সুরা নসর্
শুরু করিলাম শুভ নামে আল্লার,
নাই আদি অন্ত যাঁর করুণা কৃপার।
আসিছে আল্লার শুভ সাহায্য বিজয়!
দেখিবে – আল্লার ধর্মে এ জগৎময়
যত লোক দলে দলে করিছে প্রবেশ,
এবে নিজ পালক সে প্রভুর অশেষ
প্রচারো হে প্রশংসা কৃতজ্ঞ অন্তরে,
করো ক্ষমা-প্রার্থনা তাঁহার গোচরে।
করেন গ্রহণ তিনি সবার অধিক
ক্ষমা আর অনুতাপ-যাচ্ঞা সঠিক।
—————
সুরা নসর্
র্এই সুরা মদিনা শরিফে অবতীর্ণ হয়; ইহাতে ৩টি আয়াত, ১৯টি শব্দ ও ৮১টি অক্ষর আছে।
শানে-নজুল – হিজরি ষষ্ঠ সালে হজরত ছাহাবাগণসহ ‘ওমরা’ সম্পন্ন করার জন্য হোদায়বিয়া নামক স্থানে উপস্থিত হইলে কোরেশগণ তাঁহাদিগকে মক্কা শরিফে প্রবেশ করিতে বাধা প্রদান করে। সেই সময় কোরেশগণের সহিত হজরতের এই মর্মে এক সন্ধি হয় যে, একদল অপর দলের প্রতি কোনো প্রকার অত্যাচার করিতে পারিবে না। বনুবকর সম্প্রদায় কোরেশদের ও খোজা সম্প্রদায় হজরতের পক্ষভুক্ত হইল। কিছুকাল পর বনুবকরেরা কোরেশদের সহায়তায় উক্ত অঙ্গীকার ভঙ্গ করতঃ খোজাদলকে আক্রমণ করে। খোজারা হেরেম শরিফে আশ্রয় গ্রহণ করা সত্ত্বেও বনুবকরেরা তাহাদিগকে প্রহার করে। জনৈক খোজা-নেতা ও তাহাদের দলের কয়েকজন লোক মদিনা শরিফে হজরতের নিকট উপস্থিত হইয়া সাহায্য প্রার্থনা করেন। হজরত ছাহাবাগণকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইতে আদেশ প্রদান করেন। পূর্বের অঙ্গীকার দৃঢ় ও শর্তের সময় বৃদ্ধি করার মানসে কোরেশগণ আবুসুফিয়ানকে মদিনা শরিফে প্রেরণ করেন। হজরত আলি, জোবায়ের প্রভৃতি ছাহাবার প্রেরিত পত্রবাহকের নিকট হইতে পত্র কাড়িয়া লন। দশম হিজরিতে দশ হাজার ছাহাবা-সহ মক্কা অভিমুখে হজরত যাত্রা করেন। আবুসুফিয়ানের ইসলাম গ্রহণ, হজরত আব্বাসের প্রার্থনায় তাহার মুক্তি, বহু সৈন্যের ভীতি, মক্কা বিজয়, অধিবাসীগণকে ক্ষমা, ১৫ দিবস তথায় অবস্থান ইত্যাদির আভাস ইহাতে প্রদান করা হইয়াছে।
Leave a Reply