সুরা তাকাসুর
শুরু করি লয়ে শুভ নাম আল্লার, নাহি আদি নাহি অন্ত যাঁর করুণার। অধিক লোভের বাসনা রেখেছে তোমাদেরে মোহ-ঘোরে, যাবৎ না দেখ তোমরা গোরস্থানের আঁধার গোরে। না, না, না, তোমরা শীঘ্র জানিবে পুনরায় (কহি) ত্বরা জ্ঞাত হবে; না, না, হতে যদি জ্ঞানী ধ্রুব সে জ্ঞানেতে ভরা। দোজখ -অগ্নি করিবে তোমরা নিশ্চয় দর্শন দেখিবে তাহারে তার পর লয়ে বিশ্বাসীর নয়ন। – নিশ্চয় তার পরে হইবে জিজ্ঞাসিত আল্লার চিরসম্পদ তরে।
———–
সুরা তাকাসুর
এই সুরা মক্কা শরিফে অবতীর্ণ হইয়াছে। ইহাতে ৮টি আয়াত, ২৮টি শব্দ ও ১২৩টি অক্ষর আছে।
শানে-নজুল – কোরেশ কুলের এক শাখার নাম বণি-আব্দ-বেনে মান্নাফ, অপর শাখার নাম বণি-সাহম। প্রত্যেক শ্রেণি অহংকারে মত্ত হইয়া বলিতে লাগিল – আমরা অর্থে, ঐশ্বর্যে, সম্ভ্রমে ও লোকসংখ্যায় শ্রেষ্ঠতর। এমনকী, প্রত্যেক দল স্বীয় গৌরব বর্ধনের নিমিত্ত আপন দলভুক্ত লোকদিগকে গণনা করিতে আরম্ভ করিল। এই গণনায় আব্দ-মান্নাফ বংশের লোক সংখ্যায় অধিক হইল। পরে জীবিত ও মৃত উভয় শ্রেণির লোক গণনা করায় বণি-সাহম দলের লোকসংখ্যা অধিক হইল। লোকসংখ্যা নিরূপণের নিমিত্ত তাহারা গোরস্থানে গিয়াছিল। সেই সময় এই সুরা নাজেল হয়।
[মতান্তরে :- ইহুদিগণের নামে সংখ্যাধিক্য লইয়া কলহের সূত্রপাত হওয়ায় মদিনাবাসী বণি-হারেস ও বণি-হারেসা এই দুই দল পরস্পর ধনৈশ্বর্যের অহংকার করায় এই সুরা নাজেল হয়। – (এক্সির)]
Leave a Reply