দেবতার মানবায়ন : শাস্ত্রে সাহিত্যে এবং কৌতুকে – নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
প্রথম সংস্করণ: জানুয়ারি ১৯৯৫
প্রকাশক: আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড
প্রচ্ছদ: কৃষ্ণেন্দু চাকী
আমার অগ্রজপ্রতিম অধ্যাপক এবং বন্ধু
শ্ৰীযুক্ত প্রবালকুমার সেনকে
শ্রদ্ধাসহ
প্রবন্ধ-সূত্র
দেবতাদের নিয়ে দুটো কথা বলতে চাই। বলাটা আমার দায়িত্ব মানা-না-মানা আপনাদের ইচ্ছে। তবে কথাটা শুধু দেবতাদের নিয়েই নয়, অসুর-রাক্ষস, মানুষ—সবই আছে এই স্বল্প পরিসরে। অবশ্য দেবতাদের কথা বলছি বলেই ভাববেন না যে, পরম ঈশ্বর, পরম ব্রহ্ম—এঁদের নিয়েও আমি কথা বলছি। বস্তুত ঈশ্বর কিংবা ব্রহ্মের সঙ্গে দেবতাদের বিলক্ষণ তফাত আছে। আর সেই তফাত আছে বলেই, কৃষ্ণ, কালী, দুর্গা বা রামচন্দ্রকে নিয়ে কিন্তু আমি কথা বলছি না। তবে একেবারেই যে এঁদের নাম উচ্চারণ করব না, তা মোটেই নয়। কিন্তু সেই উচ্চারণের মধ্যে যেহেতু ব্রহ্ম, পরমাত্মা অথবা ভগবানের মাহাত্ম্য আছে, অতএব দেবতাদের থেকে তাঁরা একেবারেই আলাদা।
আসলে আমি এক সময়ে দেবতাদের নিয়ে কত রকম রঙ্গ-কৌতুক মানুষের মধ্যে চলে, তাই নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম। তখন কেউ আমাকে গালাগাল দিয়েছেন, কেউ বা ভালও বেসেছেন। আমি দেখাতে চেয়েছিলাম—আমরা যে আজও গোবর-গণেশ, হাঁদা গঙ্গারাম, কলির কেষ্ট বা ন্যাকা চৈতন্য বলি—তার একটা পরম্পরা আছে। এই পরম্পরা বেদ-পুরাণ এবং কবি-মহাকবিদের নানান কাব্যকীর্তি থেকেই জন্ম নিয়েছে—এই ছিল আমার প্রতিপাদ্য এবং বিশ্বাস। কিন্তু এক পক্ষ থেকে গালাগালি যখন খেলাম, তখন আমার দায় আসল—কথাটা দার্শনিক দিক থেকে বুঝিয়ে বলার।
মনে হল—দেবতা, মানুষ এবং রাক্ষসদের সম্বন্ধে একটু বুঝিয়ে বললে সাধারণ জনে হয়তো উপলব্ধি করবেন যে, আমি খুব অন্যায় বলিনি। অথাৎ দেবতাদের সঙ্গে রসিকতাটা যেমন মানুষের সাজাত্যে এসেছে, তেমনি পরম ঈশ্বর—কৃষ্ণ, রাম বা শিব সম্বন্ধে রসিকতাটা এসেছে দেবতার সাজাত্যে। আদতে দেবতা, মানুষ বা রাক্ষসে খুব বেশি তফাত না থাকলেও পরম ঈশ্বরের সঙ্গে কিন্তু মানুষের যত পার্থক্য, দেবতাদের সঙ্গেও তেমনই—ওঁদের কথা বলতে হলে বলতে হবে—তমীশ্বরাণাং পরমং মহেশ্বরং/তং দেবতানাং পরমঞ্চ দৈবতম্। কিন্তু শুধু দেবতার কথা বলতে হলে, কিছু মনে করবেন না, বলতেই হবে, আঁধার-আলোয়, ভাল-মন্দে তাঁরা আমাদের মতোই—হয়তো মানুষই।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কটা লাইন এখানে উদ্ধার করতে চাই। সারা জীবন ব্রাহ্ম-ধর্মের আদর্শে বিশ্বাসী হয়েও কবি একখানি ব্যক্তিগত চিঠিতে আন্তরিকভাবে লিখেছেন—
সাম্প্রদায়িক সংস্কারবশত অন্ধভাবে আমি কোন কথা বলচি নে। যখন থেকে আমি আমার জীবনের গভীরতম প্রয়োজনে আমার অন্তরতম প্রকৃতির স্বাভাবিক ব্যাকুলতার প্রেরণায় সাধনার পথে প্রবৃত্ত হলম তখন থেকে আমার পক্ষে যা বাধা তা বর্জন করতেই হয়েছে এবং যা অনুকূল তাই গ্রহণ করেছি।….আমাদের দেশে দেবতা কেবলমাত্র মূর্তি নন, অথাৎ কেবল যে আমরা আমাদের ধ্যানকে বাইরে আকৃতি দিয়েছি তা নয়—তাঁরা জন্ম মৃত্যু বিবাহ সন্তান সন্ততি ক্রোধ-দ্বেষ প্রভৃতি নানা ইতিহাসের দ্বারা অত্যন্ত আবদ্ধ।
ভারতবর্ষের প্রাচীন পুরাণ-ইতিহাস সম্বন্ধে যাঁদের সম্যক ধারণা এবং উপলব্ধি আছে, তাঁরাই বুঝবেন যে, আমাদের দেবতারা শুধু ‘ধ্যেয়ঃ সদা সবিতৃ-মণ্ডল-মধ্যবর্তী’ জ্যোতিটুকুই নন, তাঁদের জন্ম-কর্ম, বিবাহ, রাগ-অনুরাগ, ক্রোধ-দ্বেষ, ঝগড়াঝাটি, এমনকি গালাগালিও মানুষের সম্বন্ধরূপ ইতিহাসের সঙ্গে এক সুরে বাঁধা।
ভারী আশ্চর্য লাগে শঙ্করাচার্যের মত নিরাকারবাদী অদ্বৈতবেদান্তীকেও দেবতার শরীর এবং ক্রিয়াকর্ম স্বীকার করে নিতে হয়েছে। আমার বক্তব্যটা আরও একটু বিস্মৃত শুধু। যদি দেবতার শরীর এবং ক্রিয়াকর্ম কিছু থাকে, তবে কর্মের সঙ্গে অপকর্মও কিছু থাকবে। আর অপকর্মও যদি প্রমাণিত হয়, তবে দেবতাদের সম্বন্ধে অপশব্দও শুনতে হবে কিছু। আমাদের দেশে যাঁরা আপন অন্তরভূমি থেকে দেবতার সৃষ্টি করেছেন, তাঁরা দেবতার পূজ্যত্ব বজায় রেখেও তাঁদের সম্বন্ধে লঘু রসিকতা করেছেন। এই রসিকতা সম্ভব হয়েছে দেবতাদের একান্ত মানবায়নের পথ ধরে। মনুষ্য-জীবনে একটি মানুষের জন্ম-মৃত্যু-বিবাহ যেমন সত্য, তেমনই ক্ষেত্রবিশেষে তাকে নিয়ে যে ঠাট্টা-তামাশা, যে রঙ্গ-রসিকতা চলে—সেটাও তেমনই সত্য। মানুষের ঠাট্টা-তামাশা-রসিকতা যেহেতু ব্যক্তি মানুষের নিজস্ব ভাব-ভঙ্গী এবং নানা ক্রিয়া-কলাপের ওপর নির্ভর করে, ঠিক তেমনই দেবতাদের সম্বন্ধে মুখরোচক রসিকতাও তৈরি হয়েছে পুরাণ, ইতিহাসে যেমনটি তাঁদের ব্যক্তি-চরিত্র বর্ণিত হয়েছে, সেগুলির সূত্র ধরেই।
মনে রাখতে হবে, হিন্দুর দেবতা যদি শুধুমাত্র অন্তরীক্ষলোকের ধ্যানগম্য শক্তিটুকু হতেন, তাহলে আমার এই প্রবন্ধ লেখার প্রয়োজন পড়ত না। আমাদের ভাগ্যে অথবা আপন করুণায় তিনি আমাদের সাংসারিক সম্বন্ধের মধ্যে নানাভাবে ধরা দিয়েছেন; আমাদের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব এবং প্রেম এমন নিবিড়ভাবে ঘটেছে যে, সংসারের বাপ-ভাই মা-বোন অথবা স্বামী-স্ত্রীর মতো প্রত্যেক দেবতার গুণ-দোষও আমরা ঘনিষ্ঠভাবে জানি। কবি বলেছেন—“যতবড়ো ক্ষমতাশালী হোন-না কেন সত্যভাবে প্রকাশ পেতে হলে বন্ধুতা চাই, আপনাকে ভালো লাগানো চাই।”
হিন্দুর দেবতা মানুষের সঙ্গে নিজের প্রিয়ত্বের সম্বন্ধ স্থাপন করে বারবার নিজেকে ভাল লাগিয়েছেন। শুধু আনন্দরূপ বা অমৃতর তত্ত্ব নয়, মানুষের যে ছোট-ছোট দুঃখ-সুখ, ছোট-ছোট ব্যথা এবং আনন্দ আছে, হিন্দুর দেবতাকে তার ভাগ নিতে হতে হয়েছে বারবার। আকাশের ওপরের কোন নিরালম্ব ভূমিতে দাঁড়িয়ে কালদণ্ড হাতে সে দেবতার পক্ষে বলা সম্ভব হয়নি—যাও তুমি, ওই তোমার আলাদা জগৎ। আমি প্রভু, তোমার নিয়ন্তা তোমার হীন জগতে সম্ভব নয় আমার বসতি।
না, আমাদের দেবতার এই হুকুম আমরা মানিনি। হুকুম মানানোর জন্য তাঁকে নিজে এসে আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়েছে, নানা সম্বন্ধ স্থাপন করতে হয়েছে প্রিয়ত্বের। কবি বলেছেন—
“এ কথা বলব, সৃষ্টিতে আমার ডাক পড়েছে এইখানেই, এই সংসারের অনাবশ্যক মহলে। ইন্দ্রের সঙ্গে আমি যোগ ঘটাতে এসেছি যে যোগ বন্ধুত্বের যোগ। জীবনের প্রয়োজন আছে অন্নে বস্ত্রে বাসস্থানে, প্রয়োজন নেই আনন্দরূপে অমৃতরূপে। সেইখানে জায়গা নেয় ইন্দ্রের সখারা।”
সত্যি কথা বলতে কী, দেবতাকে যখন আমরা পেয়েছি আপন সখার মত পিতার মত—পিতেব পুত্রস্য সখেব সখ্যুঃ—ঠিক সেই জায়গাটা থেকেই আমার এই প্রবন্ধের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যাযোগ্য হয়ে উঠবে। বস্তুত প্রিয়ত্বই শুধু নয়, সে প্রিয়ত্বের সীমারেখা এতদূর, দেবতার সঙ্গে আমাদের মেশামেশি সেখানে এতটাই গভীর যে, তাঁকে আর নিয়ন্তার দূরত্বে রেখে আমরা নিশ্চিন্ত হতে পারিনি। তাঁকে মাঝে মাঝে তাঁর বিপরীত কার্যকলাপের জন্য ধমকও খেতে হয়েছে আমাদের কাছে, আবার কখনও বা দেবতার দেবত্ব ঘুলিয়ে দিয়ে তাঁর সঙ্গে চরম ঠাট্টা-রসিকতা করে তাঁর স্খলন-পতন-ত্রুটিগুলি লঘু করে দিয়ে তাঁকে আমরা পুনরায় পূজ্যপদে স্থাপন করেছি।
এমন একটা প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে শুধু কতগুলি অল্পশ্রুত মানুষের ভয়ে আমাকে পদে পদে দ্বিধাগ্রস্ত হতে হয়েছে। নইলে আজন্ম এক মহা-বৈষ্ণবের পুত্র হওয়ার সৌভাগ্যে এক চরম এক পরম দেবতাও আমার অন্তরে কোনদিন এতটুকু বিভীষিকা সৃষ্টি করেননি। দেবতা যে কোনদিন ভয় দেখাতে পারেন, আমার ওপরে কখনও যে দেবতার অভিশাপ নেমে আসতে পারে—এ আমি কোনদিন ভাবিইনি। দেবতার ভাষা মানেই আমার কাছে—কুঞ্চিতাধরপুটে মধুর মুরলীর শব্দ। দেবতার শরীর মানেই আমার কাছে—‘রাধামুগ্ধমুখারবিন্দে’র এক মধুকর। শত্রুকে হত্যা করতে গেলেও তাঁর মুখের হাসিটি মেলায় না—এমন সাংঘাতিক। আর তিন ভুবনের সবচেয়ে কালো লোকটি যদি একখানা ক্যাট্ক্যাটে হলুদ কাপড় পরে, গলায় বনমালা দুলিয়ে মেয়েদের মন ভোলাতে যায়, তবে বাংলার কবি বলবেন—আহা! ‘গতি অতি ললিত-ত্রিভঙ্গী’, সংস্কৃতের ব্যাস বলবেন—‘পীতাম্বরধরঃ স্রগ্বী সাক্ষাম্মম্মথ-মম্মথ’—কিন্তু আমার কথা বলুন—ওই কালো চেহারায় অতিবিপরীতভাবে বেমানান হলুদ কাপড়টি দেখে আমি কি রসিকতা না করে থাকতে পারি? এমন একটা দেবতার সঙ্গে আমার জন্ম-জন্ম সম্বন্ধ থাকায় অন্য দেবতাদের সম্বন্ধেও আমার মনে খুব একটা গম্ভীর কঠিন ধারণার সঞ্চার হয়নি। যদি বা আমার প্রবন্ধের প্ররোচনায় আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ নয় এমন কোন দেবতার রাগ হয়, তবে তার প্রতিরোধের জন্য আমার বাঁশীওয়ালার বাঁশীটিই যথেষ্ট মনে করি। তিনিই আমাকে সযত্নে সরসে রক্ষা করবেন।
এই প্রবন্ধ পড়ে যে পাঠকের দেবতার সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করার মত একটা অভিযোগ জাগবে, সেই পাঠককে আমি ভয়-বিহ্বল না হওয়ার অনুরোধ জানাই। যদি না জেনে আকস্মিকভাবে এই প্রবন্ধ পড়ে নিজেকে অপরাধী মনে করেন, তবে সে অপরাধ আমার ওপরেই চাপাবেন। কারণ লেখক হিসেবে সমস্ত অপরাধের দায় আমার এবং সে অপরাধের ফল ভোগ করতে আমার ভাল লাগবে। আর যদি গম্ভীর-সুজন কেউ বর্তমান প্রবন্ধ পড়ে বর্তমান লেখককে চপল ভাবেন, তবে সেই চাপল্যের দায় কিন্তু আমার অতি-চপল উপাস্য ঈশ্বরের। তাঁকে ‘কৃষ্ণ’ বলে ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই রসিক-ভাবুকের মনে আসে—হে কৃষ্ণ! হে চপল! হে কৃপাজলনিধে! অতএব তিনি চপল হয়েছেন বলেই আমার চপলতা। কালিদাসের কথাটা একটু হালকা করে নিলে—তদ্গুণৈঃ কর্ণমাগত্য চাপলায় প্রচোদিতঃ।
‘দেশ’-এ যখন এই প্রবন্ধের একাংশ লিখিত হয়েছিল, তখন শ্রদ্ধেয় সাগরময় ঘোষ তাঁর ব্যক্তিগত প্রশংসায় আমাকে অশেষ উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। অবশ্য সেই প্রবন্ধের পরিকল্পনা এবং অপরিমার্জিত সমস্ত লেখাটি পড়ে দিয়ে যিনি এটিকে প্রকাশযোগ্য করে তোলার মর্যাদা দেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সাগরবাবু এবং সুনীলদা—এই দুজনের কাছেই আমার কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে পারলাম না।
বছর তিনেক আগে ‘দেশ’-এ লেখা এই প্রবন্ধটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার কোন পরিকল্পনাই আমার ছিল না। হঠাৎ একদিন কলেজ স্ট্রিটে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য শ্রীনিমাইসাধন বসুর সঙ্গে দেখা হল। তিনি আমাকে আনন্দ পাবলিশার্সে শ্ৰীবাদল বসুর ঘরে টেনে নিয়ে গেলেন এবং আমার প্রবন্ধটি নিয়ে নানা কথা জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন। প্রসঙ্গত হঠাৎই তিনি বললেন—এটা বই করে বার করবেন তো? আমি বললাম—তেমন করে কিছু ভাবিনি। এইবার বাদলবাবুর পালা। তিনি বললেন—পরিকল্পনাটা আমাদের কিন্তু আছে। কিন্তু আপনি এত অল্প লিখে ছেড়ে দিলেন যে, ওতে তো একটা ডাবল-ক্রাউন বইও হবে না। লেখাটা সম্পূর্ণ করে দিন। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে সে কথা এখনও স্মরণ করি এবং সত্যিই এই গ্রন্থ প্রকাশের পেছনে তাঁর ধৈর্য আছে অনেকখানি। আনন্দ পাবলিশার্সের মলয় ব্যানার্জিকেও আমায় ধন্যবাদ দিতে হবে। এই গ্রন্থের পাদটীকা এবং গ্রন্থপঞ্জী যোগ করতে হয়েছে প্রধানত তারই উৎসাহে। অলমিতি—
সূচিপত্র
প্রথম অধ্যায় – দেবতারা মানুষের লক্ষণাক্রান্ত
দ্বিতীয় অধ্যায় – দেবতা এবং স্বর্গের ঠিকানা
তৃতীয় অধ্যায় – পুরাণের সচল সমাজে দেবতাদের লোকব্যবহার
চতুর্থ অধ্যায় – দেব, দানব এবং মানব—দার্শনিক স্থিতি
পঞ্চম অধ্যায় – দেবতাদের সম্বন্ধে কবিদের রসিকতা ও কৌতুক
Leave a Reply