কেন গেলাম জল ভরিবারে।
নন্দের দুলাল-চাঁদ পাতিয়া রূপের ফাঁদ
ব্যাধ ছিল কদম্বের তলে।। ধ্রু ।।
দিয়া হাস্য-সুধা চার অঙ্গ-ছটা আটা তার
আঁখি-পাতি তাহাতে পড়িল।
মন-মৃগী সেই কালে পড়িল রূপের জালে
শূন্য দেহ-পিঞ্জর রহিল।।
চিত্ত-শালে ধৈর্য্য-হাতী বান্ধা ছিল দিবা-রাতি
ক্ষিপ্ত হইল কটাক্ষ-অঙ্কুশে।
দম্ভের শিকলি কাটি চারি দিকে গেল ছুটি
পলাইয়া গেল কোন দেশে।।
শীল লজ্জা হেমাগার গুরু-গৌরব সিংহদ্বার
ধরম-কপাট ছিল তায়।
বংশীধ্বনি-বজ্রপাতে পড়ি গেল অকস্মাতে
সমভূমি করিল আমায়।।
কালিয়া-ত্রিভঙ্গ-বাণে কুলভয় কোন স্থানে
ডুবিল উঠিল ব্রজে বাস।
অবশেষে প্রাণ বাকি তাও পাছে যায় নাকি
ভাবয়ে জগদানন্দ-দাস।।
——————————
দুরন্তপ্রেম ।। জগদানন্দ ঠাকুর ।।
Leave a Reply