কালসন্ধ্যা – মনোজ সেন
প্রথম প্রকাশ : এপ্রিল ২০১৯
.
আমার বড়ো মেয়ে
অপরাজিতা সেন মুখার্জী (মৌ) কে
স্নেহাশীর্বাদ
বাবা
.
কৃতজ্ঞতা
প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, অভ্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, সোনাল দাস,
শুভ্র চক্রবর্তী, সুমিত সেনগুপ্ত,
নিরুপম মজুমদার, সোহম ঘোষ (টিম ‘ক্যামেরা জি’)
সূচিপত্র
- কালসন্ধ্যা
- পিশাচ
- বাসুকির অভিশাপ
- চতুরঙ্গ
- ভাতে পড়ল মাছি
- মধুকর সংবাদ
ভূমিকা
এই বইটি ছ-টি গল্পের একটি সংকলন, যে গল্পগুলিকে, আমার মতে, থ্রিলার আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। এখন প্রশ্ন হল, থ্রিলার কাকে বলে ও কয় প্রকার। অভিধান বলছে, থ্রিলার হল রোমাঞ্চকর বা রোমহর্ষক ও গোয়েন্দা গল্প। একসঙ্গে বা আলাদা আলাদা। সাদা বাংলায় যে গল্পে বিপজ্জনক সব ঘটনার ঘনঘটা থাকবে যা পড়তে পড়তে পাঠকের গায়ের লোম উৎকণ্ঠায় খাড়া হয়ে উঠবে অথবা প্রাণ হাতে করে কোনো ভয়ংকর অপরাধের কিনারা করার কথা থাকবে তাকেই থ্রিলার বলা হয়।
আরও সহজ করে বলতে গেলে যে গল্পে প্রচুর পরিমাণে মারামারি কাটাকাটি, গোলাগুলি, হুড়োহুড়ি, লাফঝাঁপ থাকবে, তাকেই থ্রিলার বলা যেতে পারে। ভালো কথা। তবে, সবই তো হল, কিন্তু কৌতূহলের ব্যাপারটা নেই কেন? অনেকটা সেই মন্ত্রীমশায়ের জগৎকাঁপানো প্রশ্নের মতো— পঙ্ক্ষীরাজ যদি হবে, তবে ন্যাজ নাই কেন?
আমার বিশ্বাস, থ্রিলারে এই ন্যাজটাই আসল। যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য কাহিনি যা পড়তে গিয়ে পাঠক ‘কী হবে কী হবে’ করে শেষ পর্যন্ত না পড়ে ছাড়তে পারেন না তাকেই বোধ হয় থ্রিলার বলা উচিত। তা, সেই গল্পে মারামারি, গোলাগুলি, খুনোখুনি থাকতেও পারে না থাকতেও পারে। এমনকী সেটা নির্ভেজাল প্রেমের কাহিনিও হতে পারে।
এই বইয়ের গল্পগুলো সেই মাপকাঠিতে থ্রিলার হয়েছে কি না, অবশ্যই সে-বিচার করবেন পাঠক।
মনোজ সেন
Leave a Reply