গজল-গান
এলে কি স্বপন-মায়া আবার আমায় গান গাওয়াতে।
নিদাঘের দগ্ধ জ্বালা করলে শীতল পুব-হাওয়াতে।।
ছিল যে পাষাণ-চাপা আমার গানের উৎস-মুখে।।
তারে আজ মুক্তি দিলে ঐ রাঙা চরণ -আঘাতে।।
এলে কি বর্ষারানী নিরশ্রু মোর নয়ন-লোকে।
বহালে আবার সুরের সুরধুনী বেদনাতে।।
এসেছ ঘূর্ণি হাওয়া হয়ত বা ভুল এক নিমিষের।
এসেছ সঙ্গে নিয়ে বজ্র ভরা ঝঞ্ঝা-রাতে।।
তবু ঐ ভুল যে প্রিয় ফুল ফুটাল শুষ্ক শাখে।
আকাশের তপ্ত নয়ন জুড়িয়ে গেল ঐ চাওয়াতে।।
তোমার ঐ সোনার হাতের সোনার চুড়ির তালে তালে
নাচে মোর গানের শিখী মনের গহন মেঘলা রাতে।।
এলে কি তারার দেশের হারিয়ে যাওয়া সুরের পরী।
শ্রান্ত এ বাণ-বেঁধা মোর গানের পাখির ঘুম ভাঙাতে।।
এলে আজ বাদলা-শেষে ইন্দ্রধনুর রঙিন মায়া।
ছোট সুর উজান স্রোতে, চোখ জুড়াল রূপ-শোভাতে।।
Leave a Reply