রহস্য সন্ধানী দময়ন্তী সমগ্র ১ – মনোজ সেন
প্রথম প্রকাশ : নভেম্বর ২০১৯
প্রূফ সংশোধন : অনমিত্র রায়
.
আমার ছোটো মেয়ে
ড আত্রেয়ী সেন (মিঠুয়া) কে
স্নেহাশীর্বাদ
বাবা
.
সূচিপত্র
- সরল অঙ্কের ব্যাপার
- নকল হিরে
- রাজমহিষীর রহস্য
- পর্বতো বহ্নিমান
- সূর্যগ্রহণ
- চরৈবেতি
কৃতজ্ঞতা
শুভ্র চক্রবর্তী, কামিল দাস, সুশান্ত রায়চৌধুরী
সোনাল দাস, সুমিত সেনগুপ্ত, অয়ন রাহা
ভূমিকা
আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে দময়ন্তী দত্তগুপ্তের গল্প, ‘সরল অঙ্কের ব্যাপার’, নিয়ে আমি বাংলা সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেছিলুম। সেটা ছিল গোয়েন্দা গল্প, প্রকাশিত হয়েছিল ‘রোমাঞ্চ’ পত্রিকায়। সম্পাদক স্বর্গত রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়ের আগ্রহে ও উৎসাহে যতদিন ‘রোমাঞ্চ’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে ততদিন ধরে আমি দময়ন্তী দত্তগুপ্তর গল্প লিখে গেছি। রঞ্জিতবাবুর চলে যাওয়া আর সেইসঙ্গে ‘রোমাঞ্চ’ পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও বেশ কয়েক বছর লিখেছি। এর ফলে দময়ন্তীর একটি পাঠক গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
এরপর হঠাৎই একদিন একটি অবিশ্বাস্যরকমের হাস্যকর কারণে আমাকে লেখা বন্ধ করতে হয়েছিল। সেও আজ অনেক বছর হল। আজ যখন আমার ছোটোদের লেখা, অলৌকিক গল্প আর থ্রিলারের সংকলনগুলি পর পর প্রকাশ করল বুক ফার্ম, তখন জানা গেল দময়ন্তী একেবারে বিস্মৃত হয়ে যায়নি। আমার ও বুক ফার্মের কাছে বেশ কিছু অনুরোধ আসে দময়ন্তীর গল্পগুলি একসঙ্গে প্রকাশ করার। এই বইটি সেইসব অনুরোধের ফলশ্রুতি।
দময়ন্তী ঠিক পেশাদার গোয়েন্দা নয়। সে একবার তার স্বামীর বাল্যবন্ধু একজন পুলিশ অফিসারকে একটি গোলমেলে কেসের সমাধান করে দেয়। তখনই জানা যায় যে তার অপরাধ-রহস্য সমাধান করবার প্রতিভা আছে। সেই গল্পটি দিয়েই আমার গোয়েন্দা গল্পে হাতেখড়ি।
দময়ন্তীর এই প্রতিভা কিন্তু আকাশ থেকে পড়েনি। সে কলকাতার একটি মেয়েদের কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপিকা। একজন ঐতিহাসিক যেমন কোনো প্রাচীন সভ্যতার ভগ্নাবশেষ, কিছু ধূসর পাণ্ডুলিপির ছেঁড়া পাতা অথবা আপাত-কাল্পনিক লোকস্মৃতি আর উপকথা থেকে একটি ঐতিহাসিক সত্যকে খুঁজে বের করে আনেন, তেমনি কোনো অপরাধের উলটোপালটা সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে একটি যুক্তিগ্রাহ্য সমাধান প্রতিষ্ঠিত করে দময়ন্তী। সে গোলাগুলি চালায় না, চোর ধরে না, সে-কাজ যাদের করা উচিত তারাই করে। তাই, দময়ন্তী নিজেকে রহস্যসন্ধানী বলতে পছন্দ করে। (তুলনীয়- সন্ধিতে পারে লক্ষ্য, কিনাঙ্কি তার বাহু…)
আর একটি কথা। দময়ন্তীর অনেক গল্প আমার কাছ থেকে হারিয়ে গেছে। সেগুলি ছড়িয়ে আছে পুরোনো ‘রোমাঞ্চ’র বা অন্যান্য পত্রিকার পাতায়। সেগুলোর সন্ধান পেলে বুক ফার্মের কাছে পৌঁছে দিলে কৃতজ্ঞ হব।
মনোজ সেন
Leave a Reply