রহস্য সন্ধানী দময়ন্তী সমগ্র ২ – মনোজ সেন
প্রথম প্রকাশ : নভেম্বর ২০২০
.
আমার পরম শুভানুধ্যায়ী সুহৃদ
পরলোকগত বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আনন্দময় স্মৃতিতে,
গোরাবাবু
সূচিপত্র
- প্রথম পাপ
- অন্ধ তামস
- ইজ্জত
- নীলকান্তপুরের হত্যাকাণ্ড
- ভগ্ন অংশ ভাগ
কৃতজ্ঞতা
সুমিত সেনগুপ্ত, সোনাল দাস, কামিল দাস,
সুশান্ত রায়চৌধুরী, রাহুল ঘোষ, সপ্তদীপ দে সরকার
ভূমিকা
দময়ন্তী দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হল। এই ব্যাপারে সমস্ত কাজ রেকর্ড সময়ে শেষ করল ‘বুক ফার্ম’। এটা আমার কাছে একটা অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য আনন্দের ঘটনা। আজকের এই অতিমারির সময়ে যখন চারদিক থেকে কেবল দুঃসংবাদ আসছে, তখন ‘বুক ফার্ম’-এর এই উপহার আমার আশাতীত ছিল। ‘বুক ফার্ম’-কে আমার অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই সুযোগে ধন্যবাদ জানাই ‘হই চই’ বাংলা ওয়েবসিরিজের পরিচালকদের। ‘বুক ফার্ম’ যেমন বাঙালি পাঠকদের সঙ্গে দময়ন্তীর পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, ‘হই চই’ তেমনি ওয়েবসিরিজের অগণিত দর্শককে দময়ন্তীর কাছে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁদের এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে এই আশাই করব।
বাংলা সাহিত্যে দময়ন্তীর আবির্ভাবের পর, গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রচুর পরিবর্তন হয়ে গেছে। মেয়েদের কর্মজীবন শিক্ষা, চিকিৎসা, আইন, অভিনয় প্রভৃতি ব্যাবহারিক বিষয় ছাড়িয়ে সেনা, নৌ বা বিমানবাহিনী, পর্বতারোহণ ইত্যাদি শ্রমসাধ্য ও পুরুষদের একচেটিয়া কাজেও চলে এসেছে। মেয়েরা আজ আর ‘গোষ্ঠে নাবে যবে সন্ধ্যা, ক্লান্ত দেহে স্বর্ণাঞ্চল’ টেনে গৃহপ্রান্তে সন্ধ্যাপ্রদীপ দেওয়ার মধ্যে আবদ্ধ নেই। অথচ, আজও দময়ন্তী যুক্তি, বুদ্ধি, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা, ঘটনার বিশ্লেষণ ইত্যাদির যে সমাদর রয়েছে সেটা আমার আশাতীত ছিল।
একটা কথা। কেউ কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন আমার দময়ন্তীকে সৃষ্টি করার অন্যতম কারণ কি মেয়েদের ক্ষমতায়নের পক্ষে ওকালতি করা? সেটা ঠিক কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। লক্ষ করলে দেখা যাবে, এক বা একাধিক পুরুষ সবসময় তাকে পেছন থেকে সাহায্য করে গেছে। আমি তখনও বিশ্বাস করতুম এবং এত পরিবর্তনের পরে আজও বিশ্বাস করি যে দু-পক্ষেরই পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া কোনো ক্ষমতায়নই সম্পূর্ণ হতে পারে না। সংগীত আর সঙ্গতের যুগলবন্দির মতো।
এত কথার পর একটা প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। গল্পগুলো গল্প হয়েছে তো?
মনোজ সেন
Leave a Reply