ফুটিডাঙায় ফাটাফাটি – সৈকত মুখোপাধ্যায়
আহ্লাদে আট খানা আজগুবি কাহিনি
প্রথম প্রকাশ – আগস্ট ২০২১
ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক পত্রভারতী থেকে প্রকাশিত
প্রচ্ছদ সৌজন্য – চক্রবর্তী ও ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
অলংকরণ – ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
.
যার সঙ্গে আমার নিত্যদিনের পরিহাস
বন্ধু দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য-কে
আচ্ছা, এরকম একটা গ্রাম তো থাকতেই পারে, যেখানে কোনো থানা-পুলিশেরই এক্তিয়ার নেই, আর সেইজন্যেই সেখানে চোর-ডাকাতদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে গজিয়ে উঠেছে মস্ত একটা হোটেল! কিম্বা যদি থাকে এমন একটা রোবট, মোবাইল ফোন দেখলেই যার মাথায় রক্ত চড়ে যায় আর সে সিমকার্ডগুলোকে কচমচ করে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে? একজন ডাকাত-সর্দার যদি ভাবে যে, সে সম্রাট আকবরের মতন, ন’জন গুণী মানুষকে নিয়ে একটা নবরত্ন সভা বানাবে কিম্বা অন্যগ্রহের এক প্রাণী যদি চায় যে সে চিৎপুরের যাত্রাপালায় অভিনয় করবে, তাতেই বা দোষের কী আছে?
এই সব ভেবেই গল্পগুলো লিখেছিলাম।
এই আটটা উপন্যাসের মধ্যে কারুর প্রতি কোনো সমালোচনা নেই, কোনো তত্ত্বকথাও বলতে চাইনি। চেয়েছিলাম শুধু সববয়েসি পাঠকদের নির্মল আনন্দ দিতে, হাসাতে। পত্রিকায় বেরোনোর পর দেখেছি, ছোটদের অভিভাবকেরাও এগুলো পড়ে সমানতালে হেসেছেন। আমার কাছে সেটা কম আনন্দের ব্যাপার নয়।
এই সংকলনের পাঁচটি কাহিনি প্রকাশিত হয়েছিল কিশোর ভারতী পত্রিকার নববর্ষ ও শারদ সংখ্যায় আর তিনটি শারদীয়া চিরসবুজ লেখায়। কিশোর-মনের সার্বিক পরিপুষ্টির জন্যে সরস-গল্প যে প্রয়োজনীয় সে-কথা তাঁরা ভুলে যাননি, সেই কারণে দুটি পত্রিকার সম্পাদককেই আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। আর ভালোবাসা জানাই পত্রভারতী প্রকাশনার ভাইবোনেদের, যাদের পরিশ্রমে বইটি এত সুন্দরভাবে সেজে উঠল।
সৈকত মুখোপাধ্যায়
সল্টলেক,
২৫ বৈশাখ, ১৪২৮
Please senorita krishnemdu mukhopadhya boi ta please jodi dan
সৈকত মুখোপাধ্যায়ের নোনা বালি চোরা টান বইটি পারলে দেওয়ার অনুরোধ রইল। খুবই কৃতজ্ঞ থাকব।..