উদাসীন এই শহরে এখন
ভেবে মরি তুমি রয়েছো লিপ্ত কী নিয়ে?
ক্ষুব্ধ ঈগল চঞ্চুর ঘায়ে
নিমেষে আমার শান্তি নিয়েছে ছিনিয়ে।
জোনাকির ভিড়ে খাপছাড়াভাবে
কতকাল আর বাইরে থাকবো দাঁড়িয়ে?
ভয়ের পাথর বুক জুড়ে থাকে,
ফেলবো কি হায় তোমাকে কখনো হারিয়ে?
রূপালি হ্রদের স্বচ্ছ পানিতে
ভেসে ওঠে বুঝি তোমার বুকের আদল।
পরমুহূর্তে শূন্যতা হাসে,
দ্রুত তালে বাজে পরিহাসপ্রিয় মাদল।
প্রণয় তোমার রহস্যমোড়া,
যেন সে হরিণ লতাগুল্মের আড়ালে।
তোমার দু’চোখ কাছে ডেকে নেয়,
দূরে সরে যায় হাতখানি বুকে বাড়ালে।
তোমাকে বুঝতে পারিনি এখনো,
মনে হয় শুধু ঘুরছি গোলকধাঁধায়।
কখনো তোমার কোন আচরণ
হাসায় আমাকে, কখনো কেবলি কাঁদায়।
চোখে জ্বালা ধরে, বুকে বৃশ্চিক;
দহনের কথা কাউকে ভুলেও বলি না।
বিচ্ছেদ-নদী মাঝে-সাঝে বয়,
তার মারে তুমি হও কি কখনো মলিনা?
যন্ত্রশাসিত যুগে তুমি-আমি
গাণিতিক প্রেম করবো হিসেব মিলিয়ে?
দীর্ঘশ্বাস ফেলে না রোবট,
কস্মিনকালে দেয় না নিজেকে বিলিয়ে।
যখন আমার ঠোঁটে রাখো ঠোঁট,
গোধুলি বেলায় হঠাৎ জানাও বিদায়,
তোমার মনের অবচেতনের
হদিস না পেয়ে থাকি অবিরাম দ্বিধায়।
যদি মরে যাই, বলবে না কেউ
তোমাকে বিধবা; রক্ত জবার বালিশে
মাথা পেতে তুমি থাকবে ঘুমিয়ে,
জ্বলবে শরীর স্বপ্নের কড়া পালিশে।
এই ঘর এই সিঁড়ি, ভাঙ্গা পথ
প্রজাপতিসহ থাকবে মনের ভেতর।
নোংরা হাতের নিষ্ঠুর টানে
আল্গা হবে কি হৃদয়ে-প্রোথিত শেকর।
Leave a Reply