দ্য মিথ অব সিসিফাস – আলবেয়ার কামু
ভাষান্তর – মনোজ চাকলাদার
র্যামন পাবলিশার্স
প্ৰথম প্ৰকাশ : ফেব্রুয়ারি ২০০৮
প্রচ্ছদ : মাহবুব কামরান
আলবেয়ার কামুর কথা
আমার ক্ষেত্রে যা ‘দ্য রেবেল’ এর সময়ে আমাকে অন্বেষণ করতে হয়েছিল সেটা ‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’ এক ভাবনায় শুরু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। এতে চেষ্টা করা হয়েছে আত্মহত্যার সমস্যার সমাধান, যেমন ‘দ্য রেবেল’এ করা হয়েছে খুনের সমস্যার সমাধান। উভয় ক্ষেত্রেই চিরন্তন মূল্যবোধ ছাড়াই। সম্ভবত সাময়িকভাবে সমসাময়িক ইউরোপের এই বোধগুলো অনুপস্থিত অথবা বিকৃত। ‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’এর মৌলিক বিষয় হল : এ বৈধ এবং চমকপ্ৰদ করে তোলা প্রয়োজন যেখানে জীবনের একটা অর্থ রয়েছে; সুতরাং আত্মহত্যার সমস্যা সমাধানের মুখোমুখি হওয়াটা বৈধ। মূলগত ও কুটাভাসের ভেতর দিয়ে একে উপস্থিত করা প্রয়োজন যা বিস্তার করেছে এর ভেতর। তার উত্তরটা হল : এমন কী কেউ যদি ঈশ্বর বিশ্বাস না করে, আত্মহত্যা বৈধ নয়। পনের বছর আগে, ১৯৪০ এ ফ্রান্স ও ইউরোপের দুর্যোগের মাঝে, এই বইটি ঘোষণা করে, এমন কী নৈরাজ্যবাদের সীমাবদ্ধতায় থেকেও এ সম্ভব, পথ বের করে নৈরাজ্যবাদের ঊর্ধ্বে এগিয়ে যাওয়া। এ পর্যন্ত যেসব বই লিখেছি, আমি সেই দিকে অনুধাবন করার চেষ্টা করেছি। যদিও ‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’ মরণশীলতার সমস্যা উত্থাপন করেছে, অত্যন্ত নিঃসঙ্গতার মাঝখানে বেঁচে থাকা ও সৃষ্টি করতে স্পষ্টভাবে আমন্ত্রণ করেছে, এ নিজেই আমার অন্য সংক্ষিপ্ত রূপ দিয়েছে। অতঃপর এই দার্শনিক যুক্তি কয়েকটি প্রবন্ধের পরমপরায় যুক্ত করা সম্ভব বলে ভাবা হচ্ছে, এ অবস্থায় আমি কখনও লেখা থামাইনি, আর সেইসব লেখায় আমার অন্যান্য বইয়ে অল্প বিস্তর প্রান্তীয় রূপে রয়েছে। রয়েছে আরো অনেক বেশি লিরিক ফর্মে, সেসব অস্বীকার বা প্রত্যাখান জাহির করা হয়েছে তার থেকে সেসব প্রয়োজনীয়তা বাড়া কমাতে স্পষ্টরূপে চিত্রিত করেছে, আমার দৃষ্টিতে সেগুলো শিল্পীকে ও তার কঠিন আহ্বানগুলোকে নিরূপিত করে। এ বইয়ের ঐক্য স্থায়ীভাবে রয়েছে প্রতিফলনের ভেতর, পরিবর্তভাবে শান্ত ও আবেগান্বিত হয়ে। যার ভেতর একজন শিল্পীর বেঁচে থাকা ও সৃষ্টি করাকে প্রশ্রয় দিতে পারে। পনের বছর পরে, নানারকম অবস্থার ঊর্ধ্বে আমি উন্নতি করেছি যা আমি এখানে রেখেছি কিন্তু আমি বিশ্বস্ত থেকেছি, আমার মনে হয়েছে, যা জরুরি সেগুলোকে সক্রিয় করে তুলেছে সেই কারণে এক নির্দিষ্ট অর্থে এই বইটি অত্যন্ত ব্যক্তিগত রূপে আমি ইংরেজিতে প্রকাশ করেছি। সুতরাং অন্যান্যদের থেকেও অনেক বেশি পাঠকদের প্রশ্রয় ও বোঝাপড়া এই বইয়ের প্রয়োজন।
প্যারিস
মার্চ ১৯৫৫
Leave a Reply