বৃত্তাকারে ঘুরে গেছে পথ
উঠছি ওপরে। ক্ষুদ্র হয়ে আসে অরণ্যানী
জনবসতি। কঠিন বাঁক ঘুরলেই দেখি
আকাশের গায়ে গিরিশ্রেণী।
পরতে পরতে নীলাভ নীলের মাঝে
সবুজ ছায়া। নিমেষে গাঢ়তর,
বোতল সবুজ। সূর্য হেলে পশ্চিমে
ক্রমান্বয়ে অন্ধকার গিরি, আকাশ ধূসর।
ধেয়ে আসে মেঘের পর মেঘে
ধূসর প্রলেপ পাহাড়ের গায়,
মেঘ নিচে নামে, ক্রমশ: বিলীন
পাহাড়ের সারি, অদৃশ্য লোকালয়।
মেঘের আনাগোনা, বৃষ্টি একটানা
দৃশ্যাবলি মুছে যায়, মেঘরাজ্যে বসবাস,
ঘন হয়ে আসে ছায়া রং ছায়া
আঁকার অপেক্ষায় যেন সাদা ক্যানভাস।
ক্বচিৎ দেখা দেয় পাহাড়ি গ্রাম
দোকানপাট, দেয়াল লিখন—
সান মিগুয়েল তৃষ্ণার হাতছানি
চলেছি ঘুরে ঘুরে পথ নির্জন।
বাঁক ফিরে সামনে দেখি পাহাড়ি মেয়ে
রাস্তা পারাপার পিঠে নিয়ে মোট,
মেঘে মেঘে ঢাকা পাহাড় চূড়া
তৃষ্ণাতুর অবকাশে জেগে আছে নগরকোট।
Leave a Reply