ন হন্যতে – মৈত্রেয়ী দেবী (আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস)
ন হন্যতে
অজো নিত্যঃ শ্বাশ্বতোহয়ং পুরাণো
ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।।
এই আত্মা জন্মরহিত শ্বাশত ও পুরাতন
শরীরকে হনন করিলেও ইনি নিহত হন না।
প্রথম সংস্করণের ভূমিকা
উপন্যাসের কোনো ভূমিকার প্রয়োজন নেই, সে তার নিজের কথা নিজেই বলে। তবু আমাকে একটু কৈফিয়ৎ দিতে হচ্ছে। এ বইতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ছাড়াও এমন অনেকের নাম উল্লেখ করেছি যারা একদিন জীবিত ছিলেন। এই কাহিনী গড়ে তোলবার জন্য তাদের প্রকৃত নাম উল্লেখের হয়ত তেমন সার্থকতা নেই। শুধু আমি একটি যুগের ছবি আঁকতে চাইছিলাম, যে যুগ এইসব যুগপুরুষ ও অসামান্যা নারীদের উপস্থিতিতে উদ্ভাসিত হয়েছিল। কোনো কাল্পনিক নাম ব্যবহার করে সেই যুগটি আমার কাছে সত্য হচ্ছিল না।
১৯৭৩-এর সেপ্টেম্বর মাসে বইটা লেখা হয়েছে, মাত্র দু’মাস আগে পাণ্ডুলিপি ছাপতে দিয়েছি। খুব শখ হয়েছিল পূজার আগে বইটি প্রকাশ হবে। প্রকাশক মশাই আমায় বলেছিলেন এত দ্রুত কাজ ভাল হয় না। কিন্তু আমার অতি আগ্রহবশত আমিই তাড়া করে দু’মাসের মধ্যে বাইশ ফর্মা বইটা ছাপিয়ে ফেললাম—ফলে দু-চারটি মুদ্রণ প্রমাদ রয়ে গেল, যার জন্য প্রকাশক দায়ী নন, দায়ী আমি।
মৈত্রেয়ী দেবী
২রা অক্টোবর, ১৯৭৪
উৎসর্গ
আমার মা
স্বর্গীয়া হিমানীমাধুরী দাসগুপ্তাকে
—১৫ই ভাদ্র, ১৩৮১
Leave a Reply