জোয়ারভাটার খবর জেনে জালুয়ায় ফালাইছে জাল।
অতি তরঙ্গের নদী বয় না চিরকাল ॥
মনরে…শুন বলি জালুয়ার ছেলে, বসে থাকে নদীর কূলে
যখন নদীর জোয়ার চলে, ভেসে যায় তার অনেক মাল।
ষোল আনা টিকেট করে, পারঘাটা লও রির্জাভ করে
ভয় পাইয়া পলাইসনা দূরে, দেখিয়া তরঙ্গের তাল ॥
মনওে…অনুরাগের কুড়া দিয়া বিশ্বাসের বঁড়শি লাগাইয়া
ভক্তির আটায় টোপ গাঁথিয়া, বঁড়শির দিকে রাখিস খেয়াল
গুরু গোসাইর সঙ্গ ধর, প্রেম চরকায় সুতা ছাড়
সাধ্য মত যেমন পার দিও সুতায় তিনটি নাল ॥
মনরে…গহীনের ডুবালো যারা, সেই নদীতে ডুবছে তারা
ভয় করে না বিন্দু জড়া, গায় পইড়াছে রেশমী শাল।
যেখানেতে মালের কোঠা, দরজায় দিয়াছে কাঁটা।
সাহস করে যাইসরে বেটা সর্পের মাথায় জ্বলছে লাল ॥
মনরে…শুন বলি আর একটি কথা, সেই নদীর হয় তিনটি সুতা
আছেরে তো গাঙ্গের মাথা, কুম্ভীর ভাসে পালের পাল
ভক্তি ছাড়া যুক্তি করে যে গিয়াছে নদীর পাড়ে
কুম্ভিরিনী আহার করে ডুব দিয়া গেছে পাতাল ॥
মনরে…রশিদ উদ্দিন কয়রে সাধু খাবি যদি চাকের মধু
বাধ্য কর ঘরের বধূ, যে হইল ভবের জঞ্জাল।
নামের হলুদ গায় মাখিলে ছোঁয় না পোকায় গন্ধ পাইলে
সে ধন কি সহজে মিলে ভাণ্ডারেতে নিয়া সামাল ॥
পূর্ববর্তী:
« জৈষ্ঠ মাইস্যা বৃষ্টির জলে আইল আষাঢ়িয়া পানি
« জৈষ্ঠ মাইস্যা বৃষ্টির জলে আইল আষাঢ়িয়া পানি
পরবর্তী:
জ্ঞান হইল নুরের আলো অজ্ঞানতা অন্ধকার »
জ্ঞান হইল নুরের আলো অজ্ঞানতা অন্ধকার »
Leave a Reply