পিতা পুত্রকে – চাণক্য সেন
প্রথম প্রকাশ : ডিসেম্বর, ১৯৯৫
উৎসর্গ
বিশ ও তিরিশ দশকের সমস্ত পিতৃ-প্রজন্মের
হাতে এই উপন্যাস তুলেদেওয়া হলো।
.
মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল-মাঝে
আমি মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
.
ভূমিকা
‘পিতা পুত্রকে’ আমার দশ বছর আগে প্রকাশিত ‘পুত্ৰ-পিতাকে’ উপন্যাসের সমান্তরাল উপন্যাস। দু’খানা উপন্যাসে বিংশ শতাব্দীতে পিতা-পুত্র এই দুই প্রজন্মের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও বিশ্বব্যাপী অভিজ্ঞান ও অনুভূতি তুলে ধরবার চেষ্টা করা হয়েছে। দুই প্রজন্মের জবানবন্দীর মধ্যে ধরা পড়েছে এই ঘটনাবহুল ও সবকিছুকে ওলট—পালট করে দেওয়া শতাব্দীর বিপুল চেহারার অনেকখানি।
যেসব পাঠক-পাঠিক ভারতে বা বাংলাদেশে ‘পুত্র-পিতাকে’ পড়ে বিচলিত হয়েছিলেন তাঁদের কাছে ‘পিতা-পুত্রকে’ পঠিত হহবার আবেদন নিয়ে হাজির হচ্ছে। বর্তমান উপন্যাসের প্রথম খণ্ড একটি পুরুষের পিতৃরূপ পাওয়া পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত। এই লোকটির জন্ম হয়েছিল অখণ্ডিত বাংলার এক গ্রামে। পিতা হতে হতে তাকে খণ্ডিত বঙ্গের পশ্চিম অংশ থেকে সরে গিয়ে খণ্ডিত ভারতবর্ষে, ভারতরাষ্ট্রের মধ্যভূমিতে চলে আসতে হয়েছিল জীবিকা ও জীবনের তাড়নায়। এখানে তার যৌবন পিতৃরূপ পেল।
দ্বিতীয় খণ্ডে, এই নবজন্মিত পিতা মোটামুটি বিশ্বনাগরিক। যদিও তার আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও আত্মিক শেকড় ভারতভূমিতে। দ্বিতীয় খণ্ড, যার প্রকাশ বছর খানেকের মধ্যে প্রত্যাশিত, পুত্র ও পিতা এই দুই প্রজন্মের বিশ্বপটভূমিকায় আত্মপরিচয়, সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বপরিচয়।
চাণক্য সেন
নিউ দিল্লি
ডিসেম্বর, ১৯৯৫
Leave a Reply