাফল যা সবসময় ছেৎরানো বুঝলি কখনও নিজের মতন নয় বুঝলি যে ডিসকোর্স দিয়ে তার শেকল তৈরি তাতে গাঁথা বুঝলি রে ইডিয়ট অস্তিত্বের এই দুটো স্তরে মূলগত বিভাজন আছে — একটা ফাঁক যা তুই নিজেকে আমি আমি আমি আমি বলার সময়ে কথায় নকল করছিলিস বলা কথার মধ্যে লোকটা মানে তুই লোকটা কখনই নিজের প্রতিনিধিত্ব করিস না কেননা তা সম্ভব নয় বুঝলি রে নিজের পুরো অস্তিত্বকে তুলে ধরার জন্যে মানুষের কাছে কোনো কলঙ্ক-দাগ থাকে না বা নেই বুঝলি ইডিয়ট তুই নিজেকে তোর কথার মধ্যে একটা সুবিধাজনক সর্বনাম বেছে আখ্যা দিতে পারিস আমি বলতে বোঝায় যে লোকটাকে আয়ত্ব করা যায় না যে ভাষার ফাঁক গলে পিছলে বেরিয়ে যাবেই তুই একই সঙ্গে তুই হতে পারবি না আর বলতে পারবি না যে তুই লোকটা তুই নিজে বুঝলি রে অবচেতনা বলতে তোর ভেতরের কোনো ফেনিয়ে তোলা বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিগত এলাকা বোঝায় না বুঝলি যা বোঝায় তা হল একজনের সঙ্গে আরেকজনের সম্পর্কের প্রভাব অবচেতন মোটেই তোর ভেতরের ব্যাপার নয় তা তোর বাইরের ব্যাপার হ্যাঃ হ্যাঃ বাঞ্চোৎ মুকখুর অ্যাঁড় কোথাকার পালোয়ান-যুবকের ঝাড়বক্তিমে থামতেই তার হাতে ধরা গলায় হাড়ের হাড়ুহাজ-করা চামড়ার বেল্ট বাঁধা হাতে চামড়ার দস্তানা হাঁটুতে চামড়ার নিক্যাপ বুকে চামড়ার বুকবাঁধুনী ধরে-আনা উলঙ্গ কোঁকড়াচুল-যুবতী বলে উঠল আপনিই তো মস্ত ইডিয়ট যা বলছেন আর যা করছেন তার সঙ্গে কোনো মিল নেই আপনি কি ভাবছেন আপনার অবচেতনে আমার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি যদি না গড়ে উঠে থাকবে তাহলে এরকমভাবে বেঁধে রেখেছেন কেন তা তো এই জন্যে যে আপনি যখন তখন আমার সঙ্গে ইল্লিতে গিল্লি করছেন তার মানে গিল্লিকারীর সর্বনাম বেছে নিয়েছেন আর প্রতিনিধিত্ব করছেন আপনাদের পক্ষের আমার হিসি খাবার জন্য লালায়িত হয়ে রয়েছেন তার মাধ্যমে কি সম্পর্ক গড়ে উঠছে না যখন আপনারা আমার রক্তের আচার খাবেন আমার মাংস টাটকা শুকোনো লইট্যা-শুঁটকি নোনা করে খাবেন অলিভতেলে লাবিয়াফ্রাই খাবেন মজ্জার হালুয়া খাবেন তখন আপনাদের প্রত্যেক আমির সঙ্গে কি আমার সম্পর্ক গড়ে উঠবে না যখন বিগত সময়ের জন্তুদের মতন আপনি চার হাতেপায়ে আমার সঙ্গে ইল্লিতে গিল্লি করছেন তখন কি সেই জন্তুদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক গড়ে উঠছে না যখন আপনারা আমার মাথার ওপরে তালপাতার চাটাইয়ের বস্তা ফেলে ধরে নিয়ে এলেন তখন কি পৌরাণিকাধুনিক যুগের চটকল শ্রমিকদের সঙ্গে আর সে-যুগের চাষিদের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক গড়ে উঠল না যারা না খেতে পেয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে জবাব দিন জবাব দিন চুপ করে থাকলে তো চলবে না জেনে রাখুন যে আমি ইচ্ছে করে ধরা দিয়েছি আপনাদের ফাঁদে পা রেখেছি আপনারা আমায় ধরে আনেননি জানি আপনারা আমার চামড়া ছাড়িয়ে আমার মাংস খাবেন ইল্লিতে গিল্লি করবেন যা আপনি তিনমাস যাবত করে চলেছেন আমার সঙ্গে আপনার পোষা জানোয়ার হয়ে আছি এখন আপনার মানবশাবক এসে গেছে আমার পেটে আমাকে খাবার সময়ে আপনি আপনার শাবককেও খুন করে খাবেন কি মুখ শুকিয়ে গেল কেন শুনে নিজের ছ্যানাকে খেতে ভয় অথচ অন্যের ছ্যানাদের দিব্বি খেয়ে চলেছেন কতোকাল হয়ে গেল আমি জানি আপনারা আমাকে খাবেন তাই আমার কোনো উৎকন্ঠা নেই উদ্বেগ নেই কোনো কাজ তো আমায় করতে হচ্ছে না শুধু আপনার অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে যাকে খাবেন সে তার বন্দিদশায় থাকে তাই মরার আগে এই বাঁধন হল কারাগার যখন খেয়ে ফেলবেন তখন আমি এই কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে যাবো ফলে আপনাদের প্রতিশোধ নেয়া হবে না যে নেই তার সঙ্গে কিসের প্রতিশোধ প্রতিবার আমাদের পক্ষের কাউকে খান তাতে কোথায় পৌঁছোন আপনারা একইভাবে আপনাদের পক্ষের কাউকে আমরা খাই তাতে কোথায় পৌঁছোই আমরা বলুন বলুন কোথাও পৌঁছোই না আমরা দু’পক্ষই একই অবস্হায় থাকি কোঁকড়াচুল-যুবতীর কথা শুনতে-শুনতে হতভম্ব একনায়ক চিফমোড়ল বলল নাও এবার বোঝো যখন ধরা পড়েছিল তখনই বলেছিলুম একে খেয়ে ফেলা যাক তা তুইই চিফমোড়লকে টেক্কা দেবার ধান্দায় একে বাঁচিয়ে রাখলি মনের মতন ইল্লিতে গিল্লি করার জন্য বলেছিলি মন ভরে গেলে সবাই মিলে খাবি এখন তিনমাস ওকে দুপুর নেই রাত নেই চোপরসময় ইল্লিতে গিল্লি করে-করে ওর পেটে তোর শাবক এনে ফেলেছিস এখন তো ওকে খাওয়া যাবে না যতোদিন না তোর শাবকটার জন্ম হচ্ছে ইল্লিতে গিল্লিই যদি করার ছিল তাহলে তুই তো দুতিনটে দুর্গন্ধসুন্দরী আধবউ একাধটা হড়হড়েত্বক ফুলবউ জুটিয়ে নিতে পারতিস তোর ভার্জিন গোলাপি নব্বুই ডিগ্রির ইশারার অপেক্ষায় কতো মেয়ে কোঁচড়ে ইল্লি পেতে বসে আছে তাদের ডেকে পাঠিয়ে বাঁশবনের ক্যাম্পাসে ঢ্যাঙাতালের ছায়ায় তাদের সঙ্গেই ইল্লিতে গিল্লি করতে পারতিস তারা তোকে চাইছিল তোর নব্বুই ডিগ্রির আকর্ষণে এখন তো তারা পার্টটাইম বরেদের সঙ্গে রয়েছে কী আর করবে তাদেরও তো ঘামবার-হাঁপাবার-ঠাপকাঁপুনির ইচ্ছা-অনিচ্ছা আছে তাও তুই বললি ওদের সঙ্গে তেমন জমবে না তোর মন ওরা টানতে পারেনি মন দিয়ে যে কোন কাজটা হবে তা তো বুঝলুম না শরীরের কাজকে মনের নামে চালানোটা ভিতুদের ফাঁকিবাজি ফলে সেই জোয়ান মেয়েরা যে যার নিজের টাটকা জোয়ান আধবর খুঁজে নিয়েছে তাই ওই পক্ষের এই নতুন মেয়েটাকে চোপরদিন নিয়ে ইল্লিতে গিল্লি করে ঘুরলি এখন যখন পেটে শাবক এসে গেছে তখন তো আর হামাগুড়ি দেওয়ানো যাবে না গলায় বেল্ট বেঁধে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে নজরে নজরে রাখ কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল নজরে নজরে রাখার কোনোই দরকার নেই কেননা পেটে আপনাদের পক্ষের শাবক এসে যাবার ফলে ওই পক্ষের মোড়লচিফ আমাকে একঘরে করে দেবে শাবক জন্মালে তাকে সেইদিনই খেয়ে ফেলবে যতোদিন না আমার শাবক হচ্ছে ততোদিন আমি এখানেই থাকবো আপনাদের ইচ্ছে হলে গলায় বেল্ট বেঁধে রাখতে পারেন বা খুলে দিতে পারেন যা ভালো বোঝেন আমি পালাবো না আপনারা শাবক হয়ে যাবার পর আমাকে খাবেন একনায়ক মোড়লচিফ বললে এ তো মহা মুশকিল হলো শাবক হবার পর এর বুকে দুধ এসে যাবে সে দুধ তো শাবককেই খেতে দিতে হবে অন্য পক্ষের হওয়া সত্ত্বেও আমাদের পক্ষের কেউ ওর দুধ খেতে পারবে না দুধ এলে তুই আবার লুকিয়ে চুসকি মেরে খেয়ে নিস না যেন যতোদূর বুঝছি এর হিসি খেয়ে নেশা হবে না কেননা এর পেটে আমাদের পক্ষের শাবক রয়েছে মোড়লচিফের ঠিকে-বউ বললে আমি তখনই তোমাকে বলেছিলুম যে এর রজঃশরাব বন্ধ হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে তুমি কান দিলে না আরেক বউ যে আগে মোড়লচিফের আধবউ ছিল কিন্তু মন ভরে গেছে বলে আরেকজনকে আধবিয়ে করে নিয়েছে সে বললে মোড়লচিফ তো জানেই না কোনটা রাজপথ আর কোনটা গলিপথ হাত ধরে দেখালে টের পায় কোনটা রাজপথ মোড়লচিফ বললে আমি তো ওর ইল্লিতে মাছি উড়তে দেখেছিলুম তাই ভেবেছিলুম যে মাছিগুলো রজঃশরাবের রক্ত চাটতে এয়েছে এখন বুঝতে পারছি যে মাছিগুলো রাজপথের আকর্ষণে পেছনে লাগেনি গরম পড়েছে বলে গলিপথের নেশার জলে তেষ্টা মেটাতে মেতেছিল একনায়ক মোড়লচিফের কচি আধবউ বললে এ মাগি তো নিজের শরীরকেই কারাগার বানিয়ে তাতে আমাদের শাবককে সাজা দিচ্ছে এর মনও জেলখানা জানি না সেখানে কি ষড়যন্ত্র চলছে এর স্মৃতিও একটা জেলখানা তাতে ওই পক্ষের ঘটনার স্মৃতি পুরে রেখেছে আর সেগুলো পেটের শাবক সাঁতরে সাঁতরে ঠিকই জানতে পারছে কোঁকড়াচুল-যুবতী কিছু বলতে যাচ্ছিল একনায়ক মোড়লচিফ ওর গলা থেকে হাড়ের হাড়ুহাজ-করা ফেট্টি খুলে দাঁড় করাবার চেষ্টা করতে কোঁকড়াচুল-মেয়েটা দাঁড়াতে পারছিল না এতদিন যাবত চার হাতে পায়ে চলাফেরার দরুন পালোয়ান-যুবক কোঁকড়াচুল-মেয়েটিকে ধরে সামলালো আর মোড়লচিফ কোঁকড়াচুল-যুবতীর হাত থেকে দস্তানা আর হাঁটু থেকে নিক্যাপ খুলে পালোয়ান-যুবককে বললো নিয়ে যা নিজের ঘরে পালোয়ান-যুবক কোঁকড়াচুল-মেয়েটিকে পাঁজাকোলা করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেবার পর পালোয়ান-যুবকের দিকে তাকিয়ে কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল আমি ছিলুম খালি পেটের ট্রোজান ঘোড়া আপনিই তাতে সৈন্য ভরে দিয়ে নিজেদের গেট দিয়ে তাকে নিয়ে আসতে বাধ্য হলেন আপনাদের দুর্গ এখন সুরক্ষাহীন আর মনে রাখবেন যতোদিন না আমার শাবক হচ্ছে ততোদিন আপনি আপনারা সবাই কল্পনার জগতে বসবাস করবেন আগামীর কল্পনা ভবিষ্যতের কল্পনা পাঠক বা পাঠিকা আপনার কি মনে হয় যে পালোয়ান-যুবক কোঁকড়াচুল-যুবতীর ফাঁদে পড়েছে এখানে বলে দিই যে পালোয়ান-যুবকের বয়স বাইশ বছর আর কোঁকড়াচুল-যুবতীর বয়স পঁয়ত্রিশ বছর তাছাড়া আপনার কি মনে হয় কোঁকড়াচুল-যুবতী সত্যিই গর্ভবতী আপনার কি মনে হয় যে কোঁকড়াচুল-যুবতী নিজে ধরা দিয়েছিল নাকি তাকে ফাঁদ পেতে ধরা হয়েছিল আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না পালোয়ান-যুবক কোঁকড়াচুল-যুবতীকে বলল আমি সব জানি কিন্তু আমি জানতে চাই না যে আমি জানি তাই হরেদরে আমি জানি না আমি জানি কিন্তু আমি তার ফলাফলের দায়িত্ব নিতে চাই না যাতে আমি প্রতিদিনকার মতন জীবন চালিয়ে যেতে পারি এই ভেবে যে আমি জানি না কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল হাহা হাহা তর্কাতীত তর্ক বটে যারা সবচেয়ে ভালো তাদের আত্মবিশ্বাস নেই আর যারা অত্যন্ত খারাপ তাদের রয়েছে আবেগি ঐকান্তিকতা এটা দুই পক্ষেরই উত্তরঐতিহাসিক অসুখ দুই পক্ষেই রয়েছে রক্তহীন উদারপন্হী আর আবেগ-আক্রান্ত মৌলবাদী ফলে যারা সবচেয়ে ভালো তারা আত্মনিয়োজিত হতে পারে না আর যারা অত্যন্ত বাজে তারা জাতিবাদী সাম্প্রদায়িক যৌন গোঁড়ামির নেশায় চুর আপনারা আমাদের বিশ্বাস করেন না আমরাও আপনাদের বিশ্বাস করি না কিন্তু কেন ভেবে দেখেছেন কি কখনও কোনোও কিছুতে কি আমাদের বা আপনাদের বিশ্বাস আছে আসলে আমাদের পারস্পরিক অবিশ্বাসই আমাদের বিশ্বাস হয়ে দাঁড়িয়েছে আমি আমাদের একনায়ক মোড়লচিফকে কতোবার বোঝাবার চেষ্টা করেছি ওনার আর আমাদের পক্ষের সবারই ধারণা যে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে তাই পুরুষরা আমার কাছ-ঘেঁষতোনা আপনি হয়তো আমার কথায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু এটা মনে রাখবেন যে অন্যের প্রতি অবিশ্বাসের মধ্যেই বিরোধিরা সত্যকে খুঁজে পেয়েছে বলে মনে করে তারা সত্যের উৎপাদক তারা মনে করে অন্য পক্ষের জীবনযাত্রা গ্রহণযোগ্য নয় কেননা তাদের নিজেদের জীবনযাত্রা আলাদা আপনি আমাকে বলুন যে অবিশ্বাসীদের ভয় পাবার দরকারটাই বা কি কেবল এই কারণেই এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হিংসে করে চলেছে আপনি আমাকে ঘৃণা করছেন কেননা আমি অপর পক্ষের অথচ ইল্লিতে গিল্লি করছেন আমার দেহকে ভালোবেসে হ্যাঁ একে ভালোবাসা বলা অনুচিত কিন্তু আপনি তো অন্য পার্টটাইম মেয়েমানুষ ইশারা করলেই পেতেন দেখেছি তো মেয়েরা আপনার নব্বুই ডিগ্রির প্রতি কেমন আকৃষ্ট তা সত্ত্বেও টানা তিন মাস আপনি আমার সঙ্গেই ইল্লিতে গিল্লি করে গেলেন আপনি কখনও ভাবলেন না যে হয়তো আপনার সঙ্গে ইল্লিতে গিল্লির সময়ে আমারও ভালো লাগছে অথচ আপনি খেয়াল রাখলেন না যে আমারও ইল্লিখেলার চাহিদা আছে আমারও অরগ্যাজমের আঠা ওথলানোর দরকার আছে আপনি ভাবলেন আমি আপনার ইল্লি-গিল্লির কয়েদি বলে আপনার উচ্চতর পদমর্যাদা রয়েছে পালোয়ান-যুবক এতোক্ষণে মুখ খুলল বলল যে আমি ইল্লিতে গিল্লির সময়ে আঘাত না দিয়ে পারি না আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ি অশ্লীল কথাবার্তা বলতে থাকি তাতেই আমি আনন্দিত হই কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল আসলে আপনি ইল্লিতে গিল্লির সময়ে একা থাকলেও আপনার ভেতরে একটা ভিড় হইচই করতে থাকে যা আপনার আয়ত্বের বাইরে লক্ষ্য করবেন যে আমি আপনাকে হীনতর বা নিকৃষ্ট বলছি না অথচ আপনি এমনকি দুই পক্ষের মানুষেরা মৌলবাদীদের মতন ভেতরে ভেতরে জানে যে তারা নিকৃষ্ট মনে রাখবেন যে শত্রুপক্ষকের কথা না শুনলে আপনি নিজেকেও বুঝতে পারবেন না আপনি যখন প্রথমবার আমাকে চারহাতপা বেঁধে ইল্লিতে গিল্লি করেছিলেন তখন আমার ট্রমা ঘটেছিল কিন্তু প্রতিবারের ইল্লিতে গিল্লি আমার ট্রমা লাঘব করে আপনার কাছাকাছি নিয়ে গেছে ইল্লিতে গিল্লি ক্রমে হয়ে দাঁড়িয়েছে সম্পর্ক তারপর যখন গর্ভবতী হয়ে গেলুম তখন বুঝতে পারলুম যে আমি আপনার শাবকের মা হতে চলেছি আপনি নিজেই নিজের ফাঁদে পড়ে গেছেন বললে বোধহয় ভুল হবে না যে আপনি আমার ইল্লির আসক্ত হয়ে পড়েছেন নয়তো তিন মাস বাঁচিয়ে রাখতেন না আমিও আপনার গিল্লিকে ভালোবেসে ফেলেছি হয়তো ক্রিতদাসীরা এমনি করেই তাদের প্রভূকে ভালোবাসতো কিন্তু ভালোবাসা এক ভয়ংকর দুর্দশা দুর্ভাগ্য অশুভ মগজের ভেতরের পৈশাচিক পরগাছা যতোক্ষণ থাকে ততোক্ষণ স্হায়ী সঙ্কট হয়ে যাবতীয় সুখ থেকে বঞ্চিত করে আমি আমার দুঃস্বপ্নের সঙ্গে আপনার দুঃস্বপ্নকে মিশিয়ে দিয়েছি যতোদিন আমি আছি ততোদিন এই দুঃস্বপ্ন থাকবে আপনার সঙ্গে কোঁকড়াচুল যুবতীর উষ্মায় উত্তেজিত বাইশ বছরের সুঠাপ পালোয়ান-যুবক হাড়ের হাড়ুহাজ-করা চামড়ার লুঙ্গি খুলে ঝাঁপিয়ে পড়ল চিৎশোয়া পঁয়ত্রিশ বছরের ইল্লিখোলা কোঁকড়াচুল-যুবতীর ওপর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বলতে লাগল হ্যাঁ ঠিকই আমার উচিত ছিল তোমাকে চুমু খাওয়া বুকের ওপর ঠোঁট নিয়ে গিয়ে বলল আমার উচিত ছিল বুকদুটো আদর করা নাভিতে ঠোঁট নিয়ে গিয়ে বলল আমার উচিত ছিল নাভিতে আদর করা কুঁচকিতে ঠোঁট রেখে বলল আমার উচিত ছিল জিভের প্রলেপ দেয়া আমিও চেয়েছিলুম পেটে বাচ্চা এসে যাক কেননা ভাষা দিয়ে কিচ্ছু প্রকাশ করা যায় না ভাষার ভেতরে সে ক্ষমতা নেই যা আমার শরীর বলতে পারে ঠোঁট বলতে পারে জিভ বলতে পারে ইচ্ছে ব্যাপারটা ভাষার নয় ইচ্ছে ব্যাপারটা শরীরের পঁয়ত্রিশ বছরের কোঁকড়াচুল-যুবতী দুহাতে পালোয়ান-যুবককে আঁকড়ে ধরে বলে ওঠে এই প্রথমবার আপনাকে আলিঙ্গন করছি আমি আমার বক্তব্য রয়েছে এই জড়িয়ে ধরায় এখন আপনি ঠোঁট দিয়ে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন তা এতোদিন চার হাতেপায়ে জানোয়ারের মতন ইল্লিতে গিল্লির মাধ্যমে সম্ভব হয়নি অথচ সেই কুকর্মের মধ্যে দিয়েই আমরা দুজনে মা-বাবা হতে চলেছি ভালোবাসা শব্দটা কতোবার শুনেছি জীবনে পাঠশালায় বন্ধুদের মুখে বাড়িতে কিন্তু কখনও বুঝতে পারিনি তা ঠিক কি তা ছিল অন্যের অভিজ্ঞতা এখন টের পাচ্ছি যে ভালোবাসা আসলে এক অসহ্য অপ্রত্যাশিত সাক্ষাৎকার তার ভেতরে লুকিয়ে থাকা ব্যথার আনন্দের জন্য আর সেই আনন্দ আমাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে আপনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা সত্ত্বেও একে অভিব্যক্তি দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না আপনি আমার আকাঙ্খাকে এতোদিন অপমান করেছেন পালোয়ান-যুবক কুঁচকি থেকে জিভ তুলে বলল আমি কেবল বাসনাকে চরিতার্থ করায় থামতে চাইনি আমি উপভোগের আহ্লাদকে অতিক্রম করে যেতে চেয়েছিলুম যদিও তিন মাসে জেনে ফেলেছি যে মন কিছুতেই ভরে না সন্তুষ্ট হয় না কোঁকড়াচুল যুবতী বলল পৌরাণিকাধুনিক যুগের জঙ্গলে সিংহেরাও সিংহীর অনুমতি ছাড়া আর নির্দিষ্ট সময় ছাড়া ইল্লিতে গিল্লি করত না কিন্তু আপনি অবিরাম করে গেছেন মন ভরাবার জন্য যা কখনও ভরে না আপনি আমার অনুভূতির কথা কখনও ভেবে দেখেননি আপনার চরিত্রে যা কাজ করছিল তা কৃতজ্ঞতার অভাব আমরা দুটো পক্ষই এতোকাল যা করে চলেছি তা হল পেছন দিকে এগোবার প্রগতি কোঁকড়াচুল-যুবতী এবার পালোয়ান-যুবককে কষে জড়িয়ে ধরে তার ওপর উঠে গেল বলল আপনি তো তিনমাস যাবত অনেক কিছু করেছেন এবার আমার পালা কোঁকড়াচুল-যুবতী পালোয়ান-যুবকের পায়ের দিকে পেছিয়ে গিয়ে মুখে পুরে নিল মুখ ফেনায় ভরে উঠলে গিলে খেয়ে ফেলল তারপর মুখ তুলে নিয়ে বলল আমার হাগবার সময়ে আর হিসি করার সময়েও আপনি সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন যদিও আপনি দয়া করে চামড়ার রুমাল দিয়ে পুঁছে দিতেন কিন্তু হাগা পেয়েছে সেটাও বলতে হতো আপনাকে যেন আপনার অনুমতি ছাড়া আমি হাগতেও যেতে পারবো না আমার রজঃশরাব বন্ধ হবার পরও আপনি যখন প্রশ্ন তুললেন না বুঝলুম যে আপনি একেবারে আনাড়ি সম্ভবত ভার্জিন এমনকি প্রথমবারও আপনাকে অনেক চেষ্টা করতে হয়েছিল পালোয়ান-যুবক বলল তুমি হিসি করছ কিংবা হাগছ দেখতে আমার ভালো লাগে পেছন দিক থেকে তোমাকে দেখতেও ভালে লাগে তোমার গু থেকেও আমি বেশ মিষ্টি গন্ধ পেয়েছি যা পোড়ানো শোকানো শুঁটকি নোনা মাংসের থেকেও আকর্ষক তুমিই তো বলছ কথা নিজেকে ভাষায় প্রকাশ করতে পারে না কিন্তু আমি বুঝে গেছি তা হল নিঃশব্দ ঘোষণা কোঁকড়াচুল- যুবতী পালোয়ান-যুবকের ওপর সটান শুয়ে পড়ে ঠোঁটে ঠোঁট রাখল তারপর সামান্য তুলে বলল আপনি আপনার স্মৃতিতে আমাকে রাখবেন না বিপর্যস্ত হবেন কেননা আমার সঙ্গে কখন কি হবে আপনি জানেন না পালোয়ান-যুবক বলল কিছুই হতে দেবো না এই মোড়লচিফ মারা গেলে আমিই একনায়ক মোড়লচিফ হবো আমার মতন কেউই চামড়া ছাড়াতে পারে না উত্তরে কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল হয়তো এমন অবস্হার সৃষ্টি হবে যে আপনাকে আমার চামড়াই ছাড়াতে হবে পালোয়ান-যুবক বলল তেমন অবস্হা হলে তখন দেখা যাবে এখন যতোদিন না শাবক পয়দা হচ্ছে ততোদিন আমরা বেঁচে নিই তাছাড়া কোনো কিছুতে বিশ্বাস করার দরকার নেই জাস্ট বেঁচে নেয়া প্রথমবারের ব্যথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেমন পৌরাণিকাধুনিক যুগের ফুলের জীবনে দুর্গা-টুনটুনির গভীর জিভ কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল হ্যাঁ সেই ব্যথা আমাকে আপনি উপভোগ করতে দেননি শরীরের এই ব্যথা তো কেবল শরীরের নয় তা জীবনের সংজ্ঞাকে দেহের রসায়নের সাহায্যে শিরায় শিরায় ছড়িয়ে দেবার অবিস্মরণীয় ঘটনা কেননা মাংসহীন অস্তিত্ব সম্ভব নয় মাংসের প্রয়োজন এই জন্যে যে মাংসের সঙ্গে মাংসের সংঘর্ষে আর সেই সংঘর্ষজনিত রসায়নে নৈতিকতা সৃষ্টি হয় বিবিধতা গড়ে ওঠে বৈচিত্র্যের রকমফের পাওয়া যায় মাংস হল একই সঙ্গে ব্যথার বাহক আর ব্যথার আড়ালে আনন্দের উৎস আমাদের দুই পক্ষই এই উভয়সঙ্কট বুঝেও বুঝতে চাইছে না পালোয়ান-যুবকের গিল্লি আবার ষাঁড়িত গোলাপি হয়ে উঠেছিল কোঁকড়াচুল-যুবতী নিজের ইল্লি তার ভেতরে নিয়ে নিলে পালোয়ান-যুবক বলল আমাদের যৌথব্যথা ছিল কিন্তু ক্ষুধা তার সমাধান আমরা দুপক্ষই করে ফেলতে পেরেছি পরস্পরের মাংস খাওয়ার প্রথা দিয়ে এখন আশাহীনতাই একমাত্র আরাম আর জলহীনতার চিরখরার ধ্বংস থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে পরস্পরের মাংস খাওয়া একটা বড়ো আবিষ্কার এর ফলে টেবিলঘরের জ্ঞানী-বিজ্ঞানী-দার্শনিক-শিল্পীদের মুখে সরাসরি কাঁচা-গু ছুঁড়ে মারা হয়েছে তাদের আর কোনো প্রয়োজন দুই পক্ষেই নেই কোঁকড়াচুল-যুবতী পালোয়ান-যুবকের দুই হাত নিজের দুই বুকের ওপরে এনে বলল আমরা কি করছি জানেন আমরা গোপনে আমাদের দুই পক্ষের সঙ্গে একটা খেলা খেলছি যা তারা জানে না এর ফলাফল শেষ পর্যন্ত কী হবে তা আমরা্ দুজনেও জানি না এই খেলা আমাদের দুজনকে দুই পক্ষ থেকে আলাদা করে তৃতীয় একটা বায়বীয় পক্ষ গড়ে তুলতে চাইছে কোঁকড়াচুল-যুবতীর দুই বুককে টেনে নিজের বুকের সঙ্গে মিশিয়ে পালোয়ান-যুবক বলল শারীরিক রসায়নের দুর্গন্ধের তুলনায় সৌন্দর্য আর নেই কেননা এই দুর্গন্ধিত রসায়নেই রয়েছে আমার তোমার আমাদের দুই পক্ষের সকলের নিদারুণ পীড়ার নিঃশব্দ গোঙানি যাকে পরস্পরের অক্ষমতা দিয়ে চাপা দেবার চেষ্টা হয়ে চলেছে বহুকাল বহুযুগ ধরে কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল নাড়াবেন না নাড়াবেন না স্হির থাকতে দিন সময়কে দ্রুত করার চেষ্টা করবেন না সময়কে আহত হতে দিন শামুকের মতন এগোতে দিন শামুকের রাসায়নিক লালা নিয়ে এই যে এখন আমরা বন্ধ ঘরে আঠাবদল করছি এই ইল্লিগিল্লির মর্মার্থ পালটে দিয়েছে আমাদের আগেকার সম্পর্ক যখন আপনি আমাকে সবায়ের সামনে জানোয়ারের মতন ইল্লিতে গিল্লি করতেন পালোয়ান-যুবক বলল সেটাই আমাদের পক্ষের নৈতিক মানদণ্ড যে সবায়ের সামনে করতে হবে যাতে কোনো মানসিক সম্পর্ক না গড়ে ওঠে যাতে মাংস খাবার সময়ে স্মৃতি ডুকরে না ওঠে কিন্তু আমি বুঝতে পারছি যে সেই সময়ের ইল্লিতে গিল্লি বা আশেপাশের গন্ধে ছেয়ে থাকা ইল্লিগিল্লির মধ্যে কোনো বার্তা ছিল না বরং তা আমাদের দুজনের মধ্যে দেয়ালের মতন কাজ করছিল বন্ধ ঘরে আমরা আমাদের দুই পক্ষের নৈতিক ঐতিহ্যে অন্তর্ঘাত ঘটাচ্ছি রীতি অনুযায়ী যা সবায়ের সামনে করার তা আমরা ঘরের ভেতরে করছি এমনকি লালাবদলের সময়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলাবলি করছি যা নিষিদ্ধই কেবল নয় যা শাস্তিযোগ্য আরও খারাপ এই জন্যে যে আমরা দুজনেই এতে সায় দিয়ে করছি নিজেদের ইচ্ছেমতন আঙ্গিক নিচ্ছি ফলে আমরা নারী-পুরুষ সঙ্গমকারী নয় আমরা দুজনে হয়ে উঠেছি সমাজবিরোধী কোঁকড়াচুল-যুবতী পালোয়ান-যুবকের মুখে ময়লার আস্তরণে ঢাকা ডান দিকের মাই প্রবেশ করিয়ে বলল বাইরে পৌরাণিকাধুনিক যুগের জানোয়ারের আঙ্গিকে ইল্লিতে গিল্লি করার সময়ে আমাদের দুজনের আত্মপরিচয় বজায় ছিল আমি ওই পক্ষের ধরে-আনা ক্রীতদাসী যাকে আপনারা বলেন সুন্দরী যদিও আমার নাম সুন্দরী নয় আর আপনার পরিচয় আপনি এই পক্ষের উচ্চাকাঙ্খী যুবক বন্ধ ঘরে সেই আত্মপরিচয় আমরা খুইয়েছি আমাদের শাবক মূর্ত হয়ে জন্মাবে বটে কিন্তু নিজের সঙ্গে নিয়ে আসবে বিশৃঙ্খলা আর জানেনই বিশৃঙ্খলামাত্রেই জারজ কোঁকড়াচুল-যুবতী ডান দিকের মাই পালোয়ান-যুবকের মুখ থেকে বের করে ময়লার আস্তরণে ঢাকা বাঁদিকের মাই ঢুকিয়ে দিয়ে বলল আর যে নৈতিকতার কথা আপনি বলছেন তা মিথ্যার বনেদে দাঁড়িয়ে থাকা বীক্ষা বাইরে পৌরাণিকাধুনিক জানোয়ারের মতন আঙ্গিকে মনের কোনো স্পর্ধা ছিল না এখন আমরা যা করছি তা পুরোপুরি মনের ভেতরের প্রক্রিয়া পাঠক বা পাঠিকা আপনি কি মনে করেন যে কোঁকড়াচুল যুবতী যা বলছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং কোঁকড়াচুল যুবতী কেনই বা পালোয়ান-যুবকের মুখ কায়দা করে বন্ধ করে দিচ্ছে যাতে পালোয়ান-যুবক প্রত্যুত্তর দিতে পারছে না আপনি কি মনে করেন যে পালোয়ান-যুবক কোনো উত্তর দিতে চাইলে মুখ থেকে মাই বের করে প্রত্যুত্তর দিতো আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না পালোয়ান-যুবক উত্তর না দিয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে গেল মুখ থেকে মাই বের করে নিয়ে বলল আমার কাছে একজনের ইল্লির লাবিয়া মেজোরা আর মাইয়ের দুটো টোঁটি শুকিয়ে রাখা আছে আমি তখন কিশোর ছিলুম খাইনি আমার ভাগে ওইটুকুই পড়েছিল মাঝে মাঝে কুলের আচারের মতন চুষতুম আর খেয়ে ফেলার ইচ্ছে সংবরণ করতুম ইল্লিলাবিয়া বিছানায় পেতে তার ওপর শুয়ে নিজেকে উত্তেজিত করতুম এতোদিন ভাবতুম যে আমি প্রতীকিভাবে সেই মেয়েটায় আসক্ত বলে খাচ্ছি না কিন্তু এখন তোমার ধুকপুকে জীবন্ত মাই আর দপদপে জীবন্ত ইল্লিতে মুখ দিয়ে বুঝতে পারছি যে তা ছিল বিভ্রম চোখ বুজেও তোমার মতন সুন্দরী করে তুলতে পারিনি কল্পিত মেয়েগুলোকে কোঁকড়াচুল-যুবতী ময়লার আস্তরণ থুতুতে মোছা নিজের ডান দিকের মাই পালোয়ান-যুবকের মুখে পুরে দিয়ে বলল না তা নয় তা বিভ্রম নয় তাও প্রেম এক বিশেষ ধরণের প্রেম যেখানে আপনি প্রতিদিন আপনার প্রেমিকাকে নতুন করে মগজে এঁকে নিচ্ছিলেন তার সুনির্দিষ্ট কোনো রূপ ফুটে উঠছিল না স্বমেহনের জন্য ওইটুকি ছবিই ছিল যথেষ্ট আপনার সামনে মূর্ত রূপ ফুটে উঠলে হয়তো আপনি তাকে খেয়ে ফেলবার তোড়জোড় করতেন আর হ্যাঁ আপনি আমাকে সুন্দরী বলে ডাকবেন না শুনলেই মনে হয় আমি আপনার চারপেয়ে ক্রীতদাসী আপনি আমাকে মা বলে ডাকবেন কেননা আমাদের পক্ষে যে মেয়েদের বয়স তিরিশের বেশি হয়ে যায় তাদের চেয়ে ছোটোরা তাদের মা বলে ডাকে তার কারণ বিয়ে বলতে বোঝায় নারী-পুরুষের এক সপ্তাহ বা মাস তিনেক বা বছর খানেকের সম্পর্ক মেয়েরা আর ছেলেরা ইচ্ছেমতন বউ আর বর যখন-তখন বদল করতে পারে বলে কে যে কার ছেলে বা মেয়ে তা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না ফলে গাঁড়হাভাতে মানুষ মাত্রেই বেজন্মা যখন পুরুষ বা নারী আর কাজকম্মো আকর্ষণের যোগ্য থাকে না কেউই তাদের মিনিট পাঁচেকের জন্যেও বউ বা বর করতে চায় না তখন তাদের রাখা হয় বয়স্কখোঁয়াড়ে সেখানে তারা সুখেই থাকে গল্পগুজব পরচর্চা করে দাবা খেলে সমাজ তাদের খোরপোষ আর পা টেপাবার ব্যবস্হা করে মরে গেলে ঘটা করে ক্রুশবাঁশে টাঙানো হয় পালোয়ান-যুবক থুতুতে পরিষ্কার বুক থেকে মুখ সরিয়ে নিয়ে বলল আমাদের এখানেও একই রেওয়াজ তবে আমাদের এখানে মা বলার বদলে বলা হয় আন্টি আর যারা পুরুষসঙ্গ করার জন্য টার্গেট খুঁজছে তাদের বলা হয় মিস বা দিদিমণি তার কারণ বউ আর বরের মাঝে রতিসম্পর্ক বদলাতে থাকে যার ফলে একসময়ে এমনও হয় যে তোমার জন্ম দিয়েছিল সে তোমাকে পছন্দ করে ফেলল আর তুমিও তাকে পছন্দ করে ফেললে তাই যাতে মা বলে ডাকতে না হয় সেকারণে আন্টি ডাকের প্রচলন বলতে বলতে পালোয়ান-যুবক কোঁকড়াচুল-যুবতীকে জড়িয়ে ধরে পাক খেয়ে নিজের ওপরে তুলে নিল আর কোঁকড়াচুল-যুবতীর মুখের কাছে মুখ নামিয়ে চোখে চোখ রেখে বলল আমাদের এই সম্পর্ক রতির বুঝলে এটা নিছক ইল্লিগিল্লির সম্পর্ক নয় যে সম্পর্ক পৌরাণিকাধুনিক জানোয়ারদের মাঝে গড়ে ওঠত রতি ব্যাপারটা জ্ঞানের যে জ্ঞানের প্রতিফলন তুমি দেখতে পাবে কোণারক আর খাজুরাহোর মন্দিরগুলোয় তার মানে রতি কোনো ভুল নয় তা এই পক্ষের সঙ্গে ওই পক্ষের মাঝে ঘটলেও রতির রসায়ন তরল নান্দনিক তাতে রয়েছে ইন্দ্রিয়পরায়ণতা ছোঁয়া দেখা শোনা শোঁকা স্বাদ আসলে অনুভূতিই সব জ্ঞানের উৎস তাই রতিক্রিয়া জিনিসটা পবিত্র তা ইল্লিগিল্লির মতন নয় রতিক্রিয়া অবচেতন থেকে তথ্য তুলে আনে যা পৌরাণিকাধুনিক জানোয়ারদের স্মৃতিতে ছিল না সঙ্গমের পরেই সিংহীকে চিৎ হয়ে শুয়ে গড়াগড়ি দিতে হতো কেননা তা নিছক যৌনতা বাচ্চা পয়দা করার জন্য তুমি যে মুখে নিয়েছিলে তার সঙ্গে বাচ্চা পয়দা করার সম্পর্ক ছিল না আমার মুখে তুমি তোমার বুক এক এক করে দিয়েছিলে তার সঙ্গে বাচ্চা পয়দা করার সম্পর্ক নেই তুমি কম বয়সে স্বমেহন করেছ আমিও করেছি তা এই জন্য যে আমরা মানুষ তোমার সঙ্গে এর আগে তিন মাস পৌরাণিকাধুনিক জানোয়ারের মতন সঙ্গম করেছি তা বাচ্চা পয়দা করার জন্য নয় তা রতির আনন্দের জন্য যা-কিছু পবিত্র তা শেষ পর্যন্ত নষ্ট হয় দুই পক্ষের পৌরাণিকাধুনিক জানোয়ার ইল্লিতে-গিল্লি প্রথা পবিত্রতাকে নষ্ট করার উদ্দেশে মানুষের জ্ঞান রতির জন্য সে প্রয়োগ করে কিন্তু জানোয়ারদের জ্ঞানজগত নেই মানে যা বলতে চাইছি তা হল এই যে রতি আমার সঙ্গে পৃথিবীর মানুষের অন্তরজগতের সঙ্গে তার বহির্জগতের সম্পর্ককে ঘষেমেজে মুছে দ্যায় তাদের মাঝে বিদার ঘটিয়ে পুরুষের সঙ্গে নারীর যোগসূত্র তৈরি করে আসলে আমরা রতিপ্রাণী আর তাই জন্যেই আমরা পরস্পরের মাংস খেতে ভালোবাসি প্রত্যুত্তরে কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল তিনমাস যাবত আপনি আমার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন তাকে প্রায়ই মনে হয়েছে নোংরা কলঙ্ককর নিকৃষ্ট নীচ অসৎ স্বার্থপর শোষণ ঘৃণ্য জঘন্য অকরুণ নির্মম অথচ তাতে ছিল একই সঙ্গে অমিল আর দেহের প্রশ্রয়ে গড়ে ওঠা পরমানন্দ সমর্পণ পরাজয়বোধ দেহস্বত্বত্যাগ কর্তব্য সমবেদনা অনুগ্রহ আতঙ্ক লজ্জা তবে আমাদের দুই পক্ষের ঈশ্বরহীনতা আপনাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে অনেক দেশে শুনেছি ঈশ্বর নামের একটা নকল নৈতিক বাঁধন তৈরি করে গাঁড়হাভাতে মানুষদের পৌরাণিকাধুনিক জন্তুজানোয়ারের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিজেরাই নিজেরা সেখানে পরস্পরের সঙ্গে খুনোখুনি করে মেরে ফ্যালে কিন্তু খায় না যদিও তারা জন্তুজানোয়ার খেতো পাঠক বা পাঠিকা আপনার কি মনে হয় যে কোঁকড়াচুল-যুবতীটি ষড়যন্ত্র করে চলেছে পালোয়ান-যুবকের বিরুদ্ধে তাকে বশ করে সুযোগ খুঁজছে খুন করে রাতের অন্ধকারে রতিক্যালানে পালোয়ান-যুবকের পাশ থেকে উঠে চুপচাপ পালিয়ে যাবে ভাবছে হঠাৎ তারস্বরে সমবেত কান্নার ভেউ ভেউ হাউ-হাউ ভ্যাঁ-ভ্যাঁ আরম্ভ হতে পালোয়ান-যুবক নিজের কাজ তাড়াতাড়ি সেরে যোনি থেকে লিঙ্গ বের করে নিয়ে ঠোঁটের ওপর থেকে ঠোঁট তুলে নিয়ে বুকের ওপর থেকে হাত তুলে নিয়ে বলল আরে আরে আজকে পূর্ণিমা নাকি আজকে কান্নার রাত গোল চাঁদ মেঘের ফাঁক গলে বেরিয়ে এসে থাকবে আমাকেও কান্নায় অংশ নিতে হবে বলতে-বলতে চামড়ার লুঙ্গি পরে বিছানা থেকে নেমে পালোয়ান-যুবক কোঁকড়াচুল যুবতীর দিকে তাকিয়ে বলল তুমি যদি আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চাও তাহলে পেছনের বাঁশবনের ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে পালাও ওই বাঁশবনে এখন রাতের বেলায় কেউ যায় না কেননা হাড়ের গজাল-ঠোকা ক্রুশবাঁশে টাঙানো আত্মীয়-স্বজনদের দেহ আর কঙ্কাল বাঁশপাতার হাওয়ায় কাঁদে গান গায় কথা-বলাবলি করে নাক ঝাড়ে কাশে তুমি বাঁশবনের ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে দৌড়ে চলে যেও বুঝলে বাঁশবনের ক্যাম্পাস পেরোলেই দুর্গন্ধ হাওয়ার দেয়াল তার ভেতরে মাথা ঢুকিয়ে সোঁ করে নিজেদের পক্ষে চলে যেতে পারবে এখানে থাকলে শাবক পয়দা হবার পর তোমাকে মেরে ফেলা হবে তা আমি সইতে পারবো না যাবার আগে চর্বির প্রদীপটা জ্বেলে দিয়ে যেও বুঝলে বলতে বলতে পালোয়ান-যুবক সমবেত কান্নায় কাঁদার জন্য দরোজার চৌকাঠ থেকেই হাসির সঙ্গে কান্না মিশিয়ে এগোলো আসলে তার হাসি ছিল নিজের গিল্লির দৈর্ঘ্যের আনন্দে যা তাকে কোঁকড়াচুল- যুবতীর কতো ভেতরে নিয়ে যেতে পারে সেই সুখচিন্তা নিয়ে আর কান্না ছিল কোঁকড়াচুল-যুবতীকে ছেড়ে যাবার দুঃখে কোঁকড়াচুল-যুবতী থেকে গেলে তার নিশ্চিত মৃত্যুর দুঃখে কোঁকড়াচুল-যুবতী চলে গেলে মনের মতন রতি করতে না পারার দুঃখে এদিকে পালোয়ান-যুবক চলে যেতেই কোঁকড়াচুল-যুবতী ঘুমোবার কথা ভাবলো কতোদিন ঠিকমতো ঘুমোনো হয়নি হাড়ের হাড়ুহাজ-করা চামড়ার চাদর টেনে চাপা দিয়ে নিজেকে নিঃশব্দে বলল যাবো না এখান থেকে যতোদিন এই তাগড়া পালোয়ান-যুবককে সঙ্গমের জন্যে পাচ্ছি ততোদিন জীবন উপভোগ করে নিই একে দিয়ে নানা আঙ্গিকের সম্পর্ক সম্ভব এ এখনও আনাড়ি ভাগ্যিস একজন ঘোলাটে মগজের পালোয়ান-যুবককে পেলুম এর মাপও মনের মতন দীর্ঘ সুখদায়ী সরস ঝিলমিলে এর অনেকগুলো ঠোঁট আছে যেগুলো একই সঙ্গে আমার সারা শরীরে আদর নিয়ে নেমে আসে এর জিভের লালায় রয়েছে রামধনুর সাতরঙের সুগন্ধ এ আমার হৃদয়ের ধুকপুকুনির সঙ্গে ক্লিটোরিসের টুনটুনানির ঝিংকিচিকিং ঝিংকিচিকিং ঝিংকিচিকিং ছন্দ মেলাতে পারে এর ভাঁড়ারে দেবার মতন মৃদু ব্যথা প্রচুর রয়েছে এর ওজন কুস্তিগিরের মতন ডাকসাইটে এ গোপন পালক দিয়ে আমার শরীরে ঘুমিয়ে থাকা কাঁপুনি শিহরণ রোমাঞ্চ জাগিয়ে তুলতে পারে আমার মাংসের ধাঁধার সমাধান করতে পারে যা এর আগে আমার আধবর বা কাঁচাবর বা পার্টটাইম বররা কেউ দিতে পারেনি এ আমাকে মেরে খেয়ে ফেললেও আমার তা প্রাপ্তি এরা যদি আমাকে নিজের পক্ষের বলে মেনে নেয় তাহলে আমি ক্রুশবাঁশে বাঁধা অবস্হায় এর দিকে তাকিয়ে ক্রমশ কঙ্কাল হয়ে যেতে রাজি আছি ভাবতে ভাবতে কোঁকড়াচুল-যুবতী ঘুমিয়ে পড়ল আর নাক ডাকতে লাগলো কেননা ওই পারের একনায়কের অলিখিত বিধিবিধান অনুযায়ী নাক ডাকলে বদস্মৃতিরা উধাও হয়ে শুধু সুখস্মৃতি ধরে রাখে আর সদ্য-অতীতকে ভুলে যাওয়া যায় ওদিকে পালোয়ান-যুবক দৌড়োতে দৌড়োতে টের পেলো যে আজকে পূর্ণিমা নয় আর কেউই সমবেত কান্না কাঁদছেনা বাঁশবনের ক্যামপাসে ক্রুশবাঁশে বাঁধা মানুষের মাংস খুঁটে হাজার মাছির গ্যাঞ্জাম আর হাজার মশার দল ওপর দিকে মুখ তুলে খিদের কান্না কাঁদছে ভাগ্যিস ওদের কোনো শোবার বিছানা নেই নয়তো না খেয়ে শুতে যেতে হতো খিদে পেলে ওপরে মুখ তুলে কাঁদলেই চলবে না যেখান থেকে হোক খাবার যোগাড় করতে হবে সেই পক্ষের ক্রুশবাঁশে টাঙানো আত্মীয়স্বজনরা যাদের মাথা বা করোটি মশা-মাছিরা খায়নি বা পৃথিবীর টানে মাটিতে ঝরে পড়েনি অমাবস্যার রাতে তারা সমবেত গান গায় সবচেয়ে বয়স্ক শব বা কঙ্কাল কোনো একটা গান আরম্ভ করলে সবাই মিলে সেই গান গায় একইভাবে ক্রুশবাঁশে বাঁধা আত্মীয়স্বজনরা পূর্ণিমার রাতে গান গায় সেই পক্ষের যুবক ফেরার পথে দেখতে পেলো নিজের পক্ষের সোনালিচুল ডবকাছুকরি ফিট্টমফিট পাহারাদারদের নিয়ে বোধহয় ওই পক্ষের ছোকরার গলায় হাড়ুহাজ-করা চামড়ার ফেট্টি বেঁধে হাতে দস্তানা পায়ে নিক্যাপ পরিয়ে হামাগুড়ি দিইয়ে ঘাসের রাস্তায় টানতে-টানতে নিয়ে যাচ্ছে সঙ্গে ওর কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশ-বিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরি বন্ধুনীরা হ্যাহ্যা হিহি হোহো খিকখিক করতে করতে যাচ্ছে পালোয়ান-যুবক কাছে গিয়ে দেখল বাঁধা ছোকরার সারা গায়ে চুল এমনকি পেছন দিকেও চুল ডবকাছুকরি যুবকের দিকে তাকিয়ে বলল ওর পোঁদের চুল দেখেছ আর স্বাস্হ্য দ্যাখো বুকে চুল পিঠে চুল যন্তরটা এতো লম্বা যে প্রায় মাটিতে ছুঁচ্ছে অলিভফল থেকে লিটার খানেক তেল বেরোবে এ আমার রিয়্যাল পৌরাণিকাধুনিক অ্যানিমাল সহজে পুড়িয়ে খাবো না এরা সবাই আমার সঙ্গ নিয়েছে একে কোনো তালগাছে বেঁধে কাজ সারার জন্য এরকম তাগড়া ছয়প্যাক শরীর এর কোনো অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না তবে চুলেলছোকরা বলছে ও সেই পক্ষ ওই পক্ষ কোনো পক্ষের নয় ও বাইরের দেশ থেকে এখানে এসেছিল দলবাজি প্রচার করার জন্য পালোয়ান-যুবকের দিকে তাকিয়ে ডবকাছুকরির নীলচুল বন্ধুনি জিগ্যেস করল দলবাজি কাকে বলে তা তুই জানিস কি পালোয়ান-যুবক বলল না জানি না ওকেই জিগ্যেস কর দলবাজি কোন জিনিসের নাম যদি খাবার জিনিস হয় তাহলে আমাদের দরকার নেই কেননা আমরা উত্তরঐতিহাসিক যুগে পৌঁছে মানুষের মাংস ছাড়া কিছুই খাই না ছুঁচোবাজি বা তুবড়িবাজি বা ফুলঝুরিবাজি হলেও দরকার নেই অযথা আলোয় মগজ চিড়বিড়ে হয়ে যায় গলায় হাড়ের হাড়ুহাজ-করা ফেট্টি বাঁধা ছোকরা মুখ তুলে বলল আরে দলবাজি কোনো খাবার বস্তু নয় ব্যাপারটা আদর্শের মানুষ কেমন করে ভালোভাবে বেঁচে থাকবে তার আদর্শ কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশ-বিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরিরা চুলেলছোকরার কথায় হিহি হাহা হোহো হেসে বলল আর কতো ভালোভাবে বাঁচবো তোমার মাংস খাওয়ার চেয়ে কাঠিকাবাব খাওয়ার চেয়ে অলিভফল খাওয়ার চেয়ে ভালো আর একটা বাঁচা আছে বটে যা তোমায় তালগাছে বেঁধে এক্ষুনি দেখানো হবে তুমি নিজেও তাতে অংশ নেবে বুঝলে কষ্টের সঙ্গে আনন্দ মিশিয়ে কেমন করে বাঁচা যায় তা জানতে পারবে তারপর তোমার যন্তরের কাঠিকাবাব যা জমবে না আহা তা আদর্শ জিনিসটা কি বলো দিকিন বুঝিয়ে তাহলে তোমাকে ততো যন্ত্রণা দেয়া হবে না যতো ওই পক্ষের লোকগুলোকে আমরা দিই চুলেলছোকরা দাড়িগোঁপসুদ্দু মুখ উঁচু করে বলল আদর্শ হল মহাপুরুষদের মতামত ফিরি করে বেড়ানো ডবকাছুকরি বলল তোর চেয়ে বড়ো মহাপুরুষ হয় নাকি রে মুকখু নিজের জিনিস কাজে লাগাবি তা নয় অন্যের বুকনি ফিরি করে বেড়াচ্ছিস তুই তো নিজেই মহান মাপের পুরুষ চুলেলছোকরা বলল ঠিক আছে আপনারা আমাকে নিয়ে গিয়ে তালগাছে বাঁধুন এখানে তো তালগাছ আর মুলিজাতের বাঁশগাছ ছাড়া কোনো গাছই দেখলুম না আমি বুঝিয়ে বলছি আদর্শ কাকে বলে এরকম পৌরাণিকাধুনিক যুগের ক্লাবপালিত কুকুরের মতন চার হাতেপায়ে হামাগুড়ি দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয় এই যুগেও যে মানুষের মাংস খাওয়া হয় তার চামড়া জ্যান্ত অবস্হায় ছাড়ানো হয় তার চামড়ার পোশাক জুতো বেল্ট দস্তানা নিক্যাপ তৈরি করা হয় এটা তো অমানুষিক মানুষ তো কবেই সভ্য হয়ে গেছে আর আপনারা পড়ে আছেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ডবকাছুকরি বলল ঝাঁট জ্বলে যায় পৌরাণিকাধুনিক যুগের এইসব কথা শুনে ওরে গাড়লঘিলু চুলেলছোকরা সভ্যই যদি হবি তো মহাপুরুষের বুকনি ফিরি করতে হচ্ছে কেন আমাদের দ্যাখ উত্তরঐতিহাসিক যুগের মানুষ কিচ্ছু ফিরি করি না কতো সুখে আছি সবাই মিলে ওই পক্ষের মানুষদের ধরি আর খাই এছাড়া আর কোনো আদর্শ নেই আমাদের দেখতেই পাচ্ছিস কতো ভালো আছি আমরা এর চেয়ে ভালো আর থাকা যায় নাকি শুনতে-শুনতে পালোয়ান-যুবক তাড়াতাড়ি ফিরে গিয়ে কোঁকড়াচুল-সুন্দরীমা আছে না চলে গেল দেখবে ভাবছিল চুলেলছোকরাকে দাঁড় করিয়ে একটা তালগাছের সঙ্গে ঠেসে ধরে চামড়ার দড়ি দিয়ে বাঁধতে বাঁধতে ফিসফিস করে বলল আমি তোমাকে পালাবার সুযোগ করে দেবো মাঝরাতে আজ হলে আজই তুমি তোমার সঙ্গে একজন কোঁকড়াচুল-যুবতীকে নিয়ে যাবে সে আমার সুন্দরীমা চুলেলছোকরা কেঁদে ফেলল সোনালিচুল ডবকাছুকরি পালোয়ান-যুবককে উড়ন্তচুমুর ধন্যবাদ জানিয়ে বলল ওকে তালগাছের গুঁড়িতে বেঁধে ফেলা হয়েছে এবার ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যাক কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশ-বিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরিরা চুলেলছোকরাকে কাছ থেকে খতিয়ে দেখল চুলেলছোকরার বুকের নাভির চুল নেমে এসে লিঙ্গ ঢেকে ফেলেছে ফিট্টমফিট পাহারাদাররা ঘাসের ওপর বসে পড়ল দেখে পালোয়ান-যুবক দৌড়োলো কোঁকড়াচুল-সুন্দরীমা আছে না চলে গেছে দেখতে ডবকাছুকরি বলল তা চুলেলছোকরা এবার বলো দিকিন তোমার আদর্শ জিনিসটা কি সেটাও কি চুলের অন্ধকারে ঢাকা কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশ-বিশ চাঙ্গাউরুৎ বন্ধুনিরা হ্যাহ্যা হিহি হোহো হেসে বলল আদর্শ হল বিভ্রম যা চুলে ঢাকা থাকে হ্যাহ্যা হিহি হোহো সোনালিচুল ডবকাছুকরি বলল যা বুঝছি আদর্শ হল পাগল হবার উপায় যা দিয়ে তুই ব্যাটা বিভ্রমে সন্ত্রাস ঘটাস তুই আসলে বাস্তব জগতকে ভালোবাসতে পারিসনি চুলেলছোকরা বলল আপনারা বোঝবার চেষ্টা করছেন না আদর্শ হল মানুষের ভালো করার মহৎ দূরদৃষ্টি কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশ-বিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরি শুনে বলল হ্যাহ্যা হিহি হোহো আর সেই দূরদৃষ্টি হল একখানা ঝুলন্ত রক্তিম মরীচিকা সোনালিচুল ডবকাছুকরি বলল তোর পরিবেশে অবস্হায় যা খাপ খেয়ে গেছে তাকেই সারা পৃথিবীতে আদর্শ বলে চালাবার চেষ্টা করছিস তোর সমস্যা কি জানিস তুই নিজে ওই ভুয়ো জিনিসটার জেলখানায় আটকে আছিস স্বপ্ন দেখছিস যে যেখানে ছিলিস সেখানকার ব্যবস্হা ভালো নয় বলে বিকল্প ব্যবস্হা ফিরি করে বেড়ালে স্বপ্নপূরণ হবে আর ওই স্বপ্ন দেখার ধান্দাতেই এখানে মরতে এসেছিস কিচ্ছু হবে না কিচ্ছু হবে না কিচ্ছু হবে না এই উত্তরঐতিহাসিক যুগে তারপর ফিট্টমফিট পাহারাদারদের দিকে চেয়ে বলল তোদের কাছে কাঁচি আছে তো এর যন্তরের আশেপাশের চুলগুলো ছেঁটে ফ্যাল নইলে কেমন করে কী করব আমরা সন্ধে হলে দেখতেই পাবো না এতোজন লাইন দিয়ে রয়েছে ডবকাছুকরির কথা শুনে একজন ফিট্টমফিট পাহারাদার হাড়ুহাজ-করা হাড়ের কাঁচি দিয়ে ছাঁটা আরম্ভ করল চুলেলছোকরার কুঁচকির জঙ্গল আর গোধূলীলগ্নে হাসিমুখে বেরিয়ে এলো যন্তরখানা কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশ-বিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরির মুখে হাসি ফোটালো একজন বলল এই তো একেই বলে আদর্শ সোনালিচুল ডবকাছুকরি পোশাক খুলে ঢলঢলে বুকে তপতপে গরম উরু চেপে চুলেলছোকরাকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে থাকার পর তার মানবতাবাদী শরীরে থিরথির করে প্রাণ ফিরে এলো তার জড়িয়ে ধরার ইচ্ছে করল অথচ দুহাত বাঁধা সোনালিচুল ডবকাছুকরি তাকে চুমু দিয়ে চেটে নিজেকে চেপে ধরল চুলেলছোকরার পেশি-দপদপে দেহে আর ইল্লি-গিল্লি করে কিছুক্ষণেই যুবকের উত্তেজনা ঝরিয়ে ফেলল নিজের ইল্লির গুহায় তার আঘাতে তালগাছটা পেছন দিকে সামান্য হেলে গেল হেলতে গিয়ে গাছের টঙে বাঁধা চামড়ার হাঁড়ি থেকে কিছুটা তাড়ি চলকে চুলেলছোকরার মাথায় পড়তে সে চেটে নিয়ে কিছুটা তেষ্টা মেটাল বাকিটা সোনালিচুল ডবকাছুকরি চেটে তেষ্টা মেটালো সোনালিচুল ডবকাছুকরির পর কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশ-বিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরিও পারাপারি করে একই কাজ শেষ করার পর তালগাছ আরও খানিকটা হেলে পড়ল তখন চুলেলছোকরার অবস্হা পচা ক্রুশবাঁশের মতন ঝুলে কাহিল তখন যেসব ঝক্কিমন্ত যুবতীরা লাইনে ছিল তারা মুখ দিয়ে বাকি কাজটা করল চুলেলছোকরা হেলে থাকা আশেপাশের তালগাছের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারল তালগাছগুলোকে কতো অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে হেলা তালগাছে হেলে থেকে চুলেলছোকরা বলল আপনারা রোজই যদি আমার সঙ্গে এই কম্মোটি করেন তাহলে আমি এই কাজকেই আদর্শ বলে মেনে নেবো তবুও যেহেতু দলবাজির আদেশ তাই আদর্শ ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি আপনাদের সোনালিচুল ডবকাছুকরি আর কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশ-বিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরি ক্লান্ত হয়ে ঘাসের ওপর বসলে তালগাছে বাঁধা চুলেলছোকরা আদর্শ বোঝাবার চেষ্টা করতে লাগলো অথচ হাত না নাড়িয়ে কেমন করে বোঝাবে কুলকিনারা পেলো না দলবাজির আদর্শ প্রচারের জন্যে নানাভাবে হাত নাড়ানো আঙুল তোলা জরুরি এদিকে তার টলমলে শরীর আর ঝিমঝিমে মগজ থেকে যে কী কথা বের হচ্ছিল তা সে নিজেই টের পাচ্ছিল না তবু ঘোরের মধ্যে বলে চলল সব দলবাজ ছোকরাই আদর্শ প্রচারের জন্যে বাড়ি থেকে বেরোয় কিন্তু চুল ছাঁটিয়ে এখন আমি যে পরমানন্দ ভোগ করলুম সেই আনন্দপ্রাপ্তির জন্য বিভোর হয়ে যায় আদর্শের নামে কুর্সি-হোলডাররা দলবাজির ছোকরাদের শোষণ করে তাদের মনে করে পুরুষবেশ্যা অথচ ন্যায্য দাম চোকায় না আদর্শ জিনিসটা যদিও দুঃসাহস দাবি করে আর তার প্রয়োগ হওয়া উচিত সৎ উপায়ে কিন্তু তা বুদ্ধির গোঁজামিলের খেলায় নিজের নিয়মপ্রণালী দিয়ে বেকুব বেনে যায় তার কারণ ভাবনার তীক্ষ্ণ দূরদৃষ্টির বদলে মগজের জটিল ছুঁচোবাজিতে আত্মহারা হয়ে যায় এটা মানুষকে আকৃষ্ট করে বটে অথচ সেই প্রক্রিয়ায় তাকে অংশ নিতে দেয় না আদর্শ হলো পরম দুর্ভাগ্য দানবিক পরগাছা স্হায়ী বিপদকাল যা সমস্ত ছোটোখাটো আনন্দকে সমূলে বিনাশ করে চুলেলছোকরা বজায় রাখে নিজের কাহিল-বকবক শুনতে শুনতে সোনালিচুল ডবকাছুকরি আর দশ-বিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরি বিরক্ত হয়ে উঠে পড়ল আর ফিট্টমফিট পাহারাদারদের একজনকে বলল এই তোর লুঙ্গিটা ওকে পরিয়ে দে নয়তো রাত্তিরে মশামাছির সমাবেশ এসে ওর যন্তর খেয়ে ফেললে অনেক লোকসান হয়ে যাবে একজন ফিট্টমফিট পাহারাদার নিজের লুঙ্গি খুলে পরিয়ে দিলে চুলেলছোকরাকে সেই পক্ষ ওই পক্ষ দুদিকেই যারা ন্যানো পুং নিয়ে জন্মায় তাদের ফিট্টমফিট পাহারাদারের কাজে লাগানো হয় ন্যানো পুং মানে যাদের গিল্লি দাঁড়ালে আধইঞ্চি বা বড়োজোর পৌনে-একইঞ্চি চুলেলছোকরাকে চামড়ার লুঙ্গি পরিয়ে দেবার পর সবাই বিদেয় হলেও চুলেলছোকরার মগজের মেশিন চলতেই থাকল বকবকিয়ে যেমন যেমন মানুষের বয়স বাড়ে সে তার আদর্শকে এমনভাবে অতিক্রম করে যে তা ধুলোয় মিশে চুরোচুরো হয়ে যায় আর যদি তার অন্য জীবন না থাকে তাহলে তাকে ওই ধুলোবালি থেকেই আবার নতুন করে গড়ে তুলতে হবে সেই ফাঁকে তার মনের মধ্যে অন্যকিছুর খোঁজ চলতে থাকবে সে বোকার মতন তার ভেঙে-পড়া স্বপ্নের ধুলোবালি ঘাঁটাঘাঁটি করবে এই ভেবে যে তা টুকরো-টাকরা আগুনের স্তুপ যেন সেখানে একটা অন্তত স্ফূলিঙ্গ পাওয়া যাবে তা সে কণামাত্র হোক না কেন চেষ্টা করবে আরেকবার দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠুক যাতে তার ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া রক্ত গরম হয়ে ওঠে আর তার আদর্শকে জাগিয়ে তোলে যে আদর্শকে সে কচি বয়স থেকে ভালোবেসেছিল যা তাকে ছুঁয়ে যেতো যা তার শিরায় শিরায় রক্তের সঙ্গে বইতো আর যা শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে চুলেলছোকরাকে তালগাছে বাঁধা দেখে ওর সামনে গোল করে সার দিয়ে মশা আর মাছিরা বসেছিল কিন্তু চুলেলছোকরার বকবকানির ফলে টের পাচ্ছিল যে মরা মানুষ নয় কিন্তু এর আগে এভাবে তালগাছে বাঁধা মানুষ অনেক সময়ে মরে গিয়ে মড়ার গন্ধ ছেড়েছে বলে অ্যানোফিলিস কিউলেক্স ইডিস বোরাচিণ্ডা লুটজিয়া ম্যানসোনিয়া হেমাগগাস সোরোফোরা ফিকালবিয়া মশারা আর নীলমাছি গুয়েমাছি কানামাছি ভনভনেমাছি কুকুরমাছি ইঁদুরমাছি পেঁকোমাছি অপেক্ষা করছিল যে কখন চুলেলছোকরার বক্তৃতা শেষ হবে আর মরে গিয়ে মাথা ঝুলিয়ে চুপ মেরে যাবে কোমর থেকে খসে যাবে চামড়ার লুঙ্গি আর ওরা ছিঁড়ে-ছিঁড়ে চুষে-চুষে লবলবালব খেতে পারবে কিন্তু চুলেলছোকরার মুখ বন্ধ হবার কোনো লক্ষণ নেই সে বলতেই থাকলো পৌরাণিকাধুনিক যুগের গাঁড়হাভাতে মানুষদের কী এমন ছিল যা আমরা হারিয়ে ফেলেছি হ্যাঁ আমরা হারিয়ে ফেলেছি আত্মবিশ্বাস আদর্শ উত্তাপ স্বাতন্ত্র্যবোধ তুমি তোমার আদর্শকে কখনও প্রত্যাশায় পালটে ফেলো না যতো আদর্শবাদী ছিল সবাই নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে তার কারণ তারা মানুষের গাদাগাদি ঠেলাঠেলি সামলাতে পারেনি তারা নিজেদের আদর্শবাদী ঠাওরালেও তাদের পোঁদে লড়বার দম ছিল না তাই লড়াইটাকেই ভেবে বসেছে মামুলি ইতর সাধারণ প্রচলিত অমার্জিত অসূক্ষ্ম তারা সবাই ছিল চপল আর দাম্ভিক আদর্শ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পরমুহূর্তে মানুষ খিটখিটে হয়ে যায় ফোঁপরা হয়ে যায় লোভী হয়ে যায় সে নিজে তা বুঝুক বা না বুঝুক যেমন আমার সঙ্গে কিছুক্ষণ আগে মহিলারা যা করে গেলেন আমার আদর্শকে চুষে বের করে নিয়ে গেছেন আমার সেই মহিলাদের কাজ ভালো লেগে গেছে আমি আর আদর্শবাদী থাকতে পারবো না একদল চিরকাল মনে করে অন্য দলটা খারাপ একের আদর্শ অন্যের আদর্শের চেয়ে উন্নত আদর্শবাদ তো স্রেফ একটা ভাঁওতা যে ধারণার বনেদ হল কোনো এক অভিপ্রায় আর সেই অভিপ্রায়টি যে ঠিক কী তা কেউই জানতে পারে না শুধু এটুকু জানে যে তা অবাস্তব কল্পনা থেকে পয়দা হয়েছে পৃথিবীকে নিখুঁত করে তোলার স্বপ্ন থেকে জন্মেছে আসলে আদর্শবাদী মানুষ তার ধারণার সীমা ঠাহর করতে না পেরে যাদের তার সঙ্গে মতের মিল নেই তাদের কচুকাটা করতে থাকে এক জায়গা থেকে তুলে আরেক জায়গায় চালান করে দ্যায় ভাবে যে বাস্তব জগতটাকে তার ঘোলাটে কল্পনার দেশে নিয়ে গিয়ে পুঁতে দেবে আদর্শবাদীদের ছেলেপুলেরা শেষ পর্যন্ত অবহেলিত পাগল হয় আদর্শবাদীরা নিজেরা হয়ে যায় জল্লাদ যতো গোঁড়া আদর্শ ততো পচনের অবিশুদ্ধতার কলুষের দূষণের বিকৃতির ঘুষের রমরমা আদর্শ হল দখলপ্রক্রিয়া অন্যের মগজ দখল অন্যের জীবন দখল অন্যের স্বাধীনতা দখল অন্যের অস্তিত্ব দখল অন্যের বৈভব দখল চুলেলছোকরার গালে একটা হাড়গিলে হাতের জবর চড় পড়তে মুখ বন্ধ করে কাউকে দেখতে পেলো না শুধু একটা বিশাল হাত লতিয়ে এসেছে বাঁশবনের দিক থেকে চড় মারা হাতটার মালিককে দেখতে পাচ্ছিল না চুলেলছোকরা কিন্তু তার গমগমে কন্ঠস্বর শুনতে পেলো শালা কুত্তির বাচ্চা তখন থেকে বকবক করে যাচ্ছিস একটু শান্তিতে থাকতে দিবি তা নয় আমরা মরে গেছি বলে ক্রুশবাঁশে বাঁধা আছি বলে আমাদের কি জীবন নেই আমাদের কি ঠায় বাঁধা অবস্হায় গা ব্যথা করে না ভাবছিস কবে শুকোবো কবে হাড় বেরিয়ে পড়বে কবে করোটি ঘাসের ওপর দড়াম করে পড়ে আমাদের মুক্তি দেবে তা কি আদর্শের ব্যাপার নয় সেই থেকে তোর ভ্যাজর ভ্যাজর শুনছি আমরা চুলেলছোকরা একফালি চাঁদের আলোয় তাকিয়ে দেখলো বিশাল একটা হাত এগিয়ে এসেছে বাঁশবনের ক্যাম্পাস থেকে আর তার সামনে তর্জনী নেড়ে-নেড়ে বকুনি দিচ্ছে দেখতে পেলো আরও গোটা দশেক হাড়গিলে হাড়ে মাংস লাগা হাত তার দিকে এগিয়ে এলো আর যে তালগাছে সে বাঁধা ছিল হাতগুলো সেই তালগাছকে উপড়ে তাকে বাঁশবনের ক্যাম্পাসে নিয়ে গিয়ে শেকড়সুদ্দু পুঁতে দিল চুলেলছোকরা দেখতে পেলো তার চারিধারে কাঁচা পাকা শুকনো ক্রুশবাঁশের টঙে গজাল দিয়ে ঠোকা পচা আধপচা কঙ্কাল মানুষ কারোর করোটি নেই কারোর কোমর থেকে হাড়ের ঠ্যাং খসে পড়েছে অথচ আকাশ থেকে নক্ষত্রগুলো ঝরে ঝরে তাদের শরীরে আটকে এমন করে তুলেছে যে বাঁশবনের অন্ধকারেও তাদের ঝিলমিলে আদল দেখা যাচ্ছে একটা কঙ্কালের হাত এগিয়ে এসে তার অন্য গালে কষে চড় মেরে বলল এতোক্ষণ যেমন আদর্শ নিয়ে কপচাচ্ছিলিস এবার মৃত্যু নিয়ে কপচা দিকিনি আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না আমরা মরে গেছি না বাঁচা-মরার মাঝে লটকে আছি চুলেলছোকরা মনে মনে ভাবল এই সেরেছে দলবাজির ট্রেনিঙের সময়ে আমাকে তো নিজেরা মরে যাবার ব্যাপার নিয়ে কিছুই বলা হয়নি তবে জানি যে তোলা আদায় করতে গিয়ে অনেকসময়ে ত্যাঁদোড় লোকেদের পিটিয়ে মেরে ফেলতে হয়েছে যারা আমাদের কথা মেনে নেয়নি তাদের সাবড়ে দেয়া হয়েছে তাদের খেতের ধান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ওয়ানশটার দিয়ে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে এই মড়াকান্তি পচার দল কি সেসব আদৌ বুঝবে যাকগে দলবাজি করে অন্তত কপচানি রপ্ত করে ফেলেছি কপচাই না হয় মৃত্যু নিয়ে চুলেলছোকরা বলতেই যাচ্ছিল হঠাৎ গম্ভীর স্বরে ক্রুশবাঁশে লটকানো একজন জাঁদরেল আধপচা পুরুষ বলে উঠল আমার গিল্লির ভেতরে যে ছয় ইঞ্চির কোলাপসিবল হাড় ছিল সেটা কোথায় গেল তার কথা শুনে অন্য মড়াপুরুষরাও একই প্রশ্ন তুলল হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা যখন বেঁচে ছিলুম তখন উত্তেজিত হলে আমাদের গিল্লির ভেতরে পাঁচ-ছয়-সাত ইঞ্চির হাড় ফনফনিয়ে উঠতো সেটা কোথায় গেল আমাদের কারোর দেহেই তা দেখা যাচ্ছে না দিনের বেলা ঘাসের দিকে তাকিয়ে দিনের পর দিন খুঁজেও তেমন কোনো হাড় যে খসে পড়েছে তাও তো দেখতে পাইনি তাদের কথার সঙ্গে তাল দিয়ে ঝক্কিমন্ত মহিলা কন্ঠস্বরের মড়ানিরা জিগ্যেস করল ঠিকই তো তোমরা যখন বেঁচে ছিলে আর আমাদের ইল্লিকে আনন্দে আত্মহারা করতে তখন তো তোমাদের গিল্লির ভেতরে হাড় গজিয়ে উঠতো এখন তো দেখছি সেই জায়গাটা তোমাদের আর আমাদের প্রায় একই হায় রে হায় এ কি অলুক্ষুণে ব্যাপার মরে যাবার পর নারী-পুরুষের সাম্য দেখতে হচ্ছে গো এই ছোঁড়া তুই তো বেশ জ্ঞানী বলে মনে হচ্ছে বল দিকিনি মরার সঙ্গে সঙ্গে সেই হাড়টা কোথায় লোপাট হয়ে গেছে চুলেলছোকরা বলা আরম্ভ করল স্যার ওটা তো হাড় ছিল না ওটাকে পৌরাণিকাধুনিক যুগে বলা হতো প্রেমের বাঁশি সেই বাঁশিও মরে যায় যখন প্রেম মরে যায় মানুষ বুঝতে পারে না যে তার প্রেম মরে গেলে সে কেমন করে প্রেমের বাঁশির হাড় ফেরত পাবে ভুলবোঝাবুঝি বিশ্বাসঘাতকতা ক্লান্তি উদাসীনতা আর অন্ধপ্রেমের কারণেও ওটা অদৃশ্য হয়ে যায় ওটা হলো কঠিন জিনিস দিয়ে তৈরি এক ধরণের আলো সেই আলো যতো দিন জ্বালিয়ে রাখতে পারবেন ততোদিন হাড়টা যখন ইচ্ছে গড়ে নিতে পারবেন গুটিয়ে নিতে পারবেন ওই হাড় হলো ভালোবাসার আলো আপনারা যাকে বা যাদের ভালোবেসেছেন তাকে বা তাদের ওই আলো একটু একটু করে দিয়ে হাড়টা ক্ষইয়ে ফেলেছেন ওই হাড়ের ভেতরে আপনাদের হৃদয়ের ঢিপঢিপাঢিপ ঢিপঢিপাঢিপ ধুকপুকুনি ছিল আর সেই ধুকপুকুনির সঙ্গে আপনার প্রেমিকার টুনটুনুনি ঝিংকিচিকিং ঝিংকিচিকিং ঝিংকিচিকিং মিশিয়ে আপনারা হাড়টাকে আবার হৃদয়ের খোপে পুরে নিতেন এই যে খোপে পুরে নেয়া আর বের করা এই প্রক্রিয়ায় হাড়েরও বয়স হয় হাড়ও ক্রমশ খোপ থেকে আর বেরোতে চায় না আপনাদের হাড় ঠিকই বজায় আছে আপনাদের হৃদয়ের খোপে শুনতে শুনতে ক্রুশবাঁশে লটকানো এক গাঁড়হাভাতে মড়াকঙ্কাল কাঁদতে আরম্ভ করল বলতে লাগল আমি ওই পক্ষের কারুর সঙ্গে প্রেম করতে পারিনি আমাদের সময়ের সাড়ে পাঁচফিটের একনায়ক মোড়লচিফ সব সময় নিজের বেজন্মা ছেলেদের ওয়েটিং লিস্টে ওপরের দিকে রাখতো কেননা রাতের বেলায় ছেলেদের বদলে সে নিজেই চার হাতপা বাঁধা ওই পক্ষের মেয়েদের সঙ্গে ইল্লিতে গিল্লি করতো ওই তো ওই ব্যাটা যার করোটি খসে পড়ে গেছে কয়েক বছরের আগের ঝড়ে অথচ ওর গিল্লির হাড় তিন ইঞ্চিরও কম ছিল বেঁচে গেছে ব্যাটা ছেলেদের দৌলতে ছেলেগুলোর ছয় ইঞ্চি সাত ইঞ্চির হাড় ছিল ক্রুশবাঁশে লটকানো দুজন আধপচা মড়া একই সঙ্গে বলে উঠল হ্যাঁহ্যাঁ ঠিকই বলেছ আংকেল বাবার ন্যানোনুনু ছিল তাই আমরা সুযোগ পেতুম বাবা তো বুঝতেই পরতো না কোথায় গেল বা গেল কিনা আমরাই আবার নিজেদের কাছে এনে বাকি কাজটা পুরো করতুম তবে বাবা তাদের চামড়া ছাড়াতে ওস্তাদ ছিল যে-রাতে শুলো তার পরের সকালেই চামড়ার গামলায় দাঁড় করিয়ে লেগে যেত চামড়া ছাড়ানোর কাজে আর আমরা অপেক্ষায় থাকতুম কখন অলিভতেলে লাবিয়াফ্রাই খাবো সে খাওয়া প্রেম করার চেয়েও মন বেশি করে ভরিয়ে দিতো আহা বেঁচে থাকার সেই দিনগুলো মনে পড়লে বড়োই কষ্ট হয় চুলেলছোকরা বলল আপনারা ওখান থেকে আমায় উপড়ে নিয়ে এলেন মৃত্যু সম্পর্কে জানার জন্য আর এখন আলাদা প্রসঙ্গে চলে যাচ্ছেন ফলে মনে যা আসছে তা আবার প্রেমের হাড়ের মতন গুটিয়ে যাচ্ছে ক্রুশবাঁশে লটকানো মড়ারা আর মড়ানিরা একযোগে বলে উঠল আচ্ছা বলবল বল বল আর বাধা দেবো না চুলেলছোকরা আরম্ভ করতেই যাচ্ছিল একজন গাঁড়হাভাতে কঙ্কালমড়া যার করোটি ঝুলে পড়েছে কয়েকদিনেই ঝরে পড়বে ঘাসে সে বলে উঠল আমি মরে গেছি কিন্তু আমার মনে হয় আমার ইল্লিতে গিল্লির কোটা বেঁচে থাকার সময়ে পুরো হয়নি মৃত্যু আমার সঙ্গে জোচ্চুরি করেছে চুলেলছোকরা বলল কী আর করবেন বলুন আপনারা তো আপনাদের সংস্কৃতিতে আবার জন্মাবার প্রথা রাখেননি কিংবা আত্মঘাতী হয়ে স্বর্গে গিয়ে বাহাত্তরজন কুমারীর সঙ্গে ইল্লিতে গিল্লির নিয়ম তৈরি করেননি ক্রুশবাঁশে ঝোলাই ভবিতব্য জীবনে যা পেয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন আমাকেই দেখুন না এখানে এসেছিলুম দলবাজির উদ্দেশে মানুষের ভালো করার কাজে কিন্তু আমার শরীরের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা হলো যে এখন মনে হচ্ছে বেঁচে থাকার সেটাই একমাত্র আদর্শ নয়তো মরে গিয়ে আমাকেও আপনার মতন আপশোষ করতে হতো কে জানে কালকেই হয়তো আমার চামড়া ছাড়িয়ে তারাই খাবে যারা আমার সঙ্গে ইল্লিগিল্লি করল আমার গিল্লির কাঠিকাবাব খাবে বলে তারা লালায়িত ক্রুশবাঁশে লটকানো সদ্যমরা ঝক্কিমন্ত এক মহিলা বলল তাই বলে মরার জন্য এপিটাফ লিখোনা যেনো কেননা ভাষা নিজেই মরে যায় আর তুমি ভাষার তলায় চাপা পড়ে যাবে তার চেয়ে তোমার মাংস খেয়ে অনেকে তোমাকে বাঁচিয়ে রাখবে সেটাই ভালো তাদের ভাষা বংশ পরম্পরায় নতুন হতে থাকবে আর তুমিও তাদের বেজন্মা ছেলেপুলে নাতিনাতনির ভাষার ভেতর দিয়ে অনন্তকাল বেঁচে থাকবে আরেকজন কঙ্কালমড়া যার হাড়ের বেশিরভাগই পড়ে গেছে শুধু করোটি ঝুলে আছে সে কেঁদেকেঁদে বলল আমার তো ন্যানোনুনু ছিল বলে সারাজীবন ফিট্টমফিট পাহারাদার করে রাখলে চার হাতপা বাঁধা ওই পক্ষের একজনের সঙ্গে লুকিয়ে এক ফাঁকে সম্পর্ক গড়তে গিয়েছিলুম তা সে বলেছিল কি জিনিস নিয়ে জন্মেছো বাপু ঘুম ভাঙিয়ে যদি ইল্লিতে গিল্লি করতেই এলে তাহলে বরং আমার বাঁধন খুলে দাও পালাবার আগে তোমাকে দেখিয়ে যাই কি করে কি করতে হয় যেই তার বাঁধন খুলেছি সে এই বাঁশবনের ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে নিজেদের এলাকায় দেদ্দৌড় এতোদিন কাউকে বলিনি মনের দুঃখে তোমাকেই বললুম ভার লাঘব হলো এতোদিন ধরে ভাবছিলুম কাকে বলি তা তুমি তো শুনছি ওই পক্ষের নও তাই তোমাকেই বললুম কী দুঃখের জীবন ছিল বলো সারাজীবনে একবারও সঙ্গম করার সুযোগ পেলুম না আর ওই ব্যাটা যেটার ক্রুশবাঁশও পচতে চলেছে কঙ্কালসুদ্দু আছড়ে পড়বে আগামী ঝড়ে ওই ব্যাটা মোড়লচিফ হয়ে কুড়ি হাজার বারের চেয়েও বেশি মেয়েদের সামনে থেকে আর আড়াই হাজারবার ছেলেদের পেছন থেকে করেছে ছি ছি ছি ছি চুলেলছোকরা বলল আপনি আত্মহত্যা করলেই পারতেন ফিট্টমফিট পাহারাদারের করোটি বলল তা করলে তো আমায় ক্রুশবাঁশে ঝোলানো থেকে বঞ্চিত করে মশা-মাছিদের খেতে দিয়ে দিতো চুলেলছোকরা বলল মৃত্যু হল শিল্প তাই শিল্পের মৃত্যুর মাধ্যমে আপনি মৃত্যুর উৎসবে নাচন-কোদন করে মৃত্যুকে তার পাওনা মিটিয়ে দিতে বাধ্য হন সকলেই স্মৃতি হবার আশায় মরে যেতে চায় তবে মনে রাখবেন অন্যের আদর্শের জন্যে মরাকে মৃত্যু বলা হয় না তেমনই এক সঙ্গে দলবেঁধে মরাকেও মৃত্যু বলা যায় না তা হল আদর্শতাড়িত সমবেত পক্ষাঘাত মৃত্যুবোধ মানুষকে স্বার্থপর করে তোলে কেননা প্রতিটি জীবন্ত মাংস একদিন না একদিন মরবেই আপনি যদি ভাবেন যে অন্যের জন্যে প্রাণ দিচ্ছেন তাহলে আপনার মতন মূর্খ আর দ্বিতীয়টি নেই একজন মানুষের মরাটা ট্র্যাজেডি কিন্তু হাজার হাজার মানুষের একসঙ্গে মরার ব্যাপারটা নিছকই একটা সংখ্যা আপনি আপনাদের দেহের সঙ্গে যে সমস্ত গল্প বেঁচে থাকার সময়ে বয়ে বেড়ান তার মৃত্যু অবধারিত বেঁচে থাকার সময়ে আমরা কেউই গুনি না যে কতোবার কতোজনের সঙ্গে সঙ্গম করেছি আপনি আপনার সেই দেহের জন্যেই মারা যান কোনো উদ্দেশ্য আদর্শ দুঃখ ব্যর্থপ্রেম বা ঋণখেলাপির জন্য নয় যারা নরক আর স্বর্গে বিশ্বাস করে তারা মরে যাবার পর টের পায় তেমন কোনো এলাকা আদপে নেই মরে যাবার পর যদি মানুষটা জানতেই না পারলো যে তার শবের পেছন পেছন হাজার হাজার মানুষ কাঁদতে-কাঁদতে গাইতে-গাইতে গিয়েছিল তাহলে তার মরার সঙ্গে বাঁশবনের ক্যাম্পাসে ক্রুশবাঁশে লটকে থাকার কোনো পার্থক্য নেই ঘাসের ওপরে পড়ে থাকা কয়েকটা করোটি লাফিয়ে লাফিয়ে একে আরেকের সঙ্গে করোটি ঠুকে ঠকাং ঠকাং হেসে হেসে বলল ঠিকই বলেছো হে ছোকরা আমরা ক্রুশবাঁশ থেকে ঝরে ঝরে পড়ার পরও কেউ ভুত প্রেত শাঁকচুন্নি পেতনি হইনা মাটিতে পড়ার আগে মাছি আর মশার পেটে যাই আর পড়ার পর মাটির সঙ্গে মিশে ঘাস হই এমনকি পৌরাণিকাধুনিক যুগে হাতি শিম্পাঞ্জি বাদুড় টিয়াপাখি বেবুন জংলি-শুয়োর সেই মাটি খেয়ে নিজেদের শরীর থেকে অধিবিষ বের করতো এই দ্যাখো চারিদিকে তারা কতো রকমের রঙে হেগে গিয়েছিল সব আজ ফসিল বছর কয়েকের মধ্যেই প্রত্নত্ত্ববিদরা এসে ফসিলগু দেখে জানাবেন যে তা কোন ডায়নোসরের ডিম ছিল এখন পাথর হয়ে গেছে চুলেলছোকরা প্রত্যুত্তরে বলল আজ্ঞে হ্যাঁ মানুষও এতো রকমের রঙে হাগতে পারে না তা সে মানুষ মহাপুরুষ হোক আদিপুরুষ হোক গদিপুরুষ হোক পেঁকোপুরুষ হোক চোরপুরুষ হোক নেতাপুরুষ হোক গুণ্ডাপুরুষ হোক প্রেমিকপুরুষ হোক হঠাৎ একজন নাকচ্যাপ্টা হলদেটে মড়াকান্তি মানুষ চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগল আমিই সবচে মহান মোড়লচিফ আমি সাড়ে ছয় কোটি মানুষকে সাফাচট করেছিলুম বিপ্লব কোনো রাত্রিভোজ নয় বিপ্লব হলো দ্রোহের জাগরণ বিপ্লব কোনো রাত্রিভোজ নয় বিপ্লব হল দ্রোহের জাগরণ বিপ্লব কোনো রাত্রিভোজ নয় বিপ্লব হলো দ্রোহের জাগরণ জোরে জোরে চেঁচাবার ফলে তার হলদেটে নাক খসে পড়ে গেল আর নাকি সুরে একই কথা বলতে লাগল রাত্রিভোজ শোনাচ্ছিল রাঁড়ের ভোজ আরেকজন কোতলকান্ত টাকমাথা চুটকিদাড়ি চেঁচিয়ে বলতে লাগল কোন শালা আমার চেয়ে বড়ো মোড়লচিফ হয়েছে আমি চমকচাঁদু রাজারাজড়া বাবাপুরুত আর গিল্লিটেঁটিয়াদের লাথিয়ে হাপিশ করেছিলুম বলেছিলুম আমায় একটা যুবক প্রজন্ম দাও আমি সারা পৃথিবী পালটে দেবো আমাকে একটা যুবক প্রজন্ম দাও আমি সারা পৃথিবী পালটে দেবো ইতিহাসের পোঁদে লাথি না মারলে এগোয় না ইতিহাসের পোঁদে লাথি না মারলে এগোয় না এতো জোরে চেঁচাচ্ছিল যে কেউই শুনতে পাচ্ছিল না তবু একজন টিঙটিঙে পচনবান্ধব মড়াকান্তি বলে উঠল তা পৃথিবীটা বদলে হলটাই বা কি সে তো পৌরাণিকাধুনিক যুগের কুকুরের ল্যাজ আবার যে কে সেই পাকিয়ে পাইকপাড়া মাঝখান থেকে মড়ার পর মড়া মড়ার পর মড়ার নথির লটবহর আরেকজন যার গা থেকে চামড়ার পোশাক খোলা হয়নি চেঁচাতে লাগল কৃতজ্ঞতা হলো এমন অসুখ যে রোগে কুকুরেরা ভোগে চেঁচাতে চেঁচাতে তার গোঁফ খসে পড়ে গেল বেঁটেখাটো হলদেটে আধবোজা-চোখ একজন ঘ্যানঘ্যানানির মতন করে বলতে লাগল দারিদ্র্যকে সমাজবাদ বলে না বড়োলোক হওয়াটা যশোদায়ক দারিদ্র্যকে সমাজবাদ বলে না বড়োলোক হওয়াটা যশোদায়ক বাঁশবনের ক্যাম্পাসে ঘাসে পড়ে থাকা করোটিগুলো চুলেলছোকরার পায়ের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল তোমার জ্ঞান তো দেখছি অঢেল এবার একটু ইল্লিতে গিল্লি নিয়ে বলো দিকিন মানে ওই আরকি দুজনে চাদরের তলায় ঘাসে তালপাতার চাটাইয়ে শুয়ে যা করে কিংবা তালগাছের গুঁড়িতে বেঁধে যা করে কিংবা চার হাতপা বেঁধে যা করে সামনে দিক থেকে পেছন দিক থেকে যা করে একটা করোটি বলল আমার এককালে ঢলঢলে বুদ্ধিদীপ্ত বুক ছিল চুলের রঙ আগুনের রঙে রাঙিয়ে রাখতুম কতো ছোকরা যুবক মদ্দামরদ আদ্দামড়ামরদ পাকতাড়ুয়ামরদ আমার সঙ্গে শুয়ে পুড়ে মরেছে কিন্তু তেমন রহস্য তৈরি করতে পারেনি তুমি একটু উপদেশ দাও তো তাহলে যারা বাঁশবনের মিউজিয়ামে আসে তাদের জ্ঞান দিতে পারবো চুলেলছোকরা বলল কাম-বাসনা-লালসাকে আবেগের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না রতিকর্মকে আকাঙ্খার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না যৌনতাকে খামখেয়াল ব্যক্তিগত-বাঁধন গভীর সম্পর্কের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না যৌনতায় থাকা দরকার বিস্ময়ের বুনন ক্ষণে-ক্ষণে তনুকৃত আঙ্গিকের রূপান্তর যা কামোদ্দীপনার উপাদান যৌনক্ষমতার উৎস হল কৌতূহল একঘেয়েমি যৌনতাকে শেষ করে ফ্যালে তাই প্রেমিক-প্রেমিকাকে খুঁজে নিতে হবে আবিষ্কার করতে হবে মেজাজ যৌনতার সঙ্গে মেশাতে হবে অশ্রু খিলখিলে হাসি কাতুকুতুর দেদোল মানেহীন কথা ঈর্ষা ভয় গালগল্প কল্পনার উড়াল প্রতিশ্রুতি মাদক সঙ্গীত নাচ মদ ঘাম গন্ধ মন ভরে গেলে এঁটুলির মতন আঁকড়ে থাকার দরকার নেই হারেম পালটে ফেলতে হবে বিশেষ করে মেয়েরা যতো তাড়াতাড়ি পারবেন সাধুপুরুষ পালটে ফেলবেন লুচ্চাপুরুষ খুঁজবেন যাতে অবিরাম গন্ধের চুলের ত্বকের ঘামের পেশিশক্তির আলিঙ্গন-ক্ষমতার ঠোঁটের লালার দেহতাপের রদবদল হতে থাকে নয়তো নির্ণয় নিতে গিয়ে যৌবন ফুরিয়ে যেতে পারে মনে রাখতে হবে ইল্লিগিল্লি হলো স্বেচ্ছাচারিতার শিল্প প্রত্যেক প্রেমিক বা প্রেমিকা তার নিজস্ব যৌনমগজের প্রতিনিধি জীবন গুটিয়ে যায় আবার ফেঁপে ফুলে ওঠে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় ইল্লিগিল্লি মরে যায় যৌনতা হবে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠাহীন আপনার শরীর নিয়ে নিরীক্ষা করার অধিকার আপনার আছে মনে রাখবেন যৌনকর্মীরা চিরকাল ভার্জিন হয় তাই আপনি বারবার বিস্ময়কে খুঁজতে যান আর বিস্ময় আপনার হাতছাড়া হয়ে যায় যৌনতায় রয়েছে অনন্ত পরিসর অনন্ত মর্মার্থ অনন্ত ঘাতমাত্রা আপনার মধ্যে তরল আগুনের প্রয়োজন যা দিয়ে আপনি আপনার ইল্লিউলি বা গিল্লিঅলাকে পুড়িয়ে মারতে পারবেন আপনাকে আপনার কল্পনা আর মগজের দানবদের দিয়ে চালিত হতে হবে ইল্লি ও গিল্লি হলো একটি সঙ্গীতযন্ত্র আপনি যদি তা বাজানো বন্ধ করেন তবে দুর্ভোগে ভোগেন তার কারণ দুটি বিপরীত সত্য এক জায়গায় এসে পরস্পরকে আঘাত করে একই সময়ে অনেকের সঙ্গে ইল্লিগিল্লি করে যেতে হবে তাহলেই আপনি আগুনটা জিইয়ে রাখতে পারবেন দেহে আছে অজস্র জায়গা যাকে জাগিয়ে তুলতে জানতে হবে তাহলেই তার তেষ্টা মিটবে দেহ কখনও বিশ্বস্ত হতে পারে না আপনি চাইলেও সে আপনার সঙ্গে ছলনা করতে থাকবে আপনি তাকে বাগে আনতে গিয়ে উন্মাদনায় আক্রান্ত হবেন আপনি নায়ক বা নায়িকার মতন ক্যাবলা-কেবলি হলে ইল্লিগিল্লিরস উবে যাবে কেননা ইল্লিগিল্লি-খেলা চায় খলনায়ক বা খলনায়িকা আত্মার আত্মীয় নয় নিখুঁত ইল্লিগিল্লি বা নিখুঁত ইল্লিউলি-গিল্লিঅলা বলে কিছু হয় না সুন্দর বা সুন্দরী হবার প্রয়োজন হয় না ইল্লিগিল্লি হলো অভিজ্ঞতা প্রতিবার নতুন অভিজ্ঞতা সবচেয়ে সভ্য আনন্দ হলো কুড়ি-পঁচিশজন যুবক-যুবতী মিলে পানোন্মত্ত অবস্হায় হইচই করতে করতে যাকে পাওয়া যায় তার সঙ্গে তক্ষুনি ইল্লিগিল্লি করা যৌনতাকে উৎসবের স্তরে নিয়ে যেতে হবে অমন করলে আপনার মধ্যেকার আদি সৃজনীশক্তিকে উচ্ছৃঙ্খল রূপ দিতে পারবেন মনে রাখবেন যে যা নিষিদ্ধ তা আপনাকে বন্ধন থেকে ছাড়া পাবার উৎসাহ যোগায় তাই কোনো নিষেধ শুনবেন না অবজ্ঞা করবেন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবেন কেননা আপনি ইল্লি ও গিল্লিকে বানমাছের মতন দিব্যধাম করে তোলেন ব্যূহকে সৌষ্ঠবে অলঙ্কৃত করে তোলেন দুটো শরীর বিপথে যাচ্ছে যাক তাতে কার বাপের কি এসে যায় ধ্বংস তো হতেই হবে একদিন না একদিন তার আগে জীবনকে পুরোপুরি বেঁচে নিতে হবে চুলেলছোকরার কথা থামিয়ে একজন মড়াকান্তি মাংসঝরা হাড় বেরোনো ঝক্কিমন্ত বউ বলল আমরা চেষ্টা করেছিলুম ধরে আনা পুরুষের গিল্লির কাঠিকাবাব না বানিয়ে তাকে কেটে নিয়ে জীবন্ত করে রাখা যায় কিনা যাতে বড়ো মাপের পেলে তাকে জীবন্ত করে রেখে যার যখন প্রয়োজন ব্যবহার করতে পারে জিনিসটা নিজেই ভেতরে গিয়ে থিথিরিয়ে কাঁপবে আর টুনটুনিয়ে ঝিংকিচিকিং ঝিংকিচিকিং ঝিংকিচিকিং আনন্দ দেবে কিন্তু আমাদের টেবিলঘরের জ্ঞানী-বিজ্ঞানী-দার্শনিক-শিল্পীরা প্রচুর পাদাপাদি করেও জিনিসটা জীবন্ত করে রাখার রসায়ন বা প্রক্রিয়া বের করতে পারলেন না যদি বের করতে পারতেন তাহলে ধরে আনা পুরুষের টাটকা মাংসও খাওয়া হতো আর সেই সঙ্গে তার গিল্লি যন্তরটাকেও অমরত্ব দেয়া যেতো শুনেছি পৌরাণিকাধুনিক যুগের ইল্লিউলিরা অমনভাবে গিল্লিযন্তর জিইয়ে রাখার জলপড়া-বাটিচালানো আবিষ্কার করেছিলেন ওনাদের গিল্লিঅলা মরে গেলে ওনারা কান্নাকাটি না করে জলপড়া দিয়ে গিল্লিযন্তরটা কেটে রেখে নিতেন সময় তো এমন ব্যাপার যে নিজেই গলে-গলে চুইয়ে পড়ে অমন একটা গিল্লিযন্তর হাতে থাকলে খোলাখুলি সৎ থাকতে পারবে মেয়েদের আর পুরুষদের জোচ্চুরি সামলাতে হবে না স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবের পার্থক্য ঘুচে যাবে পাগলামির সঙ্গে মিশে যাবে পার্থিব একঘেয়েমি মেয়েরা নিজেদের শরীরকে পুরো স্বাধীনতা দিতে পারবে যে পুরুষরা পুরুষদের ভালোবাসে তাদেরও ওটা কাজে লাগতো তুমি জানো নাকি কোনো টোটকা চুলেলছোকরা বলল আজ্ঞে আমি তো সংস্কৃত বা আরবি বা ফারসি বা লাতিন কোনো ভাষারই জলপড়া-বাটিচালানো জানি না নয়তো আমার গিল্লি যখন কেটে নেয়া হবে তখন ওটাকে অন্তত অনন্তকাল জিইয়ে রাখতে পারতুম আমি না থাকলেও আমার শৌর্যবীর্য তো অমর হয়ে থাকতো তবে আমাদের দেশে ব্যাটারিচালিত ভাইব্রেটর পাওয়া যায় যা অনেকটা আপনার চাহিদার সঙ্গে মেলে আগে যদি জানতুম এখানে ভাইব্রেটরের ভালো বাজার আছে তাহলে সঙ্গে আনতুম তাতে আমার আদর্শপ্রচারে সুবিধা হতো আপনারা এক কাজ করতে পারেন এতো মানুষ ভাগাড়স্হ করছেন তাদের চামড়া থেকে ডিলডো বানিয়ে নিতে পারতেন পুরুষসঙ্গীর অভাবে দুপুরবেলায় বা রাতে শুতে যাবার আগে ডিলডো নিয়ে ইল্লিতে দিলে ভালো ঘুম হতো চুলেলছোকরার কথা বন্ধ হয়ে গেল ওই পারের একনায়ক মোড়লচিফের চিৎকার করে বলা কথায় মোড়লচিফ চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো কোথ্থেকে ওরা একটা চুলেলছোকরাকে পাকড়াও করেছে সে ব্যাটা আমাদের পক্ষের নয় অথচ জ্ঞান দিয়ে চলেছে বাঁশবনের মড়া আর মড়ানিদের ব্যাটা জানেই না যে অমন একটা পোর্টেবল যন্তর থাকলে দুই পক্ষেরই কতো ক্ষতি হতো মানুষ ধরার জন্যে যে অস্ত্র আমার পক্ষের মেয়েরা আর সমকামী ছেলেরা প্রয়োগ করে তার নাম প্রলুব্ধ করা মোহিনীশক্তির জাল বিছিয়ে মানুষ-মানুষী ধরা সন্মোহনের ডাক দিয়ে ফাঁদে ফেলে ধরে আনা এখনও তোদের পক্ষের গোটা পঁচিশেক যুবক-যুবতী ধরা আছে আমাদের পিঁজরেপোলের স্টকে কালকেই একটাকে খাওয়া হবে মেয়ে ফাঁসাবার ধান্দায় নিজেই ফেঁসে গেছে নব্বুই কিলোর মালটা মানুষ চরিত্র নিয়ে জন্মায় ভ্রষ্ট হবার জন্য বিপথে যাবার জন্যে মোহিনীশক্তি হলো পৃথিবীর আসল শিল্পকৌশল তা আকাঙ্খাকে মুক্তির এলাকায় নিয়ে গিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে দেয় প্রলুব্ধ করার মোহিনীশক্তি প্রকৃতির ব্যাপার নয় তা শিল্পকৌশলের ব্যাপার যা দিয়ে যাবতীয় শুভশৃঙ্খলাকে ধ্বংস করা যায় কিন্তু মোহিনীশক্তির প্রলুব্ধ করার ক্ষমতার সঙ্গে নারীত্বকে বা সমকামীর পেলবত্বকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না প্রলুব্ধ করায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল বহিরঙ্গের স্পষ্ট প্রতীয়মানতা তা নারীর খাঁজভাঁজে সমকামীর পাছার চালে সীমাবদ্ধ নয় তাকে নান্দনিক ঘটনা মনে করা ভুল কেননা প্রলুব্ধ করার প্রক্রিয়ার উৎস হলো বাস্তবের বিনাশ যে ফাঁদে পড়ছে সে কি আর জানে না যে একটা খেলার হাতছানির পেছনে দৌড়োচ্ছে কোনো কিছুই তো লুকিয়ে করা হচ্ছে না সে যা দেখছে তা তো বাস্তব তা সত্ত্বেও সেই বাস্তবের বিনাশ ঘটিয়ে সে ফাঁদে পা দিচ্ছে তার আকাঙ্খার প্রেতাত্মা তাকে নিশি ডেকে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে তা যৌনতা নয় কেননা উত্তরঐতিহাসিক যুগে যৌনতা সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যাবে যৌনতার ইল্লিগিল্লি ছাড়া বুঝতে হবে যে প্রলুব্ধ করায় রয়েছে প্রলুব্ধকারী বা প্রলুব্ধকারিনীর ক্ষমতার চাল যা একলপ্তে বাজিমাৎ করে দিতে পারে তা পুরো দেহের কিন্তু দেহব্যবচ্ছেদের নয় দেহকে অঙ্গে-অঙ্গে ভেঙে ভেঙে নয় যৌনবিপ্লব হল সমগ্র দেহের বিপ্লব ইল্লিগিল্লির কাল্পনিক ভাবনার বিপ্লব নয় আমরা দুই পক্ষেই চামড়া ছাড়িয়ে মেরে ফেলার আগে অবশ্যই ইল্লিগিল্লি করি বারবার ইল্লিগিল্লি করি মরার আগে যে প্রলুব্ধ হয় সেও ইল্লিগিল্লির সুযোগ পায় পুরুষ পুরুষের সঙ্গে ইল্লিগিল্লির সুযোগ পায় মেয়েরা মেয়েদের সঙ্গে ইল্লিতে গিল্লি করার সুযোগ পায় কারোর ক্ষেত্রে কোনো বাধানিষেধ নেই উত্তরঐতিহাসিক যুগে যে পুরুষ কোনো নারীকে প্রলুব্ধ করতে চাইছে তাকে ধরে এনে ইল্লিগিল্লি করবে আর খাবে বলে সে নিজের আসল চেহারার বদলে নকল চেহারা দেখিয়ে বিভ্রম গড়ে তুলছে আর শেষে ফেঁসে যাচ্ছে আবেগের গোলকধাঁধায় অথচ লোকটা নিজেকে ভেবে নিয়েছিল এই খেলার ওস্তাদ আর শেষ পর্যন্ত শিকার হল সে নিজে আমরা দুই পক্ষের সবাই এগুলো জানি তবুও প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করি প্রলুব্ধ না হবার চেষ্টা করি আবার প্রলুব্ধ হয়ে অন্য পক্ষের ইল্লিগিল্লিসঙ্গী হয়ে সময় এলে ইল্লিগিল্লিসঙ্গী আর তার ভাই-বেরাদরের পেটে চলে যাই কিংবা তারা আমাদের পেটে চলে যায় সকালে তোদের পক্ষের ওই তালগাছটাকে দেখেছিলুম শুকনো নদীর পাড়ে সোজা দাঁড়িয়ে তারপর একটু-একটু করে হেলে পড়ল আমি কি জানি না নাকি তালগাছটার ওপর কেমনধারা অত্যাচার করা হয়েছে বিকেলে দেখলুম সেখান থেকে উপড়ে বাঁশবনে ক্যাম্পাসে নিয়ে গিয়ে পুঁতে আবার সোজা করে দেয়া হয়েছে ওই পারের একনায়ক মোড়লচিফের কথা আধঘুমে শুনতে পেয়ে সোনালিচুল ডবকাছুকরির হুঁশ হলো যে তালগাছে চুলেলছোকরাকে বেঁধে রেখে এসেছিল তাকে ওই পক্ষের লোকেরা ফাঁদ পেতে নিয়ে পালালো নাকি অমন পেশিচমকানো চুলেলছোকরা তো লাখে একজন পাওয়া যায় ডবকাছুকরি সোনালিচুল উড়িয়ে দৌড়োলো দেখতে যে সব ঠিকঠাক আছে কিনা যে জায়গায় তালগাছটা ছিল সেখানে দেখতে না পেয়ে বাঁশবনের ক্যাম্পাসে গিয়ে চুলেলছোকরাকে দেখতে পেয়ে আশ্বস্ত হলো ততোক্ষণে কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশবিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরিও পৌঁছে গেছে ওই পক্ষের একনায়ক মোড়লচিফের উদ্দেশে ডবকাছুকরি চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগল মেয়েরা সাজগোজ করে বেশ করে সেটা তাদের অধিকার আর দায়িত্ব প্রলুব্ধ করার জন্য তাদের ঐন্দ্রজালিক আর অলৌকিক হতেই হবে তাদের কাজই নিজেকে মুছে ফেলে অন্য একজনকে সৃষ্টি করা যাতে তারা টার্গেটপুরুষ বা পুরুষদের তাক লাগিয়ে দিতে পারে বিস্ময়বিহ্বল করে দিতে পারে এমনকি ভয়বিহ্বল করতে পারে মুগ্ধ করতে পারে জাদুবশ করতে পারে কারোরই বা কোনোকিছুরই অস্তিত্ব স্বাভাবিক নয় তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয় বলে তাদের তলব করা হয় বলে তারা তাতে সাড়া দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করে পুরুষরা স্বাভাবিক সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয় না তাদের চাই কৃত্রিম আনুষ্ঠানিক সৌন্দর্য কেননা তা গূঢ় রহস্যমূলক আভ্যান্তরীন যে পুরুষকে প্রলুব্ধ করি সে পৌরাণিকাধুনিক যুগের জানোয়ার হয়ে যায় যেমন এই চুলেলছোকরা একে তো মাই দেখাইনি চামড়ার স্কার্ট তুলে ইল্লির ফাঁকফোকর দেখাই নি আমরা সবাই মিলে চুলে রঙ করিয়ে জানোয়ারের মুখোশ পরে একে ফাঁদে ফেলেছি আর ধরেছি যখন কিনা চুলেলছোকরা দুই পক্ষের কোনো পক্ষেরই নয় নারীর প্রলুব্ধ করার ক্ষমতা নান্দনিকভাবে উন্নত তা হলো সূক্ষ্ শিল্পকৌশল প্রলুব্ধ করার অর্থ হলো নারী আর পুরুষের বা সমকামী হলে পরস্পরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অপ্রতিরোধ্য ইশারা যার মাধ্যমে চুম্বকত্ব গড়ে ওঠে শিকারের মাথা ঝিমঝিম করে কি করছে না করছে ঠাহর করতে পারে না আর অংশগ্রহণকারীদের মাঝে অদৃশ্য চুক্তি লেখা হয়ে যায় আপনি বেশি ফ্যাচফ্যাচ করবেন না আপনাদের পক্ষের দশজনের বেশি ভারিভরকম নারীপুরুষ ধরা আছে আমাদের পিঁজরাপোলে যারা আমাদের সবরকমের চাহিদা মেটাবে বুঝতেই পারছেন উত্তরঐতিহাসিক যুগে পৌরাণিকাধুনিক যুগের শিল্প আর নেই কেউ আর কবিতা লেখার দরকার মনে করে না ছবি আঁকার দরকার মনে করে না মূর্তি গড়ার দরকার মনে করে না গানের নতুন সুর বাঁধার দরকার মনে করে না হ্যাঁ কম বয়সে ছেলেপুলেরা হাড়আঁটির ভেঁপু বাজায় হাড়ের বাঁশি বাজায় পোঁদের চামড়ায় তৈরি ঢাকে হাড়ের কাঠি ঠোকে সেগুলো শিল্প নয় নঙ্কুখোকাদের খেলা এখন মানুষের মাংস খাওয়াই সর্বোচ্চ শিল্প কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশবিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরি বলল ঠিক তাই ঠিক তাই ঠিক তাই ঠিক তাই ঠিক তাই সোনালিচুল ডবকাছুকরি দৌড়ে গিয়ে চুলেলছোকরার চুলের মুঠি ধরে মুখ উঁচু করে মুখের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলল আমাদের এখানে বেশ্যাবৃত্তি বলে কোনো ব্যাপার নেই ইল্লিগিল্লি বেচাকেনা হয় না আমরা সমস্তবাদকে নস্যাৎ করে টাকাপয়সা দিয়ে লেনদেনের ব্যবস্হাও নিকেশ করেছি আমরা কোনোরকম যন্ত্রের দাসত্ব করি না তাই আমাদের ডিলডো বা ভাইব্রেটরের প্রয়োজন নেই কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশবিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরি বলল ঠিক তাই ঠিক তাই ঠিক তাই ঠিক তাই ওই পক্ষের একনায়ক মোড়লচিফ চেঁচিয়ে উত্তর দিলো ওরে সোনালিচুল ডবকাছুকরি আর তোর স্যাঙাতিনি দশবিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরি তোদের ধরার ফাঁদ পাতা হয়ে গেছে তখন টেরটি পাবি মজা চুল রঙ করে চুলেলছোকরার সঙ্গে যেভাবে তোরা জোর করে ইল্লিতে গিল্লি করলি তা আমার জানতে বাকি নেই চুলেলছোকরা যে তালগাছে বাঁধা সেই তালগাছ থেকে কোমরে চামড়া-তাড়ির হাঁড়ি নিয়ে সড়সড়িয়ে নেমে এলো একজন আর বলল তোমাদের জ্বালায় ঠিক মতো তাড়িও বের করতে পারি না গাছ চাঁছতে পারিনা তাল পেকে গেলে নামাতে পারি না যে বাচ্চারা হিসির বদলে তালশাঁসের রস খেতে চায় তাদের জন্য তালশাঁষও নামাতে পারি না কতো গাছ যে তোমরা হেলিয়ে দিয়েছ ভেবে দেখেছো কখনও আমার কতো অসুবিধা হয় ভাগ্যিস বাঁশবনের ক্যাম্পাসে এনে গাছটাকে সোজা করে পুঁতলেন আমার পিসেমশায়রা আর মেসোমশায়রা তাই নামতে সুবিধা হল তাও তো কতো তাড়ি চলকে নষ্ট হয়ে গেল তাড়ি ফুরিয়ে গেলে গরমে যখন তেষ্টায় মরবে তখন আমাকেই সবাই মিলে দুষবে যারা যৌবনের দোষে গাছ হেলিয়ে দিচ্ছে তাদের কেউ মুখ ফুটে কিছু বলবে না আমি কিন্তু ছাড়ার পাত্র নই এই সোনালিচুল ডবকাছুকরি আর কমলা লাল নীল বাদামি দশবিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুকরি মিলে এই চুলেলছোকরাকে গাছে বেঁধে কি কাণ্ডটাই না ঘটালে ওপর থেকে দেখতে দেখতে উত্তেজনায় আমি তো হাড়ের ছুরি দিয়ে গাছ চাঁছার বদলে আমার নব্বুই ডিগ্রি গিল্লি দিয়েই চাঁছতে শুরু করেছিলুম তাড়ির সঙ্গে আমার ধাতুরসও ঝরে পড়ল দেখতে পেলুম যে চুলেলছোকরা আর সোনালিচুল ডবকাছুকরি তাতে নতুন স্বাদ পেয়ে পরমানন্দে চাটছে তবে তালগাছগুলো যখন হেলে পড়তে থাকে টঙে পাতা আঁকড়ে আমি বুঝে ফেলেছি যে একজন মানুষ বা মানুষী সবচেয়ে ঐকান্তিক ইল্লিগিল্লি করে যদি তাদের সম্পর্কটা আকস্মিক হয় আর কাজ সেরে তারা যে যার পথে চলে যায় যুবতীদের বেশিরভাগকেই দেখেছি তারা কোনো সঙ্গীর সঙ্গে আবেগে জড়িয়ে পড়তে চায় না কেননা তারা ভাবে যে অমন জড়িয়ে পড়লে তার সঙ্গীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে আর মজা নেয়া থেকে মন অন্য দিকে চলে যাবে ভবিষ্যত ব্যাপারটার তো কোনো দিক হয় না অনুভূতিকে এড়িয়ে যাবার জন্যে বেশিরভাগ যুবতীই পুরুষকে কেবল আনন্দ পাবার যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায় এই যেমন তালগাছের রস কতো আদরযত্ন করে তাদের তাড়িতে পরিণত করি তেমনিই সত্যিকারের অরগ্যাজম কেবল ইল্লিগিল্লির রসমুক্তি নয় তা সঙ্গীদের পরস্পরের বিশ্বাসের মাত্রার ওপরও নির্ভর করে তারা নিজেদের কতোটা খোলাখুলি মেলে ধরছে একজন আরেকজনের কাছে তালগাছের আবেগ থেকে যেমন তাড়ি তেমনই কোমরের আবেগ থেকে রসবদল ভেবো না যে আমি তাড়ি নামাই বলে মুকখু আমি যবে থেকে তালগাছে ওঠা শিখেছি তবে থেকে অনুমিত-বাবা আমায় শিখিয়ে দিয়েছেন তালগাছ হেলে যাচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে আর যদি হেলে যেতে থাকে তাহলে কারা সেই হেলানোর কাজে যুক্ত পৌরাণিকাধুনিক যুগে ঈশ্বর তালগাছে থাকতো ঈশ্বরের কথা বলতে হলেই লোকে ওপরে আঙুল দিয়ে দেখাতো এখন আমি ঈশ্বরের জায়গাটা নিয়েছি ওপর থেকে সকলের কাজকম্মো দেখতে পাই তোমরা আমাকে উত্তরঐতিহাসিক যুগের ঈশ্বর বলে মানতে না চাও সেটা তোমাদের মর্জি তবে মনে করিয়ে দিই ঈশ্বরের মতন আমিও বিশ্বাসঘাতক আমি প্রত্যেকের জিভ বিশ্বাসঘাতকতার তাড়ি দিয়ে ভিজিয়ে দিই জানি আমাকে তোমরা তাড়িখোর পাগল ভাবো কিন্তু যে-প্রশ্নগুলো আমি তোমাদের প্রায়ই করি ওই পক্ষের তাড়িখোরও ওই পক্ষের লোকেদের করে তা হল জীবনের অর্থ কি আমরা কে আমরা এখানে কি জন্যে জীবনের শুরু কেমন করে জীবনের প্রকৃতি কি বাস্তবতার প্রকৃতি কি জীবনের উদ্দেশ্য কি একজন মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য কি জীবনের গুরুত্ব কি জীবনে কাকে বলব অর্থপূর্ণ আর মূল্যবান জীবনের দাম কি মানুষের বেঁচে থাকার কারণ কি আমরা সবাই কি জন্যেই বা বেঁচে আছি তাড়িঅলার কথার জবাবে সোনালিচুল ডবকাছুকরি বলল আবার তোমার আরম্ভ হয়ে গেল ভ্যাজর ভ্যাজর আমরা এখানে আছি এসেছি থাকি মানুষ ধরে তাদের মাংস খাবার জন্য আর খাবার আগে তাদের সঙ্গে মন ভরে ইল্লিগিল্লি খেলার জন্য যাকে আমরা বলি অহম ব্রহ্মাস্মি বা তৎ ত্বম অসি তুমি তো নেশায় বুঁদ থাকো এসব কথা বুঝবে না তোমার সবক’টা প্রশ্নের একটাই উত্তর হয় আগেই বলেছি তোমাকে উত্তরটা হল যে ব্যথায় আনন্দ আছে এখন এটা বোঝাবার জন্যে তো একটামাত্র শব্দ নেই তাই তুমি বুঝতে পারো না তুমি ব্যথা আর আনন্দকে আলাদা করে বোঝার চেষ্টা করো চুলেলছোকরা সোনালিচুল ডবকাছুকরিকে থামিয়ে বলে উঠল আপনি ঠিকই বলেছেন যে ব্যথায় আনন্দ আছে আমার তো ব্যথা থামবার নাম নেই আপনি আর আপনার সখিরা মিলে এমন যাচ্ছেতাই করলেন আমার গিল্লির সঙ্গে অথচ কী যে আনন্দ পেয়েছি বুঝিয়ে বলতে পারবো না কবে আবার অমন ব্যথা দেবেন দিদিমনি যদি আজ রাতেই দেন আমার কোনো আপত্তি নেই সব ব্যথা সহ্য করে নেব আপনারা আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন তাহলে আমি রোজই অনেককে ব্যথার আনন্দ দিতে পারবো সোনালিচুল ডবকাছুকরি বকুনি দিয়ে বলল চুপ চুপ একেবারে চুপ আমরা গভীর অনুভূতি আলোচনা করছি যে অনুভূতি ব্যথার তোমার আমার ইল্লিগিল্লির কারবারের নয় চুলেলছোকরাকে বকুনি দিয়ে তাড়িঅলার দিকে তাকিয়ে গোল হয়ে হাড়ের হাড়ুহাজ-করা ঘাঘরা তুলে ঘুরে-ঘুরে নাচতে নাচতে সোনালিচুল ডবকাছুকরি বলল জীবন হল ব্যথার উৎস মানুষ এই বাস্তবতাকে ভয় পায় নিজেকে ভয় পায় অথচ এই বাস্তবতা তার নিজের প্রেম-অপ্রেম সব ফালতু কথা আসলে মানুষ নিজের অনুভূতিকে ভয় পায় অনুভূতি তাকে বিপর্যস্ত করে তাদের ছোটোবেলা থেকে শেখানো হয় যে ব্যথা জিনিসটা খারাপ আর বিপজ্জনক কেমন বোকার মতন কথা যদি তুমি আনন্দ সামলাতে পারো তাহলে তোমায় তো ব্যথা সামলাতেই হবে দুটোকে আলাদা করা যায় না লোকে ব্যথাকে ভয় পায় কেন বুঝতে পারি না ব্যথাকে তারা লুকিয়ে রাখে যখন কিনা ব্যথা তোমায় জাগিয়ে তোলে ব্যথাকে জরুরি মাংসের মতন শরীরে বয়ে বেড়াতে হয় তোমার জীবনীশক্তি রয়েছে ব্যথাকে অনুভব করার মধ্যে তুমি ব্যথা বইতে সক্ষম কিনা সেটাই দেখার অনুভব করার ক্ষমতা তোমার নিজের তা তোমার নিজস্ব বাস্তব যদি তুমি তাতে লজ্জা পাও আর সবায়ের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখো তাহলে তুমি তোমার বাস্তবতাকে ছারখার করার জন্য সমাজকে সুযোগ করে দিচ্ছ তোমাকে বুক চিতিয়ে বলতে হবে যে ব্যথা ভোগ করার অধিকার আমার আছে সোনালিচুল ডবকাছুকরির দেখাদেখি কমলা লাল নীল বাদামি চুলের দশবিশ চাঙ্গাউরুৎ ছুরিরাও গোল হয়ে ঘুরে-ঘুরে হাড়ুহাজ-করা ঘাঘরা তুলে নাচতে লাগল চুলেলছোকরা আবার চেঁচিয়ে উঠল আমি তো কখন থেকে বুক চিতিয়েই আছি আসুন না আরেকবার ব্যথার সঙ্গে আনন্দ দিয়ে যান আমার জীবনীশক্তিকে যাচাই করে দেখুন আমি কতো ব্যথা সইতে পারি আমি এসে পর্যন্ত না খেয়ে আছি মনে রাখবেন আপনারা তো কাল বা পরশু আমাকে খেয়েই ফেলবেন তার আগে কি আমার শেষ ইচ্ছা পুরো করা হবে না আসুন না আরেকবার হয়ে যাক আপনি না হলেও কমলাচুল লালচুল নীলচুল বাদামিচুল যে-কেউ হলেই চলবে কোমরের তলায় বড়ো ফাঁকা-ফাঁকা লাগছে সোনালিচুল ডবকাছুকরি বলল এই চুপ তখন থেকে বলছি মুখ বন্ধ রাখতে চুপ করে থাক নয়তো এক্ষুনি কাঠিকাবাব বানিয়ে তোকেই খাওয়ানো হয়ে তুই বানচোদ এক বাস্তব জগতে অবাস্তব বহিরাগত চুলেলছোকরা বলল হ্যাঁ জানি সব বহিরাগতকেই অবাস্তবতার খেতাবে চোবানো হয় তারপর সে যখন বাস্তবের দখল নিয়ে নেয় তখন বাস্তব জগতের গাঁড়হাভাতে মানুষগুলো ঠ্যাং রাখার জায়গা পায় না আমার এইটুকু অনুরোধ রাখতে পারছেন না ডবকাছুকরি একজন ফিট্টমফিট পাহারাদারের পকেট থেকে হাড়ের হাড়ুহাজ-করা বড়ো ছুরি নিয়ে এগিয়ে গিয়ে চুলেলছোকরার নব্বুই ডিগ্রি শিশ্নকে ক্যাচাৎ কেটে চুলেলছোকরার মুখে পুরে দিয়ে বলল এবার এইটা খেয়ে পেট ভরা আর মুখ বন্ধ কর ব্যথা ভোগ কর একজন ফিট্টমফিট পাহারাদার দৌড়ে চুলেলছোকরার কাছে গিয়ে পড়তে থাকা রক্ত একটা চামড়ার পাত্রে জমা করা আরম্ভ করল ভরে গেলে সোনালিচুল ডবকাছুকরিকে পাত্রটা দিতে ও চোঁকচঁকিয়ে খেয়ে ফেলল কমলাচুল এগিয়ে গিয়ে চুলেলছোকরার কাটা জায়গাটা জিভ দিয়ে চেটে রক্ত খেতে খেতে বলল ওফ কখন থেকে তেষ্টা পেয়েছে চেটে খাই মজা পাই চেটে খাই মজা পাই চেটে খাই মজা পাই তারপর লালচুল নিলচুল বাদামিচুল চেটে চুলেলছোকরার রক্ত থামালো ততক্ষণে চুলেলছোকরা কাটা-শিশ্ন গিলে ফেলে জ্ঞান হারিয়েছে সোনালিচুল ডবকাছুকরি কাটা জায়গাটা দেখিয়ে তাড়িঅলাকে বলল এই যে এখানকার ব্যথা সেটাতে আনন্দ নেই সুতরাং এই আনন্দহীন ব্যথা তোমার প্রশ্নগুলোর উত্তর নয় তোমাকে বুঝতে হবে যে ব্রহ্মাণ্ডে ব্যথাই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এমনকি বেঁচে থাকার চেয়ে ইল্লিগিল্লির ঘাম-হাঁপানো-বদগন্ধের সৌন্দর্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেননা ব্যথা বাদ দিয়ে আনন্দ সম্ভব নয় দুঃখ ছাড়া আনন্দ সম্ভব নয় দুর্দশা ছাড়া সৌন্দর্য সম্ভব নয় আর এই সমস্তকিছু বাদ দিলে জীবন হয়ে যাবে জোলো পানসে আশাহীন সর্বনাশ জঘন্য ব্যথার সুগন্ধ গাঁড়হাভাতে মানুষের ঘামের সঙ্গে তুলনীয় হলেও তা অনেকবেশি সব মানুষই ব্যথা সহ্য করতে পারে যদি তার সঙ্গে আনন্দ থাকে ব্যথা হল আনন্দের খোচর ওই চুলেলছোকরাকে দ্যাখো ওর ব্যথা থেকে আনন্দকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি এখন ও আর ব্যথাকে বৈভব ভাবতে পারবে না এদিকে পালোয়ান-যুবক ছুটতে-ছুটতে ফিরে দেখলো যে কোঁকড়াচুল-যুবতী পালায়নি চামড়ায় হাড়ের সলমা-সিতারা লাগানো চাদর চাপা দিয়ে পাশ ফিরে কুঁকড়ে ঘুমোচ্ছে পালোয়ান যুবক চাদরের তলায় ঢুকে কোঁকড়াচুল যুবতীর পেছনে পৌরাণিকাধুনিক যুগের চামচের মতন খাপে-খাপে শুয়ে পড়ল কোমরে হাত রেখে পালোয়ান যুবকের ছোঁয়ায় কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল আপনি ভাবছিলেন আমি পালিয়েছি ছুটতে-ছুটতে এসেছেন মনে হচ্ছে ঘন ঘন শ্বাস পড়ছে বলে নিজের বাঁ পা ওপরে তুলে ধরতে পালোয়ান যুবক ইশারা বুঝতে পেরে বাঁপায়ের সঙ্গে আরো সেঁটে গেল আর পালোয়ান যুবক ইল্লিতে গিল্লি করার আগেই কোঁকড়াচুল-যুবতী পালোয়ান যুবকের পাছায় ডান হাতের চাপ দিয়ে নিজেই ইল্লিতে গিল্লি করে নিয়ে বলল আপনি দৌড়োতে-দৌড়োতে এসেছেন তাই জানি ক্লান্ত হয়ে গেছেন এখন ঘুমিয়ে পড়ুন পালাবার রাস্তাটা রাতের বেলায় দেখিয়ে দেবেন কিন্তু আমি ওই পক্ষে যাবো না আমি দুটো পক্ষকেই ছেড়ে চলে যেতে চাই নয়তো আপনার শাবককে বাঁচাতে পারবো না জানেন তো সত্যের মুখ কেবল একটাই আর তা হল হিংস্র পরস্পরবিরোধিতা আমার মনে বিদ্রোহের চেয়ে জরুরি আর প্রবল অন্য কিছু নেই ইল্লিগিল্লি যতো বেশি নোংরা ততো তার টান যুবক বলল সেটাই ভালো আমি তোমার চামড়া ছাড়াতে পারব না অন্য কেউ ছাড়াতে এগোলে তার সঙ্গে আমার খুনোখুনি হয়ে যাবে জানো পৌরাণিকাধুনিক যুগে এই দুই পক্ষের মাঝে একটা নদী ছিল যাতে জোয়ার-ভাটা নামে একটা খেলা খেলতো নদী নিজের জল নিয়ে মাটির তলায় কতো জল ছিল এখন বাঁশগাছ নিজের বাঁশত্ব প্রমাণ করে বেঁচে আছে আর তালগাছ তো বাঁশের প্রপিতামহ কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল আমরা চিরকাল দ্বিখণ্ডিত থাকবো নিজেদের মধ্যে প্রত্যেকের শরীরের মধ্যে আমাদের সংস্কৃতি হল হাড়ের চামড়ার রক্তের পেচ্ছাপের বাঁশের তাড়ির আর মৃত্যুর আমার কোনো প্রত্যাশা নেই এই দুই পক্ষের কাছে যা মন্দ তাকেই ভালো বলে চালানো হয়ে এসেছে গাঁড়হাভাতে সাধারণদেরই রমরমা অসাধারণদের আর দেখা পাওয়া যায় না মানুষ তার ভূমি আর উদ্দেশ্য দিয়ে বিভাজিত নতুন জগত কেবল নতুনদের দিয়েই গড়ে উঠতে পারে নতুন উদ্যম নতুন মূল্যবোধ উত্তরঐতিহাসিক যুগে আমরা নিজের চোখে দেখছি যে প্রতিটি একনায়ক মোড়লচিফই জোচ্চোর হাস্যকর তারা মানুষের কোনো কাজে লাগেনি তাই মানুষের মাংস খাবার প্রথা চালিয়ে যাচ্ছে একনায়ক মোড়লচিফরা সকলেই অসৎ তারা ভাবছে যে মানুষের নিকৃষ্ট ব্যাধি পঙ্কিলতা কলঙ্ক কদর্যতার মাধ্যমে তারা উন্নত পৃথিবীর দিকে আমাদের সবাইকে নিয়ে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করলে কোনো রদবদল হবে না সংস্কৃতি পুরো ধ্বংস হয়ে যাবে হয়তো আমরা পারস্পরের মাংস না খেয়ে বেশিদিন বাঁচবো না কিন্তু যে কয়জন বাঁচবে তারাই নতুন করে সবকিছু গড়ে তুলতে পারবে আমি আপনাকে এই জন্যেই ক্ষমা করে দিতে পেরেছি যে আপনি আমার গর্ভে নতুন প্রজন্ম আনতে সাহায্য করলেন দুজনে চামচের পাশে রাখা চামচের মতন ঘুমিয়ে পড়ল মাঝরাতে পালোয়ান-যুবক কোঁকড়াচুল-যুবতীকে জাগিয়ে বলল যে চলো তোমাকে বাঁশবনের ক্যাম্পাসে বাঁধা চুলেলছোকরার কাছে নিয়ে যাই সে সেইপার ওইপার কোনো পারের নয় সে বাইরে থেকে এসেছে তুমি তার সঙ্গে বাইরে পালিয়ে যেতে পারবে কোঁকড়াচুল-যুবতী জেগেই ছিল বলল আমাকে একদুটো ধারালো ছোরা বা ছুরি দিয়ে দাও পালাবার সময়ে ধরা পড়লে হাতাহাতি লাথালাথি করতে পারবো পালোয়ান-যুবক দেয়ালে টাঙানো দুটো হাড়ের হাড়ুহাজ-করা ছোরা দিয়ে বলল এগুলো দিয়েই আমি মাংস ছাড়াবার প্রতিদ্বন্দীতা করি এছাড়াও হাড়ের পেরেক বসানো বাঁশের এই গদাটা রেখে নাও এটা দিয়ে ওই পক্ষের অনেক মানুষকে ধরা হয়েছে মাথায় একটা বাড়ি মারলেই শিকার অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যাবে কোঁকড়াচুল-যুবতী চামড়ার ঘাঘরা পরে বুকবাঁধুনি বেঁধে হাড়ের হাড়ুহাজ-করা ছোরাদুটো কোমরে গুঁজে নিলো আর গদাটা এক হাতে নিয়ে পালোয়ান-যুবকের পেছন পেছন পা টিপে টিপে এগোলো চারিদিকে অন্ধকার সকলেই ঘুমে লেদিয়ে স্বপ্ন দেখতে ব্যস্ত পালোয়ান-যুবকের সঙ্গে বাঁশবনের ক্যাম্পসে গিয়ে পোঁছে ওরা দেখলো চুলেলছোকরা তালগাছে বাঁধা যন্ত্রণায় অন্ধকারকে আরও কালো করে তুলেছে পালোয়ান-যুবক দূর থেকে ঠোঁটে আঙুল রেখে চুলেলছোকরাকে ইশারা করল যাতে কথা না বলে তারপর তার বাঁধন খুলে দিয়ে নিজের কোমর থেকে চামড়ার লুঙ্গি খুলে চুলেলছোকরাকে পরিয়ে দিয়ে বলল তুমি এই কোঁকড়াচুল-যুবতীকে তোমার সঙ্গে নিয়ে যাও এর পেটে আমার শাবক আছে সাবধানে এখান থেকে পালাও যে রাস্তা দিয়ে যেখান থেকে এসেছিলে সেখানেই পালাও যন্ত্রণায় অন্ধকারের চেয়েও অন্ধকার মুখে চুলেলছোকরা বলল আচ্ছা ওরা দুজনে দেখল পালোয়ান-যুবক হাত নেড়ে ওদের বিদায় জানাচ্ছে পালোয়ান-যুবক দূরের অন্ধকারে মিশে গেলে কোঁকড়াচুল-যুবতী বাঁশের গদাটা চুলেলছোকরাকে দিয়ে বলল এটা আত্মরক্ষার জন্যে রেখে নাও পথে কখন কী হয় তার ঠিক নেই চুলেলছোকরা বলল যাবার আগে আমার একটা কাজ আছে তাতে তুমি সাহায্য করবে তুমি তো তিনমাস রয়েছো এদের এলাকায় সেই সোনালিচুল ডবকাছুকরির বাসা নিশ্চয়ই জানো সেখানে নিয়ে চলো নিস্তব্ধে কোনো শব্দ কোরো না ওরা দুজনে পা টিপে টিপে এগোয় সোনালিচুল ডবকাছুকরির বাসার দিকে অন্ধকার ঘরে সোনালিচুল দেখেই বুঝে যায় কোথায় শুয়ে আছে ডবকাছুকরি ফিসফিসিয়ে চুলেলছোকরা কোঁকড়াচুল যুবতীকে বলল আমি গদা দিয়ে ওর মাথায় মারতেই ওর মুখ শ্বাস নেবার জন্য হাঁ করবে তখন তুমি হাড়ের ছোরাটা ওর মুখে ঢুকিয়ে দিও তারপর দুজনে মিলে ওকে থেঁতো করে কেটে পড়ব এখান থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী দুজনেই পিটিয়ে মেরে ফেললো সোনালীচুল ডবকাছুকরিকে মরতে মরতে সোনালিচুল ডবকাছুকরির ইল্লি থেকে শয়েশয়ে ধাতুকীট বেরিয়ে ঘর আলোয় আলো করে তুলল পা টিপে টিপে বাইরে বেরিয়ে কোঁকড়াচুল-যুবতী বলল তোমাকে তো দেশে গিয়ে লিঙ্গ বদলে নতুন একটা ফিট করে নিতে হবে এরকম কাটা শিশ্ন নিয়ে তো বাঁচতে পারবে না এসো আমার সঙ্গে একটা লিঙ্গ এখান থেকে জোগাড় করে নিয়ে যাই কোঁকড়াচুলের পেছন পেছন চুলেলছোকরা নিঃশব্দে গিয়ে ঢুকলো পালোয়ান-যুবকের ঘরে হাড়ের হাড়ুহাজ-করা চামড়ার চাদর চাপা দিয়ে ঘুমোচ্ছিল পালোয়ান যুবক তার মাথায় সজোরে বাঁশের গদা দিয়ে মারতেই মাথা ফেটে ঘিলু ছিৎরে গেল মরতে-মরতেও মানবিক অভ্যাসবশত তা চেটে নিল পালোয়ান-যুবক কোঁকড়াচুল যুবতী সাবধানে হাড়ের হাড়ুহাজ-করা ধারালো ছোরা দিয়ে পালোয়ান যুবকের লিঙ্গ গোড়া থেকে কাটতে-কাটতে বলল বিশ্বাসঘাতকতার মাধ্যমে আমি এর ইল্লিতে গিল্লি করার প্রতিদান দিচ্ছি তারপর যোগ করল এবার আমরা এদের ক্ষমা করে দিতে পারি চুলেলছোকরা বলল হ্যাঁ প্রতিশোধের মতন এতো উচ্চমানের শিল্প আর নেই প্রতিশোধ হল অধিকার সমুচিত-শাস্তি আর দায়িত্বের যোগফল ক্রোধ বাদ দিয়ে সৃষ্টি সম্ভব নয় আমাদের স্মৃতিতে জিইয়ে রাখার জন্য এই অভিজ্ঞতা মানব সম্প্রদায়ের সম্পদ।
Leave a Reply