বৃক্ষ (কাব্যগ্রন্থ) – ফরহাদ মজহার
.
দীর্ঘ পরিকল্পনা আমার
তুড়ি ও আফসোসের শব্দ শেষ হয়, দিন গিয়ে নামে অন্ধকার
বাচাল ও বেকারেরা অবশেষে ঘরে ফিরে আসে
একদিন বেশী আয়ু বেড়ে যায় মিথ্যে রাজার
নগর উজালা হয় মাতালের মূর্খ উল্লাসে।
তামা ও নকলগিনি বিক্রি হয় সোনার চেয়েও বেশী দামে
নকল-রমণী হয় রমণীয় নকল-পাউডার গালে মেখে
লোহা ও ইস্পাতে তৈরী বোমারু এরোপ্লেন পাখীর ভণিতা নিয়ে নামে
লোকেরা সাবাশ দ্যায় পালকবিহীন পাখা দেখে।
তুমি শুধু দেখে যাও তোমার মোটেও নেই বিন্দু বিড়ম্বনা
ঘড়িকে উল্টে দাও বাকা করো মিনিটের কাটা
বিষুবরেখাকে বুড়ো আঙুলে পেচিয়ে আনো–যেনো অন্যমনা
তোমার চিন্তায় নেই দুশ্চিন্তার সিকিমাত্র জটা।
কারণ তুমি তো জানো সকল সময়ে কিছু ত্যাদড় সময়
সাময়িকভাবে রাখে সাময়িক আসর গুলজার
ভণ্ড ও ভাড়ের দিন তবু অবশেষে শেষ হয়
তুড়ি ও আফসোসে তারা ফিরে যায় তাদের সময় হলে পার।
তারপর নব্যদিন – সারারাত নতুর ভোরের আয়োজন
সারারাত আগামী দিনের জন্যে আগাম প্রস্তুতি
আমিও নিজের মধ্যে সাব্যস্ত করে ফেলি আমার নিজের প্রয়োজন
ফিরে আসে নির্মানের ইন্দ্রিয়নিবিষ্ট অনুভূতি।
তুমি তো সকলি জানো, জানো দীর্ঘ পরিকল্পনা আমার
মনীষা অপেক্ষা করে, জানো তুমি, আমিও অপেক্ষা করি পাশে
অপ্রত্যক্ষ আয়োজনে সুমসাম হবে ফের উদভ্রান্ত মাতাল সংসার
মনীষা উদিত হবে – আমিও তো হবো অবশেষে।
Leave a Reply