মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী আবদুল ওদুদ বাংলায় ব্রিটিশ অধিকারের অভিঘাতে বাঙালি মুসলমান সমাজে যে সর্বব্যাপী অধঃপতন ঘটে, তা থেকে মুক্তির এষণায় উনিশ শতকের শেষ চতুর্থাংশে এই সমাজে বিবিধ কর্মপ্রচেষ্টা শুরু হয়। মুক্তির উপায় হিসেবে যেসব পন্থাবলম্বন অত্যাবশ্যকীয় বিবেচিত হয়, মাতৃভাষা বাংলায় সাহিত্যচর্চা সেগুলোর অন্যতম। ‘সাহিত্য’ শব্দটিকে অবশ্য একটা ব্যাপকার্থে বোঝানো হয়েছিল। সৃজনশীল রসসাহিত্য চর্চার চাইতে ওই সময়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় মুসলমানের ধর্মজীবন, তার ধর্মতত্ত্ব, ইতিহাস, ঐতিহ্য, বীরত্বগাথা প্রভৃতি চর্চার ওপর। সংখ্যায় নগণ্য হলেও সমাজের শিক্ষিত চিন্তাশীল ব্যক্তিরা অনুধাবন করেছিলেন যে, আত্মজাগরণ ও আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য সংঘ-সমিতি-আঞ্জুমান প্রতিষ্ঠা এবং পত্রপত্রিকা-পুস্তকাদি প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। সেই লক্ষ্যে কলকাতায় ও ঢাকায় কিছু কিছু সংগঠন গড়ে উঠতে থাকে। ওই সময়ে কলকাতা, এমনকি মফস্বল থেকেও কয়েকটি পত্রিকার আত্মপ্রকাশ ঘটে। কিন্তু এসব সংগঠন চরিত্রগত দিক থেকে ঠিক সাহিত্যধর্মী ছিল না এবং এগুলোর বিস্তৃতিও ছিল সীমিত। একটা যথার্থ ও শক্তিশালী সাহিত্য সংগঠনের জন্য বাঙালি মুসলমানকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও কয়েকটা বছর, ১৯১১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ বছরের ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালি মুসলমানের প্রথম উল্লেখযোগ্য সাহিত্যপ্রতিষ্ঠান ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি’।
সৃষ্টির আকাঙ্ক্ষায় উন্মুখ কয়েকজন মুসলিম তরুণের প্রবল উৎসাহে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সাহিত্য-সমিতি। এর অন্তত ১৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে বিখ্যাত সারস্বত-সমাজ ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’ (১৮৯৪)। মুসলিম লেখকদের কেউ কেউ এর সঙ্গে যুক্তও ছিলেন। তাহলে আবার স্বতন্ত্র সমিতি গঠনের প্রয়োজন দাঁড়াল কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা থেকে: ‘আমরা কয়েকজন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভ্য ছিলাম। সেখানে হিন্দু-মুসলমান কোনো ভেদ না থাকলেও আমাদের সাহিত্যিক দারিদ্র্যের দরুন আমরা বড় লোকের ঘরে গরীব আত্মীয়ের মতন মন-মরা হয়ে তার সভায় যোগদান করতাম। আমাদের মনে হলো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে সম্বন্ধ বিচ্ছেদ না করেও আমাদের একটি নিজস্ব সাহিত্য সমিতি থাকা উচিত।’
সাহিত্য-সমিতির উদ্দেশ্য ও কর্মকাণ্ড লক্ষ করে ধারণা হয়, কেবল মন-মরা হয়ে থাকার ব্যাপারটি নয়, আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণে মুসলমান লেখকদের জন্য তাঁদের নিজস্ব একটি সমিতি গঠনের প্রয়োজন অনুভূত হয়েছিল। নবীন লেখকদের সংগঠিত করে উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগানো এবং সাহিত্যের মাধ্যমে মুসলমান সমাজ-জীবনের বিভিন্ন দিকের প্রতিফলন ঘটানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া সেদিন খুবই দরকার ছিল। তা ছাড়া নিজেদের ঐতিহ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের গুরুত্বও তো কম নয়। কেবল বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত থেকে এসব কাজ করা সম্ভব ছিল না। তাই দরকার ছিল নিজেদের একটি সংগঠনের। বলা দরকার যে, কোনো সাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকে এর জন্ম হয়নি। বরং সাহিত্যক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপন সমিতির অন্যতম নীতি ছিল।
যে-সভায় বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য-সমিতি গঠিত হয়, তাতে কলকাতায় অবস্থানরত মুসলিম সমাজের প্রবীণ-নবীন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচন করা হয় যথাক্রমে তৎকালীন স্কুলসমূহের পরিদর্শক আবদুল করিম ও মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে। যথেষ্ট উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে সমিতির কার্যক্রম চলতে থাকে। এর প্রমাণ মেলে এক বছরের মাথায় অনুষ্ঠিত এর প্রথম বার্ষিক অধিবেশনের ব্যবস্থা থেকে। অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতার ২৯ নম্বর মির্জাপুর স্ট্রিটে অবস্থিত লায়েক জুবিলি ইনস্টিটিউশনে। এতে সভাপতিত্ব করেন একিন উদ্দীন আহমদ। ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত সমিতির মোট সাতটি বার্ষিক অধিবেশন হয়। অধিবেশনগুলোকে পরিচায়িত করা হয়েছিল ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলন’ নামে। তৃতীয় ও চতুর্থ সম্মেলন হয় চট্টগ্রাম ও বসিরহাটে, বাকিগুলো কলকাতায়। এসব সম্মেলন ছাড়া ১৯৪১ সালে সমিতি ‘রজত-জুবিলি’ উৎসব পালন করে।
১৯১২ থেকে ৪৩ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে মাত্র সাতটি সাহিত্য সম্মেলন বা বার্ষিক অধিবেশন ও জুবিলি উৎসবের ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতা থেকে ধারণা করা যায় যে সমিতির চলার পথ তত মসৃণ ছিল না। নানাবিধ প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সংগঠনটিকে যেতে হয়েছিল এবং সেটা শুরু হয়েছিল প্রতিষ্ঠার বছরখানেক পর থেকেই। ১৯১৪ সালের গোড়ার দিকে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ স্কুল-শিক্ষকতার কাজ নিয়ে চলে যান চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। তাঁর অনুপস্থিতিতে সমিতির কাজ একরকম বন্ধই হয়ে যায়। পরের বছর অক্টোবরে প্রেসিডেন্সি বিভাগের স্কুলসমূহের অতিরিক্ত পরিদর্শক খান বাহাদুর আহসান উল্লার সভাপতিত্বে সমিতির একটা সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এই সভায় মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সম্পাদক পদে ইস্তফাপত্র গৃহীত হয় এবং তদস্থলে নতুন সম্পাদক মনোনীত হন ভোলার কবি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। কিন্তু কিছুদিন পর তিনিও কলকাতার বাইরে চলে যাওয়ায় সমিতির কার্যক্রম আগের মতোই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। সমিতি পুনরায় সক্রিয় হয় ১৯১৭ সালে সম্পাদকের কলকাতা প্রত্যাবর্তনের পর এবং ওই বছরেরই শেষে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সম্মেলন।
১৯১৭ সাল সমিতির জীবনে সত্যিই ছিল গতি সঞ্চারের বছর। এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন কাজী ইমদাদুল হক। এ বছর ট্রেনিং স্কুলের হেডমাস্টার হয়ে তিন ঢাকা থেকে বদলি হয়ে কলকাতা যান। ১৯১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে নবগঠিত কার্যকরি কমিটির দ্বিতীয় সভায় সমিতির মুখপত্র রূপে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভাপতি আব্দুল করিমের পরামর্শ অনুযায়ী পত্রিকার নামকরণ হয় বঙ্গীয় মুসলমান-সাহিত্য-পত্রিকা। কিঞ্চিদাধিক মাত্র দুই মাসের মধ্যে এপ্রিলে (বৈশাখ ১৩২৫) আত্মপ্রকাশ করে এর প্রথম সংখ্যা, সম্পাদক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। একটি রুচিমান ও সমৃদ্ধ সাহিত্য পত্রিকা হিসেবেই এর জন্ম-পরিচয় চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। ১৯২৩ সালের নভেম্বরে ষষ্ঠ বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশের পর এটি বন্ধ হয়ে যায়।
১৯১৭ থেকে ২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে সাহিত্য-সমিতির ইতিহাসে ছিল সবচেয়ে গৌরবজনক অধ্যায়। ১৯১৮ সালের শেষ দিকে পূর্ণকালীন কর্মী হিসেবে মুজফফ্র আহমদ ৩২ নম্বর কলেজ স্ট্রিটে অবস্থিত সমিতির অফিসে ওঠেন, থাকতেন অফিস-সংলগ্ন ঘরে। ওই ঘরে আরও থাকতেন কাজী আবদুল ওদুদ ও মোসলেম পাবলিশিং হাউজের অন্যতম স্বত্বাধিকারী আফজাল উল হক। এরপর এসে জোটেন করাচি-ফেরত কাজী নজরুল ইসলাম। সমিতির সঙ্গে চিঠিপত্রে তাঁর যোগাযোগ ছিল। বাঙালি পল্টনে থাকাকালেই সাহিত্য পত্রিকার শ্রাবণ ১৩২৬ সংখ্যায় প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম মুদ্রিত কবিতা ‘মুক্তি’। বস্তুত, নজরুলের সাহিত্যজীবনে সমিতির ছিল বিরাট ভূমিকা। ১৯৪১ সালে অনুষ্ঠিত রজত-জুবিলি অনুষ্ঠানের সভাপতির ভাষণে তিনি সেই সত্য স্বীকার করে বলেন, ‘সেদিন যদি সাহিত্য-সমিতি আমাকে আশ্রয় না দিত। তবে হয়তো কোথায় ভেসে যেতাম, তা আমি জানি না। এই ভালোবাসার বন্ধনেই আমি প্রথম নীড় বেঁধেছিলাম, এ আশ্রয় না পেলে আমার কবি হওয়া সম্ভব হতো কি না, আমার জানা নেই।’
১৯২১ সালের পর সাহিত্য-সমিতির ভাঙন শুরু হয়। সে মাসে ইমদাদুল হক নবপ্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সেক্রেটারি হয়ে ঢাকায় চলে আসেন। পরের মাসে আসেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য। এর আগেই মুজফফ্র আহমদ ও নজরুল ইসলাম সমিতির আস্তানা ছেড়েছিলেন ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে। ফলে সাংগঠনিক ও আর্থিক দিক দিয়ে সমিতি দুর্বল হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন বাড়িভাড়া বাকি পড়ায় ১৯২৪ সালে মালিক উচ্ছেদের মামলা করে এবং ডিক্রি পেয়ে সমিতির সমস্ত আসবাব ও বইপত্র রাস্তায় ফেলে দেয়। এয়াকুব আলী চৌধুরী সেগুলো উদ্ধার করে ৪৩ নম্বর মির্জাপুর স্ট্রিটের একটা ভাড়া করা ঘরে রাখেন। এভাবে তিনিই সাহিত্য-সমিতিকে আবার বাঁচিয়ে তোলেন। এখান থেকেই ১৯২৭ সালের জানুয়ারিতে সমিতির দ্বিতীয় মুখপত্র মাসিক সাহিত্যিক এয়াকুব আলী ও গোলাম মোস্তফার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি মাত্র এক বছর স্থায়ী হয়েছিল।
সাহিত্য-সমিতি পুনর্গঠিত হওয়ার পর ১৯২৮ থেকে ৪৩ সাল পর্যন্ত চতুর্থ থেকে সপ্তম এই চারটি সাহিত্য-সম্মেলন ও রজত-জুবিলি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শেষ তিনটি সম্মেলন চারটি থেকে নয়টি পর্যন্ত শাখায় বিভক্ত করে সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছিল। এগুলোতে হিন্দু-মুসলিম উভয় সমাজের নানা ক্ষেত্রে কীর্তিমান বহু সুধী উপস্থিত হয়েছিলেন এবং কেউ কেউ বক্তৃতাও দিয়েছিলেন। এ সবই ছিল সাহিত্য-সমিতির জন্য অতীব শ্লাঘার বিষয়।
১৯৪৩ সালের মে মাসে সাহিত্য-সমিতির শেষ অর্থাৎ সপ্তম সম্মেলন যখন অনুষ্ঠিত হয়, তখন দেশের রাজনৈতিক অবস্থা ছিল অশান্ত-অস্থির। এ অবস্থা ক্রমঘনীভূত হয়ে ৪৭ সালে দেশবিভাগ ঘটায়। সমিতির অধিকাংশ সদস্য ‘অপশন’ দিয়ে পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। ফলে সমিতির অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়ে। এর সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারের বহু বই বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খোয়া যায়। এ সময় সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন হবিবুল্লাহ বাহার ও আইনুল হক খান। হবিবুল্লাহ রাজনীতি করতেন বলে সমিতির দিকে তাকানোর অবকাশ তার ছিল না। আইনুল হক অনেকটা আত্মস্থ হয়ে উঠে সমিতির ও গ্রন্থাগার চালু করার উদ্যোগ নেন। ১৯৫০ সালে তিনি ও আবুল মনসুর আহমদ কলকাতার খ্যাতনামা ডাক্তার আবুল আহসানের সহায়তায় সমিতিকে সব রকম আর্থিক দায় থেকে মুক্ত করেন। দেশ বিভাগজনিত পরিবর্তিত অবস্থায় কলকাতায় আগের নামে সমিতি চালানোর অসম্ভাব্যতা উপলব্ধি করে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন যে সমিতির নাম বদলে ‘নজরুল পাঠাগার’ রাখা হবে। সে মোতাবেক পরের বছরের ২৭ মে প্যারামাউন্ট সিনেমা হলে আয়োজিত নজরুল জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের মাধ্যমে সাহিত্য-সমিতির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ‘নজরুল পাঠাগার’ করা হয়। মির্জাপুর স্ট্রিটে অবস্থিত এই পাঠাগার প্রায় সবার অজান্তে আজও বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য-সমিতির স্মৃতি ধারণ করে আছে।
বাঙালি মুসলিম সমাজে, বিশেষত তার সাহিত্য-জীবনে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির ভূমিকায় যথার্থ মূল্যায়ন করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার এ এফ রহমান, ১৯৪৩ সালের মে মাসে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) অনুষ্ঠিত সমিতির শেষ সাহিত্য-সম্মেলনে অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি হিসেবে প্রদত্ত তাঁর ভাষণে। সমিতির অবদান সম্পর্কে ওই মূল্যায়ন কেবল সেদিন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, তা ছিল আরও দূরপ্রসারী। এ এফ রহমানের অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন বক্তব্যটুকু উদ্ধৃত করে এবং তাঁর সঙ্গে সহমত হয়ে শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য-সমিতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি:
‘…নবীন মুসলমান সাহিত্যিকদের উৎসাহ দিবার জন্য, তাঁদের রচিত জিনিসগুলো জনসাধারণের সম্মুখে ফুটিয়ে তুলবার জন্য মুসলিম সাহিত্য সমিতির প্রয়োজন হয়। এই সমিতি অনেকটা সফলতা লাভ করেছে। নবীন সাহিত্যিকেরা আজ বঙ্গসাহিত্যে উচ্চ স্থান অধিকার করে যে সমাজের মুখোজ্জ্বল করেছেন, সেটা কতকটা এই সমিতির অক্লান্ত পরিশ্রম, চেষ্টা ও একনিষ্ঠ সেবার ফল, তা আপনাদের অবিদিত নেই। যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই ‘সমিতি’র গঠন, তা সফল হয়েছে। এর অক্লান্ত কর্মীদের কাছে আমাদের সমাজের ও বঙ্গ-সাহিত্যের ঋণ অপূরণীয়।’
হাবিব রহমান
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১১, ২০১১
Leave a Reply