ফিজিক্স অব দ্য ফিউচার – মিশিও কাকু
অনুবাদ – সাকিব জামাল
অন্বেষা প্রকাশন
প্রথম প্রকাশ – অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০
Physics of the Future by Michio Kaku
Translated by Sakib Jamal
First Published February Book Fair ২0২0
লেখকের উৎসর্গ
আমার প্রেমময় স্ত্রী-শিজু
এবং আমার কন্যা-মিশেল ও অ্যালসন
অনুবাদকের উৎসর্গ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
আমার পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহপাঠী বন্ধুদের
মিশিও কাকু
ড. মিশিও কাকু (জন্ম : জানুয়ারি ২৪, ১৯৪৭) জন্মস্থান : সান হোসে, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান বাসস্থান : নিউইয়র্ক সিটি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি একজন আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী, বিজ্ঞান ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, বিজ্ঞান প্রচারণাকারী এবং জনপ্রিয়কারী। নিউইয়র্কের সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের একজন অধ্যাপক; স্ট্রিং ফিল্ড থিওরির কোফাউন্ডার এবং হাইপারস্পেস এবং ইমপসিবল পদার্থবিজ্ঞানসহ বেশ কয়েকটি বহুল প্রশংসিত বিজ্ঞান বইয়ের লেখক, যা বিশ্বব্যাপী বেস্ট সেলার বইসমূহের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার বিজ্ঞান চ্যানেল টিভি শো হাইপার স্পেস বিজ্ঞান, ফিজিক্স অব দ্য ইম্পসিবল, এক্সপ্লোরেশন এবং সায়েন্স ফ্যান্টাস্টিক দুটি রেডিও প্রোগ্রামের হোস্ট, তিনি বিবিসি, ডিসকভারি চ্যানেলসহ বেশকিছু চ্যানেলে বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেছেন।
অনুবাদকের অনুভূতি
‘টাসকি খেয়ে গেলাম’ এই বইটি পড়ে এই স্লাং অনুভূতিটি মনে হয়েছে আমার! যাহোক, ‘ফিজিক্স অব দি ফিউচার’ বইটি পড়ে আমার এত ভালো লেগেছে, যা আমার পক্ষে আসলে বুঝিয়ে বলা অসম্ভব। আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হতে যাচ্ছে, আমাদের পৃথিবী এবং আমাদের সভ্যতা কেমন হবে আগামী দিনে- এসবই মূলত এই বইটিতে আলোচিত হয়েছে।
পদার্থবিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, কম্পিউটার, রোবট, মহাকাশ, পরিবেশ- প্রায় সবকিছুরই ভূত-ভবিষ্যৎ বইটিতে সুন্দরভাবে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিকভাবে তত্ত্ব, তথ্য, প্রমাণ এবং উদাহরণসহ উপস্থাপন করা হয়েছে। মানব ইতিহাসের শুরু থেকে আজ অবধি প্রায় ছোটবড় উদ্ভাবন, আবিষ্কার এবং চলমান গবেষণা নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে বইটিতে।
কেমন হবে ২১০০ সালের পৃথিবী ও মানব সভ্যতা? বৈশ্বিক এবং অন্যগ্রহ সাপেক্ষে আমাদের অবস্থান কী হবে? ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন থাকবে? আমরা কি গ্রহেই থাকবো নাকি অন্য গ্রহে বসতি স্থাপন করতে পারবো? এলিয়েন ও আমাদের সম্পর্ক কেমন হবে? বিজ্ঞান মানবতাকে ধ্বংস করবে নাকি উন্নত স্তরে নিয়ে যাবে? বিশ্বব্যাপী মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থা কী হবে? বা পরবর্তী বিশ্বযুদ্ধের রূপ কেমন হবে? বইটিতে এসব সকল বিষয়ের বিস্তারিত আলাপ রয়েছে। অর্থাৎ বইটিতে কী আছে তা বলার চেয়ে বরং বলা যায় বইটিতে কি নেই!
এই বইটি যত পড়বেন তত অবাক হবেন। আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি হলো- পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করার পরও মনে হয়েছে পদার্থবিজ্ঞানের ব্যাপ্তি এবং প্রয়োজনীতা বেশি বুঝেছি এই বইটি পড়ে। এছাড়া প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অন্যান্য বিষয় যা জেনেছি এই জীবনে তা শতভাগ হলে এই বইটি হবে তার পঞ্চাশ ভাগ! বইটি আপনি যদি ধৈর্য নিয়ে পড়তে পারেন তবে মনে হবে জ্ঞান আহরণের সাধনায় এমন বড় সফলতা আগে কখনই পাননি। জানার কোনো শেষ নেই, জানার কোনো বয়স নেই। এই বইটি আপনাকে এটি আরো তীব্রভাবে বুঝিয়ে ছাড়বে। এ ব্যাপারে আমার অনুভূতি হয়েছে- কী ভীষণ অজ্ঞ আমি!
যাহোক, আশা করছি, বইটি আপনাকে, আপনার সন্তানকে, আপনার সমাজ ও দেশকে এবং আপনার পৃথিবীকে আপনার সামনে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করবে। আমি যতটা সম্ভব সহজ করে অনুবাদ করার চেষ্টা করেছি- যা সবাই মোটামুটিভাবে বুঝতে পারবেন।
আগামী দিনগুলো এবং আসছে ভবিষ্যৎ শুভ হোক সবার জন্য।
ধন্যবাদ।
সাকিব জামাল
Leave a Reply