ফাউন্ডেশন অব ইসলাম – বেঞ্জামিন ওয়াকার
অনুবাদ – সা’দ উল্লাহ্
সময় প্রকাশন
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০০৬ উপলক্ষে জুলাই ২০০৫
প্রকাশক – ফরিদ আহমেদ
প্রচ্ছদ – ধ্রুব এষ
.
উৎসর্গ
শ্রদ্ধেয় প্রয়াত শিক্ষক
আবু মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ
চেয়ারম্যান, ইসলামের ইতিহাস
ও সংস্কৃতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
.
মুখবন্ধ
এই গ্রন্থের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে অমুসলিম পণ্ডিত ব্যক্তিরা যেসব গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে অবদান রেখে গেছেন সেগুলোকে একঠাই করে উপস্থাপন করা। ঐসব গ্রন্থগুলোকে মৌলিক রচনা বলে দাবি করা হয়। গ্রন্থকার হিসাবে আমি তাদের কাছে ঋণী।
এই বিদেশী প্রভাবগুলোকে চিহ্নিত করা যায় প্রফেট মোহাম্মদের পূর্ব থেকে। প্যাগন আরবরা প্রাচীন বিশ্বের সাথে সংযোগ রেখেছিল মিসর, ব্যাবিলন থেকে গ্রিক ও রোমান পর্যন্ত এবং এইসব সংগৃহীত তথ্য ইসলামের ভিত রচনায় প্রাথমিকভাবে সাহায্য করেছে। আরবে বসবাসরত ইহুদি ও খ্রিস্টানদের সাথে আরব প্রফেটের নিকট ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং পরবর্তীতে ইসলামী রাজ্যের বিস্তারের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের সাথে সংযোগ এই ধর্মকে শতাব্দিব্যাপী উৎসাহ জুগিয়েছে, আরও সমুন্নত করছে।
অন্যান্য গ্রন্থকারদের মতো আমাকেও প্রখ্যাত স্কলার ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের পাণ্ডিত্য ও জ্ঞানের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে, যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান রেখে গেছেন। তাঁদের মধ্যে ইগনাজ গোল্ড- জিহার, মন্টোগোমারি ওয়াট, এইচ.এ. আর. গিব, আলফ্রেড গিয়োম, রিচার্ড বেল, টর আন্দ্রে, আর এ নিকোলসন, ম্যাক্সিম রডিনসন, সৈয়দ আমীর আলী এবং অন্যান্য পণ্ডিত ব্যক্তির নাম উল্লেখযোগ্য। এইসব পণ্ডিত ব্যক্তিদের নাম এই গ্রন্থের শেষে উল্লেখিত হয়েছে গ্রন্থপঞ্জিতে। আরবি শব্দ থেকে ভাষান্তর ব্যাপারে আমি অন্যান্য গ্রন্থকারদের ব্যবহৃত পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। এ ব্যাপারে পাঠকদের ইনডেক্স দেখতে অনুরোধ করি যা আমার মূল গ্রন্থে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সমস্ত তারিখগুলোকে খ্রিস্টাব্দ ধরতে হবে, যদি অন্যভাবে উল্লেখ করা না হয়। তেমনি, যদি অন্যভাবে বলা না থাকে, তাহলে সব বিদেশী, ব্র্যাকেটে লিখিত, শব্দগুলো আরবি বা আরবি থেকে অনুসরণীয়।
ব্র্যাকেটে (৩ : ৩৫) এইসব ফিগার কোরানের সূরা ও আয়াত। যেহেতু সূরার আয়াত নম্বর অনেক ক্ষেত্রে অমিল থাকে, তাই পাঠকদের দু’তিন আয়াত নিচে ওপরে দেখে নিতে অনুরোধ করছি।
—গ্রন্থকার
.
অনুবাদকের কথা
বেঞ্জামিন ওয়াকার (Benjamin Walker) -এর গ্রন্থ ‘Foundation of Islam’ একটি মৌলিক ঐতিহাসিক গ্রন্থ বলে পরিচিত। এই গ্রন্থ রচনায় গ্রন্থকার বহু পণ্ডিত ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের রচিত গ্রন্থ আলোচনা করে এই পুস্তকটি রচনা করেছেন। অনুবাদিত গ্রন্থের শেষে গ্রন্থপঞ্জিতে আলোচিত পুস্তকের তালিকা ইংরেজি ভাষায় তুলে দেয়া হয়েছে।
মূল গ্রন্থটির অনুবাদ একেবারে আক্ষরিক নয়; বিষয়বস্তুর কোনো পরিবর্তন বা বিবর্জন হয়নি। যথাসম্ভব গ্রন্থকারের মূল বক্তব্য ও সূত্রসহ অনুবাদিত। অনুবাদকের এই রচনায় নিজস্ব কোনো ভূমিকা নেই এবং তাঁর একটিও নিজের বাক্য সংযোজিত হয়নি। মূল গ্রন্থে বর্ণিত তথ্যসহ বিষয়গুলি শুধু বাংলা ভাষায় বাঙালি পাঠকের সুবিধার জন্য ভাষান্তর করা হয়েছে।
গ্রন্থখানি তথ্যসমৃদ্ধ ইতিহাস গ্রন্থ এতে কোনো কিংবদন্তি নেই, অতিকথন নেই। ইসলাম ধর্ম ঐতিহাসিক ধর্ম এবং এই ধর্মের প্রবর্তকও ঐতিহাসিক ব্যক্তি। অতএব এই গ্রন্থকে ইসলামের ইতিহাস রূপে পাঠ করা উচিত। পরমতসহিষ্ণু হয়ে, আবেগতাড়িত হয়ে নয়। গ্রন্থটি ইসলামের ইতিহাস, থিওলজি নয়। প্রায় ৩৮০ পৃষ্ঠার বইটি অনুবাদ করতে আমার যথেষ্ট সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হয়েছে এই বৃদ্ধ বয়সে। পাঠকের কাছে বইটি সমাদৃত হলে আমি আমার শ্রম ও শারীরিক অসুস্থতাকে ভুলে যাব।
বইটিকে আগ্রহ নিয়ে ও দৃষ্টিনন্দিত করে প্রকাশ করেছেন সময় প্রকাশন- এর জনাব ফরিদ আহমেদ; আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি তাঁর প্রকাশনা শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নতি কামনা করি।
সকলেই ভালো থাকুন, সুস্থ জীবনযাপন করে আপন কর্মকেই ধৰ্ম জ্ঞান করুন
সা’দ উল্লাহ
উত্তরা, ঢাকা
জুন, ২০০৫
Md. Monirul Islam Khan
good web