সর্দা-বিল
ডুবল ফুটো ধর্ম-তরি
ফাটল মাইন সর্দার।
উঠল মাতম ‘সামাল সামাল
ব-মাল মেয়ে-মর্দার॥
১
এ কোন এল বালাই, এবে
পালাই বল কোন দেশ।
গাছের তলায় ঘড়েল শেয়াল,
কাকের মুখে সন্দেশ!
কন্যা-ডোবা বন্যা এল,
ডুবল বুঝি ঘর-দ্বার॥
২
আয়েশ করে বিয়ের মেয়ের
বাড়বে বয়সে চৌদ্দ,
বাপের বুকের তপ্ত খোলায়,
দিব্যি গেয়ান-বোধ তো!
হদ্দ হলেন বউদি ভেবে,
ছাড়ল নাড়ি বড়দার॥
৩
শূন্য স্বর্গ-মার্গে যেত
গৌরীদানের মারফত
যমের যমজ জামাতৃকে
লিখে দিয়ে ফারখত
নৈকষ্য কস্য এখন,
জাত গেল ‘মেল খড়দা’র॥
৪
দেব্তা বুড়ো শিব যে মাগেন
আট-বছরি নাতনি,
চতুর্দশী মুক্ত-কেশী–
কনে নয়, সে হাথনী!
পুঁটুলি নয়, এঁটুলি সে,
কিংবা পুলিশ-সর্দার॥
৫
সিংগি চড়া ধিঙ্গি মেয়ে
বউ হবে কি, বাপ রে!
প্রথম প্রণয়-সম্ভাষণেই
হয়তো দেবে থাপড়ে।
লাফ দিয়ে সে বাইরে যাবে
ঝাঁপ খুলে ওই পর্দার॥
৬
সম্বন্ধ ভুলে শেষে
যা তা বলে ডাকব?
বধূ তো নয়–যদুর পিসি!
কোথায় তারে রাখব!
ধর্মিনী নয়, জার্মানি-শেল!
গো-স্বামী! খবরদার!
৭
ঠাকুর ভাশুর মানবে নাকো,
রাখবে না মান দুর্গার
হয়তো কবে বলবে—‘পিয়ো,
ঝোল রেঁধেছি মুরগার’!
আনবে কে বাপ গুর্খা-সিপাই
দন্ত-নখর-বর্দার॥
৮
টাকাতে নয় ভাবনাতে শেষ
মাথাতে টাক পড়বে!
যোদ্ধা বামা গুটিয়ে জামা
কথায় কথায় লড়বে!
যেই পাবে না শেমিজ বডিস
কৌটো পানের জর্দার॥
৯
জাত মেরেছিস, ভেবেছিনু,
জাতিটা নয় যাক গে,
গৃহিনী-রূপ গ্রহণীরোগ
তাও ছিল শেষ ভাগ্যে!
দোক্তা ফেলে গিন্নি কাঁদেন,
কর্তা চলেন হরদ্বার॥
Leave a Reply