প্রাচীন ভারতে নারী ও সমাজ – সুকুমারী ভট্টাচার্য
Women and Society in Ancient India
থেকে ভাষান্তর
বিজয়া গোস্বামী
নীলাঞ্জনা শিকদার দত্ত
করুণাসিন্ধু দাস
প্রথম প্রকাশ: নভেম্বর ২০০৬
উৎসর্গ: প্রয়াত শ্রীসুধী প্রধান অগ্রজপ্রতিমেষু
প্রথম সংস্করণে লেখকের কথা
বছর কয়েক আগের কথা। একদিন অধ্যাপক রণবীর চক্রবর্তী খুব বকাঝকা করলেন Women and Society in Ancient India বইটির পুনঃপ্রকাশের কোনও উদ্যোগ নিচ্ছি না কেন— এই বলে। তাঁর দাবি আগ্রহী পাঠকপাঠিকাদের কথা বাদ দিলেও অন্তত ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবেও আমার এ কাজটা করা উচিত। রণবীরের বক্তব্য, বইটি নাকি এই বিষয়ে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ ভাবে প্রয়োজন এবং এর ইংরেজি সংস্করণটি নিঃশেষিত। সুদীর্ঘ শিক্ষকতার জীবন কাটিয়ে ‘ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনে লাগবে’— এমন একটি কথাকে উপেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফলে কনিষ্ঠের সে দিনের সেই তিরস্কার শিরোধার্য করে নিলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম যদি বইটির একটি বাংলা সংস্করণ প্রকাশ করা যেত তবে বহু ছাত্রছাত্রীর এবং বাংলা ভাষায় যারা এই ধরনের লেখা পড়তে আগ্রহী তাদের হয়তো কিছুটা সুবিধে হত। কিন্তু এই ভাবনার প্রায় অকালমৃত্যু ঘটতে চলেছিল কারণ নিজের লেখা অনুবাদ করার ধৈর্য বা উৎসাহ দুটোরই আমার যথেষ্ট অভাব ছিল। ফলে সেই আশা যখন প্রায় ছেড়ে দিয়েছি এমন সময় ন্যাশনাল বুক এজেন্সির থেকে প্রস্তাব আসে বইটি বাংলা করার এবং ভাষান্তরের কাজটিও আমাকে করতে হবে না। বলা বাহুল্য এ হেন প্রস্তাবে পরম তৃপ্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু আবারও গেরো। গোটা বইটি অনুবাদের পর দেখা গেল তার একটি বাক্যও যথার্থ হয়নি। মনে মনে প্রমাদ গুনলাম। এ বার বইটির অপমৃত্যু আর কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু না, এ বার এগিয়ে এলেন আমার দুই প্রাক্তন ছাত্রী ড. বিজয়া গোস্বামী ও ড. নীলাঞ্জনা শিকদার দত্ত এবং ড. করুণাসিন্ধু দাস। অনুবাদের দায়িত্ব তাঁরাই নিলেন। ন্যাশনাল বুক এজেন্সিও অত্যন্ত ধৈর্য ধরে সমস্ত কাজটি পরিচালনা করেন। এঁদের প্রত্যেকের কাছে আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ।
শারীরিক অক্ষমতার জন্য বইটির প্রুফ দেখা বা অন্যান্য সম্পাদনার কাজ কোনওটাই আমার পক্ষে সম্ভব হল না। ফলে কোনও ত্রুটি যদি বইটিতে থেকে যায় তবে সে দায় একান্ত ভাবেই আমার।
পরিশেষে বলি, বইটি যদি সারস্বত সমাজে বা বৃহত্তর ক্ষেত্রে মানুষের সংগ্রামে কিছুমাত্র কাজে লাগে তবেই এত জনের শুভ প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে মনে করব।
সুকুমারী ভট্টাচার্য
২০.১১.০৬
(‘প্রাচীন ভারতে গণিকা’, ‘মহাকাব্য মহাভারত’ ও ‘সংস্কৃত সাহিত্যে শূদ্র ও নারীর চরিত্র: পঞ্চম থেকে একাদশ শতক’ প্রবন্ধ তিনটি আনন্দ পাবলিশার্স প্রকাশিত প্রাচীন ভারত: সমাজ ও সাহিত্য বই-তেও অন্তর্ভুক্ত। সেই বইটি এ সংকলনের অংশ, এবং প্রবন্ধ তিনটি সেখানেই রাখা হল। )
Shomnath Chakravarty
ধন্যবাদ এই অসাধারণ বইটি অন্তর্জালে রাখার জন্য। এন বি এ’র ২০২৩ প্রকাশে কিন্তু আরো একটি অধ্যায় আছে, নাম,”সংস্কৃত সাহিত্যে শূদ্র ও নারীর চিত্র: পঞ্চম থেকে একাদশ শতক”।