এক সমৃদ্ধ লাইব্রেরি ছিল হিটলারের। তাঁর ব্যক্তিগত লাইব্রেরির একটি অংশে পাওয়া গেছে রবীন্দ্রনাথের বই ন্যাশনালিজম। বইটি কীভাবে পৌঁছেছিল হিটলারের হাতে? লিখেছেন মনজুরুল হক।
এডল্ফ হিটলারের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমকালীন যে বঙ্গসন্তানের একসময় সখ্য গড়ে উঠেছিল, তিনি হচ্ছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ভারতের স্বাধীনতাপ্রত্যাশী নেতাজি কী করে হিটলারের মতো ভয়ংকর বর্ণবাদী চিন্তাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন, আমাদের আবেগপ্রবণ বাঙালি মন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দেখতে নারাজ। তবে নেতাজি যখন হিটলারের সান্নিধ্য ভোগ করছিলেন, কবিগুরুকে তখন হতে হয়েছিল জার্মানির নাৎসি শাসকদের বহ্ন্যুৎসবের অন্যতম প্রধান এক লক্ষ্য। এও ইতিহাসের এমন এক বাস্তবতা, যার হিসাব মেলানো মোটেও সহজ নয়।
হিটলারের জার্মানি সার্বিক অর্থেই ছিল স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাধীন এক দেশ, যদিও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই নাৎসিরা শুরুতে ক্ষমতায় বসেছিল। তবে সস্তা জাতীয়তাবাদী ্লোগান তুলে এবং বামশক্তির মধ্যে সৃষ্ট বিভেদ ও বিভাজন কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় বসার পর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেওয়ার যেসব পথ হিটলার ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা দ্রুত গ্রহণ করেন, এর মধ্যে অন্যতম ছিল জনতার ভাবনা-চিন্তা নিজেদের পথে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা। সে রকম এক পরিকল্পনার ফল হলো বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার মানুষের লেখা বইপত্র প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ফেলার নাৎসি উৎসব। নিষিদ্ধ সে রকম লেখক-কবি-সাহিত্যিক-দার্শনিকদের তালিকায় কবিগুরু যে অন্তভুêক্ত থাকবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। কেননা বিশ্বের তাবৎ একনায়ক আর স্বৈরাচার চিন্তাবিদ আর কবি-সাহিত্যিকদেরই তাঁদের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে থাকে। সেই বাস্তবতা ্নরণ রেখেই রুশ কবি আন্দ্রেই ভজনেসেনস্কি তাঁর এক কবিতায় লিখেছিলেনঃ
‘কবিকে হত্যা করা না হলে হত্যার লক্ষ্য হতে পারে এমন কেউ আর থাকে না।’
হিটলারের উগ্র বর্ণবাদী জাতীয়তাবাদের উৎস খুঁজতে হলে শুরুতে তাঁর পাঠাভ্যাসের দিকেই যে নজর দেওয়া দরকার, হিটলারের জীবদ্দশায়ই অনেকে তা উপলব্ধি করেছিলেন। অন্য সব একনায়কের সঙ্গে হিটলারের সবচেয়ে বড় পার্থক্য এখানে যে হিটলার ছিলেন ক্ষুধার্ত পাঠক। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার দিক থেকে তিনি খুব বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেননি। কিন্তু যৌবনের দিনগুলোতে যে তাঁর পাঠাভ্যাস গড়ে উঠেছিল, এর প্রমাণ উপস্থাপিত হয়েছে জার্মান গবেষক ব্রিজিট হামানের লেখা বই হিটলার ইন ভিয়েনায় (ইংরেজি অনুবাদ ১৯৯৯)। পাঠাভ্যাসকেও অবশ্য হিটলার নিজের পছন্দের দিকে ধাবিত করেছিলেন, যা তাঁর নাৎসি ভাবনা-চিন্তার শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছিল। হিটলারকে পুরোপুরি বুঝে উঠতে হলে তাই তাঁর পাঠাভ্যাস ও ব্যক্তিগত সংগ্রহের বইপত্রের দিকে অবশ্যই নজর দেওয়া দরকার।
হিটলারের পাঠাভ্যাস নিয়ে জার্মানির বাইরে প্রথম বই বেরোয় হিটলারের জীবদ্দশায়ই, ১৯৪২ সালে। দিস ইজ দি এনিমি নামের সেই বইয়ের রচয়িতা মার্কিন সাংবাদিক ফ্রেডরিখ ওয়েশনার। নাৎসিরা জার্মানিতে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বেশ কয়েক বছর ওয়েশনার বার্লিনে বার্তা সংস্থা ইউপিআইয়ের সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। জার্মানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ ঘোষণা করার পর মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সামনে শত্রুদেশের নেতার ঘনিষ্ঠ পরিচিতি তুলে ধরার জন্য বইটি লেখেন তিনি। ওয়েশনার বার্লিনে অবস্থান করার সময় হিটলারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নেন। তার ভিত্তিতে তিনি পাঠকদের কাছে হিটলারের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির পরিচিতি তুলে ধরেছেন। এ বইয়ের মাধ্যমে ওয়েশনার জানাচ্ছেন, হিটলারের সেই লাইব্রেরি ছিল বিভিন্ন বিষয়ে লেখা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বইয়ে পূর্ণ। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর নিজের ব্যক্তিগত লাইব্রেরিটি হিটলার দুটি ভাগে ভাগ করেছিলেন। একটি অংশ ছিল বার্লিনের সরকারি বাসভবনে, অন্য অংশটি তিনি রেখেছিলেন বের্গফের পাহাড়ি এলাকায় নিজের অবসরকালীন নিবাসে। বইয়ের মোট সংখ্যা ছিল ১৬ হাজারের বেশি, পরবর্তী অনেক গবেষকের লেখায় এ তথ্যের নিশ্চয়তা মেলে। এসব সংগ্রহের বাইরে মিউনিখেও হিটলারের ব্যক্তিগত আরেকটি লাইব্রেরি কথা জানা যায়, যার উল্লেখ অবশ্য ওয়েশনার করেননি।
এসব বইয়ের মধ্যে সমরবিদ্যা ও সামরিক ইতিহাস নিয়ে লেখা বই-ই ছিল বেশি। এর কারণ সহজেই বোধগম্য। তবে অন্যান্য বিষয়ের বইয়ের উপস্থিতিও একেবারে কম ছিল না। হিটলারের পাঠাভ্যাস নিয়ে ফ্রেডরিখ ওয়েশনারের লেখা সেই বই প্রকাশিত হওয়ার ৬৫ বছরেরও বেশি সময় পরে হিটলারের ব্যক্তিগত লাইব্রেরির ওপর ইংরেজি ভাষায় লেখা কিছুদিন আগে প্রকাশিত আরেকটি গ্রন্থে বইপত্র এবং সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত লাইব্রেরির সংগ্রহ হিটলারের জীবনকে কতটা প্রভাবিত করেছিল, সে সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু জানা যায়। টিমোথি ডব্লিউ রাইবাকের লেখা সেই বই হিটলারস প্রাইভেট লাইব্রেরিঃ দ্য বুকস দ্যাট শেপ্ড হিজ লাইফ-এ অনেকটা ঘটনাক্রমে উপস্থিত হয়েছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
হিটলারের সম্পূর্ণ সংগ্রহের ওপর টিমোথি রাইবাক আলোকপাত করেননি এবং যুদ্ধের ব্যাপক ধ্বংসাবশেষের পর তা সম্ভবও ছিল না। বার্লিনে হিটলারের লাইব্রেরিতে যে হাজার দশেক বইয়ের সংগ্রহ ছিল, ১৯৪৫ সালে এর পুরোটাই চলে যায় সোভিয়েত কর্তৃপক্ষের দখলে। পরবর্তী সময়ে সেসব বইয়ের আর দেখা পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে মার্কিন সেনারা বের্গফের ধ্বংসাবশেষ এবং মিউনিখ থেকে হিটলারের ফেলে রাখা যেসব বই সংগ্রহ করেছিল, এর মধ্যে বেশ কিছু বই যুদ্ধের ্নারক স্যুভেনির হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়। এই বইগুলোও পরে আর একত্র করা যায়নি। এসব বইয়ের বাইরে হাজার তিনেক বই হিটলার যুদ্ধের শেষ দিকে বের্গফের কাছাকাছি এক লবণখনিতে বাক্সবদ্ধ করে নিরাপদ হেফাজতে জমা রাখার জন্য পাঠিয়েছিলেন। ধারণা করা যায়, এসব বইকে নিজের পছন্দের বই হিসেবে তিনি হয়তো মনে করে থাকবেন, যে কারণে সম্ভাব্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই নিরাপদ হেফাজতে সেগুলো তিনি জমা রাখতে চেয়েছিলেন। বইগুলো মার্কিন বাহিনীর হাতে পড়ে। যুদ্ধের পর বইগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। সেই সংগ্রহ থেকে বাছাই করা এক হাজার ২০০টি বই লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের ভিন্ন এক সংগ্রহে রাখা হয়। এসব বইয়ের ওপরই রাইবাক তাঁর গবেষণা সীমিত রেখেছেন।
এই সংগ্রহের অধিকাংশ বই হিটলার মনোযোগ দিয়ে পড়েছিলেন। পড়ে বইয়ে তিনি পেনসিল দিয়ে দাগিয়েছেন এবং পাশে মন্তব্য লিখেছেন। অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কয়েকটি বইয়ের মলাট খসে যাওয়ার মতো অবস্থা। এ বইগুলো যে হিটলারের বিশেষ পছন্দের বই ছিল, সে প্রমাণও মেলে। সে রকম একটি বই হচ্ছে বার্লিনের স্থাপত্য পরিচিতি। জার্মানির রাজধানীকে নিজের মনের মতো মহিমাময় এক নগর হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন তিনি লালন করতেন বলেই বইটি প্রায়ই হিটলার খুলে দেখতেন। এ ছাড়া হিটলারের দর্শন এবং এর উৎসের পরিচিতিও লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের সেই সংগ্রহে মেলে।
একমাত্র যে উল্লেখযোগ্য দার্শনিকের বই বিশেষ সেই সংগ্রহে অন্তভুêক্ত ছিল, তিনি হলেন উনিশ শতকের সূচনালগ্নের জাতীয়তাবাদী জার্মান চিন্তাবিদ ইয়োহানেস গটলিয়েফ ফিকটে। সাদা চামড়ায় বাঁধানো ফিকটের রচনাবলি হিটলার উপহার হিসেবে পেয়েছিলন চলচ্চিত্র-নির্মাতা ও তাঁর একসময়ের প্রেমিকা হিসেবে গণ্য লেনি রেইফেনস্থালের কাছ থেকে। রাইবাক অবশ্য মনে করেন, ব্যক্তিগত পছন্দের লাইব্রেরিতে ফিকটের উপস্থিতি প্রমাণ করছে, হিটলারের নাৎসি-চেতনার উৎস শোপেনহাওয়ার কিংবা নিটশে নন, বরং তাঁদেরও অনেক আগের জাতীয়তাবাদী চিন্তাবিদ ফিকটে।
লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের এক হাজার ২০০ বইয়ের একটি বই হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জার্মান অনুবাদে প্রকাশিত জাতীয়তাবাদ। আমরা জানি, জাতীয়তাবাদের যে ব্যাখ্যা রবীন্দ্রনাথ দিয়েছেন, তাঁর সেই জাতীয়তাবাদ ছিল হিটলারের সংকীর্ণ এবং উগ্র এককেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথ তো ছিলেন নাৎসিদের কালো তালিকাভুক্ত কবি। তা সত্ত্বেও হিটলারের পছন্দের বইয়ের মধ্যে কীভাবে তিনি জায়গা করে নিলেন? রবীন্দ্রনাথের লেখা বইটিও হিটলার উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন এবং এ প্রশ্নেরও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় সেই উপহারের সূত্র ধরেই।
হিটলারের ৩২তম জন্মদিনে তাঁকে রবীন্দ্রনাথের এ বইটি দিয়েছিলেন তাঁর এক মহিলা ভক্ত। হিটলার তখনো ক্ষমতাসীন হননি এবং তাঁর মাইন কাম্ফও সে সময় লেখা হয়নি। ‘আমার প্রিয় আরমান ভাইকে’ মহিলার লেখা এই উপহারপত্র রহস্যের অনেকটা আমাদের সামনে উন্মোচন করে দেয়, যার যোগসূত্রও কট্টর নাৎসিবাদের সঙ্গেই।
জার্মান ভাষায় ‘আরমান’ শব্দটির প্রথম প্রচলন লক্ষ করা যায় উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে অস্ট্রিয়ার বর্ণবাদী আধ্যাত্মিক চিন্তাবিদ গুইডো ফন লিস্টের লেখায়। শ্মশ্রুধারী এই বর্ণবাদীকে অনেক গবেষক ভণ্ড সন্ত হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। বাহ্যিক চেহারা এবং পোশাকের দিক থেকে দেখতে তিনি ছিলেন অনেকটা কবিগুরুর কাছাকাছি। তবে মিল শুধু সেটুকুই। ফন লিস্ট আর্য-জার্মান জাতিভক্তদের সার্বিক শ্রেষ্ঠত্বে ছিলেন সম্পূর্ণ আস্থাশীল। খ্রিষ্টধর্মের আবির্ভাবের অনেক আগে ইউরোপের দূরবর্তী উত্তরাঞ্চল থেকে এসে যারা জার্মানিতে বসতি গেড়েছিল, সেই ‘শ্রেষ্ঠ’ জাতির প্রতিনিধিদের তিনি ‘আরমান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এরা, তাঁর ভাষায় নিকৃষ্ট অন্য সব জাতিকে পরাভূত করে বিশ্বজুড়ে নিজেদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে। ফলে জার্মান বা আরমানদের জাতীয় বিশুদ্ধতা বজায় রাখার ওপর তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। অনেকটা এ ধরনের চিন্তাভাবনার প্রকাশই আমরা দেখি হিটলার অনুসৃত নীতিতে।
ফন লিস্টের জীবদ্দশায়ই তাঁর সেই আদর্শকে বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে জার্মানি ও অস্ট্রিয়ায় গোপন বেশ কিছু সমিতির আবির্ভাব লক্ষ করা যায়, যেসব সমিতির সদস্যরা একে অন্যকে আরমান ভাই-বোন মনে করত। হিটলারের ভাবনা-চিন্তায় গুইডো ফন লিস্টের প্রভাব মনে হয় তাঁর সেই ভিয়েনার দিনগুলো থেকেই এবং উপহারপত্রে ‘আমার প্রিয় আরমান ভাই’কে লেখা উদ্ধৃতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, উপহার দেওয়া সেই মহিলার সঙ্গে হিটলার নিজেও হয়তো কোনো একসময় সে রকম এক গুপ্ত সমিতির সদস্য হয়েছিলেন।
তবে কেন রবীন্দ্রনাথ? সে প্রশ্ন কিন্তু এর পরও থেকে যায়। আমরা ধারণা করে নিতে পারি, রবীন্দ্রনাথের রচনা পাঠ করে নয় বরং তাঁর সন্তসুলভ চেহারার ছবি দেখেই ওই মহিলা হয়তো তাঁকে গুইডো ফন লিস্টের মতো ‘সন্ত’র সমতুল্য কেউ ভেবে থাকবেন। মহিলার সঙ্গে হিটলারের সম্পর্ক ঠিক কতটা গভীর ছিল, সে বিষয়েও তেমন কিছু জানা যায় না। ধরে নিতে পারি, সম্পর্ক একসময় হয়তো খুবই অন্তরঙ্গ ছিল এবং সেই ্নৃতিকে মনে রেখেই হিটলার পছন্দের বইয়ের মধ্যে কবিগুরুর বইটি রেখেছিলেন, রচনার বিষয়াবলি কিংবা সেখানে তুলে ধরা ভাবনা-চিন্তার জন্য নয়। এ ছাড়া বইটি যে হিটলার পড়েছেন, সে রকম প্রমাণও কিন্তু মেলেনি। বইটিতে তাঁর পেনসিলের কোনো দাগ কিংবা পাশে কোনো মন্তব্য নেই। ফলে আমাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো কবিগুরুকেও হিটলারের আতিথ্য গ্রহণের অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে।
টোকিও, ১৭ মে ২০০৯
সূত্রঃ প্রথম আলো, জুন ১২, ২০০৯
পাঠক
অনেক অজানা জানা হোলো । ভাল লাগলো ।
রাসেল
ভুব ভাল ভুব ভাল ভুব ভাল ভুব ভাল
jakir
amar khub bhalo legese.