জয় হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী
কোরাস গান
(শিবরঞ্জনী)
(জয়) হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী। শিব-জটা হতে সুরধনী-স্রোতে ঝরি শতধারে ভাসাও অবনি॥ দিবা দ্বিপ্রহরে প্রথম বেলা কাফি-সিন্ধুর তীরে কর খেলা, দীপ্ত নিদাঘে সারঙ্গ রাগে অগ্নি ছড়ায় তব জটার ফণী॥ কভু ধানশ্রীতে মায়া-রূপ ধর, জ্ঞানী শিবের তেজ কোমল কর, পিলু বারোঁয়ায় বিষাদ-ভোলানো নূপুরের চটুল ছন্দ আন॥ বাগীশ্বরী হয়ে মহিমা শান্তি লয়ে আস গভীর যবে হয় রজনি॥ বরষার মল্লারে মেঘে তুমি আস, অশনিতে চমকাও, বিদ্যুতে হাস, সপ্তসুরের রঙে সুরঞ্জিতা ইন্দ্রধনু-বরণি॥ সৈন্ধবী। কথা কও হরপ্রিয়া শিব-সীমন্তিনী। দিবা দ্বিপ্রহরের প্রথমার্ধ বেলা তোমার তনুর জ্যোতি চুরি করি যেন ঝলমল করে স্বর্ণ-রাগে। কথা রাখো, তুমি না কহিলে কথা, না হাসিলে তুমি রবির কনক-ছটা ম্লান হয়ে যায়! হরপ্রিয়া। সৈন্ধবী! তুই তো জানিস– দেখি নাই কতদিন মনোহর হরে। ধ্যানমগ্ন কোন লোকে কোন রূপ ধরি কী লীলা যে করিছেন তিনি – আমি মহামায়া হয়ে জানিতে না পারি। বল সহচরী। কেন এলি ফিরি দেবাদিদেব মোর শিব শম্ভুর পেয়েছিস কোনো সন্ধান? সৈন্ধবী। মহাদেবী! সেই কথা এসেছি জানাতে– যে লীলা করেন তব শিব সুন্দর শ্যামসুন্দর সাজে, রস-বৃন্দাবনে। নওল কিশোর রূপ নব ঘনশ্যাম– মেঘ-অনুলিপ্ত যেন তুষার কৈলাস। গলে ফণী-হার নাই দোলে বনমালা জটাজূট হইয়াছে চাঁচর চিকুর, শশীলেখা হইয়াছে বাঁকা শিখী-পাখা বিষাণ হয়েছে বাঁশি, বাঘছাল তাঁর হইয়াছে পীতধরা, মুনি-মনোহর। শুনি সেই চপলের ঘরছাড়া সুর গোপিনীরা ধেয়ে আসে পাগলিনি হয়ে।
Leave a Reply