আড়িয়াল খাঁ – মাসরুর আরেফিন
প্রথম প্রকাশ – ফেব্রুয়ারি ২০২২
প্রচ্ছদ – আনিসুজ্জামান সোহেল
উৎসর্গ
আমার প্রয়াত শ্বশুর মোহাম্মদ আবদুল হক (১৯৪৫-২০20), যার দুর্মর সততা ও সারল্য আমাকে আজও চমকিত করে রেখেছে এবং যার সারাদিন ধরে বই পড়ার স্মৃতি মনে করে আজও আমি বিস্ময়মৌন।
.
নৌকাটাকে ঘিরে কেমন অপরাহ্ন নেমে আসে নদী
বেড় দিয়ে থাকা দুচ্ছেদ্য প্যান্ডেলজুড়ে—প্রত্নদিনের।
নিটোল বিকেলের ওই মঞ্জুল কম্পোজিশন—কোন্ কালের?
কোন্ সহস্র বছরের?
‘…ভালই তো লম্পটেরা, তোমাদের কলহ বেশ ইন্টারেস্টিং…
এইসব চুলোচুলি।’
কত কত দিন হয়ে গেল আমরা ওই নদীতে ভাসমান
শুশুক ও ট্যারোড্যাকটিলের দল দম হারিয়ে পেছনে পড়ে গেছে,
আর সামনে তে-মোহনা দৃশ্যমান—মাঠের মতো
প্রস্তুর নির্মিত যেন…তরঙ্গবিহীন।
(মাসরুর আরেফিন, ঈশ্বরদী, মেয়র ও মিউলের গল্প, ২০০১)
.
কৃতজ্ঞতা
বন্ধু, লেখক মাহবুব আজীজের ধাক্কা ও প্রেরণায় শেষ করা হলো এই লেখা।
প্রকৃতিবিদ জায়েদ ফরিদের বই উদ্ভিদ স্বভাব-গাছপালার বিচিত্র কথোপকথন (কথাপ্রকাশ, ২০১৬) আমাকে নতুন করে চেনাল বন-বাদাড়, ফুল-ফল, লতাগুল্মকে—যা উপন্যাসটিকে পরিপূর্ণতা দিয়েছে। আবার বাংলা ভাষার ওপরে তাঁর দখল দেখেও আমি বিস্মিত হয়েছি।
এ উপন্যাসের নানা দিক নিয়ে সবচাইতে বেশি আলোচনা হয়েছে বন্ধু ব্রাত্য রাইসুর সঙ্গে। সেইসব আলোচনায় নিঃসন্দেহে আমার চিন্তার দরজা খুলেছে, জানালা খুলেছে।
‘সমকাল’-এর ঈদসংখ্যায় উপন্যাসটির অংশবিশেষ পড়ে আমাকে বিরাট উজ্জীবিত করেছিলেন কবি মারুফ রায়হান ও ভ্রমণগদ্য শিল্পী মাহমুদ হাফিজ।
পাণ্ডুলিপির ওপরে মূল্যবান মতামত দিয়েছেন আমার প্রিয়জন, লেখক-সাহিত্যিক আলম খোরশেদ, মারুফ রায়হান, মাহমুদ হাফিজ ও আশরাফুল আলম শাওন। এক্ষেত্রে বিশেষত লেখক-অনুবাদক আলম খোরশেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর কথা চিন্তা করলে আমি ভাষা হারিয়ে ফেলছি। তাঁর সাজেশন ও পরামর্শসমূহ আমাকে—এর আগের আন্ডারগ্রাউন্ড উপন্যাসের শেষে যেমন লিখেছিলাম- বিপুলভাবে উপকৃত করেছে।
আন্তরিক ধন্যবাদ। আমার এই লেখক বন্ধুদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
শরীফুল হাসানের যেখানে রোদেরা ঘুমায় দিতে পারবেন প্লিজ?