মোশাররফ হোসেন খান, শ্রদ্ধাবরেষু
গাছ-কাটা এই মাটি চিরে দেখাই হাপিত্যেশ
নাগাল-চোরা, ঘরের ইঁদুর, সবাই নিরুদ্দেশঃ
কে ছেড়েছে, কে লুকালো?-আমি এবং তুমি
এই শীতেও ধলেশ্বরীর বুকে মরুভূমি
বাওইখোলা-রুহিতপুরের মধ্যে অথৈ জল
পাল-তোলা-নাও জাদুঘরে ভাসছে ছলাৎছল
কেউ শোনেনি, উজান-ঠ্যালা মাঝিদের গুণ টানা
নোঙর-করা জাহাজগুলো চারদিগন্তের ডানা
দুটি-একটি জোনাক পোকার রুপোর আগুন বুকে
অন্ধকারের শাড়ির আঁচল বুনছে আপন সুখে
সেই গ্রাম তো উঠে গ্যাছে অমিয় বাবুর মন্ত্রে
উপশহর ভর করেছে কালের ষড়যন্ত্রে
ইটাখোলার ধোঁয়া দেখে খুশি প্রকৌশলী
তার তো এখন ঘুরতে হয় না গাঁয়ের অলিগলি
গাছ কেটে গাছ লাগিয়ে কি আর টেকে সবুজ ‘রাখী’
উড়ে গ্যাছে আবহমানকালের অবুঝ পাখি
এই গ্রাম কি উঠে যাবে উপজেলার চাপে
শুকিয়ে যাবে ধলেশ্বরী নগরায়ণ-পাপে
পানির নদী, প্রাণের নদী, প্রাণ শুকিয়ে ‘ক্ষত’
দূর থেকে তাই ধলেশ্বরী চিকন সুতোর মতো
সূত্রঃ প্রথম আলো, জানুয়ারী ১৮, ২০০৮।
Leave a Reply