সুরা জিলজাল
শুরু করি লয়ে ‘পাক’ নাম আল্লার,
করুণানিধান যিনি কৃপার পাথার।
ঘোর কম্পনে ভূমণ্ডল প্রকম্পিত সে হবে যেদিন ধরা তার ভার বাহির করিয়া দিবে (সেদিন)। ‘কী হইল এর’ কহিবে লোকেরা, সেদিন ব্যক্ত করিবে সে নিজের যা কিছু খবর, তোমার প্রভুর সে খোদার নির্দেশে। প্রত্যাগত সে হইবে সেদিন দলে দলে যত লোক সকল, দেখানো হইবে কর্ম সকল তাদের (পাপ ও পুণ্য-ফল)। এক রেণুবৎ যে পুণ্য করিবে, তাহাও দেখিবে সে, পাপ যে করেছে এক রেণুবৎ দেখা দিবে তারে তাও এসে।
————–
সুরা জিলজাল
এই সুরায় ৮টি আয়াত, ৩৭টি শব্দ ও ১৫৮টি অক্ষর আছে। হাক্কানী, হোসেনী, শাহ্ অলিউল্লাহ্, শাহ্ রফিউদ্দিন, শাহ্ আবদুল আজিজ প্রভৃতির মতে, এই সুরা মদিনা শরিফে নাজেল হইয়াছে। কবির বলেন – এই সুরা মক্কা শরিফে অবতীর্ণ হইয়াছে (এবনে আব্বাস, কাতাদা)। কাশ্শাপ, বায়জাবী ও জালালাইন বলেন – এই সুরার অবতরণ-স্থান সম্বন্ধে মতভেদ দৃষ্ট হয়। – (বোখারী শরিফ, Part1, Vol.1.)
শানে-নজুল – একদা হজরতের সঙ্গে আবুবকর (রাঃ) যখন কিছু খাদ্য গ্রহণ করিতেছিলেন, সেই সময় ৭/৮ আয়াত নাজেল হয়। তখন আবুবকর (রাঃ) আহার গ্রহণ ত্যাগ করিয়া হজরতকে জিজ্ঞাসা করিলেন, আমি কি এক বিন্দু কুকর্মের প্রতিফল প্রাপ্ত হইব? তদুত্তরে হজরত বলিয়াছিলেন, সংসারে তুমি যে কোনও সময়ে বিপদাপন্ন হও, উহা তোমার বিন্দু বিন্দু অসৎ কর্মের প্রতিফল; আর তোমার বিন্দু বিন্দু পুণ্যকে আল্লা তোমার জন্য সম্বলস্বরূপ রক্ষা করেন, পরকালে, ওই সকলের প্রতিদান আল্লা তোমাকে দিবেন। সামান্য সামান্য সৎকার্য আর সামান্য সামান্য পাপকার্য একত্রিত হইয়া পর্বততুল্য হইয়া যায়; অকিঞ্চিৎকর কার্যও বৃথা যায় না – এই শিক্ষা প্রচারার্থে উক্ত আয়াতদ্বয় নাজেল হয়।
Leave a Reply