ঘরোয়া – অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভূমিকা
আমার জীবনের প্রান্তভাগে যখন মনে করি সমস্ত দেশের হয়ে কাকে বিশেষ সম্মান দেওয়া যেতে পারে তখন সর্বাগ্রে মনে পড়ে অবনীন্দ্রনাথের নাম। তিনি দেশকে উদ্ধার করেছেন আত্মনিন্দা থেকে, আত্মগ্লানি থেকে তাকে নিষ্কৃতি দান করে তার সম্মানের পদবী উদ্ধার করেছেন। তাকে বিশ্বজনের আত্ম-উপলব্ধিতে সমান অধিকার দিয়েছেন। আজ সমস্ত ভারতে যুগান্তরের অবতারণা হয়েছে চিত্রকলায় আত্ম-উপলব্ধিতে। সমস্ত ভারতবর্ষ আজ তাঁর কাছ থেকে শিক্ষাদান গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের এই অহংকারের পদ তাঁরই কল্যাণে দেশে সর্বোচ্চ স্থান গ্রহণ করেছে। একে যদি আজ দেশলক্ষ্মী বরণ করে না নেয়, আজও যদি সে উদাসীন থাকে, বিদেশী খ্যাতিমানদের জয়ঘোষণায় আত্মাবমান স্বীকার করে নেয়, তবে এই যুগের চরম কর্তব্য থেকে বাঙালি ভ্ৰষ্ট হবে। তাই আজ আমি তাকে বাংলাদেশে সরস্বতীর বরপুত্রের আসনে সর্বাগ্রে আহবান করি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শান্তিনিকেতন
১৩ জুলাই ১৯৪১
————-
কল্যাণীয়া রানী
আমি বলেছি, তুমি লিখেছো।
আমার ঝুলিতে এতো কথা জমা আছে যা এক তুমি ছাড়া কেউ লিখে উঠতে পারতো না। আমার ভাগ্য ভাল তোমার হাতে আমার খাপছাড়া ঘরাও কথা ভাল করে গেঁথে তোলার ভার রবিকাকা দিয়েছেন, না হলে ঘরাও কথা ঘরচাপা পড়েই থাকতো, ছাপা হয়ে বেরোত না।
আমায়ে শত শত আশির্বাদ নিও
শুভাকাঙ্ক্ষী
শ্রীঅবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জন্মাষ্টমী
সন
১৩৪৮
জোড়াসাঁকো
————-
গ্রন্থমধ্যে উল্লিখিত ব্যক্তিগণের পরিচয়
অক্ষয়— অক্ষয় মজুমদার
অভি— হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা অভিজ্ঞা দেবী
অমিতা— অজিতকুমার চক্রবর্তীর কন্যা, অজীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী
অরুদা— অরুণেন্দ্র, দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্র
ঋতু— ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কনক— গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র কনকেন্দ্রনাথ ঠাকুর
কর্তাদাদামশায়— মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
কর্তাদিদিমা— মহর্ষিদেবের সহধর্মিণী সারদা দেবী
কিশোরী— মহর্ষিদেবের অনুচর কিশোরী চট্টোপাধ্যায়
কৃতি— কৃতীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্র
গৌরী— নন্দলাল বসুর কন্যা গৌরী ভঞ্জ
ছোটোদাদামশায়— নগেন্দ্রনাথ ঠাকুর
জ্যাঠামশায়— গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর
জ্যোতিকাকামশায়— জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
দাদা— গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
দাদামশায়— অবনীন্দ্রনাথের পিতামহ গিরীন্দ্রনাথ
দিনু— দ্বিজেন্দ্রনাথের পৌত্র দিনেন্দ্রনাথ
দীপুদা— দ্বিপেন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্র
দ্বিজুবাবু— দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
নতুন কাকীমমা— জ্যোতিরিন্দ্রনাথের পত্নী কাদম্বরী দেবী
নন্দলাল— নন্দলাল বসু
নিতুদা— নীতীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্র
নির্মল— অবনীন্দ্রনাথের জামাতা নির্মল মুখোপাধ্যায়
নাটোর— নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায়
পশুপতিবাবু— পশুপতি বসু
প্রতিভা দেবী— হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা, আশুতোষ চৌধুরীর পত্নী
প্রিয়ম্বদা— কবি প্রিয়ম্বদা দেবী
বঙ্কিমবাবু— বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বড়োজ্যাঠামশায়— দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর
বড়োপিসিমা— মহর্ষিদেবের কন্যা সৌদামিনী দেবী
বলু— বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাবামশায়— গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর
বাসুদেব— শিল্পী শ্রীবাসুদেবন
বিবি— সত্যেন্দ্রনাথের কন্যা ইন্দিরা দেবী
বৈকুণ্ঠবাবু— বৈকুণ্ঠনাথ সেন
মণি গুপ্ত— শিল্পী মণীন্দ্রভূষণ গুপ্ত
মহানন্দ— মহানন্দ মুন্শি: দ্র, জীবনস্মৃতি
মা— সৌদামিনী দেবী
মুকুল— শিল্পী মুকুলচন্দ্র দে
মেজোজ্যাঠাইমা— জ্ঞানদানন্দিনী দেবী
মেজোজ্যাঠামশায়— সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
রথী— রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবিকা— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শ্ৰীনাথ জ্যাঠামশায়— শ্ৰীনাথ ঠাকুর
সমরদা— সমরেন্দ্রনাথ ঠাকুর
সরলা— সরলা দেবী চৌধুরানী
সারদা পিসেমশায়— সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়, সৌদামিনী দেবীর স্বামী
সুনয়নী— ভগ্নী সুনয়নী দেবী
সুরেন— সত্যেন্দ্রনাথের পুত্র সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর
— শিল্পী সুরেন্দ্রনাথ কর
সোমকা, সোমবাবু— রবীন্দ্রনাথের অগ্রজ সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুর
হ. চ. হ.— হরিশ্চন্দ্ৰ হালদার
হেম ভট্ট— আদি ব্রাহ্মসমাজের হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য
হ্যাভেল সাহেব— ঈ. বি. হ্যাভেল
Leave a Reply