বিদ্রোহী ডিরোজিও – বিনয় ঘোষ
বিদ্রোহী ডিরোজিও – বিনয় ঘোষ
প্রথম প্রকাশ : ১৯৬১
আমার শিক্ষক, বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি-বিভাগের
প্রধান অধ্যাপক। পরমশ্রদ্ধাস্পদ
শ্রীযুক্ত পঞ্চানন চক্রবর্তী
মহাশয়কে বইখানি উৎসর্গ করলাম, কলেজের ছাত্রজীবনের কথা স্মরণ করে।
বিনয় ঘোষ
.
প্রথম দীপ সংস্করণ প্রসঙ্গে
নতুন সংস্করণ নিয়ে দু-একটা কথা বলতেই হয়। যথাযথ অর্থে এটা সংস্করণ, পুনর্মুদ্রণ নয়। পরিমার্জিত সংস্করণের সুযোগ নেই, সেটা একমাত্র লেখকই করতে পারতেন। লেখকের অনুপস্থিতিতে তাঁর Text বা বয়ানে হাত দেবার অধিকার প্রকাশকের নেই। নতুন সংস্করণে আধুনিক বানানরীতি অনুসরণ করা হয়েছে। মুদ্রণপ্রমাদ যথাসম্ভব সংশোধন করা হয়েছে। পরিবর্তিত হয়েছে প্রচ্ছদের ছবি।
বিদ্রোহী ডিরোজিও প্রথম প্রকাশিত হয় মার্চ, ১৯৬১-তে। প্রকাশক ‘বাক-সাহিত্য’। পুনঃপ্রকাশ হয় উনিশ বছর পরে, ১৯৮০ সালে। প্রকাশক ‘অয়ন’। এই বছরে লেখক প্রয়াত হন। এরপর একুশ বছর বইটি ছাপা ছিল না। ২০০২-এ আবার ‘বাক-সাহিত্য’ নতুন সংস্করণ প্রকাশ করে। সংযোজিত হয় বিনয় ঘোষের একটি ইংরেজি নিবন্ধ। নিবন্ধটি ডিরোজিও সম্পর্কে একটি স্মারক বক্তৃতা। ১৯৮০ সালের ২৫ এপ্রিল বক্তৃতাটি দিয়েছিলেন তিনি। এরপর আর সংস্করণ হয়নি, হয়েছে পুনর্মুদ্রণ।
প্রথম সংস্করণে প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন পরিতোষ সেন। দ্বিতীয় সংস্করণে অজয় গুপ্ত। এবং তৃতীয় সংস্করণে নিতাই ঘোষ। দীপ-এর নতুন সংস্করণে প্রচ্ছদ এঁকেছেন রাতুল চন্দরায়।
.
ভূমিকা
নবযুগের বাংলার প্রথম চিন্তাবিপ্লবকালের দু’জন বিরাট যুগপুরুষ রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের মাঝখানে যুবক ডিরোজিও (১৮০৯—১৮৩১) উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মতন বিরাজ করছেন। এ দেশের ফিরিঙ্গি সমাজে তাঁর জন্ম হলেও বাঙালি-সমাজে তিনি চিরস্থায়ী আসন অধিকার করে আছেন। আধুনিককালের নবীন বাংলায় একদল তরুণ (ইয়াং বেঙ্গল) ইতিহাসে তাঁরই নামে ‘ডিরোজিয়ান’ বলে পরিচিত। এই কারণে ডিরোজিওর জীবনচরিত বাংলার সামাজিক ইতিহাসের অবশ্যপাঠ্য অধ্যায়।
ডিরোজিওর তরুণ ছাত্রদলের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, রামগোপাল ঘোষ, রসিককৃষ্ণ মল্লিক, রাধানাথ শিকদার, মাধবচন্দ্র মল্লিক, হরচন্দ্র ঘোষ, রামতনু লাহিড়ী, শিবচন্দ্র দেব, গোবিন্দচন্দ্র বসাক। এঁদের জীবনচরিত, কর্মনীতি ও আদর্শের বৃত্তান্ত ‘ইয়ংবেঙ্গল’ নামে পৃথক গ্রন্থে প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে। ‘বিদ্রোহী ডিরোজিও’ তারই ভূমিকা বলা যেতে পারে।
বিনয় ঘোষ
৩০ ফাল্গুন, ১৩৬৭
‘সরসিজ’
৪৭/৪ যাদবপুর সেন্ট্রাল রোড
কলকাতা – ৩২
Leave a Reply