বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ড – তোশিকাযু কাওয়াগুচি
রূপান্তর : সালমান হক
আফসার ব্রাদার্স
প্রকাশক : আসমা আরা বেগম
প্রথম প্রকাশ : অক্টোবর ২০২১
প্রচ্ছদ : আবরার আবীর
.
উৎসর্গ
প্রিয় নাফিসা তাবাসসুম মাইশা
এবং
আব্দুল্লাহ আল নুমান’কে
[স্বার্থপর এবং অসামাজিক স্বভাবের জন্য নেহায়েত হাতেগোনা কিছু মানুষ ব্যতীত আমাকে কেউ বন্ধু হিসেবে গণ্য করে না। কিন্তু এই দুজনের বন্ধুত্ব আমাকে সত্যিই ঋণী এবং বিস্মিত করেছে। হয়তো সময় গড়ানোর সাথে সাথে তাদের বন্ধু তালিকার সবচেয়ে নীচে হবে আমার স্থান, কিন্তু আমি আমার এই কাজটা উৎসর্গ করছি আমাদের সেই স্মৃতিদের উদ্দেশে, যা আমার মনে রয়ে যাবে চির অমলিন।]
.
অনুবাদকের কথা
‘বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ড’- কথাটার সহজসরল বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘কফি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পূর্বে’। কিন্তু একটা বইয়ের নাম এরকম হবে কেন? প্রথম যখন কিন্ডল স্টোরে বইটার বিজ্ঞাপন দেখি, আমার মাথায় এই প্রশ্নটাই খেলে যায়। নিশ্চয়ই কফি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার আগে কিছু করতে হবে? সেটা জানতে গিয়েই একটু একটু করে পড়ে ফেলি পুরো বইটা। আমার অনুবাদের পাঠক যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার জাপানিজ সাহিত্য প্রীতির কথা ভালো করেই জানেন বোধহয়। এই মানুষগুলোর লেখার মধ্যে একটা অন্যরকম মায়া কাজ করে। তোশিকাযু কাওয়াগুচি ভদ্রলোকও এর ব্যতিক্রম নন। শেষ পৃষ্ঠাটা উল্টানোর পর হয়তো মনে হবে, ‘আউট অফ দ্য বক্স’ কিছু তো পড়লাম না। কিন্তু এখানেই লেখক মহাশয়ের সার্থকতা। আমাদের চিরচেনা আবেগ, সংশয়, আক্ষেপ এবং ‘ইশ, একবার যদি অতীতে ফিরে যেতে পারতাম’—এই অনুভূতিগুলোর মিশেলে এমন গল্প ফেঁদেছেন, যা দাগ কেটে যাবে একদম গম্ভীর মানুষটার হৃদয় মন্দিরে। অনুবাদক হিসেবে ছোট্ট একটা পরামর্শ। পুরো উপন্যাসটা চারটা অধ্যায়ের সমন্বয়ে রচিত। প্রতিটি অধ্যায়ই আবার পৃথক পৃথক গল্প হিসেবে পড়া যায়। সেক্ষেত্রে একটানা চারটে অধ্যায় না পড়ে মাঝে কিছু সময়ের বিরতি নিলে বোধহয় গল্প উপভোগের মাত্রাটা আরো বেড়ে যাবে।
জনরা বিবেচনায় আমি ‘বিফোর দ্য কফি গেটস কোল্ড’ বইটাকে সায়েন্স ফ্যান্টাসির মধ্যেই ফেলবো। পুরোপুরি সায়েন্স ফিকশন না আবার পুরোপুরি ফ্যান্টাসিও নয়। দু’টোর সুষম মিশ্রণ বলা যায়। তবে সর্বোপরি গল্পটা আমার- আপনার মতো আর দশজন সাধারণ মানুষের। বইটার কাজ সত্যিই ভীষণ উপভোগ করেছি। চেষ্টা ছিল নিজের সেরাটা দেওয়ার। ভালো লাগলে কৃতিত্ব লেখক এবং প্রকাশকের। খারাপ লাগলে সেই দায় আমার।
আরেকটা ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই। আমি এই বইটার অনুবাদের ক্ষেত্রে কিছু লাইন মূল রচনা অনুযায়ী ‘ইটালিক’ হরফেই রেখে দিয়েছি। আমাদের দেশের পাঠ্য সংস্কৃতিতে এরকম ইটালিক বা একদিকে একটু হেলানো লেখার চল খুব একটা নেই, কিন্তু বিশ্বসাহিত্যে এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাধারণত বক্তা মনে মনে কিছু ব্যক্ত করলে সেগুলো ইটালিক হরফ দ্বারাই প্রকাশ করা হয়। আশা করি আমার অনুবাদের পাঠকদের বিষয়টা বুঝতে কোনো সমস্যা হবে না।
সালমান হক
১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২১
বনশ্রী, ঢাকা
Leave a Reply