ভারতবর্ষের ইতিহাস : ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ-১৫২৬ খ্রিস্টাব্দ – রোমিলা থাপার
Baratborsher Itihes by Romila Thapar
সূচিপত্র
১. প্রাক্-পরিচয়
ভারত আবিষ্কার— ভারতীয় ইতিহাস সম্পর্কে পরিবর্তনশীল দৃষ্টিভঙ্গি— প্রত্নতাত্ত্বিক পটভূমি
২. আর্য-সংস্কৃতির প্রভাব
প্রামাণিক তথ্যের সূত্র— আর্য জাতিগোষ্ঠীগুলোর রাজনৈতিক বিন্যাস— জাতিভেদ ও অন্যান্য সামাজিক প্রথা— বৈদিক ধর্ম
৩. বিভিন্ন গণরাজ্য ও রাজ্য (প্রায় ৬০০-৩২১ খ্রী. পূ.)
ক্রমবিকাশমান রাজনৈতিক গঠন— মগধ রাজ্যের উত্থান— নন্দ রাজাদের শাসনকাল— উত্তর-পশ্চিম ভারত ও পারস্যের সঙ্গে যোগাযোগ— নগরের ক্রম- বিকাশ— প্রচলিত ধর্মমতবিরোধী সম্প্রদায়ের উদ্ভব— জৈন ও বৌদ্ধধর্ম
৪. সাম্রাজ্যের উত্থান (৩২১–১৮৫ খ্রি. পূ.)
মৌর্য রাজগণ— প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর সঙ্গে মৌর্যদের যোগাযোগ—সমাজ ও অর্থনৈতিক কাজকর্ম—মৌর্য শাসনব্যবস্থা—অশোক ও তাঁর ‘ধর্ম’ নীতি—মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন
৫. সাম্রাজ্যের অবক্ষয় (প্রায় ২০০ খ্রি. পূ. ৩০০ খ্রি.)
উপমহাদেশের রাজনৈতিক খণ্ডবিখণ্ডন : শুঙ্গ রাজবংশ, কলিঙ্গের রাজা খারবেল—ইন্দো-গ্রীক রাজগণ, শক রাজগণ, কুষাণ রাজগণ, সাতবাহন রাজবংশ, দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলো— বাণিজ্যপথ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
৬. ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের উত্থান (প্রায় ২০০ খ্রি. পূ–৩০০ খ্রি.)
ব্যবসায়ী সমবায় সংঘ (গিল্ড)— দক্ষিণ ভারতের সঙ্গে রোমকদের বাণিজ্য– উত্তর ভারতে ভারতীয় ও গ্রীক ধ্যানধারণার পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া—চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ—সমাজের পরিবর্তন— শিক্ষা ও সাহিত্য—বৌদ্ধ শিল্প ও স্থাপত্য—বৌদ্ধধর্মে মহাযান মতের উদ্ভব— হিন্দু-ধর্মের ক্রমবিকাশ—খ্রিস্টধর্মের আগমন
৭. ‘ধ্রুপদী’ রীতির ক্রমবিকাশ (প্রায় ৩০০ – ৭০০ খ্রি.)
১২৩-১৫০ গুপ্ত রাজবংশের শাসন—হুন আক্রমণ—গুপ্ত-পরবর্তী কয়েকটি রাজবংশ—হর্ষের রাজত্বকাল— পরিবর্তনশীল ভূমি সম্পর্কীয় রীতিনীতি—বাণিজ্য—জীবন-যাপনের রীতি—শিক্ষা ও জ্ঞানার্জন—হিন্দু শিল্প ও স্থাপত্য—বৌদ্ধধর্মে বিকাশ—হিন্দুধর্মে পরিবর্তন—বিভিন্ন দার্শনিক মতবাদ—চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ
৮. দাক্ষিণাত্যের রাজ্যগুলোতে সংঘর্ষ (প্রায় ৫০০-৯০০ খ্রি.)
চালুক্য, পল্লব ও পাণ্ড্যদের সংঘর্ষ— রাজনৈতিক সংগঠন ও শাসনব্যবস্থা— ভূমি- ব্যবস্থা—ব্রাহ্মণদের পদমর্যাদা—শঙ্করের দর্শন— তামিল সাহিত্যের বিকাশ— তামিল ভক্তিবাদ— দাক্ষিণাত্যের প্রাচীর-শিল্প—মন্দির স্থাপত্য
৯. দাক্ষিণাত্যের উত্থান (৯০০–১৩০০ খ্রি.)
চোলদের উত্থান— চোল শাসনপদ্ধতি—চোল অর্থনীতিতে গ্রাম—বাণিজ্য – চোলসমাজে মন্দিরের তাৎপর্য–উপদ্বীপ অঞ্চলের ভাষাগুলোর বিকাশ—প্রচলিত ধর্মীয় মতবাদ ও সম্প্রদায়—রামানুজ ও মাধবের দর্শন— স্থাপত্য ও ভাস্কর্য
১০. উত্তর ভারতের আঞ্চলিক রাজ্যগুলোর সূচনা (প্রায় ৭০০-১২০০ খ্রি.) ১৯৮-২১৪ রাষ্ট্রকূট, প্রতীহার ও পালদের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাত— সিন্ধুতে আরবদের আগমন— নতুন কয়েকটি রাজ্যের উদ্ভব—রাজপুত শক্তির বিকাশ— গজনীর মামুদের আক্রমণ— আফগান সৈন্যবাহিনী— মহম্মদ ঘোরী
১১. আঞ্চলিক রাজ্যগুলোতে সামন্ততন্ত্র (প্রায় ৮০০–১২০০ খ্রি.) আঞ্চলিক আনুগত্যের শুরু— ভূমিসম্পর্কীয় রাজনীতির বিকাশ-সামাজিক সংগঠন— সংস্কৃত ও অন্যান্য নতুন বিকাশমান ভাষার সাহিত্য—মন্দির ও ভাস্কর্য—হিন্দুধর্মের পরিবর্তন— ভক্তিবাদ ও তান্ত্রিক সম্প্রদায়— বৌদ্ধধর্মের ক্ষয়–সূফীদের আগমন
১২. আঞ্চলিক রাজ্যগুলোর পুনর্বিন্যাস (প্রায় ১২০০ – ১৫২৬ খ্রি.) ২৩৭-২৫৬ দিল্লি সুলতানী আমলের ইতিহাসের দলিল ও উপাদান— দাস রাজবংশ ও খলজী রাজবংশ— রাজনৈতিক সংগঠন— তুঘলক রাজবংশ—শাসক ও শাসিতদের মধ্যে সম্পর্ক— সৈয়দ ও লোদী রাজবংশ— গুজরাট, মেবার, মারোয়াড় ও বাংলাদেশের রাজ্যগুলো
১৩. সংস্কৃতি সমন্বয়ের প্রয়াস (প্রায় ১২০০–১৫২৬ খ্রি.)
২৫৭-২৮৬ ভারতের উপর ইসলামী প্রভাবের ধারা—রাজা ও ধর্মগুরুর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য—সুলতানী শাসনব্যবস্থার গঠনরীতি—অর্থনীতি—সামাজিক কাঠামো— ভক্তি মতবাদ ও সূফীদের মধ্যে ধর্মীয় ভাবের প্রকাশ–নতুন কয়েকটি ভাষা ও সাহিত্য—ক্ষুদ্রাকৃতি (মিনিয়েচার) চিত্র—ইসলাম স্থাপত্য
১৪. দাক্ষিণাত্যের অনুক্রমণ (প্রায় ১৩০০–১৫২৬ খ্রি.)
দাক্ষিণাত্যে বিজয়নগর ও বাহমনী রাজ্যের উত্থান– সামাজিক ও অর্থনৈতিক পটপরিবর্তন—বাণিজ্য – ধর্ম
কালানুক্রমিক সারণী
শব্দার্থ
উদ্ধৃতিগুলোর উৎস
সাধারণ গ্রন্থপঞ্জী
উৎস-নির্দেশক গ্রন্থপঞ্জী
পত্রপত্রিকা
মুখবন্ধ
ভারতীয় ইতিহাসের বিশেষজ্ঞদের জন্য এ বই নয়। ভারতবর্ষ সম্বন্ধে যাঁদের সাধারণ আগ্রহ ও কৌতূহল আছে, এবং যাঁরা ভারতের প্রাচীন ইতিহাসের প্রধান ঘটনাবলির গতি-প্রকৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে ইচ্ছুক, এই বই তাঁদের জন্যই।
প্রথম খণ্ডে ভারতের ইতিহাস শুরু হচ্ছে ইন্দো-আর্য (Indo-Aryan) সভ্যতার বিবরণ দিয়ে। ভারতবর্ষের প্রাগৈতিহাসিক কাল এবং আদিযুগের ইতিহাস নিয়ে এর আগেই একটি মূল্যবান বই পেলিকান সিরিজে বেরিয়ে গেছে— স্টুয়ার্ট পিগটের ‘প্রি-হিস্টরিক ইন্ডিয়া’। সুতরাং একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তির কোনো প্রয়োজন নেই। বর্তমান খণ্ডে ষোড়শ শতাব্দীতে ইউরোপীয়দের আগমন পর্যন্ত এই উপ-মহাদেশের ইতিহাস বিবৃত হয়েছে। তাই ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দকেই শেষসীমা ধরা হলো। অবশ্য উপমহাদেশের ঐতিহাসিক বিবর্তনের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এই তারিখটিকে সীমা ধরা হয়তো যথার্থ হবে না, কারণ তার পূর্ববর্তী যুগের ঘটনাপ্রবাহের গতিবেগ অব্যাহতভাবে এগিয়ে গেছে পরবর্তী শতাব্দীগুলোতেও। কিন্তু ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে উত্তর-ভারতে মুঘলদের আগমনের সূচনা এবং তারা (অন্যান্য নানা বিষয়ের সঙ্গে) ভারতে ইউরোপের ভবিষ্যৎ ভূমিকা নির্ধারণে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল।
যাঁরা এই বইয়ের পাণ্ডুলিপি পড়ার কষ্ট স্বীকার করে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। অধ্যাপক এ.এল. ব্যাশাম, শ্রী এ. ঘোষ, শ্রী এস. মাহদি ও আমার পিতৃদেবকে আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। মানচিত্রগুলোর জন্য আকিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকেও আমার ধন্যবাদ।
রোমিলা থাপার
Leave a Reply