সুরা শাম্স্
শুরু করি লয়ে নাম মহান আল্লার,
যিনি সব দয়া-কৃপা-করুণা-আধার।
শপথ রবি ও রবি-কিরণের
যখন চন্দ্র চলে সে পিছনে তার,
দিবস যখন করে সপ্রকাশ
রবিরে, রজনি অন্ধকার,
যখন ছাইয়া ফেলে সে রবিরে;
নভঃ-নির্মাণকারী তাহার;
এই সে পৃথিবী সবিস্তার;
আত্মা, সুচারু গঠন তার।
সেই আত্মার সৎ ও অসতের
দিয়াছি দিব্য জ্ঞান,
এই সকলের শপথ ইহারা
সকলে করিছে সাক্ষ্য দান –
আত্মাশুদ্ধি হইল যার,
নিশ্চয় সার্থক জীবন,
আত্মায় কলুষিত করিল যে
চির-বঞ্চিত হল সে জন।
সত্যেরে বলিল মিথ্যা
‘সামুদ’ জাতি সে গর্বভরে
অগ্রসর হল হতভাগ্যেরা
(রসুলেরে নাহি গ্রহণ করে)।
কহিলেন রসুল খোদার প্রেরিত
–সলিল করিতে পান
ওই আল্লার উটেরে
দিয়ো নাকো বাধা বধো না প্রাণ।
বলিল নবিরে মিথ্যাবাদী
তথাপি তাহারা বধিল উটেরে,
তাহাদের তাই পাপের ফলে
বিধ্বস্ত করিল আল্লা তাদেরে।
ধূলিসাৎ করে ফেলিলেন খোদা
তাদেরে; এই সে ধ্বংস-লীলার
পরিণাম ফলে বে-পরোয়া তিনি
কোনো ভয় কভু নাই তাঁর।------------
সুরা শাম্স্
এই সুরা মক্কা শরিফে অবতীর্ণ হইয়াছে। ইহাতে ১৫টি আয়াত, ৫৬টি শব্দ ও ২৫৪টি অক্ষর আছে।শানে-নজুল – কোরআন শরিফে সাধারণত আধিভৌতিক, আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক নিদর্শনের যুক্তির সাহায্যে কোনো একটা সত্য প্রতিষ্ঠা ও সপ্রমাণ করার বিষয় দেখিতে পাওয়া যায়।
এই সুরায় সূর্য, চন্দ্র ও দিবারাত্রি প্রভৃতির উল্লেখ দ্বারা উহাদের তারতম্য বুঝানো হইয়াছে; আর কোন কার্য দ্বারা মানুষ আত্মাকে পবিত্র রাখিয়া জীবন সার্থক করিতে পারে এবং কোন কার্য করিলে মানুষের আত্মা কলুষিত ও জীবন ব্যর্থ হয় তাহার দৃষ্টান্ত দেওয়া হইয়াছে। ‘সমুদ’ জাতির এই ঘটনার উল্লেখ করিয়া – ‘খোদাতায়ালা যাহাকে ইচ্ছা হেদায়েত করেন, যাহাকে ইচ্ছা গোমরাহ্ করেন’ – এই উক্তি উপরোক্ত সুরা দ্বারা খণ্ডন করা হইয়াছে।
Leave a Reply