ভাষা, অর্থ, সত্য – সুকান্ত চৌধুরী
ভাষা, অর্থ, সত্য – সুকান্ত চৌধুরী
প্রথম সংস্করণ: এপ্রিল ২০২১
গোড়ার কথা
সত্যযুগ তো কবে গত হয়েছে; কিন্তু যাকে আজ উত্তরসত্যযুগ বলা হচ্ছে, তার সূচনা এক দশকও নয়। আমরা যারা এতদিন কাটালাম দুটো পর্যায়ের মাঝখানে, আমাদের স্থান কোথায়? কয়েক সহস্রাব্দের পূর্বসূরিরা নিরাপদে বিদায় নিতে পেরেছেন; সুধীন্দ্রনাথের কথায়, আমাদের ’পরে দেনা শোধবার ভার।
কীসের দেনা? যে বিচারবোধ মূল্যবোধ, বা আরও গভীরে যে জ্ঞানপ্রণালী বা এপিস্টেমলজি আমরা সভ্যতার উত্তরাধিকার হিসাবে পেয়েছি— যার কোনও উপাদানের বয়স দু-তিন হাজার বছর, কোনওটার কয়েক শো— উত্তরসত্যের আক্রমণে সেগুলির সারবত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মিথ্যা কথা তো চিরকাল লোকে বলে আসছে: শুনতে খারাপ লাগলেও ওটা মানবধর্মের বৈশিষ্ট্য, একমাত্র মানুষই মিথ্যা বলে। কিন্তু কোনও কিছু মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে গেলেও তো সত্যটা জানতে হয়। সেই সত্যের সংজ্ঞা নিয়ে আজ আমরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছি। বিভ্রান্তি দুটো স্তরে: এক, কোনও বিশেষ তথ্য সঠিক কিনা; দুই, সত্য কাকে বলে— যিশুখ্রিস্টের বিচারক পন্তিউস পিলাতুসের বিখ্যাত প্রশ্ন। আপাতভাবে মনে হয়, দ্বিতীয় সমস্যাটা কঠিন হলেও প্রথমটা সাদামাটা: যদু আমার মনিব্যাগ সরিয়েছে কি না, মধুর তিনটে বিয়ে কি না, ছেলে রাত এগারোটা অবধি কোচিং ক্লাসে ছিল না অন্য কোথাও। উত্তর যদি সহজলভ্য নাও হয়, প্রশ্নগুলো বুঝতে অসুবিধা নেই। উত্তরসত্যের জগতে কিন্তু এসব প্রশ্নের জবাব এত গোলমেলে যে প্রশ্নটা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। যা দেখছি শুনছি (বা সাবধানে বলি, মনে হচ্ছে দেখছি শুনছি) তার সঙ্গে লোকে যা বলছে ভাবছে, আর আমাদেরও বলাতে ভাবাতে চাইছে, তার আদৌ মিল নেই। যা নাকি ঘটছে কিন্তু আমরা ‘জ়ান্তি পারি না’, তা নাহয় মেনে নিলাম; কিন্তু যা চোখের সামনে ঘটছে সেটা বলতে হবে ভুয়ো? তপন সিংহের ছবির মাস্টারমশাইয়ের মতো আমরা কেউ কিচ্ছু দেখিনি?
ছবির নাম যেমন আতঙ্ক, তেমনি তার সামাজিক আবহ। উত্তরসত্য আমাদের আরও চিন্তায় ফেলেছে এই জন্য যে তা দুনিয়ার ইতিহাসে একটা অস্থির ভীতিপ্রদ সময়ে আবির্ভূত হল, তারই অঙ্গ ও সহায়ক হিসাবে। উত্তরসত্য দায়িত্বশীল চিন্তাবিদ আর সমাজসেবকদের অবদান নয়, মানুষের মঙ্গলার্থে উদ্ভূত হয়নি। এর বিশ্বখ্যাত কুশীলবদের বৌদ্ধিক দৈন্য প্রায়ই ঠাট্টা-তামাশার রসদ জোগায়। তার চেয়ে অনেক বড় কথা, তাঁদের কার্যকলাপ উদ্রেক করে প্রবল উদ্বেগ, ততোধিক ভীতি বা একসঙ্গে দুটোই। ইতিহাসের কিছু নজির দেখলে উদ্বেগ ও ভীতি বহুগুণ বেড়ে যায়।
ফলে আমরা ধরে নিই যে উত্তরসত্য হল সমাজ ও রাজনীতির ভ্রষ্টাচার আর দুর্বৃত্তায়নের একটা পার্শ্বপ্রকাশ মাত্র। কথাটা ঠিক, প্রশ্ন শুধু ওই ‘মাত্র’ শব্দটা নিয়ে। উত্তরসত্য মানে শুধু মূর্খ আর পাজি লোকের মিথ্যার চাষ, তা নিয়ে আমাদের বুদ্ধি খরচ করার দরকার নেই, শুধু ছ্যা ছ্যা করলেই হল— এমন ভাবলে আমরা আত্মঘাতী ভুল করব। ভাবতে ভাল লাগুক আর না লাগুক, উত্তরসত্যের একটা বিশেষ মানসিক গঠন ও দৃষ্টিভঙ্গি আছে: তা কেবল বিশেষ বিশেষ মিথ্যা তথ্য বা ক্ষতিকর ধারণা মাথায় ঢোকায় না, আরও বিধ্বংসীভাবে একটা বিশেষ ধাঁচে ভাবতে শেখায়, আমাদের চিন্তার কাঠামো পালটে দেয়। তার যেমন উৎস তেমন লক্ষ্য আমাদের মতো লোক, আমরা সকলে; আর প্রভাব যে কতটা, কুড়ি এমনকী দশ বছর আগে ভারতের জনমানসের প্রকৃতি আজকের সঙ্গে মেলালেই ধরা পড়বে। পরিবর্তন কেবল ভারতে হয়নি, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে হয়েছে অল্পবিস্তর, আর ‘অল্প’টা প্রায় সর্বত্র ‘বিস্তরের’ দিকে এগোচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উত্তরসত্যের রমরমা; তার কারণ অবশ্যই আন্তর্জাতিক মহলে দেশটার গুরুত্ব। আমার অধিকাংশ উদাহরণ ভারত ও আমেরিকার, তবে অন্যত্র থেকেও সুযোগমতো নিয়েছি।
এ বইয়ে চেষ্টা করেছি, মানবসমাজের এই মানসিক পরিবর্তনের ক’টা মৌলিক ধারার গতি ও চরিত্র নির্দেশ করতে। এভাবে বললে বড় গালভরা শোনায়, তবে প্রক্রিয়াটা আমাদের অভ্যস্ত আটপৌরে জীবনে প্রবলভাবে কার্যকর ও সেজন্যই জরুরি। যদি এ বইয়ের বিষয়ক্ষেত্র এক কথায় বলতে হয়, বলব সামাজিক জ্ঞানতত্ত্ব, social epistemology। নামটা কিছুদিন ধরে বিদ্যার জগতে ব্যবহার হচ্ছে, ওই নামে একটা সারস্বত পত্রিকাও প্রকাশ হয়। তবে কথাটা সচরাচর যেভাবে প্রয়োগ হয়, আমার ব্যবহার তা থেকে কিছু আলাদা। সামাজিক জ্ঞানতত্ত্ব বলতে আমি বোঝাতে চাই আমাদের সমাজজীবনের পিছনে যে বৌদ্ধিক প্রক্রিয়া কাজ করে তার অনুসন্ধান— যেভাবে আমরা সমাজ ও ইতিহাসকে দেখি বুঝি (অনেকটাই সহজাত বা অবচেতনভাবে), অতএব নিজেরাও যেমন আচরণ করি ও যেভাবে সমাজকে পরিচালনা করি। সরাসরি সামাজিক ভাষ্য আমার উদ্দেশ্য নয়, রাজনৈতিক পর্যালোচনা তো মোটেই নয়, তবে অবধারিতভাবে দুটোই চলে এসেছে মাঝে মাঝে।
আমার পেশাগত চর্চার বিষয় ভাষা ও সাহিত্য। ভাষাদর্শন, ভাষাবিজ্ঞান ও ভাষার ব্যবহারের কিছু মৌলিক ধারা আমার আলোচনার একটা প্রধান উপাদান। পাশাপাশি, বিশেষত গোড়ার দিকে, আর একটা বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা আছে, তা হল অর্থনীতি, বিশেষ করে আজকের টাকার বাজার। বিক্ষিপ্তভাবে বেড়া ভেঙে বিচরণ করেছি আরও নানা ক্ষেত্রে। আলোচ্য বিষয়ের বিস্তীর্ণ পরিধির ফলে এই অনধিকারচর্চা না করে উপায় ছিল না। বিশেষ করে মানুষের ব্যবহৃত দুটি প্রধান সংকেতমালা পাশাপাশি রাখার প্রয়োজন ছিল: তাৎপর্যের সংকেতসূচক ভাষা আর মূল্যের সংকেতসূচক টাকা।
শেষে একটা ব্যক্তিগত, ও সেই সঙ্গে পেশাগত, জবানবন্দি। আমার পেশাগত বিদ্যা দুনিয়ার কোনও বাস্তব উপকারে লাগে না। অপদার্থতার খেদ বাড়িয়ে দেয় একটা বাড়তি বিড়ম্বনা: ভাষা ও ভাষার অপব্যবহারের প্রতি অতিরিক্ত সজাগ অনুভূতিবোধ। ভাষার অপব্যবহার বলতে বানান, ব্যাকরণ বা শব্দার্থের ভুল বলছি না: তেমন ভুল তো বেশি করে সরলমন শিশুরা। যে অপব্যবহার সত্যি পীড়া দেয় তা হল মিথ্যাভাষণ, ভাষার অপকৌশলে ক্ষতি বা অন্যায় করা, এভাবে শেষ পর্যন্ত ভাষার ধর্মচ্যুতি ঘটানো। আমাদের আপাত নিরীহ কথাবার্তায়, কাগজের রিপোর্টে বা টিভির বিতর্কে যে ফাঁক, ফাঁকি ও আত্মবঞ্চনা লুকিয়ে থাকে তা প্রগাঢ়; আরও মর্মভেদী স্তরে থাকে শাসক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও প্রচারবিদদের বয়ানে। প্রশিক্ষিত পেশাদার দৃষ্টিতে সেই ফাঁকি প্রকট হয়ে ওঠে দেদার ছোটবড় আদানপ্রদানে, চিকিৎসক যেমন কাউকে দেখে তার নেপথ্য অসুখের লক্ষণ টের পান। পাঠকের সঙ্গে সেই পর্যবেক্ষণ ভাগ করার উদ্দেশ্যে এই বই। হয়তো তাতে ভারটা খানিক হালকা হবে; আর যদি অন্তত কিছু সহনাগরিকের মনে সতর্কতার সঞ্চার করতে পারি, শ্রম সার্থক মনে করব।
পুনশ্চ: এই বই লেখা শেষ হয়েছে ২০২০র নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনের আগে। পাঠকের হাতে পৌঁছতে-পৌঁছতে নির্বাচন হয়ে যাবে, ফলও জানা যাবে। মার্কিন দেশ সম্বন্ধে আমার উল্লেখগুলির তাৎক্ষণিক প্রাসঙ্গিকতা অতএব বাড়তেও পারে, কমতেও পারে; কিন্তু আলোচনার বৃহত্তর প্রেক্ষিতে তা সমান প্রাসঙ্গিক থাকবে আশা করি।
বিদেশি নামের রূপ যথাসাধ্য মূল ভাষার কাছাকাছি রেখেছি; পাঠক ‘প্লাতোন’, ‘আরিস্ততেলেস’ মেনে নেবেন আশা করি।
অনুবাদ: অন্য অনুবাদকের উল্লেখ না থাকলে ইংরেজি থেকে সব অনুবাদ আমার করা।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
(নামগুলি বর্ণানুক্রমে সাজানো)
তাঁদের মূল্যবান সময় খরচ করে বইটির পুরোটা বা কিছু অংশ পড়ে পরামর্শ দিয়েছেন অচিন চক্রবর্তী, অমিতা চট্টোপাধ্যায়, প্রতীপ কর ও সুপ্রিয়া চৌধুরী। প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বাধিত করেছেন অনুপ পালচৌধুরী ও সর্বাণী গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাঁদের অকৃপণ সাহায্য সত্ত্বেও ভুলত্রুটির জন্য আমিই দায়ী ও ক্ষমাপ্রার্থী।
কিছু পারিভাষিক রীতি
Epistemology: আমরা কীভাবে জানি বুঝি চিন্তা করি, তার অনুসন্ধানের দার্শনিক ক্ষেত্র বোঝাতে ‘জ্ঞানতত্ত্ব’। যে বিশেষ ধারায় বা পদ্ধতিতে আমরা কিছু জানি বা উপলব্ধি করি (প্রায়ই যা অচেতন থাকে) বোঝাতে ‘জ্ঞানপ্রণালী’।
Intellectual: বৌদ্ধিক। ‘আঁতেল’ নয়, বলতে চাইছি এমন মানসিক ক্রিয়া যা যুক্তি-তথ্য অনুসরণ করে, এবং বিষয়বস্তু বোঝাতে ভাষা বা অন্য সংকেতাবলি (যেমন গণিতের চিহ্ন) নিবিড়ভাবে ব্যবহার করে। আরও ব্যাপক অর্থে যে-কোনও মানসিক ক্রিয়া বোঝাতে ‘মনন’ শব্দটা ব্যবহার করেছি। তবে শব্দ দুটোর মধ্যে সীমারেখা টানা সহজ নয়, একটার জায়গায় অন্যটাও কোথাও কোথাও ব্যবহার করা চলত।
বৌদ্ধিক মনন হচ্ছে বিশ্লেষক, analytic, তা সব কিছু খুঁটিয়ে বিশদভাবে দেখে। এর বিপরীত ধারা হল সংশ্লেষক (synthetic), যা বিশ্বাসে (faith) ও অতিকথায় (myth) দেখা যায়: এখানে খুঁটিয়ে দেখে প্রশ্ন করা হয় না, চিন্তাবস্তু সবটা একসঙ্গে একই সত্তার অঙ্গ হিসাবে উপলব্ধি করা হয়।
Reason / rational: যুক্তিপন্থা / যুক্তিপন্থী। এই শব্দে বোঝাচ্ছি যে মননের ধারা বা জ্ঞানপ্রণালী প্রধানত যুক্তির উপর নির্ভর করে, অতএব তথ্য-প্রমাণকে গুরুত্ব দেয়; উপরন্তু ন্যায়বোধ, সাম্য, সুষ্ঠু প্রশাসন ইত্যাদি কিছু সামাজিক নীতিকে যুক্তিযুক্ত বলেই গুরুত্ব দেয়। কোনও প্রসঙ্গে এই নীতিগত উপাদানগুলির বেশি গুরুত্ব থাকলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন যুগে এই বৌদ্ধিক প্রবণতা দেখা গেছে, তবে আধুনিক বিশ্বে এর প্রাদুর্ভাব আঠারো শতকে ইউরোপের জ্ঞানোন্মেষ (Enlightenment) থেকে।
‘যুক্তিপন্থা’ আর ‘যুক্তিবাদ’-এর মধ্যে তফাত রাখতে চাই। ‘যুক্তিবাদ’ = rationalism, যুক্তিকে তাত্ত্বিক স্তরে স্বীকার ও চর্চা করার মতবাদ। ‘যুক্তিপন্থা’ আরও ব্যাপক ও স্বভাবগতভাবে যুক্তির প্রয়োগ— পদ্ধতি হিসাবে, তত্ত্ব হিসাবে নয়। তবে দুটো শব্দের মধ্যে স্পষ্ট সীমা টানা যায় না।
Non-rational, extra-deliberative: এক্ষেত্রে প্রসঙ্গ সাপেক্ষে বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করেছি। যুক্তিমুক্ত বলতে বোঝাচ্ছি এমন দৃষ্টিভঙ্গি বা মানসিক অবস্থান যা যুক্তিকে চিন্তার মুখ্য নির্ধারক হিসাবে মানে না। তার মানে এই নয় যে তা সব সময় যুক্তিহীন বা যুক্তিবিরুদ্ধ (irrational বা anti-rational); হতেই পারে তাতে যুক্তি যথেষ্ট ব্যবহার হচ্ছে, কিন্তু চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হচ্ছে যুক্তি নয়, অন্য কোনও বিচারে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠিত ধর্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে এই শব্দটি প্রয়োগ করা যায়।
বিশেষভাবে যুক্তিবিচারের পরিপন্থী কিছু বোঝাতে যুক্তিবিহীন শব্দটি ব্যবহার করেছি।
Faith: বিশ্বাস।
Myth: অতিকথা।
Discourse: ব্যাখ্যান। শব্দটির প্রচলিত অর্থ কিছুটা প্রসারিত করেছি। Discourse বোঝাতে অনেক সময় ‘বয়ান’ ব্যবহার হয়, কিন্তু ওই শব্দটি নীচের অর্থে সীমাবদ্ধ রেখেছি।
Idiom, register: বয়ান। ভাষা ব্যবহারের কোনও বিশেষ ভঙ্গী বা আবহ, ও তার উপযুক্ত শব্দচয়ন।
Image: প্রতিরূপ। কোনও বাস্তব দৃশ্য বা বস্তুর অনুসরণে বা প্রতিফলনে গঠিত মানসিক চিত্র, যা বাস্তবটার সংকেত বা প্রতিভূ হিসাবে কাজ করে। ইংরেজি image শব্দটার অন্যান্য অর্থ বোঝাতে প্রসঙ্গ অনুসারে অন্য শব্দ ব্যবহার করেছি।
Social media: সমাজমাধ্যম।
Artificial intelligence: যন্ত্রমেধা।
আর কতগুলি শব্দের ব্যবহার (আখ্যান, রচনা, নির্মাণ) যথাস্থানে আলোচনা থেকে স্পষ্ট হবে আশা করি।
Leave a Reply