ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান
মূল : ইভন রিডলি
অনুবাদ : আবরার হামীম
.
কৈফিয়ত
ইন দ্য হ্যাভ অব তালেবান এক অর্থে লেখিকা ইভন রিডলির আত্মজীবনী নয়। আবার অন্য অর্থে এটি তার আত্মজৈবনিক এক অসামান্য দলিল। স্বভাবতই এ কথার মধ্যে একটা মতদ্বৈততা খুঁজে পাবেন পাঠকমাত্ৰই। এখানে মতদ্বৈততার তৈরি হয়েছে মূলত তালেবানের হাতে বন্দিবস্থায় তার স্থিতি এবং মুক্ত হয়ে তার ইসলাম গ্রহণের পটভূমির কারণে।
২০০১ সালে সাংবাদিক ইভন রিডলি যতোটা না আলোচিত হয়েছিলেন তালেবানের হাতে বন্দি হয়ে, তার চেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিলেন মুক্তির কিছুদিন পর অকস্মাৎ ঘোষণা দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে। এটা পশ্চিম তো বটেই, অবাক করেছিলো আমার মতো প্রাচ্যের অনেক তরুণকেও। তখন থেকেই মুসলিম বিশ্বে ইভন রিডলি খুব পরিচিত একটি নাম। সত্যি বলতে, বর্তমানে মুসলিমদের কাছে পশ্চিমে তিনি অনেকটা অচেনা অভিভাবকের মতোই একজন।
ইসলাম গ্রহণের পর নানা কারণেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। কখনো ফিলিস্তিনের প্রতি নিজের অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে, কখনো ইসলামে নারীর অধিকার সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষণ দিয়ে, কখনো বা জঙ্গিবাদ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করে। তিনি সবসময়ই আপন আলোয় ছিলেন স্বয়ম্ভর।
ইন দ্য হ্যান্ড অব তালেবান-এর নাম যখন থেকে শুনেছি তখন থেকেই ইচ্ছা ছিলো বইটি পড়ার। যখন পড়তে পারলাম তখন মনে হলো, এ বইটি বাংলাভাষী পাঠকের পাঠসম্ভারে যুক্ত করতে না পারলে একজন মুসলিম হিসেবে নিজের কাছেই অপরাধী হয়ে থাকবো। সেই প্রেরণা থেকেই বইটির অনুবাদ এবং সবিনয়ে জানিয়ে রাখছি, এটিই আমার অনূদিত প্রথম বই।
ধন্যবাদ নবপ্রকাশকে বইটি অনুবাদের ভার আমার মতো নাবালকের হাতে অর্পণ করায় এবং আমার নড়বড়ে কলমের প্রতি আস্থা রাখায়। তাদের এ আস্থার প্রতিদানস্বরূপ আল্লাহ এ কলমকে আরও শক্তিশালী করুন। ইসলামের জন্য, আর্তমানবতার জন্য এ কলমকে আরও শাণিত করুন।
সব শেষে কামনা করবো, বইটি সর্বমহলে সমাদৃত হোক। এ গ্রন্থের সাফল্যের বারতায় ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন বই পাঠককে উপহার দেয়ার সৌভাগ্য যেনো আমার হয়, সে দোয়া চাইবো সকলের কাছে।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন!
-আবরার হামীম
Leave a Reply