তার চোখের তারায় – সায়ক আমান
বিভা পাবলিকেশন
TAR CHOKHER TARAY by SAYAK AMAN
Published by Biva Publication
প্রথম প্রকাশ : জুলাই ২০১৮, শ্রাবণ ১৪২৫
প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ : স্বপন কুমার চন্দ
[একটি ভগ্নপ্রায় জমিদারবাড়িকে ঘিরে রয়েছে কিছু রহস্যময় ইতিহাস আর রয়েছে বংশপরম্পরায় বয়ে চলা এক প্রাচীন অভিশাপ। চারটে দশক ধরে চারটে অস্বাভাবিক মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি খুন? পরিত্যক্ত অন্দরমহলের আনাচে-কানাচে নাকি দেখা যায় কুয়াশা ঢাকা এক ছায়ামূর্তিকে। কে সে?
মসক্রপ পরিবারের সমাধির নিচে কে ঘুমিয়ে আছে দু’শো বছর ধরে? একটি বাচ্চা মেয়ের কয়েক শতাব্দী পুরনো ডাইরি কীসের ইঙ্গিত দেয়? বারবার কোন্ স্বপ্নের কথা ডাইরিতে লিখত সে? সেখানেই কি লুকিয়ে আছে রহস্যের সমাধান?
নাকি আরও গভীরে? মানব সভ্যতার ইতিহাসের বুক থেকে সরিয়ে নেওয়া কয়েকটা পাতা খুঁজতে হবে আমাদের। যুগযুগান্ত ধরে চলে আসা কিছু লোককথা এবং পৌরাণিক গল্পের ছলে আমাদের যে সংকেত দিতে চেয়েছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা…
প্রতি পাতায় ভয়াবহ মোড় বদলাতে থাকা সায়ক আমানের প্রথম অলৌকিক রহস্য উপন্যাস, – “তার চোখের তারায়”।]
.
ভূমিকা
সাউথ পার্কস্ট্রীট সেমেটারি, গ্রেভ নম্বর ১২৭৫, একটি বাচ্চা মেয়ের কবর। জীবনকাল— ১৭৯৯ থেকে ১৮০৪। একটা সময়ে এই নির্দিষ্ট গ্রেভটা আমাকে বারবার টেনে নিয়ে যেত সেখানে। একটা বছর পাঁচেকের মেয়ে, আজ দুশো বছর ধরে একটা সিমেন্টের স্তূপাকৃতি ঘরের নিচে শুয়ে আছে। কেউ তাকে মনে রাখেনি, কেউ তাকে দেখতে আসে না। এমন কি তার একটা ছবি পর্যন্ত আর পৃথিবী খুঁজলে পাওয়া যাবে না। একটা মানুষের মৃত্যু মানে অসংখ্য গল্পের মৃত্যু। তার পুতুলের গল্প, সদ্য শেখা বর্ণমালার গল্প, এসব কাকে শোনায় সে এখন?
হারিয়ে যাওয়া অব্যক্ত গল্পের থেকে বেশি রহস্যময় মনে হয় আর কিছু নেই। এই বইতে রহস্যের সাগরেদ স্বরূপ অলৌকিক এবং গোয়েন্দাগিরি দুটো উপাদানই মজুত, তবুও ‘তার চোখের তারায় শুধু অলৌকিক-থ্রিলার উপন্যাস নয়। কিছু মৃত, হারিয়ে যাওয়া রহস্যময় প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান। সে রহস্য সমাধানে ঐতিহাসিক সময়কাল, প্রাচীন পুঁথিপত্র ও ধর্মতত্ত্বের যে ব্যাখ্যা ব্যবহার হয়েছে তার কোনোটাই আমার মন গড়া নয়।
উপন্যাস লিখতে গিয়ে সব থেকে ভয়ানক কাজটা হল একঝাঁক পরস্পর-বিরোধী চরিত্রের শরীরে একা ঢুকে পড়া। ভাবুন একটি প্ল্যানচেটের মিডিয়ামের উপর একসঙ্গে অনেকগুলো আত্মা ভর করেছে। ক্ষণে ক্ষণে নানারকম গলায় কথা বলছে, নিজের প্রশ্নের নিজেই উত্তর দিচ্ছে, একসঙ্গে কাঁদছে, হাসছে, ভয় পাচ্ছে। এই উপন্যাস লিখতে গিয়ে তেমনই এক ভর হয়েছিল আমার। তবে প্ল্যানচেটের টেবিলে তো একা বসিনি।
ধন্যবাদ মিডনাইট হরর স্টেশানের লক্ষাধিক শ্রোতাকে, যারা মাঝে মধ্যে ‘এবার একটা বই না লিখলে কিন্তু মিথ্যে খুনের মামলায় জড়িয়ে দেব’, জাতীয় হুমকি দিয়ে এসেছেন। এমন নাদুসনুদুস চেহারার একটা উপন্যাস লিখতে গেলে পরিশ্রমের সঙ্গে ঢের সাহস লাগে, সেটা তারাই জুগিয়েছেন।
ধন্যবাদ আমার কিবোর্ডকে, দিবারাত্র আঙুলের ঠোকাঠুকির ঠেলায় যে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ‘বর্ণহীন’ হয়ে পড়েছে। এছাড়াও আমার গোটাতিনেক বিড়াল যারা প্রবল ‘ম্যাও ম্যাও’ শব্দে প্রেরণা (হয়তো) জুগিয়ে এসেছে আমাকে। আর ধন্যবাদ ১২৭৫ নম্বর গ্রেভের নিচে শুয়ে থাকা পাঁচ বছরের মেয়ে মারগারেট মসত্রুপকে। তার না বলা গল্প হয়তো আর শোনা হবে না কারও।
বিভা পাবলিকেশন আর তার কান্ডারি অনিমেষদার কথা আলাদা করে বলার দরকার নেই। এই বইটা আপনারা কতটা গ্রহণ করবেন আমি জানি না। তবে এ বইটা নিয়ে মেলা ঝক্কি মুখ বুজে সহ্য করেছেন তারা। আপনার হাতে যে ধানের শিষটা আপাতত আছে তা তাদের বহু পরিশ্রমে বপন করা।
গায়ক, আবৃত্তিকার, রাজনীতিবিদ এইসব পথে না হেঁটে আমি লেখক হয়েছিলাম শুধু একটাই কারণে। দর্শকাসন থেকে ছিটকে আসা পচা ডিম বা জুতো খেতে হয় না এখানে। কিন্তু আজ বুক ঠুকে নেমে পড়লাম। বই পড়ে পচা কিংবা সিদ্ধ দু’রকম ডিমই ছুঁড়ে দিতে পারেন আমার ইনবক্সে। বই পড়ুন বা শুধু ভূমিকাটা, আপনাদের সবার জন্যে রইল অনেক ভালোবাসা…
সায়ক আমান
কলকাতা
উৎসর্গ
যারা আমাকে গল্প বলতে শিখিয়েছেন–
মা আর বাবাকে
S.....
“Krittibus rohosyo”
Binod ghosal er lekha,ei boiti dile kub valo hoto.amra apnader regular viewar,reader.
sharmin
Really. Anek bhalo laglo pore. Thank you ato sundor akta boier jonno
Animesh
প্লিস এই লেখকের আরও গল্প দিন..