পিকুর ডায়রি ও অন্যান্য – সত্যজিৎ রায়
প্রথম সংস্করণ: জানুয়ারি ১৯৮৬
প্রকাশক: আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড
প্রচ্ছদ: সত্যজিৎ রায়
*
ভূমিকা
আমার লেখা শুরু চিত্রনাট্য দিয়ে। গল্প আমি প্রথম লিখি যখন সন্দেশ পত্রিকা পুনঃপ্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে। স্বভাবতই সন্দেশ-এর লেখা ছিল কিশোরদের জন্য। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য লেখা আমার প্রথম গল্প ‘আর্যশেখরের জন্ম ও মৃত্যু’। এটি লেখা হয় তখনকার অমৃত পত্রিকার সম্পাদক কবি মণীন্দ্র রায়ের অনুরোধে। দ্বিতীয় গল্প ‘পিকুর ডায়রি’ লিখি আনন্দবাজার পূজা সংখ্যার জন্য। এটি আমার কাছ থেকে আদায় করেছিলেন সম্পাদক ও সুসাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী। এই ‘পিকুর ডায়রি’ অবলম্বনেই বেশ কিছুকাল পরে আমার ছাব্বিশ মিনিটের ছবি ‘পিকু’ রচিত হয়। পড়লেই বোঝা যাবে যে চিত্রনাট্যের সঙ্গে মূলের যত না মিল তার চেয়ে বেমিল বেশি।
এই সংকলনে আরো তিনটি রচনা রয়েছে। তার মধ্যে ‘ময়ূরকণ্ঠি জেলি’ ও ‘সবুজ মানুষ’ বিজ্ঞানভিত্তিক কাহিনী বা সায়ান্স ফ্যানটাসির পর্যায়ে পড়ে। ময়ূরকণ্ঠি জেলি প্রকাশিত হয় ‘বিস্ময়’ পত্রিকায়। সবুজ মানুষ আসলে রেডিওতে পড়ার জন্য লেখা। যেই বিশেষ প্রোগ্রামটিতে এটি ব্যবহার হয় তাতে এই একই শিরোনামায় আরো তিনটি গল্প লিখে পড়েছিলেন তিনজন লেখক—প্রেমেন্দ্র মিত্র, অদ্রীশ বর্ধন ও দিলীপ রায়চৌধুরী। নাম ছাড়া এই গল্পগুলির মধ্যে পরস্পরে কোনো মিল ছিল না।
‘শাখা-প্রশাখা’ একটি চিত্রনাট্যের প্রথম পর্ব। এটি লেখা শুরু হয় আমার এক অবসর মুহূর্তে। প্রথম পর্ব লেখার পরেই একটি ছবির কাজ এসে পড়ে। ফলে চিত্রনাট্যটি অসমাপ্তই থেকে যায়। শাখা-প্রশাখা ও পিকুর চিত্রনাট্য প্রকাশিত হয় ‘এক্ষণ’ পত্রিকায়।
সত্যজিৎ রায়
Leave a Reply