দীর্ঘ শুষ্কতায়
শাহ্নাজ মুন্নী
ঘন অরণ্যকে চিনিয়ে দিয়েছি উদাস হওয়ার পথ
এবার শুধু সময় সুযোগ মতো তল্পিতল্পা বেঁধে বেরিয়ে পড়া
এই নিশ্চিন্তি ছেড়ে একেকবার খুব ঝুঁকি নিতে ইচ্ছা করে তার
ইচ্ছা করে মাটির সংসার ভুলে শিকড়-বাকড় উপড়ে কিছুকাল ঘুরে আসে দূরে ···
ডাইনিরা হেসে বলে, ঘন অরণ্য হেঁটে এলে দুর্ভাগ্য পিছু ধরে···
ঘোর বৃষ্টির দিনে সস্তা শুড়িখানার কোনো নাচের আসরে শত মাতালের ভীড়ে
হয়তো যার সাথে হয়েছিল দেখা কোনোদিন কিংবা যার সাথে হবে না দেখা আর কোনোদিন
সে যখন আকাশে জাল ফেলে অলীক নক্ষত্র ধরে, গোধূলির গান করে ভরাট গলা ছেড়ে
ডাইনিরা তখনো হেসে বলে, ঘন অরণ্য হেঁটে এলে দুর্ভাগ্য পিছু ধরে···
বৈরাগ্যের আলোঘেঁষা কালো নির্বাণের ছোঁয়াচে মায়ায়
দুর্ভাগ্যের কুহেলি ছুঁয়ে ধূমায়িত দ্বিধাশিশু রুমাল নাড়ায়
প্রতি চন্দ্রকলায় গৃহবাসী দ্বিধাময়ীগণ পূর্ণিমা অমাবস্যা ছুঁয়ে
নিজের আয়নায় নিজেই থাকে নুয়ে
তারপর, গুমোট মেঘের বুকে থমকে থাকা নীল কান্নার মতো
সকল দাপদাহ সকল তৃষ্ণা উপেক্ষা করে, দূরে···
চলে যায় কোথায়, দীর্ঘ শুষ্কতায়
অরণ্য দাঁড়িয়ে থাকে স্থির, একঠায়···
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০৩, ২০০৯
Leave a Reply