“প্ৰথম ভাণবার একাংশ শাশ্বতবাদ।”
৩৮। “ভিক্ষুগণ, কোনো কোনো শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণ আছেন একদেশ শাশ্বতবাদী, একদেশ অশাশ্বতবাদী যাহারা চারিটি কারণ প্রয়োগে আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত ঘোষণা করেন। সেই ভদন্ত শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণগণ কী বিশেষাধিগমে, কী লক্ষ্য করিয়া একদেশ শাশ্বত, একদেশ অশাশ্বতবাদী হইয়া চতুর্বিধ কারণ প্রয়োগে আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত ঘোষণা করেন?”
৩৯। “ভিক্ষুগণ, কখন এমনো সময় হয়, সুদীর্ঘকাল পরে এই সংসার প্ৰলয়-নিমর্জিত (সংবর্তিত) হইয়া থাকে। যখন ঈদৃশ প্ৰলয় হইতে থাকে তখন সত্ত্বগণ প্রায়শ আভম্বর ব্ৰহ্মলোকে সমুৎপন্ন হন। তাহারা তথায় মনোময়, প্রীতিভক্ষী, স্বয়ম্প্রভ এবং আকাশচারী হইয়া শুভস্থিতিরূপে (উদ্যান, বিমান, কল্পতরু প্রভৃতিতে) দীর্ঘকাল অবস্থান করেন।”
৪০। “আবার ভিক্ষুগণ, কখনো এমন সময় হয়, দীর্ঘকাল পরে এই লোক (সংসার) বিবর্তিত (পুনঃ উৎপন্ন) হয়। সংসার বিবর্তিত হইবার সময় শূন্য ব্ৰহ্মবিমান প্রাদুর্ভূত হয়। অতঃপর অন্যতর সত্ত্ব আয়ুক্ষয়ে বা পুণ্যক্ষয়ে আভম্বর ব্ৰহ্মলোক হইতে চ্যুত হইয়া শূন্য ব্ৰহ্মবিমানে উৎপন্ন হন। তথায় তিনি মনোময় প্রীতিভক্ষী স্বয়ম্প্রভ আকাশ-বিহারী হইয়া শুভস্থিতিরূপে দীর্ঘ (কল্পার্ধ) কাল অবস্থান করেন।”
৪১। “শূন্য বিমানে দীর্ঘকাল একক বিহরণে তাঁহার অনভিরতি (তৃষ্ণা জনিত) উদ্বেগ উৎপন্ন হয়, তিনি কামনা করেন, “আহো, যদি অন্য সত্ত্বগণও এখানে আসেন ভালো হয়!”। অতঃপর অন্যান্য সত্ত্বগণ নিজ নিজ আয়ু বা পুণ্যক্ষয়ে আভস্বর ব্রহ্মলোক হইতে চ্যুত হইয়া ব্রহ্মবিমানে সেই সত্ত্বের সহাব্যতা বা সহ ভাবে উৎপন্ন হন। তাহারাও সেখানে মনোময় প্রীতিভক্ষী স্বয়ম্প্রভ আকাশবিহারী হইয়া শুভস্থায়ীরূপে দীর্ঘকাল অবস্থান করেন।”
৪২। “ভিক্ষুগণ, সেই শূন্য বিমানে যিনি প্রথম উৎপন্ন হইয়াছিলেন। তাহার মনে এইরূপ ভাব হইল—“আমি ব্ৰহ্মা, মহাব্ৰহ্মা, অভিভু, অনভিভূত, সর্বদশী, বশবর্তী, ঈশ্বর, কর্তা, নির্মাতা, শ্রেষ্ঠ, রচয়িতা, বশী (জিতেন্দ্ৰিয়), ভূত এবং ভব্য (জন্ম পর্যাম্বেষী), প্রাণীদের পিতা। এই জীবগণ আমাকর্তৃক সৃষ্ট। কি হেতু? আমি পূর্বে এইরূপ মনে করিয়াছিলাম, অহো, অন্য সত্ত্বগণও এখানে আগমন করিলে ভালো হয়। আমার আন্তরিক ইচ্ছায় এই সকল সত্ত্ব এখানে আগমন করিয়াছে। যাহারা পশ্চাতে উৎপন্ন হইলেন তাঁহাদের মনেও এই ভাবের সঞ্চার হইল যে, “এই ভদন্ত ব্ৰহ্মা, মহাব্ৰহ্মা, অভিভু, অনভিভূত, সর্বদর্শী, বশবর্তী, ঈশ্বর, কর্তা, নির্মাতা, শ্রেষ্ঠ, রচয়িতা, বশী, ভূত, ভব্য (জন্ম পর্যান্বেষী) প্রাণীদের পিতা। আমরা এই ভদন্ত ব্ৰহ্মা কর্তৃক নির্মিত। কারণ, আমরা ইহাকেই এখানে প্রথম উৎপন্ন দেখিয়াছি। আমরা পরে উৎপন্ন হইয়াছি।”
৪৩। “ভিক্ষুগণ, সেই শূন্য ব্ৰহ্মবিমানে যিনি প্রথম উৎপন্ন হইয়াছিলেন। তিনি দীর্ঘায়ুতর, বর্ণবন্ততর (সুন্দরতর), মহা ঐশীশক্তিশালীতর। যাহারা পরে উৎপন্ন তাঁহারা অল্পায়ুতর, দুর্বর্ণতর, হীন ঐশীশক্তিতর।”
৪৪। “ভিক্ষুগণ, এমন কারণও বিদ্যমান আছে। কোনো এক সত্ত্ব ঐ কায়া হইতে চ্যুত হইয়া এই স্থানে উৎপন্ন হন। ইহলোকে উৎপন্ন হইয়া পরে তিনি (বৈরাগ্য বশতঃ) আগার ছাড়িয়া অনাগারিকভাবে প্ৰব্ৰজিত হন এবং প্রবলতম বীৰ্যে, একনিষ্ঠ সাধনায়, অপতন চেষ্টাশীলতায়, অপ্ৰমাদ। পরায়ণতায় সম্যক সঙ্কল্পানুরূপ চিত্তসমাধি প্রাপ্ত হন, যাহার বলে। পূর্বনিবাসানুস্মৃতি জ্ঞান প্রাপ্ত হন। কিন্তু তৎপূর্ববর্তী জন্ম স্মরণ করিতে অক্ষম হন।”
“ইহার ফলে তিনি এইরূপ বলেন- সেই ভদন্ত ব্ৰহ্মা, মহাব্ৰহ্মা, অভিভূ, অনভিভূত, সর্বদর্শী, বশবর্তী, ঈশ্বর, কর্তা, নির্মাতা, শ্রেষ্ঠ নিয়ন্তা, বশী, ভূত এবং ভব্য প্রাণীদের (তিনি) পিতা যাহার দ্বারা আমরা সৃষ্ট হইয়াছি। তিনি নিত্য, ধ্রুব, শাশ্বত, অবিপরিণামধ্যমী, তিনি অনন্তকাল ঐরূপেই থাকিবেন। সেই মহিমাময় ব্ৰহ্মকর্তৃক সৃষ্ট আমরা অপর যাহারা ছিলাম সকলেই অনিত্য, অধ্রুব, অল্পায়ুক, চুতিশীল হইয়া এই লোকে আগমন করিয়াছি। ভিক্ষুগণ, ইহা প্রথম কারণ। কোনো কোনো শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণ যাহা অধিগত হইয়া, যাহা লক্ষ্য করিয়া একদেশ শাশ্বত, একদেশ আশাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করিয়া আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ আশাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন।” (১-৫)
৪৫। “দ্বিতীয় শ্রেণীর ভদন্ত শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণগণ কী বিশেষাধিগমে, কী লক্ষ্য করিয়া একদেশ শাশ্বত, একদেশ অশাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করিয়া আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন?”
“ভিক্ষুগণ, ক্রীড়া প্রদোষিকা নামে এক শ্রেণীর দেবতা আছেন; তাহারা নিরন্তর হাস্য-ক্ৰীড়া-রতিশীলতায় বিহরণহেতু আহারে স্মৃতিবিভ্রম ঘটে। আহারে স্মৃতিবিভ্ৰমহেতু উহারা সেই দেবকীয়া (লোক) হইতে চ্যুত হন।”
৪৬। “ভিক্ষুগণ, এমনো কারণ বিদ্যমান আছে যে কোনো সত্ত্ব ঐ দেবলোক (কায়া) হইতে চ্যুত হইয়া এই লোকে উৎপন্ন হন। (একাদা বৈরাগ্যবশতঃ) তিনি আগার ছাড়িয়া অনাগরিক প্ৰব্ৰজ্যা গ্ৰহণ করেন এবং প্রবলতম বীৰ্যে, একনিষ্ঠ সাধনায়, অপতন চেষ্টাশীলতায়, অপ্ৰমাদ। পরায়ণতায়, সম্যক সঙ্কল্পানুরূপ চিত্তসমাধি প্ৰাপ্ত হন, যাহার বলে। পূর্বনিবাসানুস্মৃতি জ্ঞান লাভ করেন। তন্দ্বারা পূর্ব জন্মের বিষয় মাত্র জানিতে পারেন।”
“কিন্তু তৎপুর্বজন্ম স্মরণ করিতে অক্ষম হন। ইহার ফলে তিনি এইরূপ বলেন—“যেসব ভদন্ত দেবতা ক্রীড়া প্রদোষিকা নহেন, নিরন্তর হাস্যক্রীড়া-রতিশীলতায় বিহার করেন না, তাঁহাদের আহারে স্মৃতিবিভ্রম ঘটে না, এই কারণে তাঁহাদের চুতি হয় না, তাহারা নিত্য, ধ্রুব, শাশ্বত, অবিপরিণামশীল, শাশ্বতবৎ অবস্থান করিবেন। আমরা যাহারা ক্রীড়া প্রদোষিক ছিলাম, নিরন্তর হাস্য-ক্রীড়া-রতিশীল হইয়া বিহার করিয়াছি এবং যার জন্য স্মৃতিবিভ্রম হইয়া অনাহারে সেই দেবলোক হইতে চ্যুত হইয়াছি, এই অনিত্য, অধ্রুব, অল্পজীবি ও চুতিশীল হইয়া এই লোকে আগমন করিয়াছি। ভিক্ষুগণ, ইহা দ্বিতীয় কারণ; কোনো কোনো শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণ যাহা অধিগত হইয়া, যাহা লক্ষ্য করিয়া একদেশ শাশ্বত, একদেশ অশাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করিয়া আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত ঘোষণা করেন।” (২-৬)
৪৭। “তৃতীয় শ্রেণীর ভদন্ত শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণগণ কী বিশেষাধিগমে, কী লক্ষ্য করিয়া একদেশ শাশ্বত, একদেশ অশাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করিয়া আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত ঘোষণা করেন?”
“ভিক্ষুগণ, মনোপ্রদোষিক নামক এক শ্রেণীর দেবতা আছেন। তাঁহারা নিরন্তর পরস্পর পরস্পরকে বিদ্বেষপূর্ণ নেত্রে নিরীক্ষণ করেন। তাঁহাদের একে অন্যের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ নেত্রে নিরীক্ষণ করায় পরস্পর দূষিত চিত্ত হন। এবং তজ্জন্য ক্লান্ত কায়ে ক্লান্ত চিত্তে সেই দেবকীয়া (লোক) ভ্ৰষ্ট হইয়া পড়েন।”
৪৮। “ভিক্ষুগণ, এমনো কারণ বিদ্যমান আছে যে অন্যতর সত্ত্ব সেই দেবলোক হইতে চ্যুত হইয়া এই লোকে উৎপন্ন হন। (কালে বৈরাগ্য উৎপন্ন হইলে) আগার ছাড়িয়া অনাগরিক প্ৰব্ৰজ্যা গ্ৰহণ করেন এবং প্ৰলতম বীৰ্যে, একনিষ্ঠ সাধনায়, অপতন চেষ্টা-শীলতায়, অপ্ৰমাদ পরায়ণতায়, সম্যক সঙ্কল্পানুরূপ চিত্তসমাধি প্রাপ্ত হন, যাহার বলে পূর্বনিবাসানুস্মৃতি জ্ঞান লাভ করেন। তন্দ্বারা পূর্ব জন্মের বিষয় মাত্র জানিতে পারেন। কিন্তু তৎপূর্বজন্ম স্মরণ করিতে অক্ষম হন।”
“ইহার ফলে তিনি এইরূপ বলেন, “যেসব ভদন্ত দেবতা মনপ্রদোষসম্পনড়ব নহেন তাঁহারা পরস্পর বিদ্বেষপূর্ণ নেত্রে দেখাদেখি করেন না এবং তজ্জন্য পরস্পরের প্রতি তাঁহাদের চিত্ত দূষিত হয় না। চিত্তের নির্মলতাহেতু অক্লান্ত কায় অক্লান্ত চিত্ততায় তাহারা দেবলোক চ্যুত হন না, নিত্য, ধ্রুব, শাশ্বত, অবিপরিণামী হইয়া শাশ্বতসম অনন্তকাল অবস্থান দেবকীয় (লোক) হইতে চ্যুত হইয়া অনিত্য, অধ্রুব, অল্পায়ুক, মরণশীল এই লোকে উৎপন্ন হইয়াছি। ভিক্ষুগণ, ইহা তৃতীয় কারণ; কোনো কোনো শ্রমণব্ৰাহ্মণ যাহা অধিগত হইয়া, যাহা লক্ষ্য করিয়া একদেশ শাশ্বত, একদেশ আশাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করিয়া আত্মা ও লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত ঘোষণা করেন।” (৩-৭)
৪৯। “চতুর্থ শ্রেণীর ভদন্ত শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণগণ কী বিশেষাধিগমে, কী লক্ষ্য করিয়া একদেশ শাশ্বত, একদেশ অশাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করিয়া আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন?”
“ভিক্ষুগণ, ইহ লোকে এমনো কোনো শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণ আছেন যিনি তার্কিক এবং মীমাংসক। তিনি স্বীয় প্রতিভা বলে তর্কের পর তর্কেলব্ধ মীমাংসাচারী হইয়া এইরূপ বলেন, ‘চক্ষু-কর্ণ-নাসিকা-জিহ্বা এবং কায় সম্প্রযুক্ত দেহাত্মা বলিয়া যাহা কথিত হয় এই আত্মা অনিত্য, অধ্রুব, অশাশ্বত, বিপরিণামশীল এবং যে চিত্ত বা মন অথবা বিজ্ঞানরূপ জীবাত্মা কথিত হয় তাহা নিত্য, ধ্রুব, শাশ্বত, অবিপরিনামশীল শাশ্বতসম অনন্তকাল বিদ্যমান থাকিবে। ভিক্ষুগণ, ইহা চতুর্থ কারণ; যাহা কোনো কোনো শ্রমণব্ৰাহ্মণ অধিগত হইয়া, লক্ষ্য করিয়া একদেশ শাশ্বত, একদেশ অশাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করিয়া আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত বলিয়া ঘোষণা করেন।” (৪-৮)
৫০। “ভিক্ষুগণ, সেই শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণগণ এই কারণ চতুষ্টয়েই একদেশ শাশ্বত, একদেশ অশাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করিয়া আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করিয়া থাকেন। ভিক্ষুগণ, শ্রমণব্ৰাহ্মণদিগের মধ্যে যাহারা একদেশ শাশ্বত, একদেশ অশাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করিয়া আত্মা এবং লোকের একাংশ শাশ্বত, একাংশ অশাশ্বত বলিয়া প্রচার করেন তাহারা সকলেই এই কারণ চতুষ্টয়ে অথবা ইহাদের যে কোনো একটি দ্বারাই করিয়া থাকেন; ইহার বাহিরে অন্য কোনো কারণ নাই।”
৫১। “ভিক্ষুগণ, ইহা তথাগত প্রকৃষ্টরূপে জানেন যে— এই সমুদয় মিথ্যাদৃষ্টি, ইহা এইরূপে গৃহীত, এইরূপে স্পশীত, এইরূপ ইহার গতি এবং ঐ সকলে আসক্ত মনুষ্য জন্মান্তরে এই এই দশায় উপনীত হইবে, ইহাও তথ্যগতের সুবিদিত। শুধু ইহাই জানেন এমন নহে, এতদুত্তরতর (শীল, সমাধি, সর্বজ্ঞতা জ্ঞান) ও প্রকৃষ্টরূপে জানেন। কিন্তু ঐ জ্ঞান তাঁহাকে স্ফীত করে না, উহা দ্বারা অস্পৃষ্ট হইয়া তিনি স্বীয় অন্তরে মুক্তি অনুভব করেন। ভিক্ষুগণ, তথাগত বেদনা সমূহের উদয়, অস্তগমন, আস্বাদ, আদীনব এবং নিঃসরণ যথাযথারূপে বিদিত হইয়া উহাদের প্রতি আসক্তি বর্জন করায় তিনি বিমুক্ত হইয়াছেন।”
৫২। “ভিক্ষুগণ, এই সকলই সেই গভীর . . . পণ্ডিতবেদনীয় ধর্ম . . . এ সমুদয় দ্বারা প্রশংসা করিলে তথাগতের প্রকৃত প্রশংসা করা হইবে।”
Leave a Reply