বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয় – শ্রী অতুল সুর
উৎসর্গ
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাঁদের কাছে নৃতত্ত্ব বিষয় অধ্যয়ন করেছিলাম সেই দুই মনীষী অধ্যাপক হারাণচন্দ্র চাকলাদার ও ড. বিরজাশঙ্কর গুহ মহোদয়গণের স্মরণে নিবেদন
‘বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয়’ ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দু মহাসভা-কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল। বোধহয় নৃতত্ত্ব সম্বন্ধে বাঙলা ভাষায় এইটাই প্রথম বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা। পরবর্তীকালের কর্মব্যস্ততা ও পারিবারিক বিপর্যয়ের মধ্যে এই রচনাটির কথা আমি একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম। মাত্র দুই মাস পূর্বে আমার সহকর্মী শ্রীকানাইলাল বসু তাঁর কাছে সংরক্ষিত এই গ্রন্থের একখানা কপি আমাকে প্রত্যর্পণ করেন। তারপর ‘জিজ্ঞাসা’ প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী শ্রীশীশকুমার কুণ্ড মহাশয় এর পুনমুদ্রণের ব্যবস্থা করেন। কালের তিমির গহ্বর থেকে উৎখনিত এই রচনাটির পুনর্মুদ্রণের ব্যবস্থা করে তিনি বিশেষভাবে আমার ধন্যবাদাহ হয়েছেন। বইখানির দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্রদত্ত জনসংখ্যাসমূহ আদম শুমারির শেষ অধিগত বিবরণী অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়েছে এবং বইয়ের পঞ্চম অধ্যায়টি নতুনভাবে লিখিত হয়েছে। তা ছাড়া, বইখানি যেমন ছিল তেমনই আছে।
অতুল সুর
২০ কার্তিক, ১৩৮৩
পুনশ্চ
‘বাঙালির নৃতাত্ত্বিক পরিচয়’ যে পাঠকসমাজের কাছে বিশেষ সমাদর লভে করেছে তা বইখানি অল্পদিনের মধ্যে নিঃশেষিত হয়ে যাওয়া থেকে প্রকাশ পাচ্ছে। এই সংস্করণে মানুষের দৈহিক গঠনে জীবকণা। (Genes) ও প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural selection)-এর প্রভাব ও নৃতাত্ত্বিক পর্যায় নির্ণয়ে শোণিত-বর্গ (Blood groups) সম্পর্কে পরীক্ষার ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া, এখানে- সেখানে নতুন তথ্যও যোগ করা হয়েছে।
অতুল সুর
১২ ফাল্গুন ১৩৫৮
Leave a Reply