প্রথম অধ্যায়
নারায়ণ, নর, নরোত্তম, সরস্বতী এবং বেদব্যাসকে প্রণাম করিয়া জয় অর্থাৎ পুরাণাদি পাঠ করিবে।
জগতের পিতামহ হরপার্বতীকে এবং তদীয় পুত্র গণপতিকে প্রণাম করিয়া আমি ইহা বর্ণনা করিতেছি। যাঁহার বদনে সরস্বতী, বক্ষঃস্থলে লক্ষ্মী এবং হৃদয়ে পরম জ্ঞান সতত বর্তমান–আমি সেই নৃসিংহদেবকে ভজনা করি।
একদা নৈমিষ্যারণ্যবাসী মুনিগণ, নিখিলগুণাকর ব্যাস-শিষ্য সূতকে পরমভক্তিসহকারে জিজ্ঞাসা করিলেন,–সূত! মহাভাগ সূত! চিরজীবী হও, সুখে কালযাপন কর। হে অনঘ! আমরা তোমার মুখ-কমল-বিচ্যুত জ্ঞানামৃত নিরন্তর পান করিয়াও তৃপ্তিলাভ করিতে পারিতেছি না, ইচ্ছা হইতেছে আরও পান করি, অতএব পুনরায় কিঞ্চিৎ জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছুক হইয়াছি;–তুমি ব্যাসদেবের প্রসাদে সর্বজ্ঞতা লাভ করিয়া কৃতার্থ হইয়াছ। ১-৫।
ভূত, ভবিষ্যত, বর্তমান–কিছুই তোমার অবিদিত নাই। গুরুকৃপাবলে তুমি সকল বিষয়ই সফল করিয়াছ। এখন তুমি সর্বোত্তম শিবরূপ, পরম দিব্য তদীয় পূজা এবং তাঁহার নানাবিধ আচরণের কথা অনুগ্রহপূর্বক কীর্ত্তন কর। নির্গুণ মহেশ্বর, জগতে আবার সগুণ হইলেন কিরূপে? আমরা কেহই সবিশেষ শিবতত্ত্ব অবগত নহি। ত্রৈলোক্যমঙ্গল বিধাদা দেবদেব শঙ্কর জগৎ সৃষ্টির পূর্বে জগতের অস্তিতা কালে এবং প্রলয় হইলে কিরূপে থাকেন? তিনি প্রসন্ন হন কিরূপে? প্রসন্ন হইয়াই বা লোককে কিরূপ ফল প্রদান করেন?–হে সুব্রত! তৎসমস্ত কীর্ত্তন কর। শুনা আছে, ভগবান সদ্য প্রসন্ন হন, তাহা সত্য কি না? এবং এতদ্ভিন্ন শিবসম্বন্ধে যাহা যাহা বক্তব্য, হে অনঘ! তৎসমুদায় তোমার বলিতে হইবে। সূত, নৈমিষারণ্যে ঋষিমণ্ডলীকর্ত্তৃক এইরূপ জিজ্ঞাসিত হইয়া তাঁহাদিগকে সমক্ষে প্রশ্নানুসারে সমুদয় কথা বলিয়াছিলেন। ৬-১২।
প্রথম অধ্যায় সমাপ্ত।।১।।
Parimal Bhattacharjee
Comment can be made after reading .Donot interfere reading placing these formalities