কেঁদো না কেঁদো না, মাকে কে বলেছে কালো। (মা) ঈষৎ হাসিতে তোর ত্রিভুবন আলো॥ কে দিয়েছে গালি তোরে, মন্দ সে মন্দ যে বলেছে কালী তোরে, অন্ধ সে অন্ধ। (মোর তারায় সে দেখে নাই। তার নয়নতারায় নাই আলো, তাই তারায় সে দেখে নাই।) (রাখে) লুকিয়ে মা তোর নয়ন-কমল কোটি আলোয় সহস্রদল, (তোর) রূপ দেখে মা লজ্জায় শিব-অঙ্গে ছাই মাখাল, (তুষার-ধবল কান্তি যাঁহার চন্দ্রলেখা যাঁর চূড়ায় চন্দ্রকান্তমণির জ্যোতি রূপ দেখে যা লজ্জা পায়) সেই চন্দ্রচূড়ও রূপ দেখে তোর অঙ্গে ছাই মাখাল॥ তোর নীল কপোলে কোটি তারা চন্দনেরই ফোঁটার পারা ঝিকিমিকি করে গো, (যেন আলোর অলকা-তিলক ঝলমল করে গো) মা তোর দেহলতায় অতুল কোটি রবিশশী মুকুল ফুটে আবার ঝরে গো। তুমি হোমের শিখা বহ্নি-জ্যোতি তুমিই স্বাহা দীপ্তিমতি, আঁধার ভুবন-ভবনে মা কল্যাণদীপ জ্বালো তুমিই কল্যাণদীপ জ্বালো॥
পূর্ববর্তী:
« কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া ফিরে ফুল-বনের গলি
« কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া ফিরে ফুল-বনের গলি
পরবর্তী:
কেউ ভোলে না কেউ ভোলে »
কেউ ভোলে না কেউ ভোলে »
Leave a Reply