যখন কিছু নাহি ছিলা তখন তুমি কোথায় ছিলা
কে বুঝে তোর লীলা মৌলা ॥
নিজরূপ করিয়া গোপন আহম্মদকে করলা সৃজন
উদ্দেশ্যে করিতে সাধন আরশে লটকিলা ।
মানুষ বানাইতে তুমি হুকুম করিলা ।
ফেরেস্তার কি আছে শক্তি নিজেই মানুষরূপ ধরিলা ॥
নিজরূপ করে দর্শন আনন্দে হইয়া মগন
কাহাকে করিতে ওজন, সেজদার হুকুম দিলা ।
তুমি বিনে নাই সজিদা কোরআনে ফরমাইলা ।
তবে কেন লান্নতের তকতা মুকরুমের গলেতে দিলা ॥
ঘুরে ফিরে তামাম সংসার গিয়াছ বেহেস্ত মাজার
মদনজ্বালা হইল তোমার বেহুঁশ হইয়া পড়লা ।
শক্তিবলে মায়ার ছলে প্রেমের মূর্তি হইলা।
হাওয়া বিবি রূপ ধরিয়া আদমেরে ভুলাইলা ॥
নিজে আবার হইয়া ভ্রমর বসলে হাওয়ার ফুলের উপর
কোরানে বলেছ হাজার, নিজে গন্দম খাইলা
গন্দম খাইয়া লেংটা হইয়া দুনিয়ায় আসিলা ৷
সাড়ে তিনশ বছর পরে কার মুখ দেইখা প্রাণ জুড়াইলা ॥
মানুষ দিয়া মানুষ বানাও মানুষ রূপে ঘুরে বেড়াও
দুঃখে সুখে দিনটি কাটাও করে উলামেলা ।
‘মাকারাল্লাহু মাকেরিন’ মক্কর করিলা ।
রশিদ উদ্দির হাতে এসে মানুষ রূপে ধরা দিলা ॥
পূর্ববর্তী:
« মৌলা ধন হে, মম অঙ্গে কিবা রঙ লাগিলো
« মৌলা ধন হে, মম অঙ্গে কিবা রঙ লাগিলো
পরবর্তী:
যখন পড়বে চরণখানি ও ঘাটের পাড়ে »
যখন পড়বে চরণখানি ও ঘাটের পাড়ে »
Leave a Reply