গিন্নি বিদায় দাও আমারে ॥
যথা ইচ্ছা তথা যাও ভাত কাপড় সব থুইয়া ঘরে ॥
পইড়াছি কি অভাবেতে, পয়সা কড়ি নাইরে হাতে
কী লইয়া যাই বাজারেতে, কাপড় কিনিবারে?
এতই যদি অভাব ছিল বিয়া করছিলি কেরে?
এমন মাইন্সে বিয়া করে না, ভাত কাপড় যে দিতে নারে ॥
কয়েকটা দিন ধৈর্য ধর, বসে থাক চুলার পাড়
পয়সাকড়ি যোগাড় কর কাপড় কিনিবারে।
কন্টোলের কাপড় পিন্তাম না বলি যে তোমারে
মেনেকা যমুনা ছাড়া আনলে কিন্তু ফালবাম ছিঁড়ে ॥
মেনেকাত পাওয়া যায় না, যমুনারও রঙ থাকে না
এমন কথা আর কইও না বলি বারেবারে।
কাপড় চোপড় চাই না তোমার কপালে যা করে।
আবুদুবডি দেও রাখিয়া থাক্তাম না আর তোমার ঘরে ॥
ও গিন্নি তর পায়ে ধরি, আর দিও না মাথায় বাড়ি
যদি করন লাগেও চুরি কাপড় দিবাম তরে।
এমন কাপুরুষের ঘর কোন বেইট্যানে করে।
ভাত কাপড় তো দূরের কথা তেল সাবানডাও মিলে নারে ॥
এখন আর উপায় দেখি না, বোধ হয় সম্মান আর রবে না।
ঘরের গিন্নি কথা কয় না কাপড়ের খাতিরে।
বাউলকবি রশিদ বলে, বস্ত্ৰসংকট কে দূর করতে পারে
বঙ্গরাণী উলঙ্গিনী সম্মান রাখে পত্র ছিঁড়ে ॥
পূর্ববর্তী:
« গাড়ি টানছেরে ইঞ্জিনে
« গাড়ি টানছেরে ইঞ্জিনে
Leave a Reply