কাশ্মীর : ইতিহাস ও রাজনীতি – জাকারিয়া পলাশ
প্রকাশক – সাঈদ বারী / প্রধান নির্বাহী, সূচীপত্র
প্রথম প্রকাশ – ফেব্রুয়ারি ২০১৭
প্রচ্ছদ – সাইয়্যেদ মুহা. তাইয়্যেব
.
এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু ও মতামত গ্রন্থকারের নিজস্ব – প্রকাশক
ই-বুক নির্মাতা : জহুরুল ইসলাম
ইসলামিক ইপাব ও মোবি ক্রিয়েটর টিম
.
উৎসর্গ
আমার চার বোন–
আয়শা, মাহমুদা, জামিলা ও ফেরদৌসী; যাদের অনুজ আমি
কৈফিয়ত ও কৃতজ্ঞতা
কাশ্মীরকে দেখেছি সবকটি ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে। দুই বছর কাশ্মীর আমার সঙ্গে মিশেছিল; আর আমি কাশ্মীরের সঙ্গে। লিখতে গিয়ে ‘আমি’ শব্দটিকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করেছি বহুবার। শেষে আবিষ্কার করলাম, ‘আমি’কে বাদ দিলে কাশ্মীরকে লেখায় আনতে পারছি না। কাশ্মীরের সঙ্গে আমার এই সম্প্রীতি এ বইয়ের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা। যদিও সাবধান ছিলাম, পাছে এই সংযোগ আমাকে পক্ষপাতদুষ্ট করে ফেলে! তবু ক্ষমাপ্রার্থী। চেষ্টা ছিল, বাংলাদেশির দৃষ্টিতেই কাশ্মীরকে দেখার ও তুলে ধরার। সার্থকতা বিচারের দায়িত্ব পাঠকের। প্রায় তিন বছরের ভাবনা, পড়াশোনা আর প্রচেষ্টার ফসল এটি।
এই সুদীর্ঘ কালে যারা পাশে ছিলেন তাদের নামগুলো শুরুতে জানানো আবশ্যক বোধ করি। শারমিন তামান্না, সুবর্ণা ধর, শাফিনূর শাফিন ও তানজিনা আহমেদ- এই চারজন কাশ্মীরে আমার বাংলাদেশি সহপাঠী, বোন-বন্ধু। ওদের ধন্যবাদ। ধন্যবাদ চিং চা খাওয়াই মারমা ও সৌরভ পথবাসীকে। সর্বপ্রথম এই দুই বাংলাদেশিই আমাকে কাশ্মীর দেখিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রজের বয়ানে। ধন্যবাদ অসংখ্য কাশ্মীরি সুহৃদকে, যারা আমার কাছে উন্মুক্ত করেছেন কাশ্মীরকে। ধন্যবাদ পাবেন সূচীপত্র প্রকাশনীর সাঈদ বারী। লেখা শুরুর আগেই তিনি প্রকাশের নিশ্চয়তা দিয়ে আমার সাহস বাড়িয়েছেন। এনটিভিবিডিডটকম-এর শেখ ফয়সাল আহমেদকে ভোলা যায় না। প্রায়ই স্কাইপে কল করে তিনি তাগিদ দিতেন লেখার। দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মতিউর রহমান চৌধুরীর কল্যাণ কামনা আর প্রশংসা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছিল।
যোগাযোগ রাখতেন মানবজমিন পরিবারের কাজল ঘোষ, কাফি কামাল, লুত্যর রহমান, সাজিদুল হক, সিরাজুস সালেকিন, ইমরান আলীসহ অনেকে কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি। ভ্রাতৃপ্রতিম কামরান সিদ্দিকী, খাদেমুল ইসলাম, রেজাউল হক কৌশিক, নাজমুস সাকিব, ইজাজ সৌমিক, সৈয়দ আরিফুল হক, জুবায়ের টিপু ও মামাতো ভাই হাসানুল বান্না অনুপ্রেরণা জোগাতেন সবসময়। সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল-সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ বিরাট অবদান রেখেছেন এ কাজে। তার কাগজে ধারাবাহিকভাবে ছাপা না হলে এ বছর কাজটি শেষ করা নিয়ে সংশয় থাকতো। সপ্তাহান্তে সাম্প্রতিক দেশকাল থেকে ফয়জুল আল আমীন ফোন করে বলতেন, “পরের সংখ্যা কই?’ ধন্যবাদ এই প্রশ্নটির জন্য। কৃতজ্ঞতা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পাঠকদের যারা সামাজিক মাধ্যমে আমাকে
পড়েছেন এবং দিয়েছেন মূল্যবান প্রতিক্রিয়া ও পরামর্শ। প্রিয় ফারুক আহমদকে ধন্যবাদ স্বল্প সময় পুরো বইটির প্রুফ দেখে দেওয়ার জন্য। স্নেহভাজন সাইয়্যেদ মুহা. তাইয়্যেব বইটির প্রচ্ছদ করেছেন। তাকেও ধন্যবাদ।
স্মরণ করছি সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশন ও কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনেস্কো মদনজিৎ সিং ইনস্টিটিউট অব কাশ্মীর স্টাডিজ (ইউএমআইকেএস) সংশ্লিষ্ট সবাইকে। ওখানে পড়ার সুযোগ না হলে এ লেখা সম্ভব হতো না। আমার মা, ভাইবোন, স্বজন ও সুহৃদরা এ কাজের জন্য যে দৃঢ় আশাবাদ রেখেছেন তার প্রতিদান আল্লাহ-ই দেবেন। কারণ, এ অধম তা দিতে অক্ষম।
জাকারিয়া পলাশ
Leave a Reply