কিশোর কল্পবিজ্ঞান সমগ্র – অনীশ দেব
পত্র ভারতী
প্রথম প্রকাশ – জানুয়ারি ২০০৫
পরিমার্জিত দ্বিতীয় সংস্করণ মার্চ ২০১৩
অলংকরণ – সুদীপ্ত মণ্ডল
প্রচ্ছদ – মানস চক্রবর্তী
.
লেখক পরিচিতি
অনীশ দেব (২২ অক্টোবর, ১৯৫১ ― ২৮ এপ্রিল ২০২১) ছিলেন বাংলা সাহিত্যে রহস্য রোমাঞ্চ এবং কল্পবিজ্ঞান ধারার জনপ্রিয় লেখক ও সম্পাদক। তিনি ছোটদের ও বড়দের জন্য লিখতেন। আনন্দমেলা, শুকতারা, নবকল্লোল, কিশোর বিজ্ঞানী, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান, কিশোর ভারতী সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জনপ্রিয় পত্রিকাগুলিতে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। লেখার পাশাপাশি তিনি সম্পাদনা, অনুবাদ ইত্যাদির কাজও করতেন।
তার লেখালেখির শুরু সতেরো বছর বয়সে মাসিক রহস্য পত্রিকায়। তার প্রথম লেখা গল্প “ভারকেন্দ্র ” প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ র আগস্টে অধুনালুপ্ত মাসিক রহস্য পত্রিকায়। তারপর থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নামজাদা বাংলা ও ইংরেজি পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখার প্রধান বিষয় – গোয়েন্দা-রহস্য, থ্রিলার, ভৌতিক-অলৌকিক এবং কল্পবিজ্ঞান। গল্পের বই ছাড়াও তিনি বাংলায় কয়েকটি কিশোরপাঠ্য বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থও রচনা করেছেন। পাশাপাশি ব্যবহারিক পদার্থবিদ্যার উপর লেখা তার কিছু ইংরেজি বই রয়েছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সংকলন গ্রন্থ সম্পাদনার কাজেও নিযুক্ত ছিলেন। কিছুকাল সম্পাদনা করেছেন কিশোর বিস্ময় পত্রিকা।
শারদীয়া কিশোর ভারতীতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত তার ফিউচারিস্টিক থ্রিলার “তেইশ ঘন্টা ষাট মিনিট” হল বাংলার প্রথম ফিচারিস্টিক থ্রিলার তাঁকে পাঠক মহলের কাছে প্রভূত জনপ্রিয় করে তুলেছিল। পরবর্তীকালে এই বইয়ের দ্বিতীয় অংশ “ষাট মিনিট তেইশ ঘন্টা” নামে মাসিক কিশোর ভারতীতে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
.
শুরুর আগে
ছোটদের জন্য লেখা কল্পবিজ্ঞান গল্পগুলোকে একজায়গায় জড়ো করে দু-মলাটে বন্দি করা যায় কি না এ-কথা ভাবতে-ভাবতেই ‘সমগ্র’-র কথা মাথায় আসে। শেষপর্যন্ত ‘সমগ্র’ যেটা তৈরি হল তাতে খুঁজে না পাওয়া চার-পাঁচটি গল্প বাদ থেকে গেল। তবুও আটাশটা গল্প নিয়ে ‘কিশোর কল্পবিজ্ঞান সমগ্র’ খারাপ কী! এই বই তুলে দিলাম প্রীতিভাজনেষু তাপস মুখোপাধ্যায় ও অঞ্জনা মুখোপাধ্যায়ের হাতে।
এই বইয়ের প্রযোজনায় আড়ালে থেকে যাঁরা আন্তরিকভাবে সাহায্য করেছেন, তাঁরা হলেন অনিতা রায়, বরুণ রায় ও মানস চক্রবর্তী। ওঁদের কাছে ঋণ থেকে গেল। স্নেহভাজন সুদীপ্ত মণ্ডল সুন্দর ছবি এঁকে বইটিকে অলঙ্কৃত করেছে। ওকে ধন্যবাদ জানাই।
এবারে বলি আশ্চর্য এক দম্পতির কথা : ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ও চুমকি চট্টোপাধ্যায়। ওঁদের সাহিত্যবোধ এবং সাহিত্য প্রীতি অবাক করে দেওয়ার মতো—একইসঙ্গে সাহিত্যিক প্রীতিও। ওঁদের সহযোগিতা না পেলে এই বই কখনও দিনের আলো দেখত না—শুধু চাঁদের আলো নিয়েই থাকত।
সবশেষে ধন্যবাদ জানাই তোমাকে—যে এই বইটা হাতে নিয়ে ভাবছ এর আটাশটা গল্প পড়বে কি না। পড়ো আর না-ই পড়ো, গল্পগুলো কিন্তু তোমার জন্যই লিখেছি। এই বই তোমারই জন্য, আর বইয়ের এত যে সাজগোজের ঘটা, সেও শুধু তোমার জন্য।
অনীশ দেব
ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজাবাজার বিজ্ঞান কলেজ
কলকাতা ৭০০ ০০৯
Leave a Reply