শাশ্বতবাদ
৩০। “ভিক্ষুগণ, কোনো কোনো শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণ আছেন শাশ্বতবাদী, যাহারা আত্মা ও লোককে চতুর্বিধ কারণ প্রয়োগে শাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন; সেই ভদন্ত শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণগণ কী বিশেষাধিগমে কী লক্ষ্য করিয়া শাশ্বতবাদী হন, যাহারা আত্মা ও লোককে চতুর্বিধ কারণ প্ৰযোগে শাশ্বত বলিয়া প্রজ্ঞপ্তি করেন?”
৩১। “ভিক্ষুগণ, ইহলোকে কোনো শ্রমণ বা ব্ৰাহ্মণ প্রবলতম বীৰ্য (উৎসাহ) বলে একনিষ্ঠ সাধনায় অপতন চেষ্টাশীলতায় অপ্ৰমাদ পরায়ণতায় (স্মৃতিশীলতায়) সম্যক মনোনিবেশহেতু তাদৃশ চিত্তসমাধি লাভ করেন যাহার প্রভাবে বহু পূর্বনিবাস স্মরণ করেন, যথা : এক জন্ম, দুই জন্ম, তিন জন্ম, চারি জন্ম, পাঁচ জন্ম, দশ জন্ম, বিশ জন্ম, ত্ৰিশ জন্ম, চত্বারিংশৎ জন্ম, পঞ্চাশৎ জন্ম, শত জন্ম, সহস্র জন্ম, লক্ষ জন্ম, অনেক শত জন্ম, অনেক সহস্ৰ জন্ম, অনেক শত সহস্ৰ জন্মও। “আমি অমুক স্থানে ছিলাম, আমার ছিল এই নাম, এই গোত্ৰ, এই বর্ণ, এইরূপ আহার; এইরূপ সুখ-দুঃখ আমি অনুভব করিয়াছিলাম, এই পরিমাণ ছিল আমার পরমায়ু। সেখান হইতে চু্যত হইয়া আমি অমুকাস্থানে উৎপন্ন হই। সেখানেও ছিল আমার এই নাম, এই গোত্র, এই বর্ণ, এইরূপ আহার, এইরূপ সুখ-দুঃখানুভূতি, এই পরিমাণ পরমায়ু। সেখান হইতে চু্যত হইয়া আমি এইস্থানে উৎপন্ন হইয়াছি। এই প্রকারে সাকার সাউদ্দেশ বশে বিবিধ ভাবে পূর্বনিবাস অনুস্মরণ করেন।”
“তিনি (এইরূপ ধ্যানানুভাবসম্পন্ন হইয়া মিথ্যাদৃষ্টিহেতু)(১) এইরূপ বলেন—আত্মা এবং লোক শাশ্বত, বন্ধ্য পর্বতকূট সদৃশ, ইন্দ্রকীলের ন্যায় স্থির। সত্ত্বগণ সন্ধাবন (জন্ম হইতে জন্মান্তরে গমন), সংসারণ (এক যোনি হইতে অন্য যোনিতে জন্মগ্রহণ) করিলেও চু্যত-উৎপন্ন হইলেও তাহারা শাশ্বতবৎ (মহাপৃথিবী, সুমেরু, চন্দ্র, সূর্যের ন্যায়) আছেই। ইহা বলিবার হেতু কী? আমি প্রবলতম বীর্য বলে, একনিষ্ঠ সাধনায়, অপতন চেষ্টশীলতায়, অপ্ৰমাদ পরায়ণতায়, সম্যক মনস্কারহেতু তাদৃশ্য চিত্তসমাধি লাভ করিয়াছি। যাহার প্রভাবে বহুজন্ম অনুস্মরণ করিতেছি, যথা : এক জন্ম, দুই জন্ম, . . . অনেক শতসহস্ৰ জন্মেরও অনুস্মৃতি পাইতেছি। . . . অমুক স্থানে আমি ছিলাম, (তখন আমার ছিল) এই নাম . . . আবার আমি সেখান হইতে চু্যত হইয়া অমুক স্থানে উৎপন্ন হই। . . . অতঃপর সেই আমি তথা হইতে চু্যত হইয়া এই স্থানে উৎপন্ন হইয়াছি। এইভাবে সাকার সোদেশে (গতিবশে) বিবিধ পূর্ব জন্মানুস্মৃতি জ্ঞান পাইয়াছি।”
“এই বিশেষাধিগমহেতু আমি প্রত্যক্ষভাবে জানিতেছি (শুধু বিশ্বাস নহে) আত্মা এবং লোক শাশ্বত, বন্ধ্য, পর্বতকুট সদৃশ ইন্দ্ৰকীলের ন্যায় স্থির। সত্ত্বগণ সন্ধাবন-সংসরণ করিলেও চু্যত-উৎপন্ন হইলেও তাহারা শাশ্বতবৎ রহিয়াছে। ভিক্ষুগণ, (চতুর্বিধ শাশ্বতবাদ কারণে) ইহা (অনেক শত সহস্ৰ জন্মনুস্মৃতি) প্রথম কারণ। যাহারা এই জন্যই শাশ্বতবাদী হইয়া আত্মা এবং লোককে শাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন।” (২)
৩২। “দ্বিতীয় শ্রেণীর ভদন্ত শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণগণ কী বিশেষাধিগমে, কী লক্ষ্য করিয়া শাশ্বতবাদী হন আতা ও লোককে শাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন? ভিক্ষুগণ, ইহলোকে কোনো শ্রমণ বা ব্ৰাহ্মণ প্রবলতম বীৰ্যে, একনিষ্ঠ সাধনায়, অপতন চেষ্টাশীলতায়, অপ্ৰমাদ পরায়ণতায়, সম্যক মনোনিবেশহেতু তাদৃশ চিত্তসমাধি লাভ করিয়া থাকেন যাহার প্রভাবে অনেক প্রকার পূর্বজন্মানুস্মৃতিসম্পন্ন হইয়া এক সংবর্ত-বিবর্তকল্প, দুই সংবর্তবিবর্তকল্প, তিন সংবর্ত -বিবর্তকল্প, চারি সংবর্ত-বিবর্তকল্প, পাচ সংবর্তবিবর্তকল্প, দশ সংবর্ত-বিবর্তকল্পও স্মরণ করিতে পারেন; ঐ স্থানে আমি ছিলাম, আমার ছিল এই নাম, এই গোত্ৰ, এই জাতি, এইবৰ্ণ, এইরূপ আহার, এইরূপ সুখ-দুঃখানুভূতি, এই পরিমাণ আয়ু। আবার তথা হইতে চু্যত হইয়া অমুক স্থানে উৎপন্ন হইয়াছিলাম। সেখানেও আমার ছিল, এই নাম, এই গোত্র, . . . এই পরিমাণ আয়ু। সেই আমি আবার সেখান হইতে চু্যত হইয়া এইখানে উৎপন্ন হইয়াছি। এইরূপে সাকার-সোদেশ বশে নানাপ্রকারে পূর্বজন্মানুস্মৃতি প্রাপ্ত হন।”
“তিনি (এইরূপ ধ্যানানুভাবসম্পন্ন হইয়া মিথ্যাদৃষ্টি” হেতু) এইরূপ বলেন—আত্মা এবং লোক শাশ্বত, বন্ধ্য, পর্বতকুট সদৃশ, ইন্দ্ৰকীলের ন্যায় স্থির। সত্ত্বগণ সন্ধাবন-সংসরণ করিলেও চু্যত-উৎপন্ন হইলেও তাহারা শাশ্বতবৎ আছেই। ইহা বলিবার হেতু কী? আমি প্রবলতম বীৰ্যে, একনিষ্ঠ সাধনায় . . . দশ সংবর্ত-বিবর্তকল্প পর্যন্তও বহু পূৰ্বজন্ম অনুস্মরণ করিতেছি। . . .. ”
“এই বিশেষাধিগমহেতু ইহা আমি প্রত্যক্ষভাবে জানিতেছি (শুধু বিশ্বাসে নহে) আত্মা ও লোক শাশ্বত, বন্ধ্য, পর্বতকুট সদৃশ, ইন্দ্ৰকীলের ন্যায় স্থির। সত্ত্বগণ সন্ধাবন-সংসরণ করিলেও চু্যত-উৎপন্ন হইলেও তাহারা শাশ্বতরূপে আছেই। ভিক্ষুগণ, (শাশ্বতবাদ চতুষ্টয়ে) ইহা (দশ সংবত্তবিবর্তকল্প পর্যন্ত স্মরণই) দ্বিতীয় কারণ। কোনো কোনো শ্রমণ ব্ৰাহ্মণ যাহা অধিগত হইয়া, যাহা লক্ষ্য করিয়া শাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করেন এবং আত্মা ও লোককে শাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন।” (৩)
৩৩। “তৃতীয় শ্রেণীর ভদন্ত শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণগণ কী বিশেষাধিগমে, কী লক্ষ্য করিয়া শাশ্বতবাদী হন এবং আতা ও লোককে শাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন? ভিক্ষুগণ, ইহলোকে কোনো শ্রমণ বা ব্ৰাহ্মণ প্রবলতম বীৰ্যে, একনিষ্ঠ সাধনায়, অপতন চেষ্টাশীলতায়, অপ্ৰমাদ পরায়ণতায়, সম্যক মনোনিবেশহেতু তাদৃশ্য চিত্তসমাধি প্রাপ্ত হন যেইরূপ সমাহিত চিত্তে দশ সংবর্ত-বিবর্তকল্প, বিংশতি সংবর্ত-বিবর্তকল্প, ত্রিংশ সংবর্ত-বিবর্তকল্প, চতুরিংশৎ সংবর্ত-বিবর্তকল্প পর্যন্ত বহু পূর্বনিবাসানুস্মৃতি লাভ করেন এবং সাকার-সোদেশ বশে ইহাও বলিতে পারেন যে, আমি অমুক সময় অমুক স্থানে ছিলাম, তখন আমার ছিল—এই নাম, এই গোত্র, এই জাতি বর্ণ, এইরূপ আহার, এইরূপ সুখ-দুঃখানুভূতি, এই পরিমাণ পরমায়ু। সেই আমিই চু্যত হইয়া অমুক স্থানে উৎপন্ন হইয়াছিলাম। সেইখানেই আমার ছিল। এই নাম এই গোত্র, . . . এই পরিমাণ পরমায়ু। সেই আমিই সেইখান হইতে চু্যত হইয়া এখানে উৎপন্ন হইয়াছি।”
“তিনি (এইরূপ ধ্যানানুভাবসম্পন্ন হইয়া মিথ্যাদৃষ্টি বশতঃ) এইরূপ বলেন—আত্মা এবং লোক শাশ্বত, বন্ধ্য, পর্বতকুট সদৃশ, ইন্দ্ৰকীলবৎ স্থির। সত্ত্বগণ নানা ভাবে সন্ধাবন, নানা যোনিতে সংসরণ করে বটে, চু্যত-উৎপন্ন হয় বটে, কিন্তু তাহারা শাশ্বতবৎ আছেই। ইহা বলিবার হেতু? আমি প্রবলতম বীৰ্যে . . . দশ . . . বিংশতি . . . ত্রিংশ। . . . চত্বারিংশৎ সংবর্তবিবর্তী কল্পভেদে বহু পূর্বনিবাসানুস্মৃতি লাভ করি এবং সাকার-সোদেশ বশে ইহাও বলিতে পারি যে, আমি অমুক সময়ে অমুকাস্থানে ছিলাম, আমার ছিল। এই নাম, . . . এই পরিমাণ পরমায়ু। সেই আমি সেখান হইতে চু্যত হইয়া অমুকািস্থানে উৎপন্ন হইয়াছিলাম। সেখানেও আমার ছিল, এই নাম . . . এই পরিমাণ পরমায়ু। সেই আমি আবার সেখান হইতে চু্যত হইয়া এখানে উৎপন্ন হইয়াছি।”
“এতাদৃশ বিশেষাধিগমহেতু আমি প্রত্যক্ষ জ্ঞাত হইয়াছি যে আত্মা এবং লোক শাশ্বত, বন্ধ্য, পর্বতকুট সদৃশ, ইন্দ্ৰকীলের ন্যায় স্থির। সত্ত্বগণ নানাভাবে সন্ধাবন, নানাযোনি সংসরণ করে বটে, চু্যত-উৎপন্ন হয় বটে, কিন্তু তাহারা শাশ্বতবৎ আছেই। ভিক্ষুগণ, (শাশ্বতবাদ চতুষ্টয়ে) ইহা (চতুরিংশৎ সংবর্ত-বিবর্তকল্পানুস্মৃতিই) তৃতীয় কারণ। কোনো কোনো শ্রমণ ব্ৰাহ্মণ যাহা অধিগত হইয়া, যাহা লক্ষ্য করিয়া শাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করেন এবং আত্মা ও লোককে শাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন।” (৪)
৩৪। “চতুর্থ শ্রেণীর ভদন্ত শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণগণ কী বিশেষাধিগমে, কী লক্ষ্য করিয়া শাশ্বতবাদ গ্ৰহণ করেন এবং আতা ও লোককে শাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন? ভিক্ষুগণ, ইহলোকে এমন কোনো শ্রমণ বা ব্ৰাহ্মণ আছেন যিনি তার্কিক ও মীমাংসক। তিনি প্ৰতিভাবলে তর্কের পর তর্কে লব্ধ মীমাংসাচারী হইয়া বলেন—আত্মা এবং লোক শাশ্বত, বন্ধ্য, পর্বতকুট সদৃশ্য, ইন্দ্ৰকীলবৎ স্থির। সত্ত্বগণ নানা ভাবে সন্ধাবিত, নানা যোনিতে সংসারিত চু্যত-উৎপন্ন হইতেছে বটে, কিন্তু তাহারা শাশ্বতবৎ আছেই। ভিক্ষুগণ, ইহা চতুর্থ কারণ। কোনো কোনো শ্রমণ-ব্রাহ্মণ যাহা অধিগত হইয়া, যাহা লক্ষ্য করিয়া শাশ্বতবাদী হইয়া আত্মা ও লোককে শাশ্বত বলিয়া প্রচার করেন।” (৫)
৩৫। “ভিক্ষুগণ, শাশ্বতবাদী শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণ এই চারি কারণে আত্মা এবং লোককে শাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন। ভিক্ষুগণ, শ্রমণ-ব্ৰাহ্মণদের মধ্যে যাহারা শাশ্বতবাদী, আতা এবং লোককে শাশ্বত বলিয়া প্ৰজ্ঞপ্তি করেন। তাহারা এই চারি। কারণে অথবা ইহাদের যে কোনটি দ্বারাই করিবেন। ইহার বাহিরে অপর কোনো কারণ নাই।”
৩৬। “ভিক্ষুগণ, ইহা তথাগত প্রকৃষ্টরূপে জানেন যে এই সমুদয় মিথ্যাদৃষ্টি, ইহা এইরূপে গৃহীত, এইরূপে স্পৰ্শিত, এইরূপ ইহার গতি এবং পারলৌকিক অবস্থা এইরূপ হইবে, ইহাও তথ্যগতের সুবিদিত। শুধু ইহাই জানেন এমন নহে, এতদুত্তরতর (শীল, সমাধি, সর্বজ্ঞতা জ্ঞান) ও প্রকৃষ্টরূপে জানেন। কিন্তু তিনি (আমি প্রকৃষ্টরূপে জানি বলিয়া তৃষ্ণা, দৃষ্টি, মান বিশে) ইহা পরামর্ষ করেন না। এইরূপ অপরামর্ষহেতু সেই পরামর্ষ কলুষের (তৃষ্ণা, দৃষ্টি, মানের) নিবৃত্তিতে নিবৃতি স্বয়ং বিদিত হইয়াছেন। ভিক্ষুগণ, তথাগত বেদনা সমূহের উদয়, অস্তগমন (ব্যয়) আস্বাদ, আদীনব এবং নিঃসরণ যথাযথারূপে বিদিত হইয়া উহাদের প্রতি আসক্তি বর্জন করায় বিমুক্ত হইয়াছেন।”
৩৭। “ভিক্ষুগণ, এই সকলই সেই গভীর, দুৰ্দর্শ, দুরনুবোধ্য, শান্ত, প্রণীত, অতৰ্ক-বিহার, নিপুণ, পণ্ডিত বেদনীয় ধর্ম, যেই সমুদয় তথাগত স্বয়ং অভিজ্ঞানে প্রত্যক্ষ করিয়া প্ৰকাশ করেন, যে সমুদয় দ্বারা প্রশংসা করিলে তথাগতের প্রকৃত প্রশংসা করা হইবে।”
————–
১। দিট্ঠি—দৃষ্টি। দৃষ্টি শব্দে বাঙ্গালা ভাষায় দর্শন বা জ্ঞান বুঝায় বটে, কিন্তু পালি ভাষায় মিথ্যা, বিপরীত, অযথার্থ, অসম্পূর্ণ, ভ্রান্ত, একাঙ্গ দর্শনই দৃষ্টি। দৃষ্টি বিষয়ের যথাভূত জ্ঞান নহে। আনন্দময় (তৃষ্ণাজনিত) দর্শন, আনন্দময় বিশ্বাস। সেই হেতু দৃষ্টি অর্থ মিথ্যাদৃষ্টি, অযথার্থ দর্শন। যথাভূতদর্শনের অভাবে যাঁহারা অযথাভূত দর্শন করেন তাঁহারা মিথ্যাদর্শক, মিথ্যাধারণা পোষণকারী, আত্মবাদই মিথ্যাদৃষ্টি।
২. পঞ্চস্কন্ধকে বা ইহাদের যে কোনটিকে আমি বা আত্মা মনে করিয়া আমিই ছিলাম, সেই আমিই এখন উৎপন্ন হইয়াছি; এইরূপ ধারণা হওয়াতেই দৃষ্টি মিথ্যা হইয়াছে। এইরূপ দৃষ্টি ভবাগ্রে উৎপন্ন নিরাকার ব্ৰহ্মারও থাকে। যেহেতু দৃষ্টি আসব, ওঘ, যোগ, গ্ৰন্থি, উপাদান, অনুশয়, সংযোজন এবং ক্লেশ (কলুষ)।
Leave a Reply