কাদম্বরী – বানভট্ট
[কাদম্বরী – বানভট্ট রচিত বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন উপন্যাস কাদম্বরী। তারাশঙ্কর তর্করত্ন অনূদিত (১৮৫৪)। মূল বইতে তিনটি ভাগ — উপক্রমণিকা, কথারম্ভ, উপসংহার। আর কোনও পরিচ্ছেদভাগ নেই। কিন্তু কথারম্ভ অংশটি খুবই বড় হওয়ায় এর পরিচ্ছেদভাগগুলি এখানে অজরচন্দ্র সরকার এবং আশুতোষ ভট্টাচার্য সম্পাদিত সংস্করণ দুটি থেকে নেওয়া হয়েছে।]
প্রথম বারের বিজ্ঞাপন
সংস্কৃত ভাষায় মহাকবি বাণভট্টবিরচিত কাদম্বরী নামে যে মনোহর গদ্য গ্রন্থ প্রসিদ্ধ আছে, তাহা অবলম্বন করিয়া এই পুস্তক লিখিত হইল। ইহা ঐ গ্রন্থের অবিকল অনুবাদ নহে। গল্পটি মাত্র অবিকল পরিগৃহীত হইয়াছে, বর্ণনার অনেক অংশ পরিত্যাগ করা গিয়াছে। সংস্কৃত কাদম্বরী পাঠে অনির্ব্বচনীয় প্রীতি লাভ হইয়া থাকে এবং তাহার বর্ণনা শুনিলে অথবা পাঠ করিলে সাতিশয় চমৎকৃত হইতে হয়। এই বাঙ্গলা অনুবাদ যে সেই রূপ প্রীতিদায়ক ও চমৎকারজনক হইবেক ইহা কোন রূপেই সম্ভাবিত নহে। যাহা হউক, যে সকল মহাশয়েরা বাঙ্গলা ভাষায় অনুরাগ প্রদর্শন করিয়া থাকেন তাঁহারা পরিশ্রম স্বীকার পূর্ব্বক এক এক বার পাঠ করিলেই সমুদায় শ্রম সফল জ্ঞান করিব।
শ্রীতারাশঙ্কর শর্ম্মা
কলিকাতা, সংস্কৃত কালেজ
৩রা আশ্বিন সংবৎ ১৯১১
দ্বিতীয় বারের বিজ্ঞাপন
কাদম্বরী দ্বিতীয় বার মুদ্রিত ও প্রচারিত হইল। এই বারে কোন কোন স্থান পরিত্যক্ত ও কোন কোন স্থান পরিবর্ত্তিত হইয়াছে। যে সকল স্থান অসংলগ্ন অথবা দুরূহ বোধ হইয়াছিল, ঐ সকল স্থান সংলগ্ন ও সহজ করিবার নিমিত্ত প্রয়াস পাইয়াছি; কিন্তু কত দূর পর্য্যন্ত কৃতকার্য্য হইয়াছি বলিতে পারি না।
শ্রীতারাশঙ্কর শর্ম্মা
১৫ বৈশাখ
সংবৎ ১৯১৩
Leave a Reply